বিভিন্নমূখী শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে আমাদের ভবিষ্যৎ গন্তব্যেস্থল কোথায়?

লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৫:৩৫:৩১ বিকাল

বিশিষ্ট ব্লগার সিটিজি৪বিডি জনাব মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন ভাইয়ের পোস্টকৃত একটি ব্লগে আমি মন্তব্যে লিখতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু বিষয়টি অল্প কথায় বুঝানোর দক্ষতা না থাকার কারণে আমার মন্তব্যেটি বেশ লম্বা হয়ে যাচ্ছে বিধায় আলাদা ব্লগ আকারে পাঠকদের খেদমতে পেশ করলাম। পড়ে মন্তব্যের মাধ্যমে আপনাদের মতমত জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।



আমাদের জাতি স্বত্তার সুষ্ঠু বিকাশের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে তিন-চারমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা। এই বহুমূখী শিক্ষা ব্যবস্থার কারণেই জাতি আজ বহুদা বিভক্ত। সাধারণ শিক্ষা এবং মাদ্রসা শিক্ষা- এভাবে স্থায়ী পার্থক্য সৃষ্টির ফলে আমাদের সমাজে শিক্ষার প্রভাবে তৈরী হয় জগাখিচুড়ী মার্কা বিভাজন।

বৃটিশরা আসার আগে এ অঞ্চলে এভাবে বহুমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। তখন একই প্রতিষ্ঠান থেকে ধর্মীয় বিষয়ে যেমন উচ্চ শিক্ষিত বের হতো তেমনি জ্ঞানের অন্যন্যা শাখা থেকেও শিক্ষিত মানুষ বের হয়ে জাতিকে দিক নির্দেশনা দিত যাদের মধ্যে ছিল ধর্মীয় শিক্ষা এবং সাধারণ শিক্ষার একটি সুন্দর সমন্বয়।

বৃটিশরা তাদের শাসন টিকিয়ে রাখার জন্যই মূলত এ অঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডি-ইসলামাইজড করার মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষা থেকে সফলভাবে আলাদা করতে পেরেছে বলেই তাদের পক্ষে এ অঞ্চলের মানুষকে দীর্ঘ ১৯০ বছর গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ রাখতে সক্ষম হয়েছিল।

মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত এবং সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতদের মধ্যে যে একটা মনঃস্তাত্বিক দুরত্ব তা আজ আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিরাট ধরনের বিভাজন সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে।

মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের মধ্যে একটি বিশাল অংশের মধ্যে এক ধরনের হীনমন্যতাবোধ কাজ করছে। তাদের জীবনে কিছুটা নৈতিকতাবোধের চর্চা থাকলেও দেশ ও সমাজকে নৈতিকতার মানদন্ডে দিক নির্দেশনা দিয়ে পরিচালনা করা ও নেতৃত্ব দেয়ার মানসিকতা লোভ পেতে বসেছে।

এসব মাদ্রাসা শিক্ষিতরা মানব জীবনের বিভিন্ন সাইট ও দিকের প্রতি বেখবর। ক্ষেত্র বিশেষে উদাসীনও বটে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতার পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে অতি নিস্কলুষ ও পরিচ্চন্ন জীবন যাপনকারী হিসেবে মনে করেন নিজেদেরকে। অথচ মানুষ মাত্রই জীবন চক্রের বাঁকে বাঁকে নীতি নৈতিকতা ও সার্বিক জীবন ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে জীবন ধারণ ও চালনের প্রতিটি উপদানই সম্পর্কযুক্ত।

মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া বা পড়ানোর মধ্যেই যদি নিজের পার্থিব জীবনের সফলতা এবং আখিরাতে নাজাতের উসিলা খুজে বেড়ায় তাহলে জীবন চক্রের অন্যন্যা উপদানগুলো থেকে কেন আবার সুযোগ সুবিধা ভোগ করা হবে? অথচ এই সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ প্রতারিত হচ্ছে এবং প্রতারিত করছে। কিন্তু এই প্রতারণার বিনাশ সাধন কিংবা এর মূলোৎপাঠনে নিজের কোন ভূমিকা না রেখে হাত গুড়িয়ে নিজেকে আত্মকেন্দ্রিক করে রাখা অথবা চিন্তা ও বিবেগবোধের দুয়ারে তালা মেরে রাখার অলিখিত রীতি রেওয়াজই চালু রেখেছে মাদ্রাসা শিক্ষিতের একটি বড় অংশ।

মাদ্রাসা শিক্ষিতদের আরেকটি সংখ্যায় কম হলেও উল্লেখযোগ্য অংশ আছে যারা বুনিয়াদী শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে ঝাপসা ও ভাসা ভাসা জ্ঞান চর্চার কারণে দ্বীনি ইলমের মূল স্পিরিট বা মহিমাটাই বুঝে উঠতে ব্যর্থ হন। যার ফলে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আধুনিক চাক চিক্যতার আকর্ষণে ট্র্যাক পরিবর্তন করে ধর্মীয় বিষয়ে নিজের অর্জিত জ্ঞান ও বিশ্বাসের মধ্যে সন্দিহান হয়ে পড়েন। মাদ্রাসা শিক্ষিতদের উল্লেখযোগ্য অংশ হীনমন্যতাবোধের কারণে জাতি বড় ধরনের খেদমত থেকে বঞ্চিত।

যখন দেখি একজন দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত দাওরায়ে হাদিস পড়ুয়া আলেমকে দুর্নীতিবাজ এইট পাশ ট্রাফিক কনস্টেবলের বিভিন্ন আইনী ঘেড়াকলে আটকিয়ে নাজেহাল হওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক পুলিশের পদ পদবী ও প্রশাসনিক মর্যাদা অনুধাবন করতে অক্ষম এবং তাকে স্যার স্যার’ সম্বোধন করে আত্মসমর্পণ করে নিজের অসহাত্বের প্রকাশ করতে দেখি তখন এসব আলেমদের হীনমন্যতাবোধ নিয়ে কৌতুহল জাগবে একজন সচেতন মানুষের। আবার যখন দেখা যায় আলিয়া ধারায় পড়ুয়া কোন কামিল পাশ আলেমকে ইসলামী শরীয়াহ’র সাধারণ কোন বিষয়ে সঠিক ধারণা দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় তখন এসব মাদ্রাসা শিক্ষিত আলেমরা জাতিকে কোথায় নিয়ে যাবে?

(আমি এখানে শ্রদ্বেয় আলেম সমাজকে ঢালাওভাবে খাটো করছি না। দুটি উদাহরণ টেনেছি আমাদের সমাজে বিদ্যমান অসংগতিগুলো বুঝানোর জন্য।)

অপর দিকে সাধারণ শিক্ষাকে সর্ব সাধারণের গ্রহণযোগ্য ধর্মীয় শিক্ষা থেকে আলাদা করার কারণে যে বিভাজন সৃষ্টি হয় তাতে লাভবান হন বৃটিশরা। ধর্মীয় শিক্ষা বিবর্জিত সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ফলে খুব সহজেই বৃটিশরা তাদের অনুগত এমন একটি শ্রেণী তৈরীতে সক্ষম হয় যারা জন্মগতভাবে এদেশের মানুষ হলেও তাদের কৃষ্টি-কালচারে বিজাতীয় অনুসরণ। বংশগত রক্তের ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের আদিবাসী হলেও চিন্তা-চেতনা ও রুচিবোধে গোলামীর মানসিকতা সম্পন্ন।

এই শ্রেণীটিকে বৃটিশরা পৃষ্টপোষকতা দিয়ে সেটেল করতে সহায়তা করে অত্যন্ত কৌশলী কায়দায়। এদেরকেই সম্পৃক্ত করা হয় এ জাতির সমাজনীতি ও সামাজিকতা পূণর্গঠনে। অর্থনৈতিক শোষণ ও রাজনৈতিক পূনর্বিন্যাশ করে বৃটিশদের সাম্রাজ্যেবাদী দখলদারী বজায় রাখতে ধীরে ধীরে এই শ্রেণীটির উত্থান ঘটিয়ে তাদেরকেই আনূকুল্যতা ও পৃষ্টপোষকতা করে বৃটিশের রাজত্ব ঠিকিয়ে রাখার কৌশল অবলম্বন করে।

বৃটিশরা বিতাড়িত হয়েছে আজ অনেক বছর হয়ে গেলো। তারা পালানোর ফলে আমরা দু’দুবার স্বাধীনতা অর্জন করলাম। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদের তৈরী সিস্টেমের কারণে আমাদের দেশ, সমাজ ও জাতি গঠনের নীতি নির্ধারকরা গোলামীর মানসিকতার উর্ধ্বে উঠতে পারেনি সম্পূর্ণভাবে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ধর্মীয় শিক্ষা এবং সাধারণ শিক্ষার মধ্যে স্থায়ী পার্থক্য তৈরীর ফলে যে ভয়াবহ বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে তার জলন্ত নজীর। আইন আদালতে যারা বিচার আচারের সাথে সম্পৃক্ত তাদের মধ্যে কয়জন মানুষকে পাবেন যারা অন্তত শুদ্ধ করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে পারবেন? অথচ ন্যায় বিচার করতে গেলে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত নিয়ম নীতির কোন বিকল্প নেই!

পুলিশ বিভাগের কয়জন কর্তাকে পাবেন যারা কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে নীতি নৈতিকতার ব্যাপারে পর্যাপ্ত ধারণা রাখেন? প্রশাসনের কয়জন মানুষকে পাবেন যারা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের আত্মমর্যাদাশীল কর্মকর্তা হিসেবে মদিনা স্ট্যাটের মত একটি বিচক্ষণ প্রশাসন চালাবার মত কোরআন সুন্নাহয় বর্নিত কলা কৌশলে দক্ষ?

একটি স্বাধীন দেশের অর্থনীতিকে শোষণবাদী সুদযুক্ত অর্থব্যবস্থা থেকে ইনসাফ ভিত্তিক জনকল্যাণমূখী অর্থব্যবস্থায় রূপান্তরের মাধ্যমে প্রকৃত গরীব দুঃখী মানুষের অভাব অনটন মিটিয়ে জাতীয় অর্থনীতি নির্ধারণে পর্যাপ্ত দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ? প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কি পরিমাণ মানুষ পাবেন যারা “দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ” কথাটির গুরুত্ব অনুধাবন করতে সক্ষম?

সর্বপরি দেশ পরিচালনায় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের মধ্যে কয়জন মানুষকে পাবেন যারা অন্তত পাচ ওয়াক্ত নামাজে ইমামতি করার মত যোগ্যতা সম্পন্ন? অথচ আল্লাহ বলছেন নামাজ সমস্ত পাপ কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখে! এ জন্যই আমরা আজ দেখতে পাই আইন সভার সদস্য হতে আগ্রহীদের মাঝে অসৎ পন্থায় (যেটা পাপ কাজের অন্তভূক্ত) সম্পদের পাহাড় গড়ার প্রতিযোগিতা এবং তাও আবার নির্বাচন কমিশনের হলফ নামায় স্বগৌরবে আত্মস্বীকৃতি!

সুতরাং মাদ্রাসা শিক্ষা এবং এবং সাধারাণ শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে যতদিন পর্যন্ত এই জাতির শিক্ষা নীতি প্রনীত না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা একটি প্রকৃত স্বাধীনচেতা দেশের নাগরিকের মর্যাদা লাভ করতে পারবো না। ততদিন পর্যন্ত এই জাতির প্রকৃত অর্থেই ভাগ্যের কোন উন্নতি হবে না। শিক্ষা ব্যবস্থা হতে হবে একমূখী। একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা চাই ধর্মীয় বিষয়ে যেমন বিশেষজ্ঞ তেমনি জ্ঞানের অন্যন্যা শাখাতেও বিশেষজ্ঞ ও প্রফেশনাল তৈরীর সমন্বিত ব্যবস্থা।

বিষয়: বিবিধ

৭৮০৩ বার পঠিত, ৬২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

157723
৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ বিকাল ০৫:৪৯
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : সুতরাং মাদ্রাসা শিক্ষা এবং এবং সাধারাণ শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে যতদিন পর্যন্ত এই জাতির শিক্ষা নীতি প্রনীত না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা একটি প্রকৃত স্বাধীনচেতা দেশের নাগরিকের মর্যাদা লাভ করতে পারবো না। Rose Rose
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫২
115165
আহমদ মুসা লিখেছেন : প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একটি জাতিকে উন্নতির শিখড়ে নিয়ে হলে এবং তার পাশাপাশি পারলৌখিক অনন্ত জীবনে আল্লাহর আদালতে জবাবদিহিতাকে সহজ করতে চাইলে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক এর বুনিয়াদি শিক্ষার আলোকে গড়ে তুলে হবে।
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২০
117759
মাজহার১৩ লিখেছেন : আমি আপনার সাথে একমত।
কারন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আউটপুট নেই, শুধুমাত্র মিলাদ মাহফিল, জানাজা ইত্যাদি সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় আচার ছাড়া। অন্যদিকে স্কুল কলেজের ক্ষেত্রে বেসিক ইসলামী শিক্ষা না থাকায় মুসলমানের ঘরে জন্ম হয়েও নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে বে ওয়াকিপ।
157728
৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ বিকাল ০৫:৫৯
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আমাদের দেশের সুশীল সমাজেরা কোন দিনই মাদ্রাসা শিক্ষা এবং এবং সাধারাণ শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে নতুন শিক্ষাণীতি প্রনয়ন করবে না। আমাদের দেশে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতরা আলেম সমাজের পিছু লেগে আছে। ওরা চায় না এই আলেম সমাজ দেশের জন্য ইসলামের জন্য কিছু করুক। কিন্তু যখনই বিপদে পড়বে আলেমের কাছে ছুটে যাবে। সুন্দর পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৬
115166
আহমদ মুসা লিখেছেন : এসব সুশীল নামে নাপিতদের হাত থেকে আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাচাতে হবে। এসব নাপিতদেরকে যতদিন আমরা নিজেদের মোড়ল হিসাবে মনে করতে থাকবো ততদিন এরা আরো বেশী বেপরওয়াভাবে আমাদের হর্তাকর্তা সেজে আত্ম প্রচার চালাবে। এদেরকে কোন অবস্থাতেই সুশীল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত নয়। প্রকৃত সুশীল হচ্ছে যারা দেশপ্রেমিক তথা বাংলাদেশপন্থী তারাই।
157734
৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ সন্ধ্যা ০৬:২৪
ইমরান ভাই লিখেছেন : বৃটিশ বীজ সহযে যাবেনা।
ধন‍্যবাদ সুন্দর বুঝিয়েছন।

তবে,
“দেশপ্রেম
ঈমানের অঙ্গ” হাদিসের গুরুত্ব অনুধাবন করে?

এই কথাটি হাদিস নামে প‍্রচলিত হলেও এটি জাল কথা।
এটি হাদিস নয়। তবে দেশকে ভালবাসার অন‍্য সহিহ হাদিস আছে।
বিস্তারিত যইফা ১ম খন্ড দেখুন।
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
114766
ইমরান ভাই লিখেছেন : মুসা ভাই, আপনি কোথায়? অনেকদিন আপনাকে হারিকেন দিয়েও পাওয়া যাচ্ছেনা? আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন আমিন।

সময় করে এই লিংকে গিয়ে কমেন্টস এর উত্তরটা একটু দিয়ে আসবেন প্লিজ...আপনারা দুই মুসা এক নাকি?
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৫
115126
আহমদ মুসা লিখেছেন : প্রিয় ইমরান ভাই,
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। আপনাকে অনেক অনেক মোবারকবাদ জানাচ্ছি একটি সুন্দর ও শিক্ষামূলক ওয়েব সাইটের লিংক দেয়ার জন্য। আপনি আমার সম্পর্কে যা অনুমান করছেন তা সঠিক নয়। আমি এবং লিংকে দেয়া আহমাদ মুসা নামের মডারেটর একই ব্যক্তি নই। আমার সাথে উক্ত ভদ্রলোকের সাথে যোগাযোগ এবং পরিচয় কোনটাই নেই। আমার আসল নাম আহমদ মুসা নয়। এই নামে কেন আমি লেখালেখি করছি তা নিয়ে ব্লগিংয়ে আসার শুরুর দিকে একটি ছোট্ট ব্লগ লিখেছিলাম বিডিটুডে/টুমোরো সাইটে। সম্ভবত এটি আমার দ্বাদশ ব্লগ এই সাইটে। আমার ব্লগ লেখার হাতেখড়ি হচ্ছে সিটিজি ব্লগ ডট কম থেকে। বিডিটুডে আইডি খোলার পর থেকে এখানেই আমার লেখালেখি সীমাবদ্ধ। অবশ্য ফেইসবুজেও মাঝে মধ্যে পোস্ট দিয়ে থাকি। ফেবুতে আমি বেশ কয়েক বছর পূর্বে আমি এই নামেই আইডি খুলেছিলাম। তখন অবশ্য লেখালেখি কিংবা নিয়মিত লগইনই করতাম না। মাসে দু'চার বারের বেশী ফেবুতে লগইন করা হতো না। লেখালেখির সাথে জড়িত হওয়ার পর থেকে ফেবুতে নিয়মিত লগইন করি এবং মাঝে মধ্যে পোস্ট দিয়ে থাকি। এজন্য আহমদ মুসা নামের আইডিটা ফেবুতে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। অবশ্য আহমদ মুসা, আহমেদ মুসা, আহমাদ মুসা, ahmad musa, ahmed musa, ahamad musa নামে আরো অনেককেই দেখা যায় ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েব সাইটগুলোতে। ফেইসবুকে আহমদ মুসা নামে বাংলা হরফে লেখা আইডি দিয়ে আরো একজন ভদ্রলোক লেখালেখি করে থাকেন। সম্ভবত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। আমি ঠিক সিউর নই। এই ভদ্রলোকের লেখা অত্যন্ত মান সম্মত এবং ইসলাম ও মানবতার পক্ষে তার ক্ষুরধার লেখনি আমাকে বিমোহিত করে। সম্ভবত তিনি বিডিটুডেতেও লিখে থাকেন ভিন্ন কোন নামে। ফেইসবুকে আমার আইডি ahmad musa.

আর একটি বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। সেটি হচ্ছে- আমার লেখনির মধ্যে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভিন্ন আক্বিদাগত ও প্রায়োগিক আমলগত মাজহাবী মতভিন্নতাকে ফোকাস করে হাইলাইট করাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। আমি মনে করি এসব টুকনো বিষয়গুলো নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ধরনের লেখালেখিতে মনোযোগ দিলে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভাজনকে উস্কে দেয়ার নামান্তর। আমার প্রতিটি লেখার মধ্যে আমি চেষ্টা করি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য সৃষ্টির কৌশল অবলম্বন করা।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৫
115160
ইমরান ভাই লিখেছেন : ওয়আলাইকুম আসসালাম ভাইজান।
খুব ভালো লাগলো আপনার উত্তর পেয়ে। একই নাম দেখে জানার ইচ্ছা হচ্ছিল তাই জিজ্ঞাসা করেছিলাম।
সত্যি কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের উৎসাহে অনেকেই উৎসাহীত হয় যেমন আমি হয়েছিলাম"সত্যলিখন"
আপার লেখা দেখে।

পরসমাচার,
আপনার একটা কথায় আমার একটু আপত্তি আছে।
আপনি বললেন,
"আমি মনে করি এসব টুকনো বিষয়গুলো"

এখানে টুনকো বিষয় বলতে কি বুঝাচ্ছেন?
রসুল (সা) এর সুন্নত কে??

যদি সুন্নতকে বুঝান তাহলে আমি দ্বীমত পোষন করছি।

আল্লাহ বলেছেন,
"লাকাদ কানা লাকুম ফি রসুলিল্লাহী উসওয়াতুন হাসানাহ..."

"মাই ইয়তইর রাসুলাহু ফাকাদ আতা আল্লাহ"

"কুল ইনকুনতুম তুহিব্বুনাল্লহা ফাত্তাবিউনি.."

তাই কোন কিছু সুন্নত সাব্বস্থ হলে তা টুনকো হবার কোন চান্চ নাই।

আপনাকে ধন্যবাদ।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৫
115184
আহমদ মুসা লিখেছেন : এখানে আমার দেয়া প্রতি উত্তরে পরিস্কার ভাবেই আমি আমার কথা বুঝানোর চেষ্টা করেছি। হয়তো আপনাকে আমি বিষয়টি বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। আমার মন্তব্যের বিষয়টার পরিস্কার না হওয়ার হেতু কি বুঝলাম না। আমি মাজহাবী মানুষ। শরীয়তের বিভিন্ন মাসআলা মাসায়েলের হানাফী মাজহাবের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের অনুসৃত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আমি মেনে চলি। তাই বলে অন্য ইমাম বা তাদের অনুসৃত মাজহাবের বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণকে খাটো করা, তাদের মতামতকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা, তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো কোনটাই সমর্থনযোগ্য নয়। রাসুল (সা) এর সুন্নাহকে "টুকনো" শব্দ দ্বারা অবহিত করার অবকাশ কোথায়?
আল হামদুলিল্লাহ আপনার দেয়া কোরআনের রেফারেন্সগুলো আমার জানা আছে। শরীয়তের বিভিন্ন মাসআলা মাসায়েলগুলোর প্রায়োগিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইমাম ও তাদের অনুসারী বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে এখতেলাফ থাকতে পারে। এবং তা স্বাভাবিকও বটে। কিন্তু আমরা যদি একটু গভীরভাবে বুঝার চেষ্টা করি তবে দেখা যাবে ইসলামের অতীব জরুরী খুবই গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী বিষয়ে বিভিন্ন ইমাম ও তাদের অনুসারী বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মধ্যে তেমন কোন মৌলিখ পার্থক্য নেই।
এক শ্রেণীর প্রেক্টিসিং মুসলামন দেখা যারা বিনা বাধায় অতি সহজে পালনযোগ্য বিভিন্ন এবাদত বন্দেগীর কোন কোন উপসর্গ নিয়ে মারাত্মাক মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে কোন কোন অপরিনামদর্শী মুসলামন হঠাৎ কোরআন ও সুন্নাহর প্রাসংঙ্গিক রেফারেন্স টেনে নিয়ে আসেন। অথচ তাদের চিন্তার মধ্যে এই বিষয়গুলো স্থান পায় না যে, তিনি যে বিষয়ে মতামত দিচ্ছেন সে বিষয়ে তার যথেষ্ট পরিমাণ শরয়ী পান্ডিত্য আছে কিনা।
আমি এখানে টুকনো বিষয় বলতে বুঝাতে চেয়েছি ইসলামী শরীয়তের সাধারণ কিছু প্রায়োগিক বিষয় সংক্রান্ত মাসআলা মাসায়েলের ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী হয়ে তর্কে জড়িয়ে যাওয়াকে। অথচ এ নিয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভাজনের বিষবাষ্পকে আরো বিস্তৃত করা হচ্ছে কিনা সেদিকে তেমন একটা খেয়াল রাখার প্রয়োজন মনে করেন না।

বি. দ্রা. এখানে আমি অবশ্য যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে দ্বীমের মধ্যে ফিতনা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন হারাম ও শিরকী কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষকে গোমরাহীতে নিমজ্জিত রেখে তাদের আলোচনায় আনছি না। তাদের ব্যাপারে অন্যভাবে আলোচনা করা যেতে পারে।
১০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৩২
115335
ইমরান ভাই লিখেছেন : ধন্যবাদ মুসা ভাই,
সুন্নাহকে টুনকো বিষয় না ভাবার জন্য।

আসলে আমার এই প্রশ্ন করার কারন আছে, বেশি বিস্তারিত লিখলে হয়তো কমেন্টসের কলেবর বৃদ্ধি পাবে তাই চুপ হয়ে গেলাম।

জাজাকাল্লাহু খাইরান।
১২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৪
116031
আবু সাইফ লিখেছেন : @ইমরান ভাই : আপনার এবং আহমদ মুসার প্রায় সকল পোস্টের পাঠক আমি! সেই দাবীতে বলছি-

মুসলিম উম্মাহর ঐক্য/বিভেদ প্রসংগে আহমদ মুসা যা বলেছেন তা যদি আপনি গভীরভাবে ভেবে দেখতেন তবে উম্মাহ আপনার কাছে অনেক কিছুই পেতে পারতো!!

মধ্যপন্থা ও প্রান্তিকতা - এ দুয়ের তফাতটা সবসময় খেয়াল রাখা এবং কথায় কাজে যুক্তি-তর্কে বা গবেষণা ও সিদ্ধান্তে এক কথায় সকল ক্ষেত্রে তার প্রয়োগ নিশ্চিত করার মত ভারসাম্যপূর্ণ নেতৃত্ব যদি উলামায়ে কিরামের মধ্য থেকে আবির্ভূত না হন তবে উম্মাহর ঐক্য ও বিজয় স্বপ্নই থেকে যাবে এবং জিল্লতির মাত্রা বাড়তেই থাকবে! আর এর জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবেনা!!
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৮
116165
ইমরান ভাই লিখেছেন : ধন্যবাদ @সাইফ ভাই, আপনার মন্তব্যকে স্বাগতম জানাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ চিন্তা করবো।Good Luck Good Luck
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৮
116296
আহমদ মুসা লিখেছেন : ইমরান ভাই এবং আবু সাইফ ভাই উভয়কেই আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি আমাদের এই উন্মুক্ত আলোচনাতে শরীক হওয়ার জন্য। ইনশায়াল্লাহ ভবিষ্যতেও আপনাদের পাবো আমার ব্লগ পাতায়- এই আশাই করছি।
157748
৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সত্যই বলেছেন – গোলামীর চরিত্রই মূল

যেমন – আপনি যদি দেখেন জাপান, চীন এদের ব্যাপারে – তাদের পুরা শিক্ষাব্যবস্থাটা তাদের মতো করে সাজানো এবং তাদের লোকেরা যাতে সহজে বুঝতে পারে এজন্য তাদের নিজেদের ভাষায় রূপান্তরিত। এজন্য আপনি এসব দেশে যে কোন বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার জন্য গেলে অবশ্যই তাদের ভাষা আপনার জানতে হবে। কিন্তু তাদের নিজেদের জন্য ব্যাপারটা সহজ কারণ তারা বুঝে তাদের নিজের ভাষায়। দুর্দান্ত গতিতে তারা শিখে এবং কর্মক্ষেত্রেও তারা দোর্দান্ড প্রতাপে কাজ করে যায়।

আমাদের গোলামের বাচ্চাদের আবার খালি সাদা-চামড়া প্রীতি-ই না তাদের ইংরাজী-ভাষা-প্রীতিও চরম। উচ্চশিক্ষার একটা জায়গায়ও আপনি ইংরাজী ছাড়া কিছু বুঝতে পারবেন না, এতে করে ভাষাগত বৈষম্যের কারণে আপনি এমনিতেই বুঝতে সময় নিবেন – এতে সময়ের যথেষ্ট অপচয়ও হয়। তারা/আমরা সবকিছু ইংরাজীতে পড়বো কিন্তু কুর’আনের ব্যাপারে আবার তরজমা করতে হবে আপনার, দেখেন কিরকম গোলামের বাচ্চা এগুলা, আরবীর প্রীতি নাই আছে ইংরাজীর, বাংলার ব্যবহার নাই আছে সে-ই ইংরাজীর-ই, আবার বলে আমাদের ভাষা শহীদ।

জাপান, চীন এরা ইংরাজীতে পড়তে পারতো না? অবশ্যই পারতো যেমন আমরা ঠেকে ঠেকে পড়ি। কিন্তু তারা এটা নিয়েও হিসেব করে – তারা দেখে ১ টা মানুষ সর্বমোট ৫০ বছর জীবন পেলে তার মোট সময় ১৮,২৫০ দিন (৩৬৫ এর হিসেবে) এবং ৪৩৮,০০০ ঘন্টা। এর অর্ধেক সময় ঘুম-খাওয়া-নাওয়া বাদ দিলে মাত্র ২১৯,০০০ ঘন্টা, এর মধ্যে ২০ বছর শিক্ষায় বাদ দিলে কর্মের সময় তারও অর্ধেক। এবার ঐ সময়ে কি শিখাবো এবং কি করাবো? কাজের জিনিস? নাকি ভিনদেশীর সাথে ভাব-বিনিময়ের ভাষা, যাদের সাথে সারাজীবনে তাদের ৯০% এর কখনও দেখা হওয়ারও সম্ভাবনা নাই? তারা বুঝলো যারা উন্নয়নের জন্য কাজ করবে তাদের কাজের শিক্ষাই আসল কারণ ভাব বিনিময়ের হারতো কম, তো কাজের শিক্ষা এবার কোন ভাষায় দিলে কম সময়ে বেশী শিখানো যায়? তারা হিসাব করে পেলো মাতৃ/পিতৃ ভাষা। তো বিদেশে যে নতুন জিনিস আবিস্কার হচ্ছে সেগুলা বুঝবে কিভাবে? তার জন্য অল্প কিছু বানায় তারা যারা শুধু খুজে বের করে অন্যদের নতুন জিনিস এবং আবার নিজেদের ভাষায় অনুবাদ করে যাতে – শিক্ষার্থী এবং কর্মীদের সহজে বুঝানো যায়। এভাবে তারা বিভাগ করে নিছে – যাতে একদলের কাজই থাকে খুজে বের করা-অনুবাদ করা (এবং খুব নগন্য সংখ্যা), আরেকদলের কাজ থাকে শিক্ষার্থীদের পড়ানো (এখানে প্রায় পুরো জনশক্তি-ই)। আর শিক্ষার্থীদেরও অন্য ভাষা শিক্ষার পিছে সময় নষ্ট হয়না, পুরো সময়টাই তারা কাজের জিনিস শিখে। কিন্তু আমাদের গোলামের বাচ্চাদের ইংরাজী না বললে তো জাত-কূল চলে যাবে নইলে তো মানুষ ক্ষ্যাত বলবে। এতে করে গোলামের বাচ্চারা নিজেরাও তাদের মূল্যবান কাজের/শিক্ষার সময় নষ্ট করে কাজের জিনিস বাদ দিয়ে ভাব-বিনিময় এর জিনিস শিখে আর অন্যদেরও সময় নষ্ট করায় এভাবে। এতে করে লাভ হয় কার? ঐ ইংরাজদের-ই, কিভাবে সেটা – আমরা কি শিখতেছি, কি করতেছি, কি রিপোর্ট করতেছি এবং কি বুঝাইতে চাচ্ছি তা তাদের জানার-বোঝার জন্য আমাদের ভাষা শিখতে হয় না, তাদের মাতৃ-পিতৃ ভাষায়ই পেয়ে যাচ্ছে এখানে, কিন্তু চীন-জাপানে এই চান্স পায় না তারা, ওদেরটা বুঝতে তাদেরও ঐ ভাষা শিক্ষার জন্য কামলা বানাতে হয়।

এছাড়া আরেক দিক – আমাদের শিক্ষা পুরাটা ধার করা, নিজেরা ঐটার উন্নয়নে কোন চেষ্টা করবে না, গোলামের বাচ্চারা হা করে তাকিয়ে থাকবে যে তাদের সাদা-বাবারা কি বই বের করলো বা কি করলো অতটুকুই ইমপোর্ট করবে এবং ঐটাই শিখবে এবং শিখাইতে থাকবে পরবর্তী সাদা-বাবাদের নতুন ডেলীভারী দেয়া ছাড়া, নিজেরা চেষ্টা পর্যন্ত করবে না, এবং তাদের গর্বে বুক ফুলে যায় যখন বলে আমরা ব্রিটিশ, ইউরোপিয়ান কিংবা আমেরিকান ষ্ট্যান্ডার্ড ইমপোর্ট করে পড়ী; অথচ লজ্জা পায় না তারা নিজেদের অযোগ্যতার ব্যাপারে।

আর ধর্মের ব্যাপার কি আর বলবো সেটা, ২০ বছর সময়ে যতো হাজার পৃষ্ঠা একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দেয়া হয় তার এক-ভাগ সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে সমস্ত স্কুলে কুর’আনের তালীম দিলে ১০০% মুসলামান আজকে হয়তো আল্লাহর রহমতে হাফেযে-কুর’আন থাকতো। যতোটা সময় ইংরাজি শিক্ষার পিছনে ব্যয় করে তার ২০ ভাগ সময় দিলে হাফেয হয়ে যেতো।

স্কুলে-কলেজে বাংলা-ইংরাজীতে যে কয়টা কবিতা শিখানোর পিছনে হাজার হাজার টিচার নিয়োগ দিয়ে রাখছে সে কয়টা হাফেয নিয়োগ দিলে সবাই সব সূরা মুখস্ত কইতে পারতো, আরও শিখতে পারতো নৈতিকতা এবং হইতো অনুশাশিত (পুলিশ-র‍্যাব লাগতো না শাসনের জন্য); আমরা কবিতা শিখাইয়া উদ্দীপ্ত করাইতে চাই কিন্তু সূরা শিখাবো না; অথচ একটা কবিতাও কর্মক্ষেত্রে কোন কাজে আসে না প্রলাপ বকা ছাড়া, শিখাইবো আজি হতে শতবর্ষ পরে ... আরে এইটা কি? এরকম আরও অনেক কিছু। এভাবে এই গোলামের বাচ্চারা আমাদের মূল্যবান সময় কেড়ে নিছে, শিখাইছে ফাও-প্রলাপ বকা, শিখাইছে নৈতিকতা বিহীন-আধুনিকতা; শিখায় নাই নৈতিকতা শিখায় নাই ধর্ম।

ফলতো কি হইছে? – হইছে সব গোলাম – চাকরীর নামে বিদেশীদের-কামলা দিয়া খায়। ইউনিভার্সিটিতে চুমাচুমি-জরাজড়ির রেকর্ড হয়, ছাত্ররা অস্ত্রবাজী করে, আরও কত কি? আর বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে আজও – আমরা শান্তির লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি, আমরা শান্তি দিয়ে যাচ্ছি। এর এসব কীত-পঙ্গের শাসনের জন্য কাজের লোকগুলাকে পুলিশ-র‍্যাব বানাইয়া ওদের-ই পোলাপান-ভাই-ভাইস্তাদের পিটাচ্ছে। পুরা সময়-ই আমাদের লস মূলত; কিন্তু গুনতেছি টাকা অনেক বেড়ে গেছে, নিশ্চয়ই লাভ হয়েছে। আসলে কিছুই হয় নাই; আরও অধঃপতন হইছে।

এসব আগাছাকে আগে-ভাগেই সমূলে নির্মূল না করলে বাংলাদেশ নামক ক্ষেতের (দেশের) ফসলের (মানুষের) ক্ষতি করে যাবে ... এরা দেশের মাটি কাইটা (সম্পদ নিয়া) অন্য দেশে পাহাড় (সম্পদ বিনিয়োগ) বানানোর কাজে লিপ্ত; এদের মেরে ফেলতে হবেই হবে .... অনেক ক্ষতি করছে এরা এবং এখনও করে যাচ্ছে ....
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৮
115162
আহমদ মুসা লিখেছেন : মাশায়াল্লাহ! অনেক বড় মন্তব্য লিখেছেন! মনে হয় আমার লিখিত ব্লগের চেয়েও আপনার মন্তব্যেটি বড় হবে। আপনার মন্তব্যের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্লেষণধর্মী বেশ কিছু পয়েন্ট সহজভাবেই তুলে ধরেছেন। আপনার এই বিশাল মন্তব্যের প্রতিটি পয়েন্টের সাথেই আমি একমত। আপনার প্রতিটি কথার সমর্থনমূলক কিছু লিখতে গেলে সারাদিন লিখেও শেষ করতে পারবো না। তবে সংক্ষেপে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার ব্লগটাতে এতো বড় একটি বিশাল মন্তব্যে দিয়ে ব্লগটির গুরুত্ব ও পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছেন। ইনশায়াল্লাহ ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরো কিছু লিখার ইচ্ছা জাগলে আপনার এই মন্তব্যে থেকে আমি রেফারেন্স সংগ্রহ করতে পারবো।
আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
১২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৭
116049
আবু সাইফ লিখেছেন : @ বুড়া মিয়া : সম্ভবতঃ এ পর্যন্ত করা আপনার সেরা মন্তব্য এটি - জাযাকাল্লাহ

157749
৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ রাত ০৮:০২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৯
115167
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি একটি রেডিমেইড মন্তব্যে দেয়ার জন্য। মনে হয় খুব ব্যস্থ সময় কাটান। তাই আমাদের মত অদমদের লেখা আপনাদের মত মহান ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে না।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৬
115179
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : খোচাইলেন ক্যান!!!
157787
৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ রাত ০৯:৫৩
শেখের পোলা লিখেছেন : আফসোস হয় আপনার এমন যুক্তিগুলো যদি আমাদের নীতি নির্ধারকরা এমন করে ভাবতো তবেই এর অবসান হত৷ তবে একদিন আসবেই ইনশাআল্লাহ যেদিন দু পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করবেনা ৷ধন্যবাদ৷
২৫ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
201704
আহমদ মুসা লিখেছেন : এখানেই আমাদের বুঝার মধ্যে গড়মিল রয়েছে। আমাদের নীতি নির্ধারণের দায়িত্বে যারা গদিতে বসে আসে তাদের অধিকাংশের বিশ্বাস হচ্ছে তাদের পূর্ব পুরুষ মানুষ ছিল না। বানর থেকেই হঠাৎ রূপ পাল্টিয়ে মানুষে পরিনত হয়েছে। তাই আজ দেখা যায় বাংলাদেশের আনাচে কানাচেঁ এসব বানরের বংশধরেরা মানুষের বংশধরদের উপর বন্য পশু ও হিংস্রা জানোয়ারের মত আচরণ করছে। তাদের হিংস্রতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না মানুষের বসতবাড়ি ঘর পর্যন্ত। আদম সন্তানদের নির্দয়ভাবে মেরে তাদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে ঘুড়িয়ে দিচ্ছে। কি হিন্দু কি মুসলিম- কোন ধর্মের বনি আদমই এসব বানরের সন্তানদের হাতে রেহাই পাচ্ছে না।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রকৃত মানবীয় শিক্ষা ব্যবস্থা তথা ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাখ এর আদলে তৈরী করতে হলে তথাকথিত নীতিনির্ধারক বানরের সন্তানদের আগে নির্মূলের উদ্যেগ নিতে হবে।
২৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:০২
201863
শেখের পোলা লিখেছেন : না ভাই, নির্মূল নয়,কোরআনের শিক্ষায় এদের ডোবাতে হবে৷ তার জন্য নিজেদের শক্ত করতে হবে আর আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে৷ আল্লাহই পারেন বানর কে মানুষ বানাতে৷
157942
০১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:১৫
সিকদারর লিখেছেন : আলেমরা দুনিয়া বিমূখ আর জালেমরা আখেরাত বিমুখ । এই আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা । দেশ স্বাধিন হয়েছে আজ চার দশক পার হয়ে গেছে । আজও আমাদের আলেম সমাজ দ্বীনের মূল্যবান বই গুলো বাংলা ভাষায় রুপান্তরিত করতে পারেন নি । যেখানে ইসলাম পারস্যে প্রবেশ করার পর পরই পারস্যবাসীরা দ্বীনি বই নিজেদের ভাষা প্রকাশ করেছে ও আরবী ভাষা অনুবাদ করে নিজেদের ভাষায় লিখেছে। এরপর উর্দু ভাষিরা তদ্রুপ করেছে । কিন্তু আমরা ...।
এবার আসি বাংলা শিক্ষিতরা এত ইংরেজী প্রীতি তাদের নিজেদের কথ্য ভাষাকেও বাংরেজী বানিয়ে ফেলেছে। ইংরেজী ভাষা অনুবাদত দুরের কথা ।
আমাদের এই বিদেশী প্রীতিই আমাদের আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে পংগু করে রেখেছে । এতটাই হীনমন্য জাতি আমরা বাংলাদেশীরা ভাষা, পোষাক-আষাক , খাওয়া-দাওয়া ,চলাফেরা সব কিছুতেই নিজেদের স্বকিয়তাকে ছুড়ে ফেলে কাকের লেজে ময়ুরের পেখম লাগানোর মত নিকৃষ্ট কাজ করতে এতটুকু দ্বিধাবোধ করছি না।
আপনার মুল্যাবান পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৬
115187
আহমদ মুসা লিখেছেন : আমার এই ব্লগের বিভিন্ন জনের মন্তব্যের উত্তর দিতে দিতে হাতের সময় একদম ফুরিয়ে গেছে। আপনার এই মন্তব্যের উত্তর এবং আপনার পোস্টে মন্তব্যে পরে করবো ইনশয়াল্লাহ। আপাততে আপনাকে একটু ব্যস্ত রাখার জন্য দুটো লিংক দিলাম। সম্ভব হলে ঘুরে আসুন।
পারিবারিক কাহিনীকে গল্পাকারে লিখেছিলাম
আরেকটি বাস্তব অভিজ্ঞতার কাহিনী
158015
০১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
ভিশু লিখেছেন : শিক্ষাব্যবস্থার উপর চমৎকার বিশ্লেষণ! মৌলিক শিক্ষা হওয়া উচিত অবশ্যই একমুখী এবং তাতে নিশ্চিতভাবে ধর্মীয় নুন্যতম ব্যাসিক থাকতে হবেই! তারপর ক্যারিয়ার চুজিং-এর ভিত্তিতে বহুমুখী বা বিশেষ শিক্ষার ধারা থাকা উচিত! এর ফলেই জীবন, সমাজ, ধর্ম, পরকাল, নীতিমালা, বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গির দিক দিয়ে সব পেশা ও স্তরের মানুষের মধ্যে সামগ্রিকভাবে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে এবং বজায় থাকবে!
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৫
116294
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার ব্লগটি পড়ে মন্তব্যে করার জন্য। মানুষের বুনিয়াদী শিক্ষা হওয়া উচিত “ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক” এর মৌলিক নীতিমালার উপর বৃত্তি করে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তার অন্যন্যা জাগতিক বিদ্যার্জনের প্রতি নিজস্ব রুচি ও নিজের জন্য যুক্তিসংগত মানানসই উপযুক্ত বিষয় চয়েস করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে যদি শিক্ষার্থীদের বুনিয়াদী শিক্ষা তার সৃষ্টার প্রতি আনুগত্যমূলক হয় তবে পরবর্তীতে তাকে সিরাতুল মোস্তাকিমের পথ থেকে সরানো সহজ হবে না তাগুতী শক্তি কিংবা শয়তানের ওসওয়া দিয়ে। আমাদের দেশের নতুন গজিয়ে উঠা নাস্তিক প্রজন্মের মধ্যে বেশীর ভাগই বাল্যকাল থেকেই ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণেই তাদের অন্তরে নেফাকত বাসা বাধতে পেরেছে।
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৫
116329
ভিশু লিখেছেন : সহমত...Happy
158268
০২ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:১৫
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার বিশ্লেষণমূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

একজন শিক্ষার্থী যদি শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই সম্মিলিত শিক্ষা পেয়ে শিক্ষিত হয় তবে সে সব বিষয়ে প্রকৃত জ্ঞানার্জন করেই জীবন গঠন করতে পারবে।

আমরা কি সেই ধরণের শিক্ষাব্যবস্থা আদৌ পাব???
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৯
115153
আহমদ মুসা লিখেছেন : অত্যন্ত প্রাসংগিক, জাতির চলমান সংকট ও অচলাবস্থার জন্যও দায়ী আমাদের তথাকথিত কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা ব্যবস্থার আলোকে নতুনভাবে গঠিত হওয়া নাস্তিক কবির চৌধুরীর তত্বাবধানে প্রণীত হওয়া শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে বাকশালী নাফরমান ও নীতি নৈতিকতাহীন মানুষের অভয়বে কিছু জংলী জন্তু জানোয়ার তথা ধর্ষণে সেঞ্চুরিয়ান, হাইজাকার, টেন্ডারবাজ, মান্তান, সন্ত্রাসী আর দুর্নীতিবাজ অমানুষই তৈরী হবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। তাই এসব বিপদ থেকে জাতির বভিষ্যৎ কর্ণধারদের রক্ষার জন্য আওয়ামী বাকশালী ইনডিয়ান গোলাম-দাসীদের খপ্পর থেকে উদ্ধার করতেই হবে। এদের হাতে আজ বাংলার স্বাধীনতা হুমকির সম্মুখীন। যে কোন উপায়ে এদেরকে উৎখাত করতেই হবে।

ইনশায়াল্লাহ যদি আমাদের বহুমুখী আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারি তবে অবশ্যই পূর্ব দিগন্তের উদিতব্য আগামীর সূর্যটা আমাদেরই হবে। তখনই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক এর আদলে প্রণীত করা হবে ইনশায়াল্লাহ।
১০
158290
০২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : চমৎকার বিশ্লেষণ।
তবে একটি ভালো শিক্ষাব্যবস্থা জাতিকে উপহার দিতে হলে জাতির ঘাড়ে সওয়ার হওয়া বাকশালী ভূতকে বিদেয় দিতে হবে।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩১
115151
আহমদ মুসা লিখেছেন : অত্যন্ত প্রাসংগিক, জাতির চলমান সংকট ও অচলাবস্থার জন্যও দায়ী আমাদের তথাকথিত কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা ব্যবস্থার আলোকে নতুনভাবে গঠিত হওয়া নাস্তিক কবির চৌধুরীর তত্বাবধানে প্রণীত হওয়া শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে বাকশালী নাফরমান ও নীতি নৈতিকতাহীন মানুষের অভয়বে কিছু জংলী জন্তু জানোয়ার তথা ধর্ষণে সেঞ্চুরিয়ান, হাইজাকার, টেন্ডারবাজ, মান্তান, সন্ত্রাসী আর দুর্নীতিবাজ অমানুষই তৈরী হবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। তাই এসব বিপদ থেকে জাতির বভিষ্যৎ কর্ণধারদের রক্ষার জন্য আওয়ামী বাকশালী ইনডিয়ান গোলাম-দাসীদের খপ্পর থেকে উদ্ধার করতেই হবে। এদের হাতে আজ বাংলার স্বাধীনতা হুমকির সম্মুখীন। যে কোন উপায়ে এদেরকে উৎখাত করতেই হবে।
১১
158291
০২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
ববি_জি লিখেছেন : সুন্দর একটি লেখা। ধন্যবাদ লেখককে।
পরবর্তিতে ব্লগ ফেইসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে এ ধরনের লেখা আশা করছি।
Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:২২
115147
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ পড়ে উৎসাহমূলক মন্তব্যে দেয়ার জন্য। ইনশায়াল্লাহ নিয়মিত লেখার চেষ্টা করবো। আপনারা আন্তরিকভাবে দোয়া করবেন। ইদানিং ব্লগে লিখতে পারলেও ফেইসবুকে ঢুকতে নানান ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছি না এসব ঝক্কি ঝামেলা কেন হচ্ছে এবং কাদের কারণে হচ্ছে।
১২
158293
০২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
আয়নাশাহ লিখেছেন : সুন্দর যুক্তি লেখাটা সমৃদ্ধ করেছে। ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষা পদ্ধতির কারণেই আজ আমাদের সমাজটা বিভক্ত। একই পরিবারের দুই ছেলের একজন মাদ্রাসায় পড়ে আর অন্যজন সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়। পড়া শেষ করার পর উভয় ভাইএর চিন্তা, কাজ, চলাফেরা, কথাবার্তা, পোষাক আসাক, লেন দেন এমনকি পরিবারের সাথে আচরণও ভিন্ন হয়ে যায়। মাদ্রাসা শিক্ষিত ভাই নিজের সহোদর ভাইকে ঈমান হীন, বেয়াদব, আখেরাত বিমুখ ভাবলেই সে যেহেতু টাকা কামাই ভাল করতে পারে সেজন্য তাকে কিন্তু সমিহ করে। অপর দিকে সাধারণ শিক্ষিত ভাইটি মাদ্রাসা শিক্ষীত ভাইকে নিষ্কর্মা, উজবুক, সেকেলে ভাবে এবং তাকে পাত্তাই দেয়না। সাথে সাথে পরিবার,আত্নিয় সজন এবং সমাজ সংসার থেকেও উভয় ভিন্ন ভিন্ন আচরণ পায়। অথচ একই মায়ের উদর থেকে একই পরিবার থেকে বের হও্য়া দুই ভাই এর মাঝে কোনো ব্যবধান হও্য়ার কথা ছিলনা। একমাত্র শিকষা ব্যাবস্থার কারণে আমাদের দেশের মানুষকে দুইটা আলাদা শিবিরে বিভক্ত করে দিয়েছে।
শিক্ষা নিয়ে কথা বলতে গেলে আপনার লেখার চেয়ে বড়ো হয়ে যাবে। এনশা আললাহ আরেকদিন বলবো।
সুন্দর একটা টপিক নিয়ে যৌক্তিক লখা পড়ে ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
115130
আহমদ মুসা লিখেছেন :
একই পরিবারের দুই ছেলের একজন মাদ্রাসায় পড়ে আর অন্যজন সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়। পড়া শেষ করার পর উভয় ভাইএর চিন্তা, কাজ, চলাফেরা, কথাবার্তা, পোষাক আসাক, লেন দেন এমনকি পরিবারের সাথে আচরণও ভিন্ন হয়ে যায়। মাদ্রাসা শিক্ষিত ভাই নিজের সহোদর ভাইকে ঈমান হীন, বেয়াদব, আখেরাত বিমুখ ভাবলেই সে যেহেতু টাকা কামাই ভাল করতে পারে সেজন্য তাকে কিন্তু সমিহ করে। অপর দিকে সাধারণ শিক্ষিত ভাইটি মাদ্রাসা শিক্ষীত ভাইকে নিষ্কর্মা, উজবুক, সেকেলে ভাবে এবং তাকে পাত্তাই দেয়না। সাথে সাথে পরিবার,আত্নিয় সজন এবং সমাজ সংসার থেকেও উভয় ভিন্ন ভিন্ন আচরণ পায়। অথচ একই মায়ের উদর থেকে একই পরিবার থেকে বের হও্য়া দুই ভাই এর মাঝে কোনো ব্যবধান হও্য়ার কথা ছিলনা।

দারুণ সুন্দর মন্তব্যে করেছেন ভাইজান। আপনি একেবারে আমার মনের কথাটাই সুন্দর ও সহজভাবে তুলে ধরেছেন অল্প কথায়। আপনার এই মন্তব্যে নিয়েও সুন্দর একটি ব্লগ পোস্ট করা যায়। সম্ভব হলে আপনি এ বিষয়ে বিস্তারিত একটি লেখা পোস্ট করতে পারেন। তাতে অন্তত আমাদের সমাজের কিছু মানুষ তো সচেতন হওয়ার অথবা কারো দৃষ্টিশক্তি খুলে যাওয়ার সুযোগ হবে হয়তো।
১৩
158939
০৪ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
আলোর কাছে বাঁধা আমি লিখেছেন : ভাইয়া আপনি কমেন্টের জবাব দেন না দেখছি-- কিছু লিখব কিনা ভাবছি -- পাও না হইয়া যায় আবার - তাই চুপ Yawn Yawn Yawn
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪১
115129
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনার অভিযোগ সঠিক নয়। আমি চেষ্টা করি প্রত্যেক মন্তব্যকারীর উত্তর দিতে। হয়তো কোন কোন ব্লগের বিভিন্ন জনের মন্তব্যের উত্তর দিতে সংগত কারণে একটু দেরী করি। আমার এই ব্লগটিও এমন একটি বিষয়ের উপর যেখানে বিভিন্ন পাঠক নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে তার মতমত তুলে ধরবেন মানুষ হিসেবে অজানাকে জানার পদ্ধতি ও পথ কোনটি হওয়া উচিত, কেমন হওয়া উচিত, কিভাবে হওয়া উচিত, কেন হওয়া উচিত, প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রের কি সুবিধা ইত্যাদি। জ্ঞানার্জনের এবং অর্জিত জ্ঞান মানুষকে তার মানবীয় গুনাবলির পূর্ণাঙ্গ বিকাশ সাধনের ক্ষেত্রে সঠিক পন্থা কোনটি সে বিষয়েই আমি পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
এখন তো আপনার মন্তব্যের উত্তর দিলাম। বরং আমার উত্তরটা কিন্তু আপনার মন্তব্যের চেয়েও অনেক বড়। এবার তাহলে প্রাসংগিক বিষয়ে আপনার মতামত জানায়ে মন্তব্যে করবেন আশা করছি।
১৪
159559
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০২
শারমিন হক লিখেছেন : সুন্দর যুক্তি সমৃদ্ধ লেখা।তিন -চার ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থায়ই আমাদের সমাজটাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে একথা নিঃসন্দেহে বলা চলে।ভালো লাগল ।ধন্যবাদ চমৎকার বিশ্লেষণ ধর্মী লেখা পোস্ট করার জন্য।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৭
115135
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও নব বর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সোহেল ভাইয়ের বদৌলতেই আমি হিজরী সন এবং ঈসায়ী সনের সুন্দর একটি সমম্বয়মূলক যুক্তি সংগত পদ্ধতির কোরআনে নির্দেশিত ইঙ্গিতের আলোকে গানিতিকভাবে সহজবোধ্যভাবে ব্যাখ্যা পেয়েছি। আপনাকে এবং সোহেল ভাইকে আবারো মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
শিক্ষার এই বহুমুখী ব্যবস্থার কারণেই পরিবার, সমাজ ও দেশ আজ চরম খেসারত দিচ্ছে।
১৫
159639
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮
ইকুইকবাল লিখেছেন : আপনার লেখা ভাল না হয়ে পারে?
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০৪
115137
আহমদ মুসা লিখেছেন : আমি বুঝতে পারছি না আপনি আমার ব্লগটি পড়ে মন্তব্য করলেন নাকি পড়ার লিংক দিয়েছি বলে খামোখা সৌজন্যতাবশত একটি হঠাৎ মন্তব্য চালিয়ে দিলেন! আমার লেখা হলেই যে ভাল হবে তা-ই বলি কোন যুক্তিতে? এই ব্লগ সাইটে অনেক বিখ্যাত লেখক আছেন যাদের ছাত্র হওয়ার যোগ্যতা না থাকলেও উন্মুক্ত ফোরামে তাদের পোস্টৃকত লেখালেখির কারণে অনেক কিছুই শিখতে পারছি আমি।
আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি মন্তব্যে করার জন্য। আরো ভাল হতো যদি প্রাসংগিক বিষয়ে আপনার মূল্যবান মতামতযুক্ত মন্তব্যটা পেতাম।
১৬
159660
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৭
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : দ্বিমতের অবকাশ নেই। শুধু যোগ করতে চাই, প্রকৃত ইসলামী শিক্ষা বাংলাদেশ নয়, সমগ্র উম্মার কথাই চিন্তা করবে।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০৯
115138
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ব্লগটি পড়ে মন্তব্যে করার জন্য। প্রকৃত ইসলামী শিক্ষা বাংলাদেশ নয়, সমগ্র উম্মাহর কথাই শুধু নয় বরং গোটা মানব জাতির কথাই চিন্তা করতে শিখাবে। ইসলামী শিক্ষা এবং সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার সমন্বয়ে যদি একটি শিক্ষা ব্যবস্থা এই ধরনীতে সর্বাত্বকভাবে চালু করা যায় তবেই পৃথিবীর মানুষের স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
১৭
159719
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩৫
সায়িদ মাহমুদ লিখেছেন : কিছুটা হলেও আলল জিনিসটা নোটিফাই করতে পেরেছেন ভাইয়া, ভাল লেগেছে সাথেই আছি চালিয়ে যান ভাইজান।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:১১
115140
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছেন বলে। ইনশায়াল্লাহ এভাবে আপনাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পেলে নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে যেতে পারবো। দোয়া করবেন যেন ভাল কিছু লিখতে পারি।
১৮
159901
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : সত্যিই সমাজকে সজাক করার মত একটি লিখা।
আসলে আমাদের সমাজের প্রতিটি শিক্ষাই যেন অপরিপক্ক এবং অসম্পূর্ণ। যেমন যারা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত তারা দ্বীনের ক্ষেত্রে অনেকটা অজ্ঞ। আবার যারা দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত তারা আবার সাধারণ জ্ঞানের অজ্ঞ বিশেষ করে ভাষার জ্ঞান তাদের নেই বললেই চলে।
আবার সাধারণ শিক্ষাই শিক্ষিত তারা মনে করে দ্বীনের ক্ষেত্রে ধাবিত হওয়াটা আমাদের জন্য কাম্য নয়। আবার যারা দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত তাদের অনেকের ধারণা যে, সাধারণ শিক্ষা গ্রহণ করাটা শরীয়ত বিরোধী।
তবে আমাদের সমাজে অনেক এমন শিক্ষিত লোকও পাওয়া যায়, যাদেরকে আমরা প্রকৃত শিক্ষিত বলতে পারি। তারা দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত এবং সাধারণ শিক্ষাতেও শিক্ষিত। অর্থাৎ তারা দ্বীনি মাদ্রসায় লেখা-পড়া করেছেন এবং সরকরী মাদ্রাসাতেও শিক্ষা গ্রহণ করেছেন এবং সাধারণ শিক্ষাও গ্রহণ করেছেন। তবে তাকে কত যে পরিশম করতে হয়েছে, তা আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন।
আমাদেরকে শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে ঢেলে সাজিয়ে সকল বিষয়কে সমন্বয় করে সমাজকে উপহার দিতে পারলেই ব্যক্তি, সমাজ, দেশ ও জাতি খাটি সোনায় রূপান্তরিত হবে।

ভাই আহমদ মুসা! আপনার লেখাটি যে সমাজকে অনেকটা সজাত করে তুলেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সুস্থ রাখুন, আপনার বয়স, সন্তান, সম্পদ ও আমলে আল্লাহ তায়ালা বরকত দান করুন। আমীন
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:১৯
115146
আহমদ মুসা লিখেছেন :
আমাদেরকে শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে ঢেলে সাজিয়ে সকল বিষয়কে সমন্বয় করে সমাজকে উপহার দিতে পারলেই ব্যক্তি, সমাজ, দেশ ও জাতি খাটি সোনায় রূপান্তরিত হবে।

খুব সুন্দর মন্তব্যে করেছেন। আমিও সেটাই ইংগিত করতে চেষ্টা করেছি। দ্বীনি শিক্ষা এবং সাধারণ শিক্ষার সমন্বিত প্রচেষ্ঠার মাধ্যমেই জাতি যেমন খাটি সোনায় পরিনত হবে তেমনি পারলৌখিক জীবনেও মুনিবের দরবারে জবাবদিহিতার উপযোগী মননশীল জীবনবোধ রচনা করতে স্বার্থক ও সফল হবে। আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার লেখাটি পড়ে মন্তব্যে করার জন্য। অনেক দিন আপনাকে ব্লগে দেখা যায়নি। আশা করছি এখন থেকে নিয়মিত আপনার লেখা থেকে আমরা বঞ্চিত হবো না। ভাল থাকুন- আপনার সার্বিক সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
১৯
160207
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৩৮
মহি১১মাসুম লিখেছেন : আহমদ মুসা ভাই বিশ্লেষনধর্মী লিখাটির সাথে অনেকাংশে একমত। সত্যিই বলেছেন বহুমুখী শিক্ষার ফলে মনন জগতে তৈরী হয় বিভাজন,আর জাতি কোন ধরনের সংকটে পড়লে এই বিভাজন বিভীষিকা রূপ ধারন করে ।
শিক্ষা ব্যবস্থার যে বিশ্লেষন তুলে আনলেন তাতে বৃটিশ পূর্ব,বৃটিশ পরবর্তী দুই ধাপেই মূলতঃ দেখিয়েছেন।
এটা ঠিক একমুখী শিক্ষা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে। সংকট নিরসন সহজ হয়। মূল বিবেচনার বিষয় হচ্ছে আমরা কী বৃটিশ পূর্ব চেতনায় ভর করে একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিব নাকী আমাদের স্বাধীনতা থেকে অর্জিত চেতনাকে অগ্রাধিকার দিব ?
আমার বিবেচনায় স্বাধীনতা যেহেতু আমাদের রক্তার্জিত অর্জন,সেহেতু এই চেতনা অগ্রাধিকীকারের দাবী রাখে।
এক্ষেত্রে আমার ব্যাক্তিগত অভিমত হচ্ছে-প্রথমতঃ ধর্মশিক্ষার হাতে খড়ি মক্তব/মন্দির/গৃহ/অন্যান্য ব্যবস্থাপনায়। দ্বিতীয়তঃ দশম শ্রেনী পর্যন্ত সকল ধর্মের নৈতিক আদর্শিক দিক গুলোকে সমন্বিত করে একটি পাঠদানের ব্যবস্থা করা । তৃতীয়তঃ একাদশ দ্বাদশে ছাত্র/ছাত্রীর ইচ্ছানুযায়ী সাধারন শিক্ষার পাশাপাশি তার পছন্দের ধর্ম শিক্ষার গুরুত্ব বাড়ানো। চতুর্থতঃ অনার্স ও উচ্চতর পর্যায়ে ছাত্র/ছাত্রীর ইচ্ছানুযায়ী- ধর্ম, জ্ঞান -বিজ্ঞানের যে কোন শাখায় গবেষনার ব্যবস্থা রাখা।
এবং শিক্ষার প্রথম থেকে শেষ স্তর পর্যন্ত আমাদের ঐতিহ্য ও স্বাধীনতার ইতিহাস বাধ্যতামূলক রাখা ।
যাহোক,পড়ার অনুরোধ রাখায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
২০
161292
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২২
নেহায়েৎ লিখেছেন : আপনার এই জ্ঞানগর্ভ লেখায় মন্তব্য করার মতো যোগ্যতা আমার নাই। এক কথায় শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে অসাধারণ বিশ্লেষণধর্মী একটি লেখা। কিছু বানান ভুল আছে। তবে আরো একটু ঘষা-মাজা করে এরকম গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রবন্ধ নিয়ে একটি বই প্রকাশের উদ্যোগ নিলে জাতি অনেক উপকৃত হবে।
২১
161321
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:১৭
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : স্যার আপনি অনেক সুন্দর বলেছেন। আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজের দুটি রূপ আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে। প্রথমত যারা মাদ্রাসা শিক্ষিত, তাদের বিরাট একটা অংশ দুনিয়া বিমুখ- অর্থাৎ জাগতিক বেশির ভাগ বিষয়ে তারা নিরব। অন্য আরেকটি রূপ যারা বলতে গেলে প্রায় দ্বীনি শিক্ষা বর্জিত, অতিরিক্ত জাগতিক।
এই দুই শ্রেনির ‍মাঝে একটি বিরাট ব্যবধান থাকার ফলে আমাদের দেশের আর্তসামাজিক অবস্থায় বিরাট একটা বিশৃংখলা বিদ্যমান। এই বিশৃংখলা থেকে মুক্তির জন্য আমার ছোট মাথায় যা আসছে তা এ ভাবে বলতে পারি-
এই দুই শ্রেণির মাঝে বিশাল তফাৎটি কমিয়ে একটি সামাঞ্জস্যবিধ‍ান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বলা যত সমহ কাজটা অনেক কঠিন। আমাদের দেশের উঁচুস্তরের মানুষগুলোকেই এই পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা এ কাজটি করতে পারবে, আমি বলবো তারা বাংলাদেশের জন্য বিশাল কিছু করবে বলে -ইতিহাসে উল্লেখিত হবে।
ধন্যবাদ স্যারকে সুন্দর এই লেখাটির জন্য
২২
161790
১২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৮
সালাম আজাদী লিখেছেন : আহমাদ মূসা আমার প্রিয় ব্লগার। বুঝলাম না কখন এই লেখাটা আমার চোখের সামনে থেকে চলে গেছে। আসলে শিক্ষা ব্যাবস্থার এই বিভাজন শেষ করা যেত কুদরাত-ই খুদার শিক্ষা কমিশানের সাজেশানের ভিত্তিতে, যেখানে এক মুখী শিক্ষা ব্যাবস্থার একটা সুন্দর রূপরেখা দেয়া হয়। শুধু মাত্র ধর্মীয় ব্যাপারে তাদের চিন্তাটা বাদ দিলে আর সব গুলোই ছিলো এদেশের মানুষদের কে একমুখী করার ভালো একটা প্রচেষ্টা। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। এখন যা হয়েছে তা আগের চেয়ে আরো খারাপ।
আরো একটা দিক হলো আমাদের আলিম সমাজের কাছ থেকে যে শিক্ষা সংস্কারের প্রপোজাল আমরা দেখেছিলাম তাও কিন্তু অনেক ভালো ছিলো, কিন্তু 'হুজুরেরা আর কি জানে' মানসিকতা ও তাদের অতি ইসলামিকতা ও সেই প্রপোজাল কে কাজে লাগাতে দেয়নি।
আরো ভয়াবহ ব্যাপার হলো আমাদের জাতীয় কোন শিক্ষা নীতি আজো পর্যন্ত চুড়ান্ত ভাবে কিছুই নেয়া হলো না। যেদল যেভাবে আসতেছে তারা তাদের মত একটা নীতি মালা তৈরী করছে যা গোটা বাংলাদেশের ঐকমত্য হয় না।
সুন্দর একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় আমহমাদ মূসা
২৩
162037
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩৩
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : জনাব আহমদ মূসা ভাই, আপনার গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি গুরুত্বের সাথে পড়েছি। আপনার সব বক্তব্য ও দাবীর সাথে একমত পোষণ না করলেও আমাদের প্রচলিত সামাজিক প্রেক্ষাপটে আপনার অনুভূতির বিষয়ে অনুধাবন করতে পারছি। শিক্ষাব্যবস্থার অসমন্বয় আমাদের সোসাইটিকে যে বিভক্তির দেয়ালে আবদ্ধ করে ফেলেছে সে বিষয়ে বোধ করি কারো দ্বিমত পোষণ করার সুযোগ নেই। তবে এ কথা ঠিক যে, সমস্যাটা অনেক গভীরের এবং সহসা এ থেকে উত্তরণের উপায় দেখি না। নৈতিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে এবং একই সাথে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য দুরদর্শিতাসম্পন্ন ও সর্বসম্মত জাতীয় শিক্ষানীতি অপরিহার্য। কিন্তু বিরাজিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সে একতাবদ্ধ চিন্তার প্রতিফলন স্বপ্নের মতোই কল্পনা মনে হয়। তবু আমরা হাল ছাড়ব না, আশাহতও হব না। অাপনার উপলব্ধি ও বিশ্লেষণকে সুস্বাগত জানাই। চমৎকার লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
২৪
162112
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১৫
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সহমত। আসলে যে কোনো দেশের সার্বিক উন্নতির অন্তরায় হল তার একাধিক রকমের শিক্ষা ব্যবস্থা। যারা এটা করেছিল তারা তাদের নিজেদের দেশে এরূপ শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেনি। এতে একই দেশে বসবাসকারী মানুষেরা পরষ্পর বিরোধী হয়ে বেড়ে ওঠে। উম্মাহ একটি দেহের মত,এই অনুভূতির অন্তরায় হল এই শিক্ষা ব্যবস্থা। আমাদের চিন্তা,মানুষিকতায় পুরোপুরি ইসলাম নেই আবার কুফরও নেই,ফলে আমরা পাশ্চাত্যের মত অর্থনৈতিক,প্রযুক্তিক উন্নতিও লাভ করিনা আবার পূর্বের স্বর্ণালী যুগের ইসলামী সভ্যতার বিকাশও ঘটাতে পারিনা। এতে আমরা সামাজিক,রাজনৈতিক,অর্থণেতিক ও প্রাযুক্তিকভাবে পেছনে পড়ে রয়েছি। মুসলিম ইসলামের আলোকে শিক্ষা গ্রহন করবে এবং তখন তার জ্ঞান বিজ্ঞান সাধনা পুরোপুরি মানবতার জন্যে ব্যয়িত হবে। এর মধ্যেই কল্যান তার এবং জাতির।
২৫
162235
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০৬
এনামুল মামুন১৩০৫ লিখেছেন : আহমদ মুসা ভাই, আপনার লেখার লিঙ্কটা আমাকে ফেসবুকের ইনবক্সে শেয়ার করেছিলেন।
আমি তখন পডেছি, ভালোই লাগলো, আপনার লিখার হাত কিন্তু জটিল। আশা করি মিস করবেননা। Good Luck Good Luck
আমি ব্যাস্ততার কারনে ব্লগে মন্তব্য করতে পারিনি।
একটা জিনিস আমার কাছে ভালই লাগলো। ব্রিটিশদের ইতিহাস। অজানা কিছু জানলাম।
Good Luck
আসলে ভাই আমাদের বর্তমান যে শিক্ষা ব্যাবস্তা, তা থেকে প্রতিটা মানুষ শুয়োর হয়ে বাহির হচ্ছে যেন।
যে শিক্ষা ব্যাবস্থায় সৃষ্টিকর্তাকে চিনাতে ব্যার্থ. সে শিক্ষা ব্যাবস্থা কতটা গ্রহনযোগ্য?
আরেকটা কথা সিটিজিবিডি২৪ ভাইর একটা মন্তব্য- সুশিলরা নাপিত।
বাস্তবাতা হলো আমাদের এই সুশিল নামে শয়তান গুলাকে আগে রিপেয়ার করতে হবে।
আমাদের সুশিলদের কথা আর কি বলবো, তারা সব লুইচ্ছার গুষ্টি।

পিলাচ অনেক ধন্যবাদ
২৬
164006
১৮ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৯
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : [i]মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের মধ্যে একটি বিশাল অংশের মধ্যে এক ধরনের হীনমন্যতাবোধ কাজ করছে। তাদের জীবনে কিছুটা নৈতিকতাবোধের চর্চা থাকলেও দেশ ও সমাজকে নৈতিকতার মানদন্ডে দিক নির্দেশনা দিয়ে পরিচালনা করা ও নেতৃত্ব দেয়ার মানসিকতা লোভ পেতে বসেছে।

এসব মাদ্রাসা শিক্ষিতরা মানব জীবনের বিভিন্ন সাইট ও দিকের প্রতি বেখবর। ক্ষেত্র বিশেষে উদাসীনও বটে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতার পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে অতি নিস্কলুষ ও পরিচ্চন্ন জীবন যাপনকারী হিসেবে মনে করেন নিজেদেরকে। অথচ মানুষ মাত্রই জীবন চক্রের বাকে বাকে নীতি নৈতিকতা ও সার্বিক জীবন ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে জীবন ধারণ ও চালনের প্রতিটি উপদানই সম্পর্কযুক্ত।[/i

আপনার উপরের উদৃতি ছাড়াও সকল বিষয়ে আমি একমত। আমি যা চিন্তা করি আপনার লিখলীনে তার অনেক গুলো এসে গেছে।

মূলত শিক্ষা মধ্যে, দুনিয়াবী জ্ঞান, মানবতার জ্ঞান এবং আত্মা পরিশুদ্ধিতার জ্ঞান থাকতেই হবে। শুধুমাত্র দুনিয়াবী জ্ঞান নিয়ে ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ার, ব্যরিষ্টার হলে তারা হবে কতগুলো মডারেট জানোয়ার। এদের দ্বারা কেউ উপকৃত হয়না, হওয়া সম্ভবও নয়।
২৭
164476
১৯ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৮
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : সুতরাং মাদ্রাসা শিক্ষা এবং এবং সাধারাণ শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে যতদিন পর্যন্ত এই জাতির শিক্ষা নীতি প্রনীত না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা একটি প্রকৃত স্বাধীনচেতা দেশের নাগরিকের মর্যাদা লাভ করতে পারবো না। ততদিন পর্যন্ত এই জাতির প্রকৃত অর্থেই ভাগ্যের কোন উন্নতি হবে না। শিক্ষা ব্যবস্থা হতে হবে একমূখী। একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা চাই ধর্মীয় বিষয়ে যেমন বিশেষজ্ঞ তেমনি জ্ঞানের অন্যন্যা শাখাতেও বিশেষজ্ঞ ও প্রফেশনাল তৈরীর সমন্বিত ব্যবস্থা।
-আপনার সাথে একমত পোষন করছি ।
২৮
165694
২২ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:০৯
আবু আশফাক লিখেছেন : সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আমাদের দেশের সুশীল সমাজেরা কোন দিনই মাদ্রাসা শিক্ষা এবং এবং সাধারাণ শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে নতুন শিক্ষাণীতি প্রনয়ন করবে না। আমাদের দেশে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতরা আলেম সমাজের পিছু লেগে আছে। ওরা চায় না এই আলেম সমাজ দেশের জন্য ইসলামের জন্য কিছু করুক। কিন্তু যখনই বিপদে পড়বে আলেমের কাছে ছুটে যাবে। সুন্দর পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৯
170221
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : very thinkable & important topics.
Because when i try to admit my little boy ..i donot find any up to mark school where balance the religious-modern education.Also the schooling system is very poor.
Really i fedup who i can teach my boy good citizen with proper religious flavor.
৩০
170269
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
ইসতিয়াক লিখেছেন : Good Luck Good Luck Thumbs Up Good Luck Good Luck Good Luck

একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা চাই ধর্মীয় বিষয়ে যেমন বিশেষজ্ঞ তেমনি জ্ঞানের অন্যন্যা শাখাতেও বিশেষজ্ঞ ও প্রফেশনাল তৈরীর সমন্বিত ব্যবস্থা।
বিশ্লেষণমূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আল্লাহ আপনাকে আরও ভাল লেখার তৌফিক দান করুক। আমিন।
৩১
231030
০৫ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৬
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : একমুখি শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে কি বুঝায়? এর ব্যাখ্যা কী?
আমরা তো শুধু বলতে বলতে শেষ। বৃটিশ চলে গেছে কত বছর। কেন তাদের মানসিক গোলাম হয়ে আছি।
আমি ইসলাম পন্থী।কিন্তু আমার ছেলেকে আমি তাকে কোন শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াবো বলূন। বর্তমান সবাই কি করছে।
ভাই জান আমার মনে হয় - একটা মডেল থাকা চাই। সেই মডেল ৫৪ টি মুসলিম দেশ করতে পারলো না?
৩২
239575
২৮ জুন ২০১৪ সকাল ১১:২৯
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : এ ব্লগটিতে অনেক বার এসেছি আজকে আরেকবার আসলাম।
খুব বিশ্লেষণধর্মী লেখা তাই বারবার মন্তব্য করতে গিয়েও থেমে যেতাম।
কারন জ্ঞানের স্বল্পতা।
তাড়পরও বলছি কিছু সেটা হলো আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা যেমন আছে তারমধ্যেও আল্লাহ কল্যান রেখেছেন।
জাজাকাল্লাহ । ভাইয়া সুন্দর লিখাটির জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File