মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসীদের সম্পর্কে একজন নাট্যভিনেতার অবমানকর উক্তি
লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ১৬ মে, ২০১৪, ০৮:৪৬:২৯ রাত
আমি সংগত কারনেই তার নাম নিচ্ছি না। একজন জনপ্রিয় নাট্যভিনেতাকে দিয়ে একটি নাটকের মাধ্যমে সৌদি প্রবাসীদের উদ্দেশ্য একটি চরম অবমাননাকর উক্তি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। কথিত নাটকটিতে প্রবাসীদের, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের আরব জাহানে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের লক্ষ্য করে এক চরম অবমাননাকর উক্তি (“ফকিন্নীর ফুত।”) কথিত জনপ্রিয় অভিনেতার মুখ দিয়ে আউড়ানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মিডিয়াগুলোতে তার এ উক্তির প্রতিবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।
আসলে সমাজের দর্পন হিসেবে নট-নর্তকীদের ফোকাস করে হাইলাইট করার কারণেই মূলতঃ আজকের এ অবস্থা। এক সময়ে এসব নট-নর্তকীদের অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখা হতো। তাদেরকে গেটুপুত্র এবং বাঈজী হিসেবেই বিবেচনা করা হতো। তারা সভ্য সমাজে মানুষ হিসেবে গণ্য হওয়ার উপযুক্তই ছিল না। কালক্রমে সিনেমা-নাটকে ভাল মানুষদের অনুপস্থিতির কারণেই এসব ফালতু গার্বেজগুলো হয়ে উঠে হিরো-হিরোইন। নামও পাল্টিয়ে বনে যায় নায়ক-নায়িকা। আদায় করে নেয় সমাজের উচু তলার বাসিন্দার তকমা। কিন্তু কয়লা ধুলেই যে ময়লা যায়না তারই প্রমাণ দিলেন কথিত নাট্যভিনেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গ নির্মাতা, কলা কৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট নাটক নির্মাণের সাথে জড়িতরা।
আসল হিরো-হিরোইন বা নায়ক নায়িকা তো তারাই যারা দেশ ও জাতি গঠনে পরিবার পরিজন, তথা আপনজনদের মায়া মমতা ত্যাগ করে, জন্মভূমির মাতৃত্বের আকর্ষণ বুকের ভিতর হজম করে প্রবাসে গিয়ে রক্তঝড়া পরিশ্রম করে দেশের জন্য রেমিটেন্স পাঠায়। পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত রাখতে সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করছেন। আমি হাজারো স্যলিউট জানাচ্ছি সে সব প্রবাসী ভাই-বোনদেরকে। অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জানাই হে আমার প্রবাসী ভাই-বোন তোমাদের প্রতি।
বিষয়: বিবিধ
২০১৮ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রবাসীর ছেলে
মন্তব্য করা এবং লিংক দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার লিংকেও ভিজিট করেছি। চেক করে দেখুন।
মিডিয়া জগতে ভাল মানুষগুলো না ঢুকার কারণে আজ নাস্তিক, আধা নাস্তিক সেকিউলার, আত্মবিকৃত বিশ্বাসঘাতক, চরিত্রহীন লম্পট, চরিত্র হননকারী ধূর্ত কালপ্রিট শয়তানগুলোই আজ মিডিয়া জগতে একচ্চত্র দখলে রেখেছে। এসব নীতি নৈতিকতাহীন শয়তানগুলো সব সময় ভাড়াটিয়া হিসেবেই খাটে। তারা স্বজাতির কৃষ্টি কালচারের প্রচার ও প্রসারের দায়িত্ব না নিয়ে ভিন্ন জাতির, ভিন্ন কালচারের অপসংস্কৃতির জোয়ার সৃষ্টির পেচনে ভূমিকা রাখছে। এসব নাফরমানীগুলোর মোকাবিলায় দেশপ্রেমিক ঈমানদারদের এগিয়ে আসতে হবে মিডিয়া জগতে। তবেই দেশ ও জাতির শত্রুদের করাল গ্রাস থেকে আমাদের সাংস্কৃতি, আমাদের তাহজিব, আমাদের নিজস্ব ইতিহাস জানানোর সুযোগ হবে নতুন প্রজন্মকে।
বাংলাদেশ সরকারকে আরো সচেতন হতে হবে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়কে সজাগ থাকতে হবে যাতে করে প্রবাসীদের কেউ কটাক্ষ না করে। বাংলাদেশ সরকারকে মাথায় রাখতে হবে এই মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে দেশ এখনো সচল রয়েছে ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাতে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের নিয়ে নাটকে কটুক্তির প্রতিবাদে প্রতবাদসভা অনুষ্টিত হয়েছে।
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ব্লগার প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন (আব্দুল্লাহ আল শাহীন )তার বক্তব্যে বলেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাটকে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের নিয়ে কটূক্তি করা হয় যা একটি মানহানি কর কর্মকান্ড। এই হীন কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রবাসীদের সাথে তামাশা মেনে নেওয়া যাবে না। আমরা আমাদের রক্তের বিনিময়ে হালাল উপার্জন করি যা আমাদের কে অনেক তৃপ্তি দেয়। প্রবাসীদের সাথে এমন আচরণ মূলক নাটক বা ফিল্ম কি করে সরকার প্রচারের অনুমতি দেয় সেটা ও দেখার বিষয়। সৌদি আরবে ফকিরনির পোলা যায় বলে যে সংলাপ ব্যাবহার করা হয়েছে মাইক নাটকে আমরা সেই নাটকের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অভিনেতা মোশাররফ করিমসহ সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। প্রায়শই টেলিভিশনে দেখা যায় মধ্যপ্রাচের পোশাক নিয়ে ফাজলামি করা হয় কাজ নিয়ে কটুক্তি করা হয় , ‘মাইক’, ‘নজরবিহীন নজির আলী’, ‘সিকান্দার বক্স’, ‘সিরিজ’সহ আরো অনেক নাটকে প্রবাসীদের নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছেআমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দেশের ফিল্ম সেক্টরকে বিষয়টি দেখার অনুরুধ জানাচ্ছি।
উক্ত সভায় বক্তারা দেশের কাছ থেকে এরকম কুরুচিপূর্ণ ব্যাবহার আশা করনে না বলে তাদের বক্তব্যে বলেন। দেশের প্রতি প্রবাসীদের ভালবাসা অনেক ঊর্ধ্বে দাবি করে প্রবাসীরা দেশের কাছ থেকে ও ভালবাসা দাবি করেন।
দূঃখের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের সরকারে যারা আছেন তারা এসব বিষয়ে তেমন আগ্রহী না। তারা প্রতিবেশী ল্যান্ডিয়ানদের স্বার্থ রক্ষায় গোলামের মত হুকুমের অপেক্ষায় প্রস্তুত থাকে। ল্যান্ডিয়ানরা কোন কুহুম করলেই তারা সাথে সাথে সেই এসাইনমেন্ট নিয়ে দেশের মানুষের উপর অত্যাচার করতে ঝাপিয়ে পড়ে ইন্ডিয়ান এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য।
আমাদের নিজেদেরও যার যার সাধ্যনুযায়ী এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করতে হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এসব ফালতু গার্বেজগুলোর মুখোশ খুলে দেয়া উচিত যার যার অবস্থান থেকে।
শুধু মাইক নাটক না ইদানিং তার সবগুলো নাটকের কমন ডায়লগ-ই হচ্ছে ফকিন্নি-ছকিন্নি ক্যারে-ম্যারে ইত্যাদি।
যা নাকি যাত্রা পালার নিন্ম মানের লোকেরাও এমন ভাষা ব্যাবহার করে না!
পরিচালক নাটক বা ছবি হিট করার জন্য কত ভাল খারাপ চরিত্র-ই এড্ করতে পাড়ে তাই বলে অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে কি নিজের ক্যারিয়ারের কথা ভুলে গেলে হবে?
এখন এই মোশারফ করিমের নাটক দেখলে আমার মনে প্রশ্ন জাগে সে কত অভদ্র এবং কতটুকু নিন্ম ফ্যামিলীর ছেলে!
ভাই এদেরকে এসব দিয়ে শায়েস্তা করা যাবে না। আমাদের উদ্যেগ নিতে হবে এসব টাউট বাপটারদের জায়গাগুলোতে আমাদের মনমাসকিতা সম্পন্ন ঈমানদার দেশপ্রেমিক সাংস্কৃতিক কর্মী তৈরী করে সেখানে সেট করার ব্যবস্থা করতে হবে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্লগে ভিজিট করে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য।
প্রবসীরাই এই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালীকাশক্তি, কিন্তু সেই প্রবাসীদের নিয়ে এমন মনতব্য খুবই দুঃখ জনক
মন্তব্য করতে লগইন করুন