বর্তমান মিশরের পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা কি হতে পারে?

লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ১৮ জুলাই, ২০১৩, ১০:০০:৪৪ রাত

মুসলিম মিল্লাতের প্রতিটি ঈমানদার মানুষের বাস্তব উপলব্ধি যে ইয়াহুদী-খ্রিস্টান বা অন্য কোন কাফের জাতির সরাসরি ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের ক্ষমতা ও শক্তি খরচ করার প্রয়োজন নেই। মুসলমানদের মধ্যেই তারা এমন কিছু উপযুক্ত মোনাফিক তৈরী করতে পেরেছে যারা মুসলিম জাতির নবজাগরণকে নিষ্ঠুর জুলম নির্যাতন চালিয়ে দমিয়ে রাখার জন্য সর্ব ধর্মীয় সম্মিলিত কাফের শক্তির চেয়েও অত্যন্ত জঘণ্য।

এই মোনাফিকগুলোকে দিয়েই বিভিন্ন মুসলিম দেশে পরিবেশ ও পরিস্থিতি বুঝে ভিন্ন ভিন্ন লেবাস ও মুখোশ পড়িয়ে তাদেরকে যাবতীয় সাহায্যে সহযোগিতা করে যাচ্ছে তাগুতী শক্তিগুলো ইসলামের রাজনৈতিক উত্থানকে দমিয়ে রাখতে।

তাগুতি শক্তিগুলো সুযোগ বুঝে বিশ্বের কোন কোন অঞ্চলে রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে অভিভাবকহীন মুসলিম জনগোষ্ঠীকে নিষ্ঠুরতার নিশানা বানিয়ে মনের পাশবিক জিঘাংসার চিত্য বিনোদনের খেলায় মেতে উঠেছে। এই লিংকে ভিজিট করলে পৃথিবীর দিকে দিকে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের একটি চিত্র দেখতে পাবেন

লেবাস ও মুখোশপড়া মোনাফিকদের নাফরমানি এবং মুসলিম মিল্লাতের সাথে গাদ্দারীর বাস্তব নমুনা দেখতে পাওয়া যায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে। এই মোনাফেকরা ইসলামী জাগরণকে ঠেকানোর জন্য দেশের সম্ভবনাময়ী একটি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ধ্বংসের চুড়ান্ত আয়োজন করে মুর্তি পুজারী মুশরিক আর বিশ্ব মোড়ল আমেরিকার যৌথ ষড়যন্ত্রে ক্ষমতার মসনদে বসার সাথে সাথেই।

সেই ধারাবাহিকতায় দেশকে যোগ্য নেতৃত্ব শুণ্য করার প্রজেক্ট হাতে নেয় কথিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল নামের এক জুডিশিয়াল কিলিংয়ের ভয়ানক নির্যাতনশালা।

একজন বরেণ্য কোরআনের খাদেম নিরাপরাধ আলেমে দ্বীনকে হত্যার রায় দিয়ে দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে চার-পাচঁশো সাধারণ মুসলিম নর নারীকে হত্যা করলেন। নারী ও শিশুসহ পাচঁ হাজারের অধিক মুসলমানকে গুলি আর পুলিশের বুটের আঘাতে আজীবনের জন্য পঙ্গু করে দিলেন। কিন্তু পৃথিবীর মানবাধিকার রক্ষাকারী ও গনতন্ত্রের ফেরিওয়ালা শিরনী বিতরণকারী কোন দেশ নাকে পানের ডেটু দিয়ে একটি হাসিঁ পর্যন্ত দিলেন না। অথচ এসব মুসলমান নামধারী মোনাফিকদের আন্ডা-বাচ্চাদের হাতে যখন একজন বিশ্বজিৎকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হলো তখন দেশ বিদেশে হৈ চৈ শুরু হয়ে গেলো।

মুসলিম মিল্লাতের গলার কাটাঁ এসব মোনাফিকরা রাতের অন্ধকারে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে জিকির-আযকাররত নিরাপরাধ অসহায় দেশপ্রেমিক মুসলামানদের উপর গনহত্যা চালিয়ে মজলুম ও নির্যাতিত মানুষের তরুতাজা রক্তকে গায়ে রং মাখার নাটকের সাথে তুলনা করে নিদারুণ মস্ককরা করে তৃপ্তীর ডেকুর তোলে জাতীর আইনসভায়। হায়রে বাংলার মুসলমানদের দুর্গতি!

আরেক মোনাফিক দেখি আফগানিস্তানের পুতুল হামিদ কারজাই। নিজ দেশে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে রুখে দেয়ার জন্য খ্রীস্টীয় শক্তিকে ভাড়া করে ইসলামের উত্থানের পথ বন্ধ করার ব্যর্থ চেষ্টার কমতি নেই। একইভাবে পাকিস্তানেও দীর্ঘ দশ বছর আরেক মোনাফিক ক্ষমতার মসনদে বসে সেদেশের মুসলমানদের উপর নির্যাতন চালানোর জন্য আমেরিকাকে নিয়ে আসে। তেমনিভাবে সিরিয়ার মুসলমানদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলায় মেতে উঠেছে বাশার আল আসাদ নামের আরেক মোনাফিক কসাই।

আরব ভুখন্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশে মোনাফিক এবং ইয়াহুদী খ্রীস্টানদের যৌথ ষড়যন্ত্র ও হাজারো কিসিমের অত্যাচারের মাধ্যমে ইসলামের নবজাগরণ ও তার রাজনৈতিক উত্থানকে দমিয়ে রাখার সর্বাত্মাক প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে আল্লাহর দ্বীনের বিজয় নিশান ও তার অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাচ্ছে। এই যাত্রার প্রথম সারিতে অবস্থান করছে তুরস্ক। পাশাপাশি আরো কয়েকটি আরব দেশ ইসলামের দিকে ধাবিত হচ্ছে অতি দ্রুত গতিতে। ইসলামের দিকে এই গতিশীল যাত্রাকে আরো বেগবান করেছে আরব বসন্তের বিপ্লবী জোয়ারে।

জাজিলাতুল আরবে এই জোয়ার সৃষ্টির পেছনে যে সংঘঠনটি মূখ্য ভূমিকা পালন করে তার নাম হচ্ছে ইখওয়ানুল মুসলিমিন। শহীদ হাসানুল বান্না কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংঘঠনটি মিশরে জন্ম নিলেও ধীরে ধীরে তার আদর্শিক প্রভাব-প্রতিপত্তি মধ্যেপ্রাচ্যে ছাড়িয়ে গোটা আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন মুসলিম দেশে শক্ত শিকড় তৈরী করেছে। মুসলিম ব্রাদারহুড দীর্ঘ একাশি বছর তিল তিল করে মিশরের জনমানসে, মিশরের মাঠিকে ইসলামের জন্য পরিপূর্ণভাবে উর্বর করে তুলেছে। আরব বসন্ত এই উর্বরতাকে কিছুটা গতি দিয়েছে মাত্র।

মিশরীয় সেনাবাহিনীর মোনাফিক জেনারেল সিসির নেতৃত্বে প্রেসিডেন্ট ড. মুরসিকে ক্ষতাচ্যুত করার ফলে মিশরের টালমাটাল উত্থাল পরিস্থিতিতে মুসলিম বিশ্বসহ গোটা দুনিয়ার শান্তি ও বানবতাবাদী মানুষ তীব্র অষন্তোশ হয়ে এর বিরুদ্ধে সৌচ্চার প্রতিবাদ জানাচ্ছে। দুভার্গ্যের বিষয় হলো আমরা বাংলাদেশীরা কোন পতিক্রিয়া জানাতে পারছি না। মিশরের ঘটনায় বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ব্যথিত। কিন্তু গোটা বাংলাদেশটাই একটি বিশাল কারাগারে পরিনত করেছে ফেরআউনের এদেশীয় আদর্শিক উত্তরসুরীরা। যার ফলে

বাংলার প্রতিবাদী বিবেগ আজ জেলখানায় হাত পা বাধা অবস্থায় বন্দী।

মিশরে ইসলামপন্থীদের উদারতার সুযোগ নিয়ে সেকিউলার এবং বামপন্থীরা বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা, জায়নবাদী ইয়াহুদী ও ভোগবিলাস ও অপচয়বাদী কিছু আরব মুসলিম শাসক রাজা বাদসাদের যৌথ প্রযোজনায় সাময়িকভাবে ইসলামপন্থীদের আপাততদৃষ্টিতে বেকায়দায় ফেলে দিলেও হয়তো আল্লাহ তায়ালার কোন ভাল পরিকল্পনা রয়েছে তার দ্বীনকে চুড়ান্তরূপে বিজয়ী করানোর জন্য। সেনাবাহিনীর কিছু নির্বোধ ’মইন’দের উস্কে দিয়ে তেমন সুবিধা করতে পারবে না। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও প্রেসিডেন্ড ড. মুরসির পক্ষে পাল্টা বিদ্রোহের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

এরি মধ্যে আমেরিকা কোন রাকডাক না করে প্রকাশ্যে সেনাকর্তৃপক্ষকে আরো উস্কে দিয়ে পরিস্থিতি জটিল করার ষড়যন্ত্রের নতুন ফাদ তৈরী করেছে। একটি নির্বাচিত বৈধ রাষ্ট্রপ্রধান ড. মুরসিকে পাশ কাটিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া রাষ্ট্রপতি আদলি মনসুর ও সেনাবাহিনীর মোনাফেক কর্মকর্তাদেরকে দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য আমেরিকান দূত মিশরে উড়াল দিয়ে হাজির হয়েছে।

আমেরিকা, ইয়াহুদী এবং আরব মুসলিম রাজাদের যৌথ দিক নির্দেশনায় সেনাকর্তৃপক্ষ প্রেসিডেন্ট ড.মুরসিসহ ইখওয়ানের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কিছু আজগুবি অভিযোগ তুলে সারা মিশর জুড়ে ব্রাদারহুডের পক্ষে যে বিষ্ফোরণমূখ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাকে ছত্রভঙ্গ করার ষড়যন্ত্রের মাষ্টারপ্ল্যান তৈরী করে পাঠানো হয়েছে এই আমেরিকান দূত উইলিয়াম বার্নসকে।

পৃথিবীর নিকৃষ্টতম নরঘাতক জুনিয়র বুশের ইরাক আক্রমনের প্রাক্কালে যেভাবে মিডিয়া সন্ত্রাস চালিয়ে বিশ্ববাসীকে অন্ধকারে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল তেমনিভাবে মিশরেও ওবামা প্রশাসান পর্দার আড়ালে থেকে যাবতীয় কলকাটি নাড়াচ্ছে। কিন্তু ইরাকীদের মন মানষিকতা আর মিশরীয় জনগনের রাজনৈতিক সচেতনতাকে একই মাপকাঠিতে সংজ্ঞায়িত করলে ভূল হবে। ইখওয়ানুল মুসলিমিন একটি সুসংগঠিত জনভিত্তিসম্পন্ন অত্যন্ত জনপ্রিয় একমাত্র বৃহত্তম রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি। যাদের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে মিশরীয় কৃষ্টি-কালচার ও ধর্মীয় সংবেদশীল প্রভাব।

ইখওয়ান অত্যন্ত কঠোরভাবে হুশরিয়ারী করে দিয়েছে। ইখওয়ানের এক শীর্ষ নেতা ড. বেলতাগী কড়া হুশিয়ারী করে বলেছে সেনা সমর্থিত অস্থায়ী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখবে এবং নতুন সরকারকে বৈধতা না দিয়ে সহযোগিতা না করার ঘোষণা দিয়েছে।

ইখওয়ানের মুরশিদে আম ড. মোহাম্মদ বাদিয়ি মিশর সেনাবাহিনীর উচ্চ পরিষদ এবং মুরসির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, মিশরকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য খুব শিগগিরি ‘ফ্রি আর্মি’ গঠন করা হবে। মিশর সেনাবাহিনীতে এমন অনেকে আছে যারা ধর্ম এবং দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার চাইতে মৃত্যুকে শ্রেয় মনে করে। ইখওয়ান নেতা বাদিয়ি বলেন, সেনাবাহিনী থেকে বেরিয়ে আসা অনেক সদস্যকে নিয়ে শিগগিরি আলাদা ‘ফ্রি আর্মি’ গঠন করা হবে যাদের দায়িত্ব হবে মিশরে স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনা এবং এ বাহিনীই হবে দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার একমাত্র গ্যারান্টি। ড. বাদিয়ি’র এ ঘোষণা থেকে বুঝা যাচ্ছে ইখওয়ানের শিকড় কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।

মিশরের এই গোলাযোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে ইরানের সাথে তুলকে কেউ কেউ ধারণা করছেন আমেরিকা আরেকটি ‘ইসলামিক ইরান’ সৃষ্টি হোক চাইবে না। এ বিষয়ে লিখতে গেলে অনেক লম্বা আলোচনা করতে হবে। তবে সংক্ষেপে এতটুকু বলতে পারি যে, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ইরান আমেরিকা এবং ইস্রাইলের কোন শত্রু দেশ নয়। মাঝে মধ্যে যদিও ইরানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিষোদগার ও হুঙ্কার ছাড়ার অভিনয় করে থাকে। ইরানীদের ইসলাম চর্চা নিয়ে অনেকের কাছে সন্দেহ থাকলেও ওরা প্রচন্ড স্ব-জাতি ও দেশপ্রেমিক। তার উপর আছে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ। এ কারণে তাদের বিপ্লব এখনো টিকে আছে।

পক্ষান্তরে ইয়াহুদী ও খ্রীস্টান প্রভাবিত আমেরিকান প্রশাসন, ইউরোপিয় খ্রীস্ট শক্তি ও জায়নিষ্ট ইয়াহুবাদী ইস্রাইল কোন অবস্থাতেই একটি পকৃত ইসলামিক স্ট্যাট তথা পূর্ণাঙ্গরূপে ইসলামী অনুশাসনের বিত্তিতে মাথা উচু করে দাড়াক- তা চায় না। কারণ পৃথিবীর কোন ভৌগলিক অঞ্চলে যদি একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক স্ট্যাট প্রতিষ্ঠা হয়ে যায় তবে গোটা মুসলিম উম্মাহ সেই স্ট্যাটকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে “ইসলামী খেলাফত” প্রতিষ্ঠা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। যদিও বা সাধারণ নন-প্রেক্টিসিং মুসলিমরা উদাসিন হওয়ার কারনে ইসলামের মূল স্পিরিট, স্বাশ্বত মহিমা, মানব সমাজের সার্বিক কল্যাণ সম্পর্কে ইসলামের অদ্মিতীয় আবেদন সম্পর্কে একদম বেখবর। এ বিষয়ে যারা ইসলাম সম্পর্কে বুঝেন এবং মানেন তারা ঠিকই “খলিফাতুল মুসলেমিন” এর ডাকে ঐক্যবদ্ধ হতে দেরী করবে না। ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানরা ইসলামের এই বৈপ্লবিক ঐক্যবদ্ধতা সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখে বলেই তো আফগানিস্থানে তালেবান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত “ইসলামী খিলাফত”কে অঙ্কুরেই বিনাস করতে দেরী করেনি। যদিও বা তালেবানদের “ইসলামকে ক্ষমতায়” নেয়ার পথ ও পদ্ধতি এবং প্রয়োগের কৌশলে মতভিন্নতা রয়েছে। তালেবানদের এই কৌশলকে “মধ্যযুগীয় ও অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি বা সন্ত্রাসী” বলে যুক্তি দেখিয়ে তাদেরকে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিনাশ করার কেন সর্বাত্ত্বক চেষ্টা করে যাচ্ছে ইয়াহুদী প্রভাবিত আমেরিকান প্রশাসন ও খ্রীষ্টীয় শক্তিগুলো?

একটু গভীরভাবে চিন্তা করুন তো মোল্লা ওমারের নেতৃত্বধীন তালেবান সরকার যদি টিকে থাকতে পারতো বিশ্ব ইতিহাস বাদই দিলাম উপমহাদেশের মানচিত্রের এতোদিনে অনেক পরিবর্তন হতো। কাশ্মীরের মজলুম মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীন হায়দাবাদের পুনরুদ্ধার তেমন কঠিন হতো না। তেমনিভাবে পাকিস্তানের প্রশাসনিক সিস্টেমে এবং জীবনযাত্রায় সাভাবিক মানে প্রকৃত ইসলামের প্রভাব বৃদ্ধি পেত।

কামাল আতাতুর্কের তুরস্কে আগের সেই সেকুলার ধর্মহীন প্রশাসনিক ব্যবস্থা যেমন নেই তেমনিভাবে তুর্কিদের স্বাধীনভাবে ইসলাম প্রাক্টিসের সুযোগও দিন দিন প্রসস্থ ও প্রসারিত হচ্ছে। ধীরে ধীরে ইসলামের দিকে ধাবিত হচ্ছে তুরুস্ক। তারা যতই ইসলামের দিকে ধাবিত হচ্ছে আঞ্চলিক ও বিশ্ব রাজনীতিতে তাদের হারানো প্রভাব প্রতিপত্তি ততই জেগে উঠছে। মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ততই তাদের দরদ ও দায়বদ্ধতা প্রকাশ করছে। মায়ানমারের মুসলমানদের পাশে এবং বাংলাদেশের যুদ্ধপরাধ সংক্রান্ত ট্রাইবুনালে প্রকাশ্য হুশিয়ারী করে চোখ রাঙ্গিয়েছে তারা। তুর্কিরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে ধীরে ধীরে ইসলামের দিকে অগ্রসরমাণ।

অন্যদিকে মিশরে দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় দমননীতির যাতাকলে পড়ার পরেও মিশরীয় সমাজ ব্যবস্থায় সাধারণ মিশরীয় জনগনের মন মানসিকতায় ইসলামের রাজনৈতিক উত্থানের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য বহুদিনের চেষ্টায় এমনিতেই ইসলামের দিকে ধাবমান। আরব বসন্তের ফলে মিশরের উর্বর মাটিকে আরো উর্বরতা দান করেছে মাত্র। এই অবস্থায় আমেরিকা ও ইস্রাইল যতই চেষ্টা করুক মিশরকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার খায়েশ পুরণ হবে না।

বিষয়: বিবিধ

৪৫৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File