MIG-29 যুদ্ধবিমান ও বাংলাদেশ

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ হাম্মাদুর রহমান ০৯ মে, ২০১৪, ১১:৪০:৩৮ সকাল



মিগ২৯ বর্তমান সময়ের অন্যতম ভয়ঙ্কর একটি যুদ্ধবিমান । এটি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি ৪র্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান যা ১৯৮৩ সালে প্রথম সোভিয়েত বিমানবহরে অন্তর্ভুক্ত হয়।এর ন্যাটো কোডনেম হল ফুল্ক্রাম। মিগ২৯ একটি মাল্টিরোল কমব্যাট ফাইটার যা একইসাথে আকাশে ও ভূমিতে হামলার জন্য অত্যন্ত পারদর্শী। এর শক্তিশালী Klimov RD-33 আফটার বার্নিং টার্বো ফ্যান ইঞ্জিন নিমেষেই বিমানকে সাবসনিক থেকে সুপারসনিক গতিতে নিয়ে যেতে পারে। অত্যাধুনিক কোবরা ম্যানুভ্যারিটি ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিমান শত্রুবিমানের মিসাইলকে ফাঁকি দিয়ে পুনরায় পাল্টা আক্রমন চালাতে পারে। সোভিয়েতরা এই বিমানকে তাদের স্টেট ওফ আর্ট হিসেবে পরিচয় দেয়। এটি দীর্ঘদিন পশ্চিমা এবং ইউরোপিয়ান দেশ গুলোর ফিয়ার ফ্যাক্টর ছিল। মিগ২৯ বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত একটি বিমান যা পৃথিবীর বিভিন্ন বিমানবাহিনীতে অত্যন্ত সফলতার সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে।



মিগ-২৯

*রোলঃ এয়ার সুপারিওরিটি ফাইটার, মাল্টিরোল ফাইটার

*উৎপাদনকারী দেশঃ রাশিয়া (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন)

*প্রস্তুতকারী কোম্পানিঃ মাইকন

*১ম ফ্লাইটঃ ৬ অক্টোবর ১৯৭৭

*১ম সার্ভিসঃ জুলাই ১৯৮৩

*ব্যাবহারকারিঃ রাশিয়া, ভারত, ইউক্রেন, সিরিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশ

*প্রস্তুতকৃত সংখ্যাঃ ১৬০০+



বাংলাদেশে মিগ-২৯

১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান যুক্ত হয় । এখন বাংলাদেশের রয়েছে ৮টি মিগ ২৯ । কিন্তু ৮টি মিগ-২৯ যুদ্ধ বিমানের ৬টি দীর্ঘদিন থেকে গ্রাউন্ডেড।

প্রতিবেশী দেশ আরও উন্নত যুদ্ধবিমান তাদের বহরে জোগান দিচ্ছে। এমনকি মিয়ানমারের বিমানবহরের ১২টি অত্যাধুনিক মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরও ২০টি মিগ-২৯। পরবর্তী ২০টি মিগ-২৯ তাদের বিমানবাহিনীর বহরে জোগান দেয়ার জন্য এরই মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ যখন মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করে, একই সময়ে মিয়ানমারও ১২টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করে। তারা বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় অর্ধৈক দামে ১২টি মিগ ক্রয় করেছিল। তাদের সবগুলো মিগ-২৯ সচল আছে। বাংলাদেশের মিগ-২৯গুলো দীর্ঘদিন থেকেই অচল অবস্থায় গ্রাউন্ডেড। বাংলাদেশ অত্যাধুনিক মডেলের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ক্রয় করলেও বর্তমানে কাজে আসছে না। এতে বিমানবাহিনীর একটি ইউনিট পুরোপুরি শক্তিহীন হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। গ্রাউন্ডেড অবস্থায় অকেজো হয়ে থাকা ৬টি বিমানের যন্ত্রাংশ দিয়ে দু’টি মিগ-২৯কে কোনোরকমে সচল রাখা হয়েছে।

যেকোনো দেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় যুদ্ধবিমান একটি অত্যাবশ্যকীয় জিনিস । মিগ-২৯ এক্ষেত্রে অনেক দেশেরই কামনার বস্তু । আমাদের প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার প্রতিনিয়ত নতুন নতুন যুদ্ধবিমান বিমানবাহিনীতে যোগ করছে । কিন্তু আমরা যা আছে তাই ভালভাবে সংরক্ষণ করতে পারছি না । রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেনা এসব যুদ্ধাস্ত্র হেলায় নষ্ট করার জন্য নয়।

বিষয়: বিবিধ

২০০৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

219440
০৯ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৪
সিকদারর লিখেছেন : আমরাত পা চাটার জাত । আমাদের যুদ্ধাস্ত্রের দরকার নাই । ভারতের গোলামী করলেই হবে।
১০ মে ২০১৪ রাত ০৮:৪০
167662
মোঃ হাম্মাদুর রহমান লিখেছেন : বর্তমান সরকারের ভুমিকায় তাই মনে হয়।
219444
০৯ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:০০
আহ জীবন লিখেছেন : কোটি টাকার বিমান আনছে বিমান বাহিনীরে কেজি মাপা বেইচ্ছা কটকটি খাওয়াইতে।
১০ মে ২০১৪ রাত ০৮:৪১
167664
মোঃ হাম্মাদুর রহমান লিখেছেন : Clown
219732
১০ মে ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এখন সম্ভবত ৫টি কার্যকর আছে। নতুন করে আরো ৮ টি কিনার চুক্তি হয়েছে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মতেই এই জঙ্গি বিমান বাংলাদেশের জন্য জরুরি নয়। তার পরিবর্তে আধুনিক উচ্চমানের এভিউনিক্সযুক্ত চিন পাকিস্তান যেীথ উদ্যোগে নির্মিত জেএফ-১৭ বা এই ধরনের বিমানই প্রতিরক্ষার জন্য যথেষ্ট। এর মুল্য এবং রক্ষনাবেক্ষন এর খরচ মিগ-২৯ এর এক তৃতিয়াংশ।
১০ মে ২০১৪ রাত ০৮:৪১
167663
মোঃ হাম্মাদুর রহমান লিখেছেন : ঠিক তাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File