আওয়ামী গীল সরকার অন্তিম মুহুর্তে যতই চল চাতুরী করুকঃ শেষ রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ১০ অক্টোবর, ২০১৩, ০৪:৩৪:৪১ বিকাল
চট্টগ্রামের একটি কাউমী মাদ্রাসায় কম্পিউটারের ইউপিএস ব্লাস্টের ঘটনাকে যেভাবে অতিরঞ্চিত করে তিলকে তাল করা হচ্ছে তা সচেতন মানুষের কাছে ধরা পড়ে গেছে। এ নিয়ে আওয়ামী প্রচারযন্ত্র ও জন্ডিস আক্রান্ত মিডিয়াগুলোর গোয়েবলসীয় প্রচারণা হালে পানি পাচ্ছে না। ক্ষমতার অন্তিম মুহুর্তে এসে কুরসিকে অক্টোপাসের ন্যায় আকড়ে থাকার জন্য কোন প্রচেষ্টাই সফল হওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। সব নাটকই নাটক হিসেবে দেখছে জনগণ। তার বাস্তবরূপ দেয়া সম্ভব হবে না আওয়ামী লীগের পক্ষে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারের নেতৃত্বধীন নির্বাচন কোন অবস্থাতেই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার সম্ভবনা নেই। বিগত পাচঁটি বছর দেশ পরিচালনা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে একের পর এক দেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পঙ্গু করে দেয়ার ধারাবাহিক কর্মসূচী হাতে নিয়ে জাতির অস্থিস্ত বিনাসী সব কাজই করে গেছে। ক্ষমতায় আসার মাত্র দেড় মাসের মাথায় জাতির গর্ব বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়ার জন্য পিলখানা ম্যাসাকার সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশপ্রেমিক আর্মি অফিসারদের জীবন রক্ষার জন্য কোন কার্যকর উদ্যেগ নেয়নি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ তুলেছে যে, দেশপ্রেমিক আর্মি অফিসারদের নিশ্চিন্ন করে দেয়ার মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা নিয়ে দেশকে তাবেদার রাজ্যে পরিনত করার। সেনাবাহিনীকে ইনডিয়াবান্ধব মনোভাবাসম্পন্ন করার জন্য নানান ধরনের কর্মসূচী হাতে নিয়েছে আওয়ামী সরকার।
দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে লোটপাট করে পঙ্গু করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। শেয়ারবাজারে আওয়ামী দলীয় শকুনদের মাধ্যমে শোষণ করে তেত্রিশ লক্ষ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে এবং তাদের উপর নির্ভরশীল আরো এক কোটি মানুষকে পথের ভিখারী করেছে বর্তমান সরকার।
পদ্মাসেতুসহ দেশের বড় বড় নির্মাণ প্রজেক্ট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা দূর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছে এই সরকারের চত্র ছায়ায় থেকে দেশের শত্রু মহা দূর্নীতিবাজ হোমরা চোমরারা।
গার্মেন্ট সেক্টরে পরিকল্পিতভাবে অরাজকতার ইন্দন যুগিয়ে দেশীয় শিল্পকে ধ্বংশ করে প্রতিবেশীদের হাতে এই শিল্পকে তুলে দেয়ার আয়োজন করেছে আওমী সরকারের আর্শিবাদপূষ্ট ভিনদেশী তাবেদারেরা।
দেশকে দূর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিনত করে বিশ্বে রেকর্ড করেছে বর্তমান সরকার।
প্রতিবেশী ব্রাহ্মণ্যবাদী ও স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিস্থবিনাসী ইনডিয়ান দাদাবাবুদের প্রেশক্রিপ্শন নিয়ে দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ ও মুসলিম উম্মার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করার যাবতীয় আয়োজন করেছে তীব্র গনবিরোধিতা সত্বেও।
দেশের যাবতীয় মাস্তান, সন্ত্রাসী, ইভটিজার, নারী প্রচারকারী, ধর্ষকে সেন্সুরিয়ান, চোর-ডাকাত, খুণী, ঘৃণ্য অপরাধীদের দলীয় আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে করে তুলেছে ভয়াবহ অতিষ্ঠ।
জনবিচ্চিন্ন সরকারের রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় চোর ডাকাতদেরকে পুলিশের পোষাক পড়িয়ে লাইসেন্সধারী সন্ত্রাসী হিসেবে ব্যবহার করে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা ও মেধাবী ছাত্রদের উপর নির্যাতন চালিয়ে সাধারণ জনগনের প্রতিপক্ষ বানিয়ে গোটা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিতর্কিত করার সব ব্যবস্থাই করেছে আওয়ামী সরকার। কিছু গুন্ডা আর বদমাইশ টাইপের মানুষ পুলিশি চাকরীকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ধরাকে সরা জ্ঞান করে অনেক সম্মানিত ব্যক্তিকে হেনস্তা করেছে। তখন তাদের হুশ ছিল না যে বাঘের বল বার বছরের বেশী থাকে না। প্রত্যেক কিছুর একটি শেষ সীমা থাকে। কিন্তু এরা সীমা লঙ্গণ করে চরম দৃষ্টতা দেখিয়েছে।
এক কথায় অসংখ্যা দেশপ্রেমিক শহীদের রক্তে অর্জিত এই দেশকে ধ্বংস করার জন্য এমন কোন প্রকল্প বাদ রাখেননি যা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সাধ্যের মধ্যে ছিল।
এহেন পরিস্থিতিতে দেশে গণবিপ্লব সৃষ্টির যে সম্ভবনা রয়েছে তাকে ঠেকানোর জন্য এবং আওয়ামীদের জীবনের নিরাপত্তা ও লোটপাটকৃত অর্থ-সম্পদ যা দেশে ও বিদেশে গচ্চিত রেখে তা ভোগ করার জন্য তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আবারো থাকা চাই। তার পরেও চাই। আমৃত্যু ক্ষমতার কুরসি যেন আওয়ামীদের পৈত্রিক ওয়ারিশান সম্পত্তি!!
সুতরাং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে হলে নিজেদের অধীনে নির্বাচন নামক একটি নাটকের মঞ্চস্থ করা দরকার বৈধতার জন্য। তাই ওরা কখনো দেশ বিদেশে নিরপেক্ষ হিসেবে বিবেচিত হবে এমন কোন নির্বাচনের আয়োজন করতে সাহসী হবে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ এবং নিজেদের কৃত অপরাধের দরুণ পিঠ বাচাতে মরিয়া হয়েও কি শেষ রক্ষা পাবে ওরা? দেশের জনগণ কিন্তু তৈরী হয়ে আছে আগামী ২৫ তারিখের পর হতে দেশের শত্রুদের কবল থেকে মাতৃভূমিকে রক্ষার শপথ নিয়ে রাজপথ দখল করার।
বিষয়: বিবিধ
১৯৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন