ওপারে যেতে কারো ইচ্ছা আবার কারো অপেক্ষায় অস্থির। দুজন ফেইসবুক বন্ধুর সাথে কিছুক্ষণ।
লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ১০ জুন, ২০১৩, ০৮:৫৫:৫২ রাত
দুজন ফেইসবুক বন্ধুর সাথে কিছুক্ষণ চ্যাটিংয়ের অনুভুতি শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো তাই এই লেখাটি।
১. প্রথম জন এক মেয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে এবার। তার কথাবার্তার স্টাইল দেখে কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়ে গেলাম। বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করলো সে বাচঁতে চায় না এই পৃথিবীতে। মরে গেলেই ভাল। মনে হলো বয়সের দোষে আক্রান্ত হয়ে হতাশ হওয়ার কারণে এসব ইম্মেচিউর কথাবার্তা বলছে ।
কোন এক ফেইসবুক পেইজের এডমিনের পোস্ট করা এক তরুনী এবং একটি গোকরা শাপের ছবি পাশাপাশি বসিয়ে তুলনা করে মতামত চাওয়া হলো কে বেশি বিষধর?
তরুনী মেয়টি?
নাকি বিষধর শাপটি?
এই পোস্টের লিংক পড়ে প্রতিবাদী উচ্ছারণ দেখে আমার অনুমান সত্য হিসেবে ধরে নিলাম।
উক্ত পোস্টে আমিও নিম্নের মন্তব্যটি করেছিলাম
যারা প্রেমালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে চ্যাকাঁমাইসিন টেবলেট খেয়ে বিকারগ্রস্ত হয়ে গেছে তারা ২ নং অর্থাৎ মেয়েটিকে বিষধর বলছে। আর যারা বিয়ে করে নিজের বৌয়ের প্রেমে আক্রান্ত হয়ে happy টাইসিস জ্বরে ভুগছেন তারা ১ নং অর্থাৎ গোকরা শাপকে বিষধর বলছে। আর যারা আমাদের মত একটু বে-আক্কেল তাদের কাছে কোনটিই বিষধর না। বরং এই দুই প্রাণীই আমাকে মারাত্মক ও ভয়ানক এক রহস্যজনক ওস্তাদ মনে করে।
২. বয়সে আমার অনেক সিনিয়র এবং উচ্চশিক্ষিত একজন ফেইসবুক ইউজারের সাথে গত দু’তিন পূর্বে থেকে বেশ আলাপচারিতা জমে উঠেছে। মনে হচ্চে তিনি অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি এবং দ্বীনদার। তিনিও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কখন স্রস্টার ডাক এসে পড়ে এই দুনিয়াদারি ছেড়ে ছলে যাওয়ার জন্য।
দু’জনের গন্তব্যস্থল একই। তবে প্রেক্ষপট ভিন্ন। একজন আধুনিক যুগের ডিজিটাল পণ্য সম্ভারের ক্ষতিকর ব্যবহার ও তার দুষ্টপ্রভাবে আক্রান্ত হয়ে অল্প বয়সেই দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছে চরম অশান্তি থেকে মুক্তি পেয়ে পরম শান্তির আশায় পরপাড়ে। অন্যজন স্রস্টার দেয়া বিভিন্ন বিধি-বিধানের আলোকে জীবন অতিবাহিত করে বিনিময়ে লোভনীয় প্রতিদানের আশায় পরপাড়ে পাড়ি জমাতে আগ্রহী।
আমি প্রথম জনের অদ্ভুদ ও বিভ্রান্তিকর চিন্তা-ধারা সংশোধনের জন্য কয়েকটি প্রশ্ন করতে চেয়েছিলাম। যেমন আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী প্রত্যেক মানুষ মনে করে- দুনিয়ায় যা কিছু করেছে (জ্ঞাতে হোন কিংবা অজ্ঞাতে) সব কিছুর হিসাব তিল তিল করে দিতে হবে মরনের পর। যদি ওখানে সঠিক উত্তর দিতে না পারেন তবে দুনিয়ার চেয়ে লক্ষ লক্ষ গুন বেশী কষ্ট ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করতে হবে।
দ্বিতীয় জনের সাথে আমার চিন্তার কোন অমিল নেই। তার ধারণার সাতে আমিও একমত।
তবে আমি বিষয়টাকে অন্যভাবে চিন্তা করি।
আমি অপেক্ষা করি বা না করি। মালাকুল মওউত ঠিক সময়ে এসেই আমাকে নিয়ে যাবে।
তাই অপেক্ষা করা বিরক্তিকর।
বরং আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার চেষ্ঠা করে যাবো। যখন ডাক পড়বে তখন আমাকে এমনিতেই নিয়ে যাবে। না চাইলেও নিয়ে যাবে।
সুতরাং যাওয়ার পরবর্তী অবস্থা কি হবে, কোথায় রাখা হবে, কি খেতে দেয়া হবে তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা তো দুনিয়ায় থাকতেই অর্জন করতে হবে। আর এই অর্জন তো প্রজেটিভ এবং নেগেটিভ দুই ধরণেরই হবে পারে। আমাদের বরং চেষ্টা করতে হবে সেই চুড়ান্ড অর্জনে কোন অবস্থাতেই যেন নেগেটিভ মান না আসে।
অতএব অপেক্ষার সুযোগ কোথায়?
বিষয়: বিবিধ
১৮৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন