কাহের এফ-৩১৩ যুদ্ধবিমান; নতুন যুগে ইরান
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ হাম্মাদুর রহমান ০৮ মে, ২০১৪, ১১:১০:৩০ রাত
Qaher F-313 ইসলামিক রিপাবলিক ইরান নির্মিত একটি অত্যাধুনিক স্টিলথ যুদ্ধবিমান।রাডারের চোখকে ফাকি দিয়ে অত্যন্ত নিচু দিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম এই বিমানটিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
এফ-৩১৩ বিমানটি ২০০৭ সালে ডিজাইন করা অনেকগুলো অত্যাধুনিক ডিজাইনের একটি যা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত। রাডারকে ফাকি দিতে সক্ষম এই বিমানটি অত্যন্ত নিচু দিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম। এটি বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধাস্ত্র ও বোমা বহন এবং শত্রু বিমানের সাথে আকাশ যুদ্ধে সমান পারদর্শী। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত রানওয়ে থেকে এটি উড়তে পারে । এটি যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত এফ-১৮ হরনেট বিমানের সমকক্ষ যা আকাশযুদ্ধে শত্রু বিমানকে পরাজিত করা এবং শত্রু দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ধ্বংসে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে ।
আশির দশকের পর থেকে ইরানের উপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপিয়ে দেয়া অর্থনৈতিক এবং সামরিক নিষেধাজ্ঞার কারনে ইরান সামরিক প্রযুক্তি আমদানি করতে পারত না। এরপর ইরান নিজস্ব সামরিক শিল্প গড়ে তোলে। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান নিজস্ব প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক, যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, ক্ষেপণাস্ত্র, টর্পেডো, রাইফেল, পাইলট বিহীন বিমান এবং অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম নির্মাণ করছে। এর ফলে দেশটি সামরিক ক্ষেত্রে প্রায় সয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এ বিমান প্রসঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ বলেছিলেন, " উন্নতি নির্ভর করে আমাদের ইচ্ছার উপর, যদি আমাদের সেই ইচ্ছা না থাকত তবে কেউ আমাদের এখানে পৌঁছে দিতনা। একসময় আমরা গাড়ি আমদানি করে আমাদের দেশে সংযোজন করতাম। আর এখন আমরা সম্পূর্ণ নিজেদের তৈরি বিমান আকাশে ওড়াই।"
ইরানের বিমান বাহিনীতে এ মাল্টিরোল ফাইটার বিমানটি যুক্ত হলে ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে ।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
৩৫৭৮ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু ইরানের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে ইরান কেন যেন বাড়াবাড়ি রকমের প্রচারণা করছে। কৌশলগত সামরিক প্রযুক্তি বলে বেড়ানোর বিষয় নয়। গোপন রেখে সময়মত শত্রুকে চমকে দেয়াটাই এর একটা বড় উদ্দেশ্য।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছি একটা ফটোশপড ইমেজ এবং একটা খেলনা বিমান। এ বিষয়ে ইউটিউবে সার্চ করলে ইরানের সামরিক সক্ষমতার হাজারো অসন্গতি বুঝতে পারবেন।
ইরানের চমক লাগানো অগ্রগতিতে হতবাক সারা বিশ্ব
মন্তব্য করতে লগইন করুন