আমাদের বিবেগ কখন জাগ্রত হবে? ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা সবাইকে।
লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ০৪ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:৫৩:৩৯ দুপুর
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। দুনিয়াবী জিন্দেগীর পিরিয়টে আমার আহার ও বাসস্থানের ব্যবস্থাও করেছেন। দুনিয়ার আলো বাতাস ও সুন্দর পরিবেশবান্ধব উপযোগী পরিবেশে আমাকে তিনি থাকতে দিয়েছেন। আমার ইন্দ্রীয় শক্তি দিয়ে যা বুঝতে ও অনুভব করতে পারছি সেসব নেয়ামতকে আমার জন্য বিনা চাওয়াতেও তিনি দিয়েছেন। আবার এমন অনেক নিয়ামতও তিনি আমার জন্য সৃষ্টি করেছেন যা আমার ইন্দ্রীয় শক্তি দিয়ে বুঝার ও অনুভব করার সামার্থ্য অর্জন করতে পারিনি। অথচ সেই নিয়ামতের উপকারিতা থেকে আমাকে বঞ্চিত করেননি। সত্যি মহান আল্লাহ তুমি কতই না দয়ালু! তাই তো যাবতীয় প্রসংশা একমাত্র তোমারই প্রাপ্য। আমি তোমার কাছে শোকরিয়া আদায় করছি। তোমারই গোলামী করার মাধ্যমে তোমার এই নালায়েক বান্দা তোমার কৃপা হাসিল করতে পারি। হে আমার রব! তুমি আমার আকুতি কবুল কর।
দরুদ ও সালামের সবটুকু মানবতার সর্বশেষ ও সর্বশেষ্ঠ মুক্তিদূত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের প্রতি যিনি গোটা মানব জাতিকে ইহকালিন ও পরকালিন সার্বিক কামিয়াবীর পয়গাম নিয়ে মহান আল্লাহর তরফ থেকে প্রেরিত হয়েছিলেন। মহান আল্লাহ যেন শেষ দিবসে তার (সা) সাথী সঙ্গীদের কাতারে আমাকেও রাখার ব্যবস্থা করে দেন সেই প্রার্থণাই করছি প্রতিনিয়ত।
.................................?
.................................?
বছর পেরিয়ে চক্রাকারে ঘুরে যাচ্ছে বরকত, রহমত ও মাগফিরাতের মাস পবিত্র রমজান। আজ রজমান মাসের ২৫ টি দিবস আমরা পানাহারের মাধ্যমে, কেউ কেউ তার সাথে রাত্রিতে অতিরিক্ত এবাদত বন্দেগীতে অতিবাহিত করে দিয়েছি। পবিত্র রমজান মাসকে এবাদত বন্দেগীর ট্রেনিং পিরিয়িট হিসেবে গন্য করা হয়। তাই এই মাসে মুসলমানরা অন্যন্যা মাসের তুলনায় এবাদত বন্দেগীর বেশি বেশি চর্চার মাধ্যমে ট্রেনিং গ্রহণ করে থাকে।
কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক মুসলিম ভাই ব্রাদর আছেন যারা পবিত্র রমজান মাস অতিবাহিত করার পর সেই ট্রেনিংটা বাকী ১১ মাস কাজে লাগাতে পারেন না। অথবা বাকী সময়টাতে ট্রেনিংটা কাজে লাগাতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
কিন্তু এমন কেন হবে? কি হেতু কাজ করে এভাবে অনাগ্রহী হওয়ার পেছনে? আমরা কি কখনো এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করি?
................................?
................................?
আর মাত্র ৪ দিন অথবা ৫ দিন পর আমাদের মাঝে উপস্থিত হবে একমাস সিয়াম সাধনার পর খুশীর ঈদ। কিন্তু আমাদের সমাজে সবাই কি একই ধরনের আনন্দ খুশীতে ভরপুর ঈদের আমেজ উপভোগ করতে পারবে? সামর্থবানদের অনেকেই যার যার আর্থিক সংগতি অনুযায়ী পার্থিব বিলাসিতার কিছু প্রকাশ করবে ঈদের আনন্দ মৌসুমে। কিন্তু ঈদের দিনেও হয়তো চোখে পড় ৭/৮ বছরের ঝির্ণ শীর্ণ কাপড় পরিধান করে কোন শিশু যাত্রীবাহী টেম্পুর হেলপার হয়ে অন্নের সন্ধানে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে।
অথবা আর্থিক সামর্থ্য থাকা সত্তেও হয়তো আমাদের চোখে পড়তে বিভিন্ন অনাকাঙ্খিত মানব সৃষ্ট হয়রানির কারণে কারো চোখে পানি, কারো মুখে বেদনার চাপ। বাড়র্তি হয়রানীর ভয়ে হয়তো কোন কোন মুসলিম ভাই নিজের আপন জনের সাথে ফ্রি ভাবে ঈদের আনন্দ শেয়ার করতে পারবে না। আমাদের মধ্যে যাদেরকে মহান আল্লাহ যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্ত রেখে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ দিচ্ছেন তাদের কি কোন দায় দায়িত্ব আছে?
............................?
............................?
ঈদ উপলক্ষে ঈদের জামায়াতে মুসলমানরা একে অপরের সাথে কিছুক্ষণের জন্য হলেও সমস্ত মান অভিমান, যাবতীয় শত্রুতা ভুলে গিয়ে একে অপরের সাথে কোলাকোলি করি। আচ্ছা এই যে কোলাকোলি, এই যে, আন্তরিকতাপূর্ণ হৃদ্ধতা, এই যে পারস্পরিক সহমর্মিতা- এটাকে একটা বাৎসরিক রেওয়াজ না করে দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য কালচারে পরিনত করার যে শিক্ষা একমাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে অর্জন করলাম তা ঈদের পরেও ধরে না রেখে বর্জনের পেচনে কোন হেতু কাজ করে?
...............................?
...............................?
মুসলমানদের প্রধান দু’টি আনন্দ উৎসবের অন্যতম হচ্ছে ঈদুল ফিতর। আচ্ছ আমরা কি কখনো গভীরভাবে বুঝার চেষ্টা করেছি ঈদুল ফিতরের প্রকৃত তাৎপর্য কি?
..............................?
..............................?
সবার জীবনের প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহুর্ত যেন ঈদের আনন্দময় দিন ও সুন্দর পরিবেশের মত সবার জীবনে চলমান থাকুক। সবার জীবনে বয়ে আসুক ঈদের অনাবিল আনন্দ, সুখ ও শান্তি- এই প্রার্থণাই করছি মহান আল্লাহর কাছে।
সবাইকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা
খোশ আ’মদেদ
====ঈদ মোবারক======
আল্লাহু আকবার !! আল্লাহু আকবার
লা’ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ
বিষয়: বিবিধ
৩৭৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন