মসজিদগুলো হয়ে গেছে আজ সাধারণ কিছু আনুষ্ঠানিক এবাদত বন্দেগী উৎসবের পবিত্র স্থান হিসেবে!!!

লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ২৬ জুলাই, ২০১৫, ০৭:৩০:০৫ সন্ধ্যা

ভারতীয় উপমহাদেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের হাতে গোনা কয়েকটি মসজিদের ইমাম (অবশ্য খতীব বললে সামাজিকভাবে কিছুটা বেশী মান-মর্যদা পাওয়া যায়) ছাড়া বেশীর ভাগ মসজিদের ইমাম নিয়োগ দেয়া হয় ব্যক্তিত্বহীন, ক্ষেত্র বিশেষে দ্বীনি ইলম হাসিলে যেমন দরিদ্র তেমনি তা বিতরণের ক্ষেত্রে চরম কৃপন স্বভাবের মানুষকেই। মসজিদগুলো হয়ে গেছে শুধু মাত্র দৈনিক পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ এবং সাপ্তাহিক জুমআহ'র নামাজ আদায়ের মতো কিছু ব্যবহারিক এবাদত বন্দেগী উৎযাপনের পবিত্র স্থান হিসেবে। অথচ মসজিদ শুধুমাত্র নামাজ আদায়ের জায়গা নয় বরং নামাজ প্রতিষ্ঠার প্রেক্টিক্যাল ফিল্ড! সমাজের নিয়ন্ত্রক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সমাজের উপর থেকে মসজিদের নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে। ফলে ইমামরা প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়াতে নিজেরা স্বকীয়তা হারিয়ে প্রভাবশালীদের খায়েশ ও ইচ্ছা পূরণের একেকটা হাতিয়ারে পরিনত হয়ে যায়।

আবার আমাদের দেশের কোন কোন অঞ্চল ভিত্তিক কিছু আঞ্চলিক নিত্য নতুন বেদআত এমনকি শিরকী কাজ কারবারের প্রচলন শুরু করেছে এবাদতের নামে দিয়ে। সমাজের কিছু কিছু প্রভাবশালী ক্ষমতাবান লোক এসব শিরক বেদআতের সিলসিলা জারি রেখেছে টাকার বিনিময়ে খরিদ করা কিছু স্বল্প শিক্ষিত নামের শুরুতে মাওলানা খেতাবধারী জাহেলকে দিয়ে। যাদের কাজই হলো সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে নতুন নতুন শিরক বেদআত চালু রেখে দ্বীনের মূল স্পীরিট থেকে দূরে রাখা।

ইসলাম সম্পর্কে বেসিক ধারণা রাখে না এমন সাধারণ মুসলমানদের নিকট আজ পরিচিত হয়ে উঠেছে ইমাম বলতেই শুধু মাত্র মসজিদে যিনি নামাজ পড়ান তিনিই। অথচ ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় ইমামের সংজ্ঞা ও ক্যারেক্টার এমন হওয়ার কথা ছিল না। ইমাম যিনি হবেন তিনি পুরো একটা সমাজের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা যেমন থাকতে হবে তেমনি তার মধ্যে দ্বীনি ইলম এবং সাধারণ জ্ঞান-বিজ্ঞানের পাশাপাশি তা বিতরণের ক্ষেত্রেও ডাইনামিক কোয়ালিটি অর্জনের যোগ্য হতে হবে। ইসলামের সোনালী যুগ তথা সাহাবায়ে কেরামের ইসলাম প্রচারের মিশন ও ভিশন নিয়ে পড়াশুনা করলে আমরা সে রকম ইতিহাসের ইংগিত পাই।

বিষয়: বিবিধ

১৯৩০ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

331771
২৬ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার সাথে একমত৷ পরিবর্তন দরকার৷ কিন্তু ঘণ্টা বাঁধার লোকের অভাব৷
২৭ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
274160
আহমদ মুসা লিখেছেন : ধন্যবাদ মুহতারাম শ্রদ্ধেয় “শেখের পোলা”কে। এই রেওয়াজ ও কালচার রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। কোথাও পরিবর্তনের লক্ষণ নেই সম্ভবও না। তবে হ্যাঁ যদি দুনিয়ার কোথাও সত্যিকারের ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা লাভ করে তবেই হয়তো মুসলামানদের মসজিদগুলো তার প্রকৃত স্বকীয়তা ও আপন প্রভাব প্রতিপত্তি অর্জন করে নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
331775
২৬ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
নাবিক লিখেছেন : সঠিক কথাই বলেছেন আপনি। মসজিদ গুলোকে এখন শুধুই ইবাদতখানায় পরিনত করা হয়েছে। অথচ একসময় মসজিদ-ই ছিলো মুসলিম সম্প্রদায়ের সকল সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাজের কেন্দ্রস্হল। আর এখন ইমামরা মসজিদে সুদের বিষয়ে বয়ান করতে ভয় পায়। কারণ মসজিদের সভাপতি একজন সুদখোর। বড়ই আফসোস....
২৭ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
274161
আহমদ মুসা লিখেছেন : ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। এই রেওয়াজ ও কালচার প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে সত্যিকারের ইসলামী সালতানাত বা ইসলামী খেলাফত না থাকার কারণে। মসজিদে “দুনিয়াবী কথা বললে চল্লিশ বছরের এবাদত নষ্ঠ হয়ে যায়”- রাসুল (সা) এর এই হাদিসের অপব্যাখ্যা দাড় করা হয়েছে যুগ যুগ ধরে শাসক গোষ্ঠী ও প্রভাশালীদের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে সাধারণ আওয়াম মুসলিমরা যেন সংঘঠিত হওয়ার সুযোগ না পায়।
331786
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২৪
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপ যখন ইমাম এর উপর থাকে তখন ঐ ইমাম এর কাজ থেকে কবরের ওয়াজ ছাড়া অন্য কিছু বের হবেনা!!!!


যদিও ইমামদের কাজ সমাজের অনৈতিক কাজ গুলোর সমালোচনা করে মানুষকে ইসলামী দাওয়া দেয়া.....

কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন!!!
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:০০
274164
আহমদ মুসা লিখেছেন : মন্তব্য করার জন্য আপনারা স্বামী+স্ত্রী উভয়কেই আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। বর্তমানে অধিকাংশ মসজিদের ইমামের মুখ থেকে কবরের ভয়াবহ আজাবের ওয়াজ পর্যন্ত উধাও হয়ে গেছে। এখন অনেক ইমাম শুধুমাত্র কথিত আক্বিদাবাজীর মাধ্যমে ফিতনা ছড়ানো এবং মুসলিম সমাজে শিরক বেদআতের প্রচলণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। আমি অবশ্য সব ইমামদের কথা বলছি না। এখনো পর্যন্ত অনেক ইমাম+খতিবকে দেখা যায় যারা মসজিদকে দ্বীন প্রচারের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে।
331787
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২৫
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপ যখন ইমাম এর উপর থাকে তখন ঐ ইমাম এর কাজ থেকে কবরের ওয়াজ ছাড়া অন্য কিছু বের হবেনা!!!!


যদিও ইমামদের কাজ সমাজের অনৈতিক কাজ গুলোর সমালোচনা করে মানুষকে ইসলামী দাওয়া দেয়া.....

কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন!!!
331788
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২৫
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপ যখন ইমাম এর উপর থাকে তখন ঐ ইমাম এর কাজ থেকে কবরের ওয়াজ ছাড়া অন্য কিছু বের হবেনা!!!!


যদিও ইমামদের কাজ সমাজের অনৈতিক কাজ গুলোর সমালোচনা করে মানুষকে ইসলামী দাওয়া দেয়া.....

কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন!!!
331789
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২৫
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপ যখন ইমাম এর উপর থাকে তখন ঐ ইমাম এর কাজ থেকে কবরের ওয়াজ ছাড়া অন্য কিছু বের হবেনা!!!!


যদিও ইমামদের কাজ সমাজের অনৈতিক কাজ গুলোর সমালোচনা করে মানুষকে ইসলামী দাওয়া দেয়া.....

কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন!!!
331799
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ০৯:৪৫
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : সহমত জানায়।
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:০০
274166
আহমদ মুসা লিখেছেন : পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
331800
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ০৯:৪৯
হতভাগা লিখেছেন : এরকম ঈমাম আসলে তো সেক্যুলার দেশ এর তালিকা হতে নাম বাদ যাবে ।

ঈমামদের হতে হবে কিছুটা পশ্চিমা ঘেষা । ইসলামী ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে পশ্চিমা নাচেরও ব্যবস্থা করতে হবে যাতে দেশের গায়ে মডারেট মুসলিম এর খেতাবটা এঁটে থাকে ।
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
274170
আহমদ মুসা লিখেছেন : এই রেওয়াজ ও কালচার প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে সত্যিকারের ইসলামী সালতানাত বা ইসলামী খেলাফত না থাকার কারণে। মসজিদে “দুনিয়াবী কথা বললে চল্লিশ বছরের এবাদত নষ্ঠ হয়ে যায়”- রাসুল (সা) এর এই হাদিসের অপব্যাখ্যা দাড় করা হয়েছে যুগ যুগ ধরে শাসক গোষ্ঠী ও প্রভাবশালীদের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে সাধারণ আওয়াম মুসলমানরা যেন সংঘঠিত হওয়ার সুযোগ না পায়।
সেকুলার দেশের কথা বাদই দিলাম। কথিত অনেক ইসলামী দেশেও আজ মসজিদগুলোকে শুধুমাত্র নামাজ আদায়ের পবিত্র স্থান গন্য করে। যদি কোন সাহসী ইমাম বা খতীব সমসাময়িক মুসলিম বিশ্ব অথবা মুসলমানদের সমস্যাদি নিয়ে আলোচনা করে পরদিন তার চাকরি চলে যায় নতুবা তাকে জেলের ভিতর আশ্রয় নিতে হয়।
পশ্চিমা ঘেষা তথা পশ্চিমাদের গ্যাস অনেক আগেই ডুকে পড়েছে তথাকথিত কিছু উচ্চ শিক্ষিত মতলবাজদের রক্তে। এরশাদ রামজি, আমেনা ওয়াদুদ, ওয়াফা সুলতানরা আজ পশ্চিমা গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে নিজেরা যে সব ভোমী করা শুরু করেছে তাতে ডিজিটাল যুগের নবীন প্রজন্মের সাধারণ মুসলিমদের মগজ ধোলাইয়ের কাজ ঠিকই হয়ে যাচ্ছে। উল্লেখিত ইন্টারন্যাশনাল ধা্ন্ধালদের ব্রেইন্ডচাইল্ড শিশু হচ্ছে আমাদের দেশের শামিম আফজল-সালাহউদ্দীনরা। ওদের বুদ্ধির কাছে আমাদের দেশীয় আবালগুলো এখনো শিশুতূল্য।
331815
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:৩৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মসজিদ গুলির নিয়ন্ত্রন যাদের হাতে তাদের মধ্যেই তো ইসলাম নাই। এতবড় চট্টগ্রাম শহরে মাত্র একটা বড় মসজিদ এ মহিলাদের নামাজের জায়গা আছে। সাহসি স্বাধিন ইমাম বা খতিব নিয়োগ করতে তো আপত্তি অনেকেরই।
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:২২
274177
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনি ঠিক বলেছেন। যদি প্রকৃত ইসলামের অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে মসজিদ থাকতো তবে তারাই মসজিদকে নিজেদের নিয়ন্ত্রাধীন না ভেবে নিজেরাই মসজিদের নিয়ন্ত্রাধীন মনে করতো। আর তখন কেউ নিজস্ব রুচি অভিরুচির বাস্তবায়ন আল্লাহর ঘর মসজিদে চাপিয়ে দেয়ার সাহস এবং কাউকে মসজিদে প্রবেশের উপর নিয়্ন্ত্রণ আরোপ করার মতো স্পর্ধা দেখাতো না। যার ফলে আজ নারাীদেরকে স্থায়ীভাবেই মসজিদে প্রবেশে নিশেধাজ্ঞা জারি করার সিলসিলা শত শত বছর ধরে চালু থাকার কথা ছিল না।
১০
331857
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:১২
সেলিম উদ্দিন৭২১ লিখেছেন : আধা শিক্ষিত ইমামরা মসজিদের অশিক্ষিত মোতোয়াল্লিদের পদলেহন করতে গিয়ে আল্লাহর ঘরের প্রকৃত মর্যাদা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে।
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
274180
আহমদ মুসা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য। এখানে এককভাবে মসজিদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কিংবা নামাজ পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সাধারণ মুসলমানদের কথা বাদই দিলাম। অনেক শিক্ষিত সচেতন মানুষ মনে করে ইমাম বলতে শুধু মাত্র যিনি নামাজ পরিচালনা করেন তিনিই ইমাম। অথচ ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় ইমামের সংজ্ঞা এমন হওয়ার কথা নয়। যারা ইমামতি করছেন তারাও বেমালুম এবং বেখর যে ইমামের প্রকৃত তায়িত্ব ও কর্তব্য কি?
১১
331878
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:০২
রক্তলাল লিখেছেন : হাসিনা যেখানে অলি সেখানে আর কি কিছু বলার থাকে।
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
274181
আহমদ মুসা লিখেছেন : শেখ হাসিনার আগে যারা ক্ষমতায় ছিল অথবা তার পরে যারা ক্ষমতাসীন হবেন তারাও কি ইমামের দায়িত্ব কর্তব্য ও গুরুত্ব বুঝার মতো অনুভূতি তাদের মধ্যে ক্রিয়াশীল ছিল বা থাকবে? আমি কথাটা শুধু শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলিনি। আমি বলেছি মুসলমানদের সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় এবং ইসলামের অতীতের ইতিহাসের আলোকে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
১২
331880
২৭ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:১৪
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : নির্লজ্জ পেটের জন্য, ঈমান বিক্রি করে চাকরিটা কোন মতে টিকিয়ে রাখে। এ সমাজের আমূল পরিবর্তন ছাড়া-এ অবস্থার উন্নতি সুদুর পরাহত..
অনেক ধন্যবাদ..
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
274182
আহমদ মুসা লিখেছেন : শুধু সমাজের আমূল পরিবর্তন নয় বরং সত্যিকারের ইসলামী সালতানাত বা ইসলামী খিলাফত ফিরিয়ে আনতে পারলেই মুসলমানদের মসজিদগুলো তার নিজস্ব স্বকীয়তা ও হারানো প্রভাব ও ক্ষমতা ফিরে পাবে।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুকরিয়া এবং খায়রে মখদম করছি।
১৩
331958
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:০৫
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম। ধন্যবাদ।
২৭ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৫:০৯
274253
আহমদ মুসা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। কিছুটা ব্যস্থতা সময় কাঠাচ্ছি। দোয়া করবেন যেন নিয়মিত হতে পারি।
২৮ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২৭
274557
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ....Praying Praying Praying
১৪
331963
২৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:১০
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : ইমাম যিনি হবেন তিনি পুরো একটা সমাজের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা যেমন থাকতে হবে তেমনি তার মধ্যে দ্বীনি ইলম এবং সাধারণ জ্ঞান-বিজ্ঞানের পাশাপাশি তা বিতরণের ক্ষেত্রেও ডাইনামিক কোয়ালিটি অর্জনের যোগ্য হতে হবে। ধন্যবাদ পড়ার জন্য, কামনা ও তাই ,

জাযাকাল্লাহ , চালিয়ে যান ,
৩০ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৮
280111
আহমদ মুসা লিখেছেন : এম আব্দুল্লাহ ভুঁইয়া ভাই, আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। অনেক দিন পর আপনাকে আমার ব্লগে দেখা পেলাম। দোয়া করার জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া্।
১৫
332305
২৮ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৫০
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : সাইমুম সিরিজের স্বপ্নের নায়ক আহমদ মুসা নামটি খুব প্রিয়।
আমাদের দেশের মসজিদের ঈমামগন আল্লাহর চেয়ে মসজিদ কমিটির লোকদের বেশি ভয় করে। খুব অবাক লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে
২৯ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:১৩
274759
আহমদ মুসা লিখেছেন : মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং আমার অন্যন্যা ব্লগগুলোতে আপনাকে স্বাগতম ও খায়রে মখদম করছি।
আল্লাহর চেয়েও আল্লাহর বান্দা মসজিদ কমিটির কর্তাদের ভয় পাওয়ার রীতি রেওয়াজ শুধু আমাদের দেশেরই চিত্র নয়। এটা গোটা দুনিয়ার মুসলিম জন অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর সামগ্রিক চিত্র। এই রেওয়াজটা রাতারাতি সৃষ্টি হয়নি। এটা হয়েছে মুসলিম জাহানে সত্যিকারের রাহবার না থাকার ফলে। যদি সত্যিকারের ইসলামী খিলাফত বা কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তি জীবন, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থা ইসলামাইজড হতো তবে মসজিদই হতো স্থানীয় পর্যায়ের লোকাল পার্লামেন্ট তথা সমাজের মানুষের প্রতি আদল ইনসাফের বাস্তবায়ন ও ন্যায় বিচার আচারের প্রতিষ্ঠা ও মজলুম মানুষের ফরিয়াদ শুনার কেন্দ্রবিন্দু। আর সংশ্লিষ্ট মসজিদের ইমামই হতো আজকের আধুনিক প্রশাসন ব্যবস্থার টিএনও, ইউএনও, ওয়াইডব্লিও, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। অথচ উল্লেখিত দয়িত্বশীল পদগুলোতে বর্তমানে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের মধ্যে কাউকে যদি নামাজ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় তখন দেখা যাবে হয়তো শুদ্ধ করে অনেকেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতটাই করতে পারছে না।
সাইমুম সিরিজের নায়ক "আহমদ মুসা" আমারও প্রিয় নাম। বাংলা সাহিত্যে অন্যতম দিকপাল শ্রদ্ধেয় আবুল আসাদ সাহেবের অমর সৃষ্টি সাইমুম সিরিজের বইগুলো ছাত্র জীবনে এক সময়ে আমিও পড়তাম। অবশ্য অনেক দিন থেকে এই সিরিজের বইগুলো পড়ার সুযোগ হয় না। সম্ভবত ৩৭ নং পর্বটি পর্যন্ত আমার পড়া হয়েছিল।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাল থাকুন ও সুস্থ্য থাকুন- এই কামনা করছি।
১৬
340637
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:২৩
ফজলে এলাহি মুজাহিদ লিখেছেন : সবকিছু কেমন যেন 'প্রভাব', 'ক্ষমতা' ইত্যাদি কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। মসজিদগুলোও এ থেকে বাদ পড়েনি। আফসোস এবং আতংকের সাথে বলতে হচ্ছে যে, এভাবেই খৃষ্টানরা তাদের ধর্মকে কর্তৃত্বশালীদের খেয়াল-খুশী, সুবিধা-অসুবিধাতে বিলীন করে দিয়ে বিকৃত করে ফেলেছে।
অন্যদিকে যারা এসব গভীর চিন্তাগুলো করার ক্ষমতা রাখে তাদের কাছে এসব বন্ধ করার 'ক্ষমতা' নাই।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৪৪
282272
আহমদ মুসা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ, অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ইসলামের প্রকৃত অনুসরণ ও অনুশাসন যদি মানব সমাজে প্রতিষ্ঠিত থাকতো তখন “প্রভাব” , “ক্ষমাত”, প্রতিপত্তি ইত্যাদি সবগুলোর একক কপিরাইট মসজিদের নিয়ন্ত্রণেই থাকতো। খৃীস্টানসহ অতীতের আহলে কিতাবী জ্ঞানীগুনি আলেম ওলামাদের অনেকেই আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশনার আমানতকে খেয়ানত করে সেখানে বিকৃতি ঘটিয়েছে কথিত প্রভাবশালীদের খেয়াল খুশী মতো। হয়তো এ কারণেই সর্বশেষ এবং চুড়ান্ত নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর উপর নাজিলকৃত আল্লাহর নির্দেশাবলীর দায়িত্ব সয়ং মহান আল্লাহ তায়ালার লৌহে মাহফুজে হেফাজত রাখার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। এ কারণেই দেখা যায় দুনিয়ার প্রতিটি দেশে যেখানেই মুসলমনরা রয়েছেন সেখানেই কেউ না কেউ অথবা দলবদ্ধভাবে জামায়াতবদ্ধ হয়ে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছে। অথচ দুনিয়ার অন্য কোন জাতির মধ্যে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা লক্ষ্য করা যায় না।
গভীর চিন্তাগুলো করার ক্ষমতার সাথে যদি এসব বন্ধ করার “ক্ষমতার” সমম্বয় করা সম্ভব হয় তখনই আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা আপনাতেই হয়ে যাবে।
১৭
344837
০৭ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:১১
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। বর্তমানে মসজিদগুলোর এই অবস্থার জন্য দায়ি আমাদের দেশের মুসলমানদের ইসলাম বিমূখতা ও ধর্মিয় ব্যাপারে স্বল্প জ্ঞানের কারনে । মসজিদ পরিচালনা করার জন্য যারা কমিটিতে থাকে তাদের বেশির ভাগই সারা জীবন চাকরী জীবনে অফিস পলিটিক্স করেছে । শেষ বয়সে অবসর জীবনে মসজিদে নামায পড়তে যেয়ে সেখানেও পুরাতন পলিটিক্স আর ধান্দা ছাড়তে পারে না । তাদের কারনেই আজ প্রতিটা মসজিদে কমিটির লেজুরবৃত্য ঈমাম নয়ত মুয়াজ্জিন নিয়োগ পায় তারা আললাহর সন্তষ্টির চেয়ে কমিটির সন্তষ্টির ব্যাপারে বেশি সজাগ থাকে তাই মসজিদগুলো ঈমানের মারকাজ নয় রাজনীতির ও ধান্দার প্রতিস্ঠানে পরিনিত হয়েছে।
জাজাকাল্লাহু খায়রান।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File