অনলাইনে একটিভ থাকেন এমন ইসলামপন্থী ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ২৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:২২:৪৩ দুপুর
বিডিটুমোরোতে আজকে এক বিতর্কিত ব্লগারের একটি পোস্টে ব্যাপক মন্তব্যে দেখে ওপেন করে দেখছি একজন ইসলামপন্থী ব্লগার ওখানে তর্কেযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন! ইচ্ছা থাকা সত্বেও আমি কোন মন্তব্য করিনি। যার সাথে তর্কেযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে তা আমার কাছে মনে হয়েছে ইসলাম ও আল্লাহর নবী (সা) কে পরিকল্পিতভাবে গালিগালাজ দেয়ার জন্য সুযোগ করে দেয়ার নামান্তর।
কোন কোন নাস্তিক শয়তান অথবা চরম ইসলাম বিদ্বেষী ভিন্ন কোন ধর্মের অনুসারী অথবা তাদের অনুচর আল্লাহর নাম বিকৃত করে, রাসুল (সা) এর শানে গোস্তাখীপূর্ণ গর্হিত উক্তি করে উস্কানী দেয়ার সুযোগ খুজে।
রাসুলের (সা) শানে একটি বেয়াদবীর প্রতিবাদ করতে যেয়ে উক্ত শয়তানকে হাজারো বেয়াদবীর সুযোগ করে দেয়া কোন অবস্থাতেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এসব অপদার্থের শয়তানীর উত্তর দেয়ার জন্য তাদের ব্লগ/লেখাতে ভিজিট করে, মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য করে হিট করার পেছনে ভূমিকা রাখছে ইসলামপন্থীরেই বেশী। এর জন্য ইসলামপন্থীরা অবশ্যই দায়ী। যাদের অন্তরে মহান আল্লাহ অন্ধত্বের মোহর স্থায়ীভাবে মেরে দিয়েছেন তাদের সাথে আপনি যতই যুক্তি দিয়ে কথা বলেন না কেন, তারা নিজেদের পড়নের কাপড় খুলে ন্যংটো হয়ে আরো নোংরামিই ছড়াবে। এতে করে ইসলাম ও মুসলমানদের বিন্দু মাত্র লাভ না হলেও ইসলাম ধর্ম, আল্লাহর নবী (সা), ইসলামের মৌলিক আকিদা বিশ্বাসের প্রতি একজন সাধারণ মুসলিম পাঠকের মনে স্বাভাবিক শ্রদ্ধাবোধ কমে যেতে পারে।
আমাদের একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী- আপনার তরবারী যতই ধারালো হোক না কেন যদি আপনার প্রতিপক্ষ টয়লেটের টাংকি থেকে ডুব দিয়ে উঠে এবং তার অস্ত্রটিও সেই টাংকির ভিতর থেকে কুড়ে নিয়ে আপনার মোকাবিলায় লিপ্ত হয় তখন আপনি তাকে কাবু করতে পারলেও নির্ঘাত আপনার গায়েও নাপাক ময়লার চিটে ফোটা পড়তে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১৭৭৪ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সহমত। আমি তাই করি ।
আসল কথা হচ্ছে অন লাইনে ইনডিয়ার কোলকাতায় বসে কিছু ইবলিশ এসব গর্হিত নোংরামী করে যাচ্ছে বলে অনেকেই সন্দেহ করে।
এসব দয়্যুসদের কথার উত্তর দিতে গেলে আপনার ঈমান আক্বিদায় চরম আঘাত লাগে এমন কদর্য ভাষায় ও ভঙ্গ্যিমায় প্রতি উত্তর দিতে চেষ্টা করে যাতে আপনারা অর্ধৈয্য হয়ে তাদের কথার তীব্র প্রতিবাদ করেন। তাতে করে এরা উৎসাহী হয়ে চরম অবমাননাকর উক্তি করবে আল্লাহ এবং তার রাসুলের শানে যা কোন ঈমানদার লোকের পক্ষে পড়া, কানে শোণা বা চোখে দেখাও নিজের ঈমানের দূর্বলতা প্রকাশের সামিল। কারণ হচ্ছে এটি একটি ভার্চুয়াল জগৎ। এখানে কে কোথা থেকে কিভাবে আক্রমণ করছে তার সঠিক অবস্থান ও প্রকৃত বদমাইশটি কে তা চিহ্নি করা যাচ্ছে না।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি মন্তব্যে করার জন্য।
ঠিক ঠিক ঠিক
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগ পাতায় আগমনের জন্য। ভবিষ্যতেও আমার ব্লগ পাতায় নিয়মিত আগমণের আমন্ত্রণ রইল।
জাযাকুমুল্লাহ.....
আমি যে কত জনের পোস্টে চিল্লাইছি যে , ভাই এদেরকে এড়িয়ে চলেন , এড়িয়ে চলেন ; তখন সবাই হ্যাঁ হ্যাঁ করেও পরে দেখি ঠিকই ঐসব হনুদের পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করতেই থাকে, করতেই থাকে ।
এরা নিজেদের গায়ে গোবর মেখে আসে । এখন আপনি যদি তাদেরকে ধরতে যান তাহলে আপনার গায়েও গোবর লেগে যাবে ।
এটাই তো তারা চায় ।
উনি নিজের পোস্টে নিজেই কমেন্ট করেন । সবার প্রথমেও করেন ।
আর কোন এক ব্লগারে পোস্টে তো উনি একাই টানা ৫০ টা কমেন্ট করেছেন !
ঐ পোস্টের উপরে নিচে যে সব পোস্ট ছিল সেগুলোতে ৫/৬ টার বেশী কমেন্ট ছিল না ।
এক পোস্টে এতগুলো কমেন্ট দেখে ঢুকতেই দেখি কি এলাহী কান্ড !
এটাকে কি ব্লগিং বলে ?
“আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।" (আল-কুরআন-৪, আয়াত-১৪০)
এই আয়াতেই নির্দেশনা আছে আমাদের কি করতে হবে।
এদের সঙ্গে তর্ক করে কোন লাভ নাই, কারণঃ
“নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি সতর্ক করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।” ((আল-কুরআন-২, আয়াত-৬)
এদের ব্লগে কমেন্ট যদি করতেই হয়, (বা কোনভাবে এদের ব্লগে প্রবেশ করে বসেন) তবে এমনভাবে করবেন ও একটি মাত্র কমেন্ট করবেন, তারা যে বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়, তার একটা যুক্তিমূলক উত্তর থাকে – যা থেকে অন্য মুসলিম ভাই/বোনেরা উপকৃত হয় যদি তারা (মুসলিম ভাই/বোনেরা) না বুঝে এখানে প্রবেশ করেন।
এরা মুসলিমদের উচ্ছিষ্টভোগী, মুসলিম নামধারী, মুসলিম মতে বিয়েও করে, জানাজা নিয়া কবরেও যায়, মুসলিম সমাজের সকল সুবিধাভোগ করে। (কিছু কিছু আছে অন্য ধর্মের, ব্লগে মুসলিম নিক নেয়।) এদেশে শতশত বছর ধরে মুসলিমরা বাস করছে, আগামী শতশত বছর ধরেও বাস করবে ইনশা-আল্লাহ।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
পবিত্র কোরআন যে মহা বিশ্বের মহাবিস্ময়! তা চিন্তাশীল ব্যক্তিদের ভাবনাতে আলোড়ন সৃষ্টি করে। মানুষ যা কিছু ভাল'র পক্ষে, যুক্তির পক্ষে, চিন্তা চেতনার প্রজেটিভ উন্মেষ ঘটানোর পক্ষে, প্রগতির পক্ষে তার চিন্তাভাবনা প্রসারিত করে পবিত্র কোরআনও তাদের পক্ষে সাপোর্ট ও স্বীকৃতি দিতে এগিয়ে আসে। আপনার এই প্রাসংগিক রেফারেন্সগুলো উল্লেখ করার ফলে আমাদের চিন্তাভাবনার পক্ষে কোরআনী সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে তা সহজেই বুঝা যায়।
যাযাকাল্লাহু খাইরান।
সহমত
মন্তব্য করতে লগইন করুন