আশির দশকের বিএনপির সোনালী দিনগুলো নিয়ে আত্মতুষ্টি এবং বর্তমান অবস্থা

লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৫৭:০৩ সকাল

ইদানিং বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় বিএনপির রাজনৈতিক চিন্তাধারার প্রতি দুর্বল কিছু মানুষ আশির দশকের বিএনপি এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজপথের আন্দোলনমূখী সোনালী দিনগুলো নিয়ে বেশ আত্মতুষ্টিমূলক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে বর্তমান বিএনপির রাজনৈতিক ব্যর্থতাকে আড়াল করার চেষ্টা লক্ষ্যনীয়।

আশির দশক আর বর্তমানের যুগ এক নয়। বর্তমানে অধিকার হারা মজলুম মানুষের জন্য বিএনপি তেমন কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। বিএনপিপন্থী কোন কোন মাঝারি গোছের বিদ্ধান সচেতন ব্যক্তির দৃষ্টিতে বর্তমান আওয়ামী সরকারকে হিংস্র বাঘের সাথে তুলনা করতে দেখা যাচ্ছে।

দেশের সচেতন মানুষের ধারণা তাদের এই অবজার্ভেশনটা সঠিক নয়। হিংস্র বাঘটাও এখন অনেক কৌশলী হয়ে গেছে। এখন সেই বাঘটার বাহুর নৈতিক বল যেমন নেই তেমনি দেশীয় মাটি ও মানুষের মেজাজের প্রতিফলন ঘটিয়ে সেই তেজোদ্ধীপ্ত শক্তিও নেই। নিজস্ব সাতন্ত্র ও সকীয়তা বলতে কিছুই বাকী নেই। হারিয়ে ফেলেছে সব। এই বাঘটাও এখন লেজকাটা শিয়ালের চেয়েও অনেক বেশী ধূতার্মী আয়ত্ব করেছে। সুন্দরী নারীর প্রতি লম্পট প্রতিবেশীর লোলপ দৃষ্টি শক্তিতে কিভাবে আগুন ধরানো যায় সে রকম বেইশ্যার দালালগিরিতে লিপ্ত রয়েছে বাঘটি। কিন্তু বিএনপি এক্ষেত্রে যেকোন ধরনের ভূমিকা রাখার যোগ্যতা ও অধিকার হারিয়েছে মীর জাফরের আদর্শিক আপন ভাইয়ের (জেনারেল মইন ইউ আহমদ) হাতে যখন নিজের ধারালো তলোয়ারটাই কোন কিছু যাচাই বাচাই না করে হাতে তুলে দিয়েছিল। এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও জাতিকে আশার আলোক বর্তিকা নিয়ে স্বগৌরবে মাঠে ময়দানে উদ্ব্যেত বুকে দাড়িয়ে যাচ্ছে একটি প্রবল সম্ভাবনাময়ী শক্তি। যাদেরকে আজ "ইসলাম" নাম থাকার কারণে মূখে ভেংচি কাটছে বাংলাদেশ বিরোধী সকল শক্তি। এমন কি কোন কোন বাংলাদেশপন্থী ইন্টেলেকচুয়ালরাও তাদের অস্থিত্ব স্বীকার করতে চান না। অথচ তাই হচ্ছে বাস্তব সত্য। কিন্তু বাংলাদেশের আসল শত্রুরা এদেরকে বুঝতে ভুল করলেও চিনতে ভুল করেনি।

তাদের যুক্তি শুধু একটাই এরা ’ইসলামওয়ালা।’ সুতরাং জঙ্গী, মৌলবাদী, রাজাকার, চ্যাতনা বিরোধী ইত্যকার নিন্দাবাদে ঘায়েল করার সব ধরনের ফ্যাসিবাদী ফর্মূলা প্রয়োগ করে যাচ্ছে অবিরাম গতিতে।

এহেন পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক সংকটের মূল সমস্যার পেছনে যে কয়েকটি পক্ষ জড়িত তাদের মধ্য আপাতত কাগুজে বাঘকে প্রধানতম একটি পক্ষ হিসেবে প্রকাশ্যে স্বীকার করা হচ্ছে। এখানেই বাংলাদেশপন্থীদের চিন্তাভাবনার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। আওয়ামী লীগ নামের রাজনৈতিক শক্তিটির অপমৃত্য হয়ে গেছে অত্যন্ত করুণভাবে। শেখ হাসিনা বা তার দল আওয়ামী লীগের কার্যত কোন অস্থিত্বই নেই। আওয়ামী লীগ এখন ইন্ডিয়ান গোলাম দাসীর চেয়েও নিকৃষ্টতর কিছু জীবের মর্যাদাও পাচ্ছে না দেশের মানুষের কাছে। লাইসেন্সধারী পোষাকী সন্ত্রাসীদের তিন চার স্তরের নিরাপত্তা নিয়েও আওয়ামী ইউনিফর্ম ব্যবহার করে আজ এয়ারকন্ডিশন গাড়ীর রঙ্গিণ গ্লাসটা পর্যন্ত খুলতে সাহস পাচ্ছে না পাতি নেতা থেকে শুরু করে হাতি নেতারা পর্যন্ত।

জুতা বৃষ্টির বণ্যায় ভেসে যাওয়া থেকে শুরু করে কত ধরনের ঝড় তুফান অপেক্ষা করছে ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে যাওয়া পথহারা অন্ধলোকগুলোর জন্য। মন্ত্রীসভার সদস্য হয়ে জাতে উঠার জন্য হামাগুড়ি দিয়ে লাইনে দাড়িয়ে পঙ্খজ শরমহীনদের কদমবুচি দিয়েই প্রমাণ করলো এই কাগুজে বাঘ আসলে কত নিকৃষ্টতর গোলামী আর দাসত্বের মাধ্যমে নিজের অসহায়ত্বই জাহির করেছে।

কিন্তু যাদের আত্মসম্মানবোধ কিছুটা হলেও এখনো আছে বলে দেশের অসহায় মানুষ ধারণা করে সেই বিএনপিই বা এক্ষেত্রে একটি স্বাধীন দেশের দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সচেতন গোষ্টীর প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পেরেছে?

অথচ কয়েকদিন আগেও আমরা দেখেছি এসব মন্ত্রী সান্ত্রীদের পরিষদ থেকে বিদায় বেলায় শেখ হাসিনার কদমবুচি নেয়ার প্রতিযোগিতা! এই সরল সমীকরণটাও যদি বাংলাদেশপন্থীদের বুঝে উঠতে আরো সময় ব্যয় করে তবে জাতির আকাশে যে কালো মেঘ জমা হয়ে তীব্র বজ্রপাতের গর্জনে প্রতিনিত কান জ্বালাপালা করছে তা থেকে উদ্ধারের প্রস্তুতি নিতে আরো কি পরিমাণ সময় অপেক্ষা করতে হবে আল্লাহই মালুম?

ল্যাংটো সভ্যতার মশালধারী জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে চিহ্নিত আমাদের প্রতিবেশী ইন্ডিয়ার (অনেকেই রসিকতা বলে থাকেন ল্যন্ডিয়ান) টালমাটাল বিস্ফোরন্মুখ স্বাধীনতাকামী জনতার দাবীকে মুছে দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে গ্রাস করা অথবা বাংলাদেশে একটি অনুগত গোলামীর মানসিকায় পাশ করা একটি তথাকথিত এলিট গোষ্টী দরকার ল্যান্ডিয়ানদের কাছে। ল্যান্ডিয়ানদের এই প্রয়োজনীয়তা মিটাতে গিয়েই আজ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অপমৃত্যু হয়েছে।

এখন বাংলাদেশপন্থীদের দর কষাকষি বা নেগোশিয়েশন করতে হলে ল্যান্ডিয়ানদের সাথেই করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের কোন পক্ষ হিসেবে স্বীকার করার অর্থই হচ্ছে বালকে জাতে তুলে নতুনভাবে প্রাণ সঞ্চার করার নামান্তর। বর্তমান সংকটে বাল কোন পক্ষই না। সুতরাং মৃত অজাবিন গাছের গোড়ায় পানি ঢালার প্রয়োজন নেই।

বিষয়: বিবিধ

১৯৯৯ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

172853
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৫৬
127023
আহমদ মুসা লিখেছেন : প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন। আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুক।
172854
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের জনগনের জন্য আওয়ামী লীগই পারফেক্ট ।

বিএনপির উচিত বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব বুঝে চলতে শেখা ।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০০
127024
আহমদ মুসা লিখেছেন : কিন্তু আওয়ামী লীগের জন্য যে বাংলাদেশ বা এদেশের জনগন মোটেও উপযুক্ত বা মাননসই না। আওয়ামী লীগের মত হিংস্র জঙ্গী দলের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হতে পারে আফ্রিকার সন্ত্রাস কবলিত কোন দেশ।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:০৫
127119
হতভাগা লিখেছেন : 'আওয়ামী লীগের মত হিংস্র জঙ্গী দলের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হতে পারে আফ্রিকার সন্ত্রাস কবলিত কোন দেশ। ''

০ সেখানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীই কাফি ।

কিন্তু কথায় আছে '' বাঙ্গালী শক্তের ভক্ত , নরমের যম ''

বেয়াড়া জাতিতে সাইজ করার জন্য শক্ত মুগুর হচ্ছে এই আওয়ামী লীগ।
172855
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
লোকমান লিখেছেন : ভালো লাগলো
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০২
127025
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অধমের ব্লগ পাতায় আপনাদের মত মহান ব্যক্তিদের আগমণ দেখে নিজেকে খুব ধন্য মনে করছি।
172862
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:০৯
মোয়াজ্জেম হোসাইন লিখেছেন : যােদর বুঝা দরকার তাঁরা বুঝলেই হল।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০৪
127026
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ ব্লগটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। বাংলাদেশর বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে প্রত্যেক স্বাধীনতাপ্রিয় নাগরিকেরই বুঝা ও চিন্তা করা দরকার।
172867
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:১৩
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : বিএনপি কে কৌশলী হতে হবে। দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা বামপন্থীরা দলের ক্ষতি করছে ব্যাপক। এরা ১/১১ এর সময়েও বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১৩
127029
আহমদ মুসা লিখেছেন : বিএনপি ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় দেশপ্রেমের পরিচয়ে দিয়ে যেভাবে উন্নয়নমূখী কর্মসূচী নিয়ে দেশকে অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল তা চোখে পড়ার মত ছিল। কিন্তু তাদের অপরিনামধর্শী কিছু সিদ্ধান্তের কারণে শুধু তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না। দেশের মানুষের সীমাহীন দূগর্তি আর দেশের স্বাধীনতাই আজ হুমকির মুখে পড়েছে। দেশের মানুষের এভাবে রক্ত ঝড়া আর দেশকে মগের মুল্লকে পরিনত করার পেছনে ল্যান্ডিয়ান গোলাম দাসীদের সুযোগ দেয়ার পেছনে ভূমিকা কাদের অপরিপক্ষ ও অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্তের ফসল? সাত জনকে ডিঙ্গিয়ে মীর জাফরকে বেচে নেয়ার ফসলই আজকে দেশের এই করুণ পরিনতি নয় কি?
172880
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪৭
ইমরান ভাই লিখেছেন : গনতন্ত্র দিয়ে কোন লাভ হবে না। ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। আল্লাহ আমাদের শাসকদেরকে ইসলামি আইন (কোরআন ও হাদিসের) কায়েম করার দিকে মনকে ঘুরিয়ে দাও। আমিন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৮
127040
আহমদ মুসা লিখেছেন : ইমরান ভাই, আপনি এখানে ব্যায়াপক আলোচনার দাবী রাখে এমন একটি বিষয় টেনে নিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে আলোকপাত করতে গেলে বিস্তর লিখতে হবে। গনতন্ত্র বনাম ইসলামের রাজনৈতিক পদ্ধতি নিয়ে আমি বিভিন্ন জনের প্রাসংগিক ব্লগে খন্ড খন্ড কিছু মন্তব্য করেছিলাম। অবশ্য এসব মন্তব্যগুলো এখন খুজে বের করাও অনেক দুষ্কর। তবে সংক্ষেপে আপনার মন্তব্যের সম্পূরক হিসেবে আমি এতটুকু বলতে পারি- গনতন্ত্রের সঠিক পূণঃ সংজ্ঞায়ন করা জরুরী। এই চটকদার (প্রকৃতপক্ষে গনতন্ত্র হচ্ছে রাজনৈতিক এলিটদের ভাওতাবাজী আর ধোকাবাজীর মাধ্যমে নিজের অবস্থান মজবুত করা আর সুবিধার পূনার্ঙ্গতা নিশ্চত করা) রাজনৈতিক শ্লোগানটিকে সরাসরি হারাম বলে পরিত্যাগ করা কিংবা একে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান যুগোপযোগী মডেল হিসেবে গ্রহণ করা কোনটাই উচিত না। এক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের নির্দেশিত "হেকমাহ" অবলম্বন করাই হচ্ছে মুসলমানদের জন্য অধিক কল্যাণকর। এটিকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত মডেল মনে না করে বরং গনতন্ত্রকেই সঠিক সংজ্ঞায়নের মাধ্যমে একে ইসলামাইজড করাই বরং কল্যাণকর। গনতন্ত্র বলতে যদি আমরা খোলাফায়ে রাশেদার সেই সোনালী যুগকেই মডেল হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে পারি তাহলে সেই গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের আন্দোলন করতে কোন আপত্তি থাকা উচিত নয়। এক্ষেত্রে যদি আমাদেরকে কোন "হেকমাহ" অবলম্বন করতে হয় তবে তাকে ইন্টেলেকচুয়াল উপায়ে এপ্রোচ করা যেতে পারে। নবী করিম (সা) এর সুন্নাহ আমাদের জন্য চুড়ান্ত শিক্ষনীয় আদর্শ। তিনি নিজেই কুটনৈতিক একটি চিটিতে নিজের নামের সাথে "রাসুল" শব্দটি অমিট করে দিয়েছিলেন। যদি আমরা ইসলামের প্রকৃত মহিমা বুঝতে সমর্থ হই তবে এই ঘটনাতেও যে একটি মহান "হিকমাহ" নিহিত ছিল তা পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ তার প্রমাণ বহন করে।
আপনাকে অনেক মোবারকবাদ ও খায়রে মখদম করছি আমার ব্লগ পাতায় আগমনের জন্য।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪৫
127359
ইমরান ভাই লিখেছেন : এটিকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত মডেল মনে না করে বরং গনতন্ত্রকেই সঠিক সংজ্ঞায়নের মাধ্যমে একে ইসলামাইজড করাই বরং কল্যাণকর।

আপনার এখানে সমস্যা আছে। আজ আমরা মুসলিম জাতি এই করনেই বিভক্ত হয়ে পরে আছি। কেননা আমরা সদা সর্বদা ইসলামকে আধুনিকতার নামে ইসলামাইজড করতে গিয়ে আসল ইসলামকে গুলিয়ে ফেলেছি। আজ আমাদেরকে ইসলামকে প্রতিস্ঠিত করার জন্য ইসলামকে গনতন্ত্রের পোষাক পরিয়ে ইসলামাইজড করার কোন দরকার আছে কি? ইসলাম কি আধুনিকতার বোঝেনা? ইসলামকি পুরোনে? ইসলামকি কেয়ামতের আগ পর্যন্ত পূর্ননয়?
আজ আমরা নতুন করে ইসলামাইজড করতে চাই। কেন? কারন আমরা দেখাতে চাই পশ্চিমা সমাজকে যে আমরাও ইসলামি গনতান্ত্রিক!!!!!


স্বর্নযুগে ইসলাম যেমন ছিল তেমনি থাকবে আর এই ইসলাম কিয়ামতের আগ পর্যন্ত এই একই আইন দিয়েই চলবে সেটাই ইসলামের সৈন্দয্য। তাই গনতন্ত্রকে ইসলামের পোষাক পরানোর অপচেস্টার কোন মানে হয় না। কেননা মওদুদী সাহেব ও তার বইয়ে লিখেছেন "গনতন্ত্র কুফরি মতবাদ"

গনতন্ত্র বলতে যদি আমরা খোলাফায়ে রাশেদার সেই সোনালী যুগকেই মডেল হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে পারি তাহলে সেই গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের আন্দোলন করতে কোন আপত্তি থাকা উচিত নয়।(????)
আমাদের যানা উচিত খুলাফায়ে রাশেদিনরা কেউ গনতন্ত্রীক ছিলেন না তারা ইসলামের আসল শাসক ছিলেন। বলতে পারেন তাদের মতো শাসক আল্লাহ আমাদেরকে দিন যারা তাদের আদর্শ অনুসরন করে শাসন করবে।

ভাই, হেকমাহ অবলম্বন করেন তবে গনতন্ত্রকে নতুন ইসলামাইজড করার হেকমাহ অবশ্যই গর্হিত কাজ।

আর রসুল (সা) "রসুল" কথাটি যে অমিট করতে বলেছেন তা ছিল কাফের/মুশরেকদের সাথে চুক্তি করার সময়। এটা নিশ্চই আপনি যানেন।
যেমন ধরেন, আমরা বাংলাদেশ ইসলামিকক রাস্ট্র হয়ে গেলাম এখন আমরা আমাদের পার্শবর্তি দেশ ভারতের সাথে চুক্তি করলে তারা চুক্তির সময় আপত্তি করলে আমরা তাদের ছার দিব।
কিন্তু বাংলাদেশের মধ্যেই যাদি বিসমিল্লাহ,রসুল,আল্লাহর উপর ভরাসা তুলতে বলে তা কি হবে? কখনই নয্ কেননা এখানে মুসলিম প্রধান। এখানে হেকমাহ অবলম্বন করে সেই কথা গুলো তোলা মানেই তাদরে সাথে অংশী হওয়া।

তাই কাফের,মুশরিক,ইহুদি,মুনাফিক এই ৪ জাতির সাথে সাথ দেবার মুসলিমের কোন মানেই হয় না।
নিশ্চই যে যে জাতির অনুসরন করবে সে কেয়ামতের দিন তাদে সাথেই উঠবে।


ইসলাম স্বর্ণালী যুগে যেমন ছিল তেমনি তার আইন থাকবে এবং এর মাঝেই কল্যান রয়েছে।


আমি মনেহয় একটু করা কখাই বলে ফেললাম আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি ইসলামকে গনতন্ত্রর লেবাস দারা ইসলামাইজড করার পক্ষপাতিত্ব নই।
172883
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৭
নেহায়েৎ লিখেছেন : অসাধারণ বিশ্লেষণ। বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিবিদদের এটা পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৭
127044
আহমদ মুসা লিখেছেন : মুহতারাম নেহায়েৎ, আমি ঠিক বুঝতে পারছি না আসলে আমার মনের অনুভূতি প্রকাশের মধ্যে সমসাময়িক রাজনৈতিক সংকটের কোন বিশ্লেষণ আছে কিনা। আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ। আমার অবজার্ভেশনে গলদও থাকতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি এবং দেশকেও ভালবাসি তাই আমার ধারণাগুলোকে ব্লগে লিপিবদ্ধ করলাম। এতে যদি বিএনপির মত দেশের অধিক জনপ্রিয় একটি দলের নীতি আদর্শের সাথে মিলে যায় তাহলে এতে বিচিত্র কিছুই নেই।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্লগ পাতায় আগমনের জন্য।
172903
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২৪
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৯
127046
আহমদ মুসা লিখেছেন : আমার লিখিত ব্লগটি কোন দুষ্ট পোলা'র ভাল লাগলো জেনে খুবই খুশি হলাম। ভাগ্যিস কোন দুষ্টু মেয়ে'র ভাল লাগেনি!!!!
172930
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:২৫
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : মৃত অজাবিন গাছ ? Thinking
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০২
127048
আহমদ মুসা লিখেছেন : আরে বাহার ভাই, মৃত অজাবিন গাছ নিয়ে আপনার আক্ষেপ কেন? আমি তো প্রতিদিনের কথিত আপনার এলাকার আঞ্চলিক শব্দই ব্যবহার করলাম।
ধন্যবাদ অধম গরীবের কুটিরে আগমনের জন্য।
১০
172986
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০১
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : এই লেখায় আপনি গুরুত্তুপূর্ন একটা বিষয় নিয়ে আসলেন তা হচ্ছে "কিন্তু বিএনপি এক্ষেত্রে যেকোন ধরনের ভূমিকা রাখার যোগ্যতা ও অধিকার হারিয়েছে মীর জাফরের আদর্শিক আপন ভাইয়ের (জেনারেল মইন ইউ আহমদ) হাতে যখন নিজের ধারালো তলোয়ারটাই কোন কিছু যাচাই বাচাই না করে হাতে তুলে দিয়েছিল।"
বিএনপি বা খালেদা জিয়ার এত বড় একটা ভুল নিয়ে কেউ তেমন গবেষনা মূলক লিখছে কি না জানি না, মাহমুদুর রহমানের লেখায় আমরা প্রথম মঈন সাহেবের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারি। ম্যাড়াম খালেদার ভাই এসকান্দর মির্জার ক্লাস মেট হিসাবে ধারালো তলোয়ারটা মঈনকে তুলে দিয়েছিল। আর মঈন সাহেব সেই তলোয়ারটা দিয়েই ভারতের পদতলে বাংলাদেশকেই জব করে দিল ।
বিষয়টা নিয়ে আপনার গবেষনা মূলক একটা পোস্ট আশা করছি। যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:১৬
127056
আহমদ মুসা লিখেছেন : ভাই নব্য মীর জাফর মঈন ইউ আহমদের ব্যাপারে দেশপ্রেমিক সকল নাগরিকই কম বেশী জানেন। সাতজন সেনা অফিসারকে ডিঙ্গিয়ে এই মীর জাফরকে নিয়োগ দেয়ার পেছনে ততকালীন চারদলী জোট কতবড় মহাভুল করেছে তা যত দিন যাচ্ছে ততই দেশের মানুষের ঘৃণা জমা হচ্ছে এই বেঈমান নাফরমানের প্রতি। আজ দেশের এই অবনতি ও এতো রক্তপাত ও রাষ্ট্রীয় খুনাখুনির পেছনে একজন মীর জাফরের বেঈমানীর ফল। এই নরাধমকে কুত্তা বলে গালি দিতেও আজ ঘৃণা সৃষ্টি হয়। কারণ কুত্তা শব্দটি নিকৃষ্ট গালি বুঝানোর জন্য ব্যবহার হলেও এই শয়তানটা কুকুরের মত নিজ মনিবের আনুগত্য করেনি। তার বেঈমানীর কারণে আজ দেশের চৌদ্দজন জাতির শ্রেষ্ঠতম বীরকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে হত্যার মাধ্যমে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হুকুমবরদার করছে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আকড়ে থাকা প্রতিবেশীর এদেশীয় গোলাম দাসীগুলো।
১১
173016
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বিশ্বাসঘাতকদের বারবার বিশ্বাস করাই বিএনপির বড় ভুল। আর বড় ভুল বামপন্থিদের প্রচারিত পত্রিকার সংবাদগুলিতে বিশ্বাস করা। নিজেদের মিডিয়া নাই অন্যদেরও গড়তে দেয়না। অন্যদিকে রয়েছে হীনমন্যতা বোধ। আওয়ামী-বামপন্থিদের কে সংস্কৃতি ক্ষেত্রে আদর্শ বলে মানেন বিএনপির অনেকেই।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:২০
127057
আহমদ মুসা লিখেছেন : বিএনপি গঠিত হয়েছে সুবিধাবীদের নিয়ে। এদের আরো কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।
১২
173539
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:১০
ইকুইকবাল লিখেছেন : জুতা কাহিনী নিয়ে একদিন লেইখেন। বুশকে জুতা মেরে জাইদি বিখ্যাত হয়েছিল। তারপর ডিম থেরাপির কথা। ইনুর উপর ইত্যাদি
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২২
127078
আহমদ মুসা লিখেছেন : ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার। ভাই আমার হাতে যেমন দক্ষতা নেই। আমার লেখার পাঠকও কম। ভাল লিখতেও জানি না। জুতার কাহিনী নিয়ে কি ই বা লিখবো?
১৩
173668
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
সুন্দরের আহবান লিখেছেন : দেশের নব্বই ভাগ মানুষ আ্ওয়ামীলীগের বিপক্ষে- তারপরও তারা আওয়ামীলীগকে হটাতে পারলো না, এর চেয়ে ব্যর্থতা আর কিছু হতে পারে না
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৫
127205
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য এবং অধমের ব্লগ পাতায় আগমনের জন্য। যারা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী তারা মনে প্রাণে আওয়ামী লীগ করে। আওমী লীগ যেমন একটি জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদী ফিতনা সৃষ্টিকারী দল তেমনি তাদের নেতা কর্মীরাও দলীয় অপঃআদর্শের লালনকারী জানবাজ ক্রিমিনাল। আর যারা পিএনপির নেতা কর্মী বলে আজ শোনা যায় তাদের কার্যক্রম দেখে বুঝা যায় তারা মনে প্রাণে পিএনপির আদর্শকে লালন করে না। তাদের বেশীর ভাগ নেতাকর্মী সুবিধাবী দায়দায়িত্বহীন। অনেকেই আবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নেগোশিয়েশন করে চলে হাওয়া রুটির ভাগ বাটোয়া পাওয়ার আশায়।
১৪
174277
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪২
আবু আশফাক লিখেছেন : বেগম জিয়ার দুর্বলতা হলো কিছু বিশ্বাস ঘাতকের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হওয়া।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:০৭
127692
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। দেরীতে হলেও আপনি অধমের ব্লগ পাতায় এসেছেন। এজন্য নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমরা জানি না বেগম জিয়ার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কি কি দূর্বলতা আছে। তবে বর্তমান রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহ দেখে আপনার কথার সাথে একমত না হওয়ার কোন যুক্তি নেই। বেগম জিয়া তার নীতি আদর্শের প্রতি আগের মতই আপোষহীন থাকতে পেরেছেন। কিন্তু তার দলের বিভিন্ন স্তরের পলিসি মেকারদের অনেকেই সুবিধাবাদীতায় আচ্চন্ন হয়ে আছে। রাজনৈতিক বিশ্বাসঘতক ও মৌসুমী দেশ ও দলপ্রেমিকদের বিস্তস্থ রাজনৈতিক ফোরাম হিসেবে কোন সংঘঠনককে বুঝানো হয় জিজ্ঞাসা করলে নিস্দেহে যে কোন আক্কেল জ্ঞানের লোক মাত্রই বলে দিতে পারবে কোন দলটির কথা বলা হচ্ছে!!
১৫
176429
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২২
শারমিন হক লিখেছেন : হিসেব মতে -বি এন পির জনপ্রিয়তা হাম্বালীগের থেকে অনেক বেশি।যাকে তাঁরা কাজে লাগিয়ে জনগণ বিরোধী সরকার হাসিনাকে তাঁড়াতে পারছে না।একটাই কারণ- উচ্চপদস্থ নেতাদের বাঘের মত গর্জন ছেড়ে বিড়ালের মত ঘরে চুপটি মেরে বসে থাকা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File