মসজিদগুলো হয়ে গেছে আজ সাধারণ কিছু আনুষ্ঠানিক এবাদত বন্দেগী উৎসবের পবিত্র স্থান হিসেবে!!!
লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ২৬ জুলাই, ২০১৫, ০৭:৩০:০৫ সন্ধ্যা
ভারতীয় উপমহাদেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের হাতে গোনা কয়েকটি মসজিদের ইমাম (অবশ্য খতীব বললে সামাজিকভাবে কিছুটা বেশী মান-মর্যদা পাওয়া যায়) ছাড়া বেশীর ভাগ মসজিদের ইমাম নিয়োগ দেয়া হয় ব্যক্তিত্বহীন, ক্ষেত্র বিশেষে দ্বীনি ইলম হাসিলে যেমন দরিদ্র তেমনি তা বিতরণের ক্ষেত্রে চরম কৃপন স্বভাবের মানুষকেই। মসজিদগুলো হয়ে গেছে শুধু মাত্র দৈনিক পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ এবং সাপ্তাহিক জুমআহ'র নামাজ আদায়ের মতো কিছু ব্যবহারিক এবাদত বন্দেগী উৎযাপনের পবিত্র স্থান হিসেবে। অথচ মসজিদ শুধুমাত্র নামাজ আদায়ের জায়গা নয় বরং নামাজ প্রতিষ্ঠার প্রেক্টিক্যাল ফিল্ড! সমাজের নিয়ন্ত্রক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সমাজের উপর থেকে মসজিদের নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে। ফলে ইমামরা প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়াতে নিজেরা স্বকীয়তা হারিয়ে প্রভাবশালীদের খায়েশ ও ইচ্ছা পূরণের একেকটা হাতিয়ারে পরিনত হয়ে যায়।
আবার আমাদের দেশের কোন কোন অঞ্চল ভিত্তিক কিছু আঞ্চলিক নিত্য নতুন বেদআত এমনকি শিরকী কাজ কারবারের প্রচলন শুরু করেছে এবাদতের নামে দিয়ে। সমাজের কিছু কিছু প্রভাবশালী ক্ষমতাবান লোক এসব শিরক বেদআতের সিলসিলা জারি রেখেছে টাকার বিনিময়ে খরিদ করা কিছু স্বল্প শিক্ষিত নামের শুরুতে মাওলানা খেতাবধারী জাহেলকে দিয়ে। যাদের কাজই হলো সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে নতুন নতুন শিরক বেদআত চালু রেখে দ্বীনের মূল স্পীরিট থেকে দূরে রাখা।
ইসলাম সম্পর্কে বেসিক ধারণা রাখে না এমন সাধারণ মুসলমানদের নিকট আজ পরিচিত হয়ে উঠেছে ইমাম বলতেই শুধু মাত্র মসজিদে যিনি নামাজ পড়ান তিনিই। অথচ ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় ইমামের সংজ্ঞা ও ক্যারেক্টার এমন হওয়ার কথা ছিল না। ইমাম যিনি হবেন তিনি পুরো একটা সমাজের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা যেমন থাকতে হবে তেমনি তার মধ্যে দ্বীনি ইলম এবং সাধারণ জ্ঞান-বিজ্ঞানের পাশাপাশি তা বিতরণের ক্ষেত্রেও ডাইনামিক কোয়ালিটি অর্জনের যোগ্য হতে হবে। ইসলামের সোনালী যুগ তথা সাহাবায়ে কেরামের ইসলাম প্রচারের মিশন ও ভিশন নিয়ে পড়াশুনা করলে আমরা সে রকম ইতিহাসের ইংগিত পাই।
বিষয়: বিবিধ
১৯৩০ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যদিও ইমামদের কাজ সমাজের অনৈতিক কাজ গুলোর সমালোচনা করে মানুষকে ইসলামী দাওয়া দেয়া.....
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন!!!
যদিও ইমামদের কাজ সমাজের অনৈতিক কাজ গুলোর সমালোচনা করে মানুষকে ইসলামী দাওয়া দেয়া.....
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন!!!
যদিও ইমামদের কাজ সমাজের অনৈতিক কাজ গুলোর সমালোচনা করে মানুষকে ইসলামী দাওয়া দেয়া.....
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন!!!
যদিও ইমামদের কাজ সমাজের অনৈতিক কাজ গুলোর সমালোচনা করে মানুষকে ইসলামী দাওয়া দেয়া.....
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন!!!
ঈমামদের হতে হবে কিছুটা পশ্চিমা ঘেষা । ইসলামী ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে পশ্চিমা নাচেরও ব্যবস্থা করতে হবে যাতে দেশের গায়ে মডারেট মুসলিম এর খেতাবটা এঁটে থাকে ।
সেকুলার দেশের কথা বাদই দিলাম। কথিত অনেক ইসলামী দেশেও আজ মসজিদগুলোকে শুধুমাত্র নামাজ আদায়ের পবিত্র স্থান গন্য করে। যদি কোন সাহসী ইমাম বা খতীব সমসাময়িক মুসলিম বিশ্ব অথবা মুসলমানদের সমস্যাদি নিয়ে আলোচনা করে পরদিন তার চাকরি চলে যায় নতুবা তাকে জেলের ভিতর আশ্রয় নিতে হয়।
পশ্চিমা ঘেষা তথা পশ্চিমাদের গ্যাস অনেক আগেই ডুকে পড়েছে তথাকথিত কিছু উচ্চ শিক্ষিত মতলবাজদের রক্তে। এরশাদ রামজি, আমেনা ওয়াদুদ, ওয়াফা সুলতানরা আজ পশ্চিমা গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে নিজেরা যে সব ভোমী করা শুরু করেছে তাতে ডিজিটাল যুগের নবীন প্রজন্মের সাধারণ মুসলিমদের মগজ ধোলাইয়ের কাজ ঠিকই হয়ে যাচ্ছে। উল্লেখিত ইন্টারন্যাশনাল ধা্ন্ধালদের ব্রেইন্ডচাইল্ড শিশু হচ্ছে আমাদের দেশের শামিম আফজল-সালাহউদ্দীনরা। ওদের বুদ্ধির কাছে আমাদের দেশীয় আবালগুলো এখনো শিশুতূল্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ..
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুকরিয়া এবং খায়রে মখদম করছি।
জাযাকাল্লাহ , চালিয়ে যান ,
আমাদের দেশের মসজিদের ঈমামগন আল্লাহর চেয়ে মসজিদ কমিটির লোকদের বেশি ভয় করে। খুব অবাক লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে
আল্লাহর চেয়েও আল্লাহর বান্দা মসজিদ কমিটির কর্তাদের ভয় পাওয়ার রীতি রেওয়াজ শুধু আমাদের দেশেরই চিত্র নয়। এটা গোটা দুনিয়ার মুসলিম জন অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর সামগ্রিক চিত্র। এই রেওয়াজটা রাতারাতি সৃষ্টি হয়নি। এটা হয়েছে মুসলিম জাহানে সত্যিকারের রাহবার না থাকার ফলে। যদি সত্যিকারের ইসলামী খিলাফত বা কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তি জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থা ইসলামাইজড হতো তবে মসজিদই হতো স্থানীয় পর্যায়ের লোকাল পার্লামেন্ট তথা সমাজের মানুষের প্রতি আদল ইনসাফের বাস্তবায়ন ও ন্যায় বিচার আচারের প্রতিষ্ঠা ও মজলুম মানুষের ফরিয়াদ শুনার কেন্দ্রবিন্দু। আর সংশ্লিষ্ট মসজিদের ইমামই হতো আজকের আধুনিক প্রশাসন ব্যবস্থার টিএনও, ইউএনও, ওয়াইডব্লিও, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। অথচ উল্লেখিত দয়িত্বশীল পদগুলোতে বর্তমানে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের মধ্যে কাউকে যদি নামাজ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় তখন দেখা যাবে হয়তো শুদ্ধ করে অনেকেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতটাই করতে পারছে না।
সাইমুম সিরিজের নায়ক "আহমদ মুসা" আমারও প্রিয় নাম। বাংলা সাহিত্যে অন্যতম দিকপাল শ্রদ্ধেয় আবুল আসাদ সাহেবের অমর সৃষ্টি সাইমুম সিরিজের বইগুলো ছাত্র জীবনে এক সময়ে আমিও পড়তাম। অবশ্য অনেক দিন থেকে এই সিরিজের বইগুলো পড়ার সুযোগ হয় না। সম্ভবত ৩৭ নং পর্বটি পর্যন্ত আমার পড়া হয়েছিল।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাল থাকুন ও সুস্থ্য থাকুন- এই কামনা করছি।
অন্যদিকে যারা এসব গভীর চিন্তাগুলো করার ক্ষমতা রাখে তাদের কাছে এসব বন্ধ করার 'ক্ষমতা' নাই।
গভীর চিন্তাগুলো করার ক্ষমতার সাথে যদি এসব বন্ধ করার “ক্ষমতার” সমম্বয় করা সম্ভব হয় তখনই আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা আপনাতেই হয়ে যাবে।
জাজাকাল্লাহু খায়রান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন