ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত জীবনী : সাঈদ জালিলি (পর্বঃ ১)

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ হাম্মাদুর রহমান ০৪ জুন, ২০১৩, ০৪:৫৬:২৪ বিকাল



সাঈদ জালিলি ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পবিত্র শহর মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন। ইমাম সাদেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পিএইচডি করেন। তাঁর পিএইচডি’র বিষয় ছিল ‘বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর পররাষ্ট্রনীতি’।

সাঈদ জালিলি ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদে ১৮ বছর কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি ইমাম সাদেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশ্বনবী (সা.)’র কূটনীতি’ বিষয়ে ছাত্রদের পড়াচ্ছেন।

১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরাকের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের সময় ইরানের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর (বাসিজ) সদস্য হিসেবে যুদ্ধ করেন তিনি। ওই যুদ্ধে মারাত্মক আহত হয়ে একটি পা হারান জালিলি।

সাঈদ জালিলি মাত্র ৩০ বছর বয়সে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন বিভাগের পরিচালক নিযুক্ত হন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৯৭ সালে মোহাম্মাদ খাতামি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর জালিলি ইরানের যুক্তরাষ্ট্র বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান।

এই দায়িত্ব ছাড়ার পর তিনি ইরানের সবোর্চ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর দফতরের সিনিয়র পরিচালক পদে কাজ শুরু করেন।

২০০৫ সালে মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জালিলি আবার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এবার তাকে দেয়া হয় ইউরোপ এবং আমেরিকা বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ।

এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক ততকালীন প্রধান জ্যাভিয়ার সোলানার সঙ্গে ইরানের পরমাণু বিষয়ক ততকালীন প্রধান আলোচক ড. লারিজানির সংলাপ চলছিল। সাঈদ জালিলি ওই ধারাবাহিক সংলাপে ড. লারিজানিকে সঙ্গ দেন এবং সার্বিক সহযোগিতা করেন। পরবর্তীতে ড. লারিজানি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সবোর্চ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিবের পদ ছেড়ে দিলে সাঈদ জালিলি তার স্থলাভিষিক্ত হন।

সাঈদ জালিলি ইসলামিক ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটিরও একজন সদস্য।



বিষয়: বিবিধ

১৮৩১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File