ইসলামের রাজনৈতিক উত্থানের সম্ভবনায় হুতুমপেচাদের অন্তরে কাপন ধরেছে

লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ০১ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:১৪:৪৭ রাত

যখন কোন জনগোষ্টী বা ভুখন্ডের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ ইসলামের আলোকে নিজেদের জীবন ব্যবস্থা গড়ে তোলার আগ্রহ দেখায় তখন ইসলামের শত্রুদের গায়ে চুলকানি একটু বেড়ে যায়।

আওয়ামী লীগ সরকার এবার ক্ষমতায় আসার পর দেশকে স্বৈরচারী ও ফ্যাসিবাদী কায়দায় শাসন করতে গিয়ে শোষণ-ত্রাষণ ও লোটপাটের মগের মুল্লকে পরিনত করে দেশকে তামা বানিয়ে তলা ফুটো করে দিয়েছে। যার ফলে দেশের সাধারণ মানুষ আওয়ামী শাসনের উপর মারাত্মাকভাবে ক্ষেপা।

দলের প্রতি একান্ত অন্ধভক্ত হয়ে কিংবা কোন আদর্শের প্রতি হতাশ বা বিদ্বেশ পোষণ করার কারণে যদি কোন একটি বিষয়ে সাধারাণ বা সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চিন্তা করেন তবে তার পক্ষ বিপক্ষ, প্রভাব প্রতিপত্তি, কারা ন্যায়ের পথে আছে, কারা মিথ্যাচার উপর দাড়িয়ে মিথ্যাকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চায়- এসব বিষয়ের নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কারো পক্ষে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব নয়। দলীয় চিন্তার উর্ধে থাকলেই তখন বুঝা যাবে বর্তমান বাংলাদেশের সময়টা আসলেই খারাপ যাচ্ছে নাকি সময় সময়ের গতিতে চলমান। কারো পোষ মাস আবার কারো সর্বনাশ। কিন্তু এই সর্বনাশা অসহায় অবস্থাকে নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের বুঝতে না দেয়ার কৌশল হিসেবেই হয়তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতার মেয়াদের শেষে এসে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মনোবলকে চাঙ্গা রাখার জন্য প্রতারণার কৌশল নিয়েছে। এই কৌশলের অংশ হিসেবেই জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের ফরমায়েশ চালু করেছে। কিন্তু তা আওয়ামী লীগের জন্য কত বড় বুমেরাং হবে তা তারা কল্পনাও করতে পারছে না।

সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে বাংলার ইতিহাস থেকে আওয়ামী লীগ ও ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের স্থায়ীভাবেই কবর রচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে দেশের আসল শত্রুদের চিহ্নিত করে বংগোপসাগরে ভাসিয়ে দেয়ার চুড়ান্ত আয়োজন হয়তো আল্লাহর তরফ থেকেই হয়ে যাওয়ার নমুনা দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশে ইসলামের রাজনৈতিক উত্থানের সম্ভাবনায় যাদের অন্তরে কাপন ধরেছে তারা আপাতত জামায়াত নিয়েই খুব আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এজন্যই তারা মানসিক হতাশা আর বিকারগ্রস্থতার কারণেই জামায়াতের বিরুদ্ধে একের পর এক হাস্যকর ব্যর্থ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অলীক স্বপ্ন দেখছে। এই স্বপ্নবাজ পাগল হুতুমপেচাগুলো এখনো বেঘোর ঘুমেই রয়েছে। অথচ পূর্ব দিগন্তে সূর্য উদিত হওয়ার ঝিলিক দিচ্ছে। কিন্তু এই হুতুমপেচাদের ঘুম ভাঙছে না। যখন তাদের ঘুম ভাঙবে তখন তাদের গায়ে সূর্যের আলোক রশ্মির তেজস্ক্রিয়তা এতো তীব্র হবে যে, হুতুমপেচাগুলোর গায়ের লোম পুড়ে যাবে।

গায়ের লোম না থাকলে একটি উঠ পাখি দেখতে যেরকম বেশ্রী দেখায় আওয়ামী বাম নাস্তিকদের অবস্থা তার চেয়েও আরো বেশী বিশ্রী হবে। তাই আওয়ামী জঙ্গলী হায়েনাদের এবার বাংলার জনগণ এবার হাতে তীর আর বল্লম নিয়ে বিতাড়নের চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। মনে হয় তাদের আশ্রয়তাদা ইনডিয়ান লেজ কাটা শিয়ালরাও এবার আশ্রয় দিবে না।

বিষয়: বিবিধ

১৯১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য