মরার উপর খাড়ার ঘা! এটা কি মগের মুল্লুক? নাকি রামরাজ্য?
লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:১০:৪৩ সন্ধ্যা
এটা কি মগের মুল্লুক?
নাকি রামরাজ্য?
রাজনৈতিক অত্যাচারের অংশ হিসেবে অহেতুক পুলিশি হয়রানীর কারণে বাড়ীতে থাকতে পারছে না অনেক নিরপরাধ মানুষ। এই নির্দয় অমানবিক দূর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে কিছু কিছু অসৎ গ্রাম্য ছিচঁকে চোর, বখাটে ক্রিমিনাল, হিংস্র ডাকাত, নারী শিশু নির্যাতনকারী অপদার্থ কুলাঙ্গার।
রাজনৈতিক কারণে অহেতুক এবং অন্যায়ভাবে পুলিশি হয়রানীর শিকার হয়ে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরে বাবাকে না পেয়ে ১১ মাসের শিশুকে হাজতখানায় নিয়ে আসে।
রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের আশ্রয় পেয়ে এক শ্রেণীর মানুষরূপি হাইওয়ান এমন লাগামহীন বেপরওয়া হয়েছে যাদের অনিষ্ঠকর অত্যাচারের ফলে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রাকে গড়ে তুলেছে মারাত্মকভাবে দূর্বিষহ।
পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারের আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন এজেন্সীর দায়িত্বশীল কর্তারা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে দুষ্টের দমন এবং শিষ্ঠের লালন নীতি কথাটির উল্টো প্রয়োগের ফলে অসৎ চরিত্রের অমানুষগুলো পেয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের আনুকুল্য এবং নীরব সমর্থন। এর ফলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কিন্তু এসব জনদূর্ভোগ সমাজের উচু তলার প্রভাবশালীদের ভোগ বিলাসীতা এবং উচ্চ মার্গের জীবন যাপনে প্রভাব বিস্তার না করলেও সংখ্যাগরিষ্ট জনমানুষের চোখের পানিতে বুক বেসে যাচ্ছে। অসভ্য অমানুষগুলোর লোকাল এবং মাঠ পর্যায়ের হিংস্র জালেমদের নির্যাতনে শরীরের রক্ত যেমন ঝরছে তেমনি নির্যাতিত মানুষদের অসহায় পরিবারগুলোর সদস্যদের অন্তরেও সৃষ্টি হয়েছে রক্তকরণ। জানি না মানুষ কখন এই করুণ অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে।
ইসলামীপন্থী কিছু চিন্তাশীল বুদ্বিজীবিদের আন্তরিক প্রচেষ্ঠার ফসল দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরী করার অপরাধে আমার নিজের নামের পেছনেও লেগে যায় কথিত মৌলবাদী সংঘঠনের সমর্থকের তকমা। সাঈদী সাহেবের মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়ার প্রাক্ষালে সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসংখ্য ফৌজদারী মামলা রুজু করা হয়। প্রকাশ্যে রাজপথে কোন ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ না করা সত্বেও আমাকেও ভূয়া একটি ফৌজদারী মামলার আসামী করা হয়। এর পর থেকে শুরু হয় পুলিশি হয়রানীসহ বিভিন্ন ধরনের অযাচিত হেনস্তা। মাঝখানে কিছুদিন নীরব থাকলেও হঠাৎ আবারো তৎপর হয়ে উঠে। শুরু হয়ে যায় দৌড় ঝাপের উপরে দুর্গতির নতুন যাত্রা।
সকালে আমার ফেইসবুকের টাইম লাইনে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। নিম্নে আমার স্ট্যাটাসের প্যারাটি পাঠকের খেদমতে পেশ করলাম।
মরার উপর খাড়ার ঘা!
রাজনৈতিক অত্যাচারের অংশ হিসেবে পুলিশি হয়রানীর কারণে বাড়ীতে থাকতে পারছি না। এই সুযোগ টা কাজে লাগিয়ে এক রহস্যজনক চুরির ঘটনায় আমার ঘরের নগদ টাকাসহ সমস্ত অলংকার (প্রায় পাচঁ ভরির চেয়ে একটু বেশী) গত রাতে চুরি করে নিয়ে যায়। শেষ রাতে আমার স্ত্রীর ফোন পেয়ে ঘরে এসে সরেজমিনে চুরি করার সময়, ধরণ ও রেখে যাওয়া চিহ্ন দেখে অনুমান করছি এটি কোন প্রফেশনাল চোরের অপকর্ম নয়। এটি সুযোগ সন্ধানী কোন অপদার্থ শয়তানের পরিকল্পিত কাজ। যাদের জুলুম অত্যাচারে নিরাপদে বাড়ীতে থাকতে পারছি না এবং যারা আমার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সহায় সম্পদ চুরি করে আত্মসাৎ করছে তাদের বিচারের দায়িত্ব আমি আল্লাহর কাছে দিলাম।
ব্যক্তিগত সমস্যা এখানে পাঠকদের জন্য শেয়ার করে কারো সহানুভূতি আদায় করা আমার উদ্দেশ্য নয়। বিষয়টি ব্লগে এজন্য শেয়ার করছি যে আমার মতো একজন নগন্য ব্যক্তিকে যদি এভাবে জীবন যাপন করতে হয় তবে দেশের ষোল কোটি মানুষ আজ কোন পর্যায়ে আছে তা অনুমান করা কঠিন নয়।
স্থানীয় পর্যায়ের সরকার দলীয় নেতা গোছের এক বন্ধু আমাকে পরামর্শ দিলেন থানায় জিডি করার জন্য। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে থানাতে আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করছেন সেখানে আমি জিডি করতে গিয়ে নিরাপদে বাড়ীতে ফেরত আসতে পারবো কিনা?
অথবা আমার পক্ষ হয়ে পরিবারের অন্য কারো দ্বারা জিডি করালেও নিজের জিনিস নিজেই চুরি করার অপবাদ দিয়ে আমার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিবে না তারই নিশ্চয়তা কোথায়? কাজেই আমি মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করলাম তার ফায়সালার জন্য।
বিষয়: বিবিধ
১৫৪২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্লিজ, কারো দিকে আর তাকিয়ে থাকা নয়, কেউ আসুক অথবা নাই আসুক, আপনি আসছেন, লিখছেন, ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করছেন, এটাই নিশ্চিত করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন