স্থল বাহিনীকে ধরাশায়ী করতে পারলেও বিমান বাহিনীর উপর্যুপরি আক্রমণে ঠিকে থাকতে পারলাম না।
লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ১১ জুন, ২০১৩, ০১:৩০:১২ দুপুর
প্রতিদিনের অভ্যাসে কোন গরমিল হলে কেমন যেন
বে-খাপ্পা বে-খাপ্পা লাগে।
সেটা কাউকে বলতেও কিছুটা সংকোচ লাগে।
আমি এমনিতেই ভোর ৫ টার আগে ঘুম থেকে উঠি।
লেকিন গত রাত্রে একটু বেতিক্রম হয়ে গেলো।
এক বন্ধুর বাসায় ছিলাম।
রাত বারটার দিকে বিছনায় গেলাম ঘুমাতে।
বন্ধুর বাসায় কোন নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারাদার ছিল না।
বন্ধু বললো
দোস্ত চিন্তা করিস না, আমার বাসায় কোন বাহিনী- টাহিনী নেই।
তুই নিরাপদে শান্তির জগতে চলে যেতে পারবি।
আমার কেমন যেন একটু সন্দেহ হচ্ছিল তার কথায়।
যখন বিছনাতে গেলাম তখনই কিছুটা টের পেলাম।
স্থল বাহিনীর এক গোয়েন্দা এসে কখন যে খোজ খবর নিয়ে গেছে বুঝতে পারিনি।
তবে তাদের সদস্য সংখ্যা তেমন বেশি না হওয়াতে আমি যুদ্ধে জয়ী হয়ে এক্কেবারে আরাম আয়েশে ঘুম দিলাম।
হঠাৎ কোত্থেকে বিমান বাহিনীর এক ঝাক শত্রু এসে আক্রমণ শুরু করে দিল।
তাদের সাথে যুদ্ধ করে টাশ-টুশ কয়েকটা সৈন্য খতম করলেও আমি একা যুদ্ধে জয়ী হতে পারলাম না।
শেষ পর্যন্ত পালিয়ে গেলাম।
কিন্তু তারা নাচোড় বান্দা
আমি তাদের ভয়ে লুকিয়ে গেলাম এক নিরাপদ কুঠুরীতে (মশারির ভিতর)
কিন্তু তারা সেখানেও আমাকে চতুর পাশে অবরোধ করে রাখল সারা রাত।
আমিও বেশ আরামে ছিলাম সেই কুঠুরীতে।
কিন্তু হায় যার কপালে সুখ (আসলে শোক) নেই তার অবস্থা অভাগা যেখানে যায় সেখানে সমুদ্র শুকিয়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতি।
যখনই মাথা বালিশের উপর রেখে হাতে মোবাইল নিলাম একটু নেটে লগইন করে ফেইসবুকে ঢুকলাম। সেখানে আরেক নতুন বাহিনীর এক সদস্যের সন্ধান পেলাম। সেও হয়রান হয়ে যাচ্ছিল বিমান বাহিনীর আক্রমণ সামাল দিতে দিতে। এই সৈনিকের নাম Ghumontto Foring. একেবারে জব্বর একটা নাম!
ঘুমন্ত ফরিং!!!
নতুন বাহিনীর এই সদস্যের সাথে যুদ্ধের কলা কৌশল নির্ধারণ ও শত্রুর মোকাবেলায় কার্যকরী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য অতি গুরুত্বপুর্ণ টেলিকনফারেন্সে তেমন কোন গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম না।
কারণ তার কথা বার্তায় ঠিক বুঝতে পারছি না
আসলে সে কি ঘুমন্ত ফরিং?
নাকি ঘুমন্ত পরি?
তাই আমি এককভাবেই সিদ্ধান্ত নিলাম-
যেহেতু বিমান বাহিনীর সদস্যদের চাষাবাদ করে খাদ্য শষ্য মজুদের নিজস্ব কোন জমি জমা কিংবা প্রযুক্তি নেই
তাই নিউটনের গতির প্রথম সুত্র অনুযায়ী
আক্রমণশীল বিমান বাহিনী প্রতি রাত্রে বা অন্ধকারে যাকে যেখানে পাবে সেখানেই তার রক্ত শোষণ করবে।
আর আক্রান্ত ব্যক্তি পুর্বের ন্যায় যে দিকে সুযোগ পায় সেখানেই লুকিয়ে থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করবে।
আমি নিউটনের সুত্রের কার্যকারিতা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও
ঐদিকে ঘুমন্ত পরি বসে নেই। সে তার ডানা দুটো মেলে ধরে আকাশের অজানা পথে রওনা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অন্যদিকে আমার চোখ দুটো বার বার মেসেজ দিচ্ছে তাদের চেরাগের কেরোসিন তেল ফুরিয়ে যাচ্ছে।
যে কোন মুহুর্ত নিভে যেতে পারে চেরাগ।
কখন চেরাগ নিভে গেছে আমিও জানি না।
সকালে শান্তির জগত (ঘুম) থেকে যখন ফেরত আসছি তখন ঘড়িতে টাইম সকাল ৮:৩০ টা।
বিষয়: বিবিধ
২০৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন