হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের ফসল কার পকেটে?
লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ০৫ মে, ২০১৪, ০৬:২০:১০ সন্ধ্যা
গত বছরের এ দিনেই সংঘঠিত হয়েছে ঢাকার শাপলা চত্তরে ইতিহাসের দ্বিতীয় বালাকোট। শাপলা চত্বরের ম্যাসাকারের ছয় মাস পরেই নির্বাচন নামক এক নাঠকের মাধ্যমে সরকারে থেকে যাওয়ার এক অভিনব কৌশল প্রয়োগ করেছে আওয়ামী লীগ। অথবা এভাবেও বলা যেতে পারে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার কুরসিতে বহাল তবিয়তে রেখে যাওয়ার সফল কৌশল প্রয়োগ করেছে ভারতীয়রা।
যদি আওয়ামী লীগ এভাবে সময় পার করে দিতে পারে আগামী পাচঁ বছর পর্যন্ত তবে এর উপর নির্ভর করে আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার কি ধরনের আচরণ করতে পারে? আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষদের কৌশলই বা কি হতে পারে সে ব্যাপারে সুনিশ্চিত কোন ধারণা করা যাচ্ছে না। কারণ বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে আন্দোলনের মধ্যে গ্রামাটিক্যাল পার্থক্য যারা বুঝেন তারা আপাতত কোন সলিউশন বের করতে পারছেন না বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে।
বর্তমানে যেভাবে দেশের রাজনীতি চলছে তা যদি আগামী আরো ৫-১০ বছর চালানো সম্ভব হয় আওয়ামী লীগের পক্ষে তবে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা অনুমিত হয় তা হলো বিএনপি কিংবা বিএনপির আদর্শকে লালন করার মত শক্তিশালী রাজনৈতিক গোষ্টীর অস্থিত্ব মুসলিম লীগের মত ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বিচিত্র কিছু নয়। এমতাবস্থায় আওয়ামী সেকিলারপন্থী জনবিচ্ছিন্ন আত্মঘাতি রাজনীতির বিরুদ্ধে যে মেরু করণ ঘটবে তাকে উপযুক্ত এবং পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে ফসল নিজেদের ঘরে তোলার সার্বিক শক্তি শুধু ইসলামপন্থীদের মধ্যে যারা সু-সংঘঠিত তাদেরই থাকবে। কিন্তু এমন অনুকুল অবস্থাকে কাজে লাগানোর মত যদি এখন থেকেই কার্যকর কর্মসূচী গ্রহণ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় তবে এ জাতির গলায় গোলামীর জিঞ্জির পড়ানোর পুরনো কৌশল নবায়নের যাত্রা সফল হয়ে যাওয়ার আশংকা মুক্ত নয়।
বিষয়: বিবিধ
১৬২৮ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিভাবে জামাত-বিএনপি বেনিফিশিয়ারী হলো? আপনার ব্যাখ্যা ও যুক্তি কি এর পেছনে?
সেক্ষেত্রে জামায়াতকে ১০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে ফসল তুলতে হবে। সেটাকে sustainable করার জন্য আওয়ামী নেগেটিভ ভোটকে শুধু একবার ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি না মনে করে স্থায়ীভাবে জামায়াতের ভোটব্যংক হিসেবে নেয়ার কোশলী পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।
পাশপাশি আওয়ামী লীগের ভিতকে আরো দুর্বল করার জন্য যা করতে হবে-
১. আওয়ামী লীগ যে ইসলামের দুশমন ও নাস্তিকদের দোসর তা সম্পূর্নভাবে প্রতিষ্টা করতে হবে।
২. আওয়ামী লীগ যে ভারতের দালাল তা যুদ্ধাপরাধ বা স্বাধীনতার বিরোধিতার চেয়ে যে জগন্য তা প্রতিষ্টা করতে হবে। রাজনৈতিক কারনে জামায়াত যে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে তা মানুষকে জানাতে হবে। আমাদের সার্বভোমত্ব যে হুমকীর সম্মুক্ষীন তা মানুষকে বোঝাতে হবে।
৩.জামায়াত যে কারনে স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল শেখমুজিবও যে একই কারনে স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়নি সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। শেখমুজিব যে অখন্ড পাকিস্তান চেয়েছিলেন এবং সেটা যে যুক্তিযুক্ত তা প্রচার করতে হবে।
৪. আওয়ামী লীগের নেতাদের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে মানুষকে জানাতে হবে।
৫. ধর্মনিরপেক্ষতা যে ধর্মহীনতা তা প্রত্যেক মুসলমানদের বোঝাতে হবে।
(মন্তব্যটি অন্য একজনের লেখা থেকে নেয়া, কিছুটা এডিট করা)
আমি টিপু ভাইর সাথে একমত।
সুন্দরী নারীর উদ্যাম নাচন দেখলে যেমন লম্পটের মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় তেমনি গাজাখোরণমঞ্চে জনতার সাময়িক উপস্থিতি দেখে এতিম বাম মিডিয়া-বিপ্লবীরা বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর হয়েছে। সরকার মনে করেছে, জামায়াত-শিবিরকে ধুইয়া ফেলার এইতো সুবর্ণ সুযোগ! এরপরে বিএনপি তো মুখের এক ফুতে উবে যাবে। ১৩ দফার রমরমা অবস্থা দেখে হয়তো জামায়াতও ভেবেছে, এইবার আওয়ামী লীগকে বিচার-বিচার খেলার মজা দেখাইয়া দিবো...। বিএনপি ভেবেছে, জামাত-হেফাজতের কাঁধে বন্দুক রেখে মসনদ শিকারের এইতো মোক্ষম টাইম! প্রান্তিক অবস্থান হতে রাতারাতি লাইম-লাইটে ওঠে আসা ক্বওমীরা মনে করেছে, জামাত-শিবির কোনো ফ্যাক্টর নয়, ফালতু! আমরাই ফ্যাক্টর, বাংলাদেশকে (আফগানিস্তান হিসাবে?) ইচ্ছামতো গড়ে তুলবো। মাঝখানে ফরহাদ মজহারের গ্রুপ ভেবেছে, এই যা, বাংলাদেশে 'রূপান্তরের হাতিয়ার' হিসাবে ইসলামপন্থীদের ব্যবহার করে বিপ্লবের শিঁকায় হাত দেয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র! খোদার কী হকুম, সবার ক্যালকুলেশনই আলাদা আলাদাভাবে ভুল প্রমাণিত হলো
(মন্তব্যটি অন্য একজনের লেখা থেকে নেয়া, কিছুটা এডিট করা)
আল্লাহ সকল শহীদকে কবুল করুন। .. আমিন
সেক্ষেত্রে জামায়াতকে ১০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে ফসল তুলতে হবে। সেটাকে sustainable করার জন্য আওয়ামী নেগেটিভ ভোটকে শুধু একবার ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি না মনে করে স্থায়ীভাবে জামায়াতের ভোটব্যংক হিসেবে নেয়ার কোশলী পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।
পাশপাশি আওয়ামী লীগের ভিতকে আরো দুর্বল করার জন্য যা করতে হবে-
১. আওয়ামী লীগ যে ইসলামের দুশমন ও নাস্তিকদের দোসর তা সম্পূর্নভাবে প্রতিষ্টা করতে হবে।
২. আওয়ামী লীগ যে ভারতের দালাল তা যুদ্ধাপরাধ বা স্বাধীনতার বিরোধিতার চেয়ে যে জগন্য তা প্রতিষ্টা করতে হবে। রাজনৈতিক কারনে জামায়াত যে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে তা মানুষকে জানাতে হবে। আমাদের সার্বভোমত্ব যে হুমকীর সম্মুক্ষীন তা মানুষকে বোঝাতে হবে।
৩.জামায়াত যে কারনে স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল শেখমুজিবও যে একই কারনে স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়নি সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। শেখমুজিব যে অখন্ড পাকিস্তান চেয়েছিলেন এবং সেটা যে যুক্তিযুক্ত তা প্রচার করতে হবে।
৪. আওয়ামী লীগের নেতাদের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে মানুষকে জানাতে হবে।
৫. ধর্মনিরপেক্ষতা যে ধর্মহীনতা তা প্রত্যেক মুসলমানদের বোঝাতে হবে।
সেক্ষেত্রে জামায়াতকে ১০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে ফসল তুলতে হবে। সেটাকে sustainable করার জন্য আওয়ামী নেগেটিভ ভোটকে শুধু একবার ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি না মনে করে স্থায়ীভাবে জামায়াতের ভোটব্যংক হিসেবে নেয়ার কোশলী পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।
পাশপাশি আওয়ামী লীগের ভিতকে আরো দুর্বল করার জন্য যা করতে হবে-
১. আওয়ামী লীগ যে ইসলামের দুশমন ও নাস্তিকদের দোসর তা সম্পূর্নভাবে প্রতিষ্টা করতে হবে।
২. আওয়ামী লীগ যে ভারতের দালাল তা যুদ্ধাপরাধ বা স্বাধীনতার বিরোধিতার চেয়ে যে জগন্য তা প্রতিষ্টা করতে হবে। রাজনৈতিক কারনে জামায়াত যে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে তা মানুষকে জানাতে হবে। আমাদের সার্বভোমত্ব যে হুমকীর সম্মুক্ষীন তা মানুষকে বোঝাতে হবে।
৩.জামায়াত যে কারনে স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল শেখমুজিবও যে একই কারনে স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়নি সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। শেখমুজিব যে অখন্ড পাকিস্তান চেয়েছিলেন এবং সেটা যে যুক্তিযুক্ত তা প্রচার করতে হবে।
৪. আওয়ামী লীগের নেতাদের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে মানুষকে জানাতে হবে।
৫. ধর্মনিরপেক্ষতা যে ধর্মহীনতা তা প্রত্যেক মুসলমানদের বোঝাতে হবে।
আপনার পয়েন্টগুলোর সাথে আমিও একমত পোষণ করছি। তবে ডকট্রিণ অব নেসেসিটির উদ্ভট সূত্র প্রয়োগ করে অনেক সময় অনাকাংখিত দৈব দূর্বিপাক আমাদের জাতির ঘাড়ের উপর চেপে বসে। যেমনটি ঘটাতে চেয়েছিল জেনারেল নাসিম সাহেব ১৯৯৬ সালে। অবশ্য তার চেষ্টা সফল হয়নি। কিন্তু ২০০৬ এসব দত্যগুলো অত্যন্ত সফলভাবেই এ জাতির স্বাভাবিক অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পেরেছিল। যার প্রায়শ্চিত্বের রেশ ঘোটা জাতি প্রতি মুহুর্তে মুহুর্তে, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে দিতে হচ্ছে। এর মাশুল আর কতদিন দিতে হয় আল্লাহই ভাল জানে।
ধন্যবাদ
যেহেতু মওদুদী ইস্যুতে হুজুররা জামায়াতের বিরীধিতা করে সেহেতু মওদুদীকে বাদ করে দিতে হবে।
মওদুদী যেটা চেয়েছেন Islam is a complete code of life এটা জনগনকে জানানোর, জামায়াত ইতোমধ্যে সফলভাবে এটা করেছে যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে অনেক ইসলামী দল সৃষ্টি হয়েছে। এখন সেই মওদুদীকে বিদায় করে দিয়ে ইসলামী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তাহলেই মওদুদীর দর্শন সাফল্য লাভ করবে।
আপনারা উভয়কেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি অধমের ব্লগে এসে সুন্দর ও মূল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য।
বিশেষ করে মাজহার ভাকে স্পেশাল ধন্যবাদ তার নিঃশকোচ সাহসী উচ্চারণ ও খোলামেলা মন্তব্য করার জন্য।
হেফাজতের ব্যানারে আন্দোলন-সংগ্রারত বিশাল জনতার উত্তাল ঢেউ দেখে প্রত্যেকেই নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে ফলাফল নিজের ঘরে তুলে আনতে তৎপর ছিল।
সুন্দরী নারীর উদ্যাম নাচন দেখলে যেমন লম্পটের মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় তেমনি গাজাখোরণমঞ্চে জনতার সাময়িক উপস্থিতি দেখে এতিম বাম মিডিয়া-বিপ্লবীরা বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর হয়েছে। সরকার মনে করেছে, জামায়াত-শিবিরকে ধুইয়া ফেলার এইতো সুবর্ণ সুযোগ! এরপরে বিএনপি তো মুখের এক ফুতে উবে যাবে। ১৩ দফার রমরমা অবস্থা দেখে হয়তো জামায়াতও ভেবেছে, এইবার আওয়ামী লীগকে বিচার-বিচার খেলার মজা দেখাইয়া দিবো...। বিএনপি ভেবেছে, জামাত-হেফাজতের কাঁধে বন্দুক রেখে মসনদ শিকারের এইতো মোক্ষম টাইম! প্রান্তিক অবস্থান হতে রাতারাতি লাইম-লাইটে ওঠে আসা ক্বওমীরা মনে করেছে, জামাত-শিবির কোনো ফ্যাক্টর নয়, ফালতু! আমরাই ফ্যাক্টর, বাংলাদেশকে (আফগানিস্তান হিসাবে?) ইচ্ছামতো গড়ে তুলবো। মাঝখানে ফরহাদ মজহারের গ্রুপ ভেবেছে, এই যা, বাংলাদেশে 'রূপান্তরের হাতিয়ার' হিসাবে ইসলামপন্থীদের ব্যবহার করে বিপ্লবের শিঁকায় হাত দেয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র! খোদার কী হকুম, সবার ক্যালকুলেশনই আলাদা আলাদাভাবে ভুল প্রমাণিত হলো
(মন্তব্যটি অন্য একজনের লেখা থেকে নেয়া হয়েছে, কিছুটা এডিট করা)
মন্তব্য করতে লগইন করুন