হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের ফসল কার পকেটে?

লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ০৫ মে, ২০১৪, ০৬:২০:১০ সন্ধ্যা

গত বছরের এ দিনেই সংঘঠিত হয়েছে ঢাকার শাপলা চত্তরে ইতিহাসের দ্বিতীয় বালাকোট। শাপলা চত্বরের ম্যাসাকারের ছয় মাস পরেই নির্বাচন নামক এক নাঠকের মাধ্যমে সরকারে থেকে যাওয়ার এক অভিনব কৌশল প্রয়োগ করেছে আওয়ামী লীগ। অথবা এভাবেও বলা যেতে পারে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার কুরসিতে বহাল তবিয়তে রেখে যাওয়ার সফল কৌশল প্রয়োগ করেছে ভারতীয়রা।

যদি আওয়ামী লীগ এভাবে সময় পার করে দিতে পারে আগামী পাচঁ বছর পর্যন্ত তবে এর উপর নির্ভর করে আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার কি ধরনের আচরণ করতে পারে? আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষদের কৌশলই বা কি হতে পারে সে ব্যাপারে সুনিশ্চিত কোন ধারণা করা যাচ্ছে না। কারণ বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে আন্দোলনের মধ্যে গ্রামাটিক্যাল পার্থক্য যারা বুঝেন তারা আপাতত কোন সলিউশন বের করতে পারছেন না বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে।

বর্তমানে যেভাবে দেশের রাজনীতি চলছে তা যদি আগামী আরো ৫-১০ বছর চালানো সম্ভব হয় আওয়ামী লীগের পক্ষে তবে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা অনুমিত হয় তা হলো বিএনপি কিংবা বিএনপির আদর্শকে লালন করার মত শক্তিশালী রাজনৈতিক গোষ্টীর অস্থিত্ব মুসলিম লীগের মত ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বিচিত্র কিছু নয়। এমতাবস্থায় আওয়ামী সেকিলারপন্থী জনবিচ্ছিন্ন আত্মঘাতি রাজনীতির বিরুদ্ধে যে মেরু করণ ঘটবে তাকে উপযুক্ত এবং পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে ফসল নিজেদের ঘরে তোলার সার্বিক শক্তি শুধু ইসলামপন্থীদের মধ্যে যারা সু-সংঘঠিত তাদেরই থাকবে। কিন্তু এমন অনুকুল অবস্থাকে কাজে লাগানোর মত যদি এখন থেকেই কার্যকর কর্মসূচী গ্রহণ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় তবে এ জাতির গলায় গোলামীর জিঞ্জির পড়ানোর পুরনো কৌশল নবায়নের যাত্রা সফল হয়ে যাওয়ার আশংকা মুক্ত নয়।

বিষয়: বিবিধ

১৬১৮ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

217765
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৩
সুশীল লিখেছেন : জামাত বিএনপি
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৩৩
166188
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনি কি লেখার শিরোনাম দেখেই মন্তব্য করলেন? ভেতরের মূল বডি পড়ে মন্তব্য করলেন বলে তো মনে হলো না।
কিভাবে জামাত-বিএনপি বেনিফিশিয়ারী হলো? আপনার ব্যাখ্যা ও যুক্তি কি এর পেছনে?
217768
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩০
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : কারো পকেটে না, তবে সরকার একটা প্রশিক্ষন অর্জন করল যে, কিভাবে সমন্বয়হীন ইসলামিষ্টদের দমাতে হবে। আর দমাতে গেলে জনগনের কি প্রতিক্রিয়া হবে। বিশ্ববাসী কিভাবে হাততালি দিবে।
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
165977
মাজহার১৩ লিখেছেন : আমি মুসা ভাইয়ের সাথে একমত যে নতুন মেরুকরন হবে। বিএনপি আর ঘুরে দাড়াতে পারবেনা দুই কারনে ১। অনেকে নেতাই বিক্রি হয়ে গেছেন ২। আর নৈতিক শক্তি কম।
সেক্ষেত্রে জামায়াতকে ১০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে ফসল তুলতে হবে। সেটাকে sustainable করার জন্য আওয়ামী নেগেটিভ ভোটকে শুধু একবার ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি না মনে করে স্থায়ীভাবে জামায়াতের ভোটব্যংক হিসেবে নেয়ার কোশলী পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।
পাশপাশি আওয়ামী লীগের ভিতকে আরো দুর্বল করার জন্য যা করতে হবে-
১. আওয়ামী লীগ যে ইসলামের দুশমন ও নাস্তিকদের দোসর তা সম্পূর্নভাবে প্রতিষ্টা করতে হবে।
২. আওয়ামী লীগ যে ভারতের দালাল তা যুদ্ধাপরাধ বা স্বাধীনতার বিরোধিতার চেয়ে যে জগন্য তা প্রতিষ্টা করতে হবে। রাজনৈতিক কারনে জামায়াত যে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে তা মানুষকে জানাতে হবে। আমাদের সার্বভোমত্ব যে হুমকীর সম্মুক্ষীন তা মানুষকে বোঝাতে হবে।
৩.জামায়াত যে কারনে স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল শেখমুজিবও যে একই কারনে স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়নি সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। শেখমুজিব যে অখন্ড পাকিস্তান চেয়েছিলেন এবং সেটা যে যুক্তিযুক্ত তা প্রচার করতে হবে।
৪. আওয়ামী লীগের নেতাদের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে মানুষকে জানাতে হবে।
৫. ধর্মনিরপেক্ষতা যে ধর্মহীনতা তা প্রত্যেক মুসলমানদের বোঝাতে হবে।
০৬ মে ২০১৪ রাত ০৪:৪৬
166081
শেখের পোলা লিখেছেন : আর আমি মাজহার ভাইয়ের সাথে একমত হলাম৷
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৩০
166186
আহমদ মুসা লিখেছেন : সুন্দরী নারীর উদ্যাম নাচন দেখলে যেমন লম্পটের মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় তেমনি গাজাখোরণমঞ্চে জনতার সাময়িক উপস্থিতি দেখে এতিম বাম মিডিয়া-বিপ্লবীরা বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর হয়েছে। সরকার মনে করেছে, জামায়াত-শিবিরকে ধুইয়া ফেলার এইতো সুবর্ণ সুযোগ! এরপরে বিএনপি তো মুখের এক ফুতে উবে যাবে। ১৩ দফার রমরমা অবস্থা দেখে হয়তো জামায়াতও ভেবেছে, এইবার আওয়ামী লীগকে বিচার-বিচার খেলার মজা দেখাইয়া দিবো...। বিএনপি ভেবেছে, জামাত-হেফাজতের কাঁধে বন্দুক রেখে মসনদ শিকারের এইতো মোক্ষম টাইম! প্রান্তিক অবস্থান হতে রাতারাতি লাইম-লাইটে ওঠে আসা ক্বওমীরা মনে করেছে, জামাত-শিবির কোনো ফ্যাক্টর নয়, ফালতু! আমরাই ফ্যাক্টর, বাংলাদেশকে (আফগানিস্তান হিসাবে?) ইচ্ছামতো গড়ে তুলবো। মাঝখানে ফরহাদ মজহারের গ্রুপ ভেবেছে, এই যা, বাংলাদেশে 'রূপান্তরের হাতিয়ার' হিসাবে ইসলামপন্থীদের ব্যবহার করে বিপ্লবের শিঁকায় হাত দেয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র! খোদার কী হকুম, সবার ক্যালকুলেশনই আলাদা আলাদাভাবে ভুল প্রমাণিত হলো
(মন্তব্যটি অন্য একজনের লেখা থেকে নেয়া, কিছুটা এডিট করা)
217770
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আন্দোলনের ফসল কারো ঘরে উঠতে পারে। কিন্তু শাহদাতের ফসল অবশ্যই একদিন উঠবে সকল মানুষের ঘরে।
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ০১:২৬
166185
আহমদ মুসা লিখেছেন : অবশ্যই শাহাদাতের ফসল একদিন এ জমিনে দ্বীন কায়েমের পর ঘরে উঠানো হবে।
217788
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৯
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : হিসাবটা আগে করার আগে - দেখা দরকার কে কার কত ক্ষতি করলো।
আমি টিপু ভাইর সাথে একমত।
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ০১:২৫
166184
আহমদ মুসা লিখেছেন : হেফাজতের ব্যানারে আন্দোলন-সংগ্রারত বিশাল জনতার উত্তাল ঢেউ দেখে প্রত্যেকেই নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে ফলাফল নিজের ঘরে তুলে আনতে তৎপর ছিল।
সুন্দরী নারীর উদ্যাম নাচন দেখলে যেমন লম্পটের মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় তেমনি গাজাখোরণমঞ্চে জনতার সাময়িক উপস্থিতি দেখে এতিম বাম মিডিয়া-বিপ্লবীরা বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর হয়েছে। সরকার মনে করেছে, জামায়াত-শিবিরকে ধুইয়া ফেলার এইতো সুবর্ণ সুযোগ! এরপরে বিএনপি তো মুখের এক ফুতে উবে যাবে। ১৩ দফার রমরমা অবস্থা দেখে হয়তো জামায়াতও ভেবেছে, এইবার আওয়ামী লীগকে বিচার-বিচার খেলার মজা দেখাইয়া দিবো...। বিএনপি ভেবেছে, জামাত-হেফাজতের কাঁধে বন্দুক রেখে মসনদ শিকারের এইতো মোক্ষম টাইম! প্রান্তিক অবস্থান হতে রাতারাতি লাইম-লাইটে ওঠে আসা ক্বওমীরা মনে করেছে, জামাত-শিবির কোনো ফ্যাক্টর নয়, ফালতু! আমরাই ফ্যাক্টর, বাংলাদেশকে (আফগানিস্তান হিসাবে?) ইচ্ছামতো গড়ে তুলবো। মাঝখানে ফরহাদ মজহারের গ্রুপ ভেবেছে, এই যা, বাংলাদেশে 'রূপান্তরের হাতিয়ার' হিসাবে ইসলামপন্থীদের ব্যবহার করে বিপ্লবের শিঁকায় হাত দেয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র! খোদার কী হকুম, সবার ক্যালকুলেশনই আলাদা আলাদাভাবে ভুল প্রমাণিত হলো
(মন্তব্যটি অন্য একজনের লেখা থেকে নেয়া, কিছুটা এডিট করা)
217790
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫১
আঁধার কালো লিখেছেন : জামাত বিএনপি
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ০১:২৩
166183
আহমদ মুসা লিখেছেন : এটা কত নাম্বার আইডি? আগের আইডি কি সব ব্যান্ড করে দিয়েছে?
217805
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০২
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : হেফাজত যে আন্দোলন করলো সেটা কোনো আন্দোলনই নয়। বরং এটা ইসলামের ক্ষতি করলো তারা। কুরআন পুড়িয়ে তারা বিশ্বের দরবারে দুর্নাম কুড়িয়েছে।
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
165976
মাজহার১৩ লিখেছেন : কোরান পোড়ানোর বিষয়টি বাংলাদেশের তোহিদী জনতা বিশ্বাস করে নাই এবং করবেও না। তারা জানে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা উদোর পিন্ডি বুধোর গাঁড়ে চাপানোর জন্যই প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে।
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ০১:২২
166182
আহমদ মুসা লিখেছেন : হেফাজত কুরআন পুড়িয়েছে? হা হা হা! হাসালেন।
217808
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৪
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ৫ মে থেকে শুধুই লাশ পাওয়া গেছে কিন্তু প্রথমে ভেবেছিলাম দেশে বুঝি ঐক্যের একটা পথ হলো কিন্তু না বাস্তবে শুধুই লাশ।
আল্লাহ সকল শহীদকে কবুল করুন। .. আমিন
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ০১:২১
166180
আহমদ মুসা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ব্লগে এসে মন্তব্য করার জন্য। ইনশায়াল্লাহ কোন একদিন হয়তো অমানিষার ঘোর অন্ধকার কেটে যাবে। শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না। শহীদদের প্রতি ফোটা রক্তের বিনিময়ে এদেশে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন হবে ইনশায়াল্লাহ।
217814
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১০
পুস্পিতা লিখেছেন : আওয়ামী লীগ ও ভারত যে কৌশল অবলম্বন করেছে তাতে মিশরের মোবারকের মতো দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতা তারা ধরে রাখবে, তা যেভাবেই হোক। সাথে সাথে সকল প্রতিষ্ঠানগুলো এমন ভাবে ধ্বংস করবে কোন এক সময় জনগণের চাপে ক্ষমতা ছাড়তেই হয় তখনও যেন তাদের মতের লোকেরাই ক্ষমতায় থেকে যায়।
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
165974
মাজহার১৩ লিখেছেন : আমি মুসা ভাইয়ের সাথে একমত যে নতুন মেরুকরন হবে। বিএনপি আর ঘুরে দাড়াতে পারবেনা দুই কারনে ১। অনেকে নেতাই বিক্রি হয়ে গেছেন ২। আর নৈতিক শক্তি কম।
সেক্ষেত্রে জামায়াতকে ১০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে ফসল তুলতে হবে। সেটাকে sustainable করার জন্য আওয়ামী নেগেটিভ ভোটকে শুধু একবার ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি না মনে করে স্থায়ীভাবে জামায়াতের ভোটব্যংক হিসেবে নেয়ার কোশলী পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।
পাশপাশি আওয়ামী লীগের ভিতকে আরো দুর্বল করার জন্য যা করতে হবে-
১. আওয়ামী লীগ যে ইসলামের দুশমন ও নাস্তিকদের দোসর তা সম্পূর্নভাবে প্রতিষ্টা করতে হবে।
২. আওয়ামী লীগ যে ভারতের দালাল তা যুদ্ধাপরাধ বা স্বাধীনতার বিরোধিতার চেয়ে যে জগন্য তা প্রতিষ্টা করতে হবে। রাজনৈতিক কারনে জামায়াত যে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে তা মানুষকে জানাতে হবে। আমাদের সার্বভোমত্ব যে হুমকীর সম্মুক্ষীন তা মানুষকে বোঝাতে হবে।
৩.জামায়াত যে কারনে স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল শেখমুজিবও যে একই কারনে স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়নি সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। শেখমুজিব যে অখন্ড পাকিস্তান চেয়েছিলেন এবং সেটা যে যুক্তিযুক্ত তা প্রচার করতে হবে।
৪. আওয়ামী লীগের নেতাদের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে মানুষকে জানাতে হবে।
৫. ধর্মনিরপেক্ষতা যে ধর্মহীনতা তা প্রত্যেক মুসলমানদের বোঝাতে হবে।
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ০১:১৭
166178
আহমদ মুসা লিখেছেন : মেডাম বিষয়টা আরেকটু জটিল মনে হচ্ছে। মিশরের পাশে আছে দুনিয়ার এমন একটি দূর্ত জাতি যারা সংখ্যায় খুব কম হলেও গোটা পৃথিবীর রাজনীতিতে তাদের প্রচন্ড রকমের নিয়ন্ত্রণ আছে। আর তারা হলো একক জাতি, একটাই দেশ ইস্রাইল। মিশরে তারা সফলভাবে গোন্ডগোল বাধাতে পারার পেচনে এটাও একটা কারণ। অন্যদিকে আমাদের চার পাশে যে বে-আক্কেল পাগল চাগল রয়েছে তারা কোন কিছুতেই এগিয়ে নেই। এসব ফালতু গাধাগুলো শুধু মুসলমানদের রক্ত ঝড়িয়ে, মুসলমানদের রক্ত দিয়ে গোসল করতেই নিজেদের সুখ অুনভব করে। বৃহত্তর মানবতার কল্যাণে তাদের কোন ভূমিকা নেই। নেই কোন যোগ্যতা। তারাই আবার স্বপ্ন দেখে ভারত মাতাকে রাম রাজ্য বানাবার। এসব পাগল চাগলদের হাতে ভারতের শাসনভার গেলে ভারত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে বাইর থেকে কোন প্রেসার দিতে হবে না। নিজেরাই যথেষ্ট হবে ল্যান্ডিয়ার কবর রচনা করার জন্য।
217825
০৫ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৩
মাজহার১৩ লিখেছেন : আমি মুসা ভাইয়ের সাথে একমত যে নতুন মেরুকরন হবে। বিএনপি আর ঘুরে দাড়াতে পারবেনা দুই কারনে ১। অনেকে নেতাই বিক্রি হয়ে গেছেন ২। আর নৈতিক শক্তি কম।
সেক্ষেত্রে জামায়াতকে ১০ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে ফসল তুলতে হবে। সেটাকে sustainable করার জন্য আওয়ামী নেগেটিভ ভোটকে শুধু একবার ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি না মনে করে স্থায়ীভাবে জামায়াতের ভোটব্যংক হিসেবে নেয়ার কোশলী পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।
পাশপাশি আওয়ামী লীগের ভিতকে আরো দুর্বল করার জন্য যা করতে হবে-
১. আওয়ামী লীগ যে ইসলামের দুশমন ও নাস্তিকদের দোসর তা সম্পূর্নভাবে প্রতিষ্টা করতে হবে।
২. আওয়ামী লীগ যে ভারতের দালাল তা যুদ্ধাপরাধ বা স্বাধীনতার বিরোধিতার চেয়ে যে জগন্য তা প্রতিষ্টা করতে হবে। রাজনৈতিক কারনে জামায়াত যে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে তা মানুষকে জানাতে হবে। আমাদের সার্বভোমত্ব যে হুমকীর সম্মুক্ষীন তা মানুষকে বোঝাতে হবে।
৩.জামায়াত যে কারনে স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল শেখমুজিবও যে একই কারনে স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়নি সেটা মানুষকে বোঝাতে হবে। শেখমুজিব যে অখন্ড পাকিস্তান চেয়েছিলেন এবং সেটা যে যুক্তিযুক্ত তা প্রচার করতে হবে।
৪. আওয়ামী লীগের নেতাদের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে মানুষকে জানাতে হবে।
৫. ধর্মনিরপেক্ষতা যে ধর্মহীনতা তা প্রত্যেক মুসলমানদের বোঝাতে হবে।
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ০১:০৫
166173
আহমদ মুসা লিখেছেন : প্রথমেই আপনাকে একটি স্পেশাল ধন্যবাদ জানাই অত্যন্ত মূল্যবান ও সময়োপযেী মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পয়েন্টগুলোর সাথে আমিও একমত পোষণ করছি। তবে ডকট্রিণ অব নেসেসিটির উদ্ভট সূত্র প্রয়োগ করে অনেক সময় অনাকাংখিত দৈব দূর্বিপাক আমাদের জাতির ঘাড়ের উপর চেপে বসে। যেমনটি ঘটাতে চেয়েছিল জেনারেল নাসিম সাহেব ১৯৯৬ সালে। অবশ্য তার চেষ্টা সফল হয়নি। কিন্তু ২০০৬ এসব দত্যগুলো অত্যন্ত সফলভাবেই এ জাতির স্বাভাবিক অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পেরেছিল। যার প্রায়শ্চিত্বের রেশ ঘোটা জাতি প্রতি মুহুর্তে মুহুর্তে, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে দিতে হচ্ছে। এর মাশুল আর কতদিন দিতে হয় আল্লাহই ভাল জানে।
১০
217855
০৫ মে ২০১৪ রাত ০৮:২২
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : ইসলামী শক্তিগুলির ঐক্যর বিকল্প দেখছিনা। বড় দল হিসাবে জামায়াতকে এগিয়ে আসতে হবে।আজম সাহেব নাগরিক অধিকার ফিরে পাওয়ার সাথে সাথে ঘোষানা করেছিলেন তিনি প্রত্যকের ঘরে ঘরে যাবেন ঐক্যর জন্য। মজলুম নেতার এই আশাটা অধরা ই রয়ে গেল।
ধন্যবাদ
০৫ মে ২০১৪ রাত ০৯:০৩
165991
মাজহার১৩ লিখেছেন : ঐক্যের জন্য জামায়াতের মধ্যে সংস্কার আনতে হবে।
যেহেতু মওদুদী ইস্যুতে হুজুররা জামায়াতের বিরীধিতা করে সেহেতু মওদুদীকে বাদ করে দিতে হবে।
মওদুদী যেটা চেয়েছেন Islam is a complete code of life এটা জনগনকে জানানোর, জামায়াত ইতোমধ্যে সফলভাবে এটা করেছে যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে অনেক ইসলামী দল সৃষ্টি হয়েছে। এখন সেই মওদুদীকে বিদায় করে দিয়ে ইসলামী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তাহলেই মওদুদীর দর্শন সাফল্য লাভ করবে।
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
166166
আহমদ মুসা লিখেছেন : ইসলামী শক্তির ঐক্য সবাই কামনা করে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ইসলামী শক্তির ঐক্য হওয়ার সম্ভবনা নেই। অতীতের সব তিক্ত অভিজ্ঞতা তাই ইঙ্গিত করে। বড় দল হিসেবে জামায়াত যে বেসিসের উপর ভিত্তি করে উদার মন নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা ঐক্যের বন্ধদে আবদ্ধ হওয়ার জন্য সে বেসিসের মেরিটটাকেই অশ্বীকার করতে হবে জামায়াতকে। আর জামায়াত যদি এসব মেরিটগুরো অশ্বীকার করে তখন জামায়াত আর জামায়াত থাকবে না। জামায়াত তখন বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বাস্তবতার নিরিখে বুঝার চেষ্টা করলে হয়তো জামায়াতকে নিজস্ব সাতৈন্ত্র বজায় রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। তবে এ কথা অশ্বীকারের উপায় নেই যে, জামায়াতের অভ্যন্তরে সংস্কার সাধনের যে চাপ রয়েছে তা অবশ্যই জামায়াতকে খোলা মন নিয়ে এসব বুঝার আন্তরিকতা দেখাতে হবে। জামায়াতের রাজনৈতিক ফিলোসফী এবং সমাজ সংস্কারের বিদ্যমান নীতিমালাগুলোর ব্যাপারে অন্যদের কি কি সমালোচনা রয়েছে তাও বিবেচনা আনতে হবে। আকিদাগত বেহুদা এলজামগুলো অবসানের জন্য অন্যন্যা সহযাত্রী সংগঠন ও সংস্থাগুলোর সাথে আন্ত সংযোগ ডায়ালগ বাড়ানোর প্রতি নজর দেয়া উচিত জামায়াতের।
আপনারা উভয়কেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি অধমের ব্লগে এসে সুন্দর ও মূল্যবান মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য।
বিশেষ করে মাজহার ভাকে স্পেশাল ধন্যবাদ তার নিঃশকোচ সাহসী উচ্চারণ ও খোলামেলা মন্তব্য করার জন্য।
১১
217915
০৫ মে ২০১৪ রাত ১০:১২
লোকমান লিখেছেন : হেফাজতের আন্দোলনের ফসল কেউ ঘরে তুলতে পারেনি না হেফাজত না বিএনপি জামায়াত। সময়িক ভাবে নাস্তিকদেরই জয় হয়েছিল।
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
166165
আহমদ মুসা লিখেছেন : বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে এতিম নাস্তিকরা কোনদিন মূল স্রোতে আসতে পারেনি। তারা সব সময় অন্যের কাধে বসে মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার কৌশল প্রয়োগ করে থাকে। হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনেও তারা কিছুটা ফায়দা লুটার চেষ্টা করেছে। তবে ওভার অল তারাই যে লাভমান হয়েছে তা বলার সময় এখনো আসেনি। ‍তুরুপের তাজের মত যেকোন সময় আওয়ামী সাজানো সংসার ভেঙ্গে যেতে পারে। তখন গনেশও উল্টে যাকে। তখন এসব এতিমরা যাদের কাধে ছাওয়ার হয়েছে তাদের পশ্চাতেই বাশ দিবে।
১২
217916
০৫ মে ২০১৪ রাত ১০:১৪
হতভাগা লিখেছেন : হেফাজতের আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে । যার ফলে এটার বেনিফিশিয়ারী হয়েছে ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী ।
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
166164
আহমদ মুসা লিখেছেন : এ ব্যাপারে এতো সহজ সরলীকরণটাও মনে হয় বাস্তবতা বিবর্জিত হবে।

হেফাজতের ব্যানারে আন্দোলন-সংগ্রারত বিশাল জনতার উত্তাল ঢেউ দেখে প্রত্যেকেই নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে ফলাফল নিজের ঘরে তুলে আনতে তৎপর ছিল।
সুন্দরী নারীর উদ্যাম নাচন দেখলে যেমন লম্পটের মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় তেমনি গাজাখোরণমঞ্চে জনতার সাময়িক উপস্থিতি দেখে এতিম বাম মিডিয়া-বিপ্লবীরা বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর হয়েছে। সরকার মনে করেছে, জামায়াত-শিবিরকে ধুইয়া ফেলার এইতো সুবর্ণ সুযোগ! এরপরে বিএনপি তো মুখের এক ফুতে উবে যাবে। ১৩ দফার রমরমা অবস্থা দেখে হয়তো জামায়াতও ভেবেছে, এইবার আওয়ামী লীগকে বিচার-বিচার খেলার মজা দেখাইয়া দিবো...। বিএনপি ভেবেছে, জামাত-হেফাজতের কাঁধে বন্দুক রেখে মসনদ শিকারের এইতো মোক্ষম টাইম! প্রান্তিক অবস্থান হতে রাতারাতি লাইম-লাইটে ওঠে আসা ক্বওমীরা মনে করেছে, জামাত-শিবির কোনো ফ্যাক্টর নয়, ফালতু! আমরাই ফ্যাক্টর, বাংলাদেশকে (আফগানিস্তান হিসাবে?) ইচ্ছামতো গড়ে তুলবো। মাঝখানে ফরহাদ মজহারের গ্রুপ ভেবেছে, এই যা, বাংলাদেশে 'রূপান্তরের হাতিয়ার' হিসাবে ইসলামপন্থীদের ব্যবহার করে বিপ্লবের শিঁকায় হাত দেয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র! খোদার কী হকুম, সবার ক্যালকুলেশনই আলাদা আলাদাভাবে ভুল প্রমাণিত হলো
(মন্তব্যটি অন্য একজনের লেখা থেকে নেয়া হয়েছে, কিছুটা এডিট করা)
১৩
217958
০৬ মে ২০১৪ রাত ১২:৪১
আয়নাশাহ লিখেছেন : হেফাজতকে ধংস করে হাসিনা পশ্চিমাদের কাছে আস্তাভাজন হয়নি?
০৬ মে ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
166156
আহমদ মুসা লিখেছেন : শুধু পশ্চিমাদের কথা বলছেন কেন? প্রতিবেশী শকুন দৃষ্টিভঙ্গীর লম্পট দাদাবুবুরা, মধ্যপ্রাচ্যের তথাকথিত উম্মাহার নেতা খাদেমুল হারামাইন বিলাসী শাসক রাজা বাদশারাও কি অখুশী নাকি?
১৪
220789
১২ মে ২০১৪ রাত ০৮:৩৩
সায়িদ মাহমুদ লিখেছেন : যে যার কাজের ফল নিশ্চয় পাবে আজ না হয় কাল, কারণ আল্লাহ্ নিশ্চয ন্যায়পরায়ণশীল।
১২ মে ২০১৪ রাত ১১:২০
168373
আহমদ মুসা লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ সায়িদ মাহমুদ ভাইকে সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য। প্রত্যেকের কর্ম ফলের জররা জররা হিসেব দিতে হবে আল্লাহর দরবারে। চাই যে, পীর হোক বা মুরিদ হোক দুনিয়াবী জীবনের প্রতিটি কর্মকান্ডের জবাবদিহীতা থেকে কেউ রেহাই পাবে না।
১৫
333156
০২ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:৪৮
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : ,জাযাকাল্লাহ খুব চমৎকার

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File