একজন সাহসী কর্মীর বলিষ্ঠ উচ্ছারণ
লিখেছেন লিখেছেন আহমদ মুসা ০১ জুন, ২০১৩, ০৮:১৯:০৮ রাত
বেশ কয়েকদিন পূর্বে একজন ইসলামী আন্দোলনের মাঠ পর্যায়ের সক্রিয় কর্মীর সাথে দেখা হল। তার বাহ্যিক চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে তার অন্তর ভাল নেই। তার খোজ-খবর ও কুশলাদি জিজ্ঞাসা করলে আমাকে অভাক করে দিয়ে পল্টা প্রশ্ন করলেন। আপনাদের এই পাষাণ হৃদয়ে কখন পেরেশানীর অভয়ব দেখতে পাবো? আর কত ধর্য্য ধারণ করবো? শোকাহত হৃদয়ে ভারাক্রান্ত মনে ঈমানী চেতনায় উজ্জ্বীবিত এই কর্মীর কথাবার্তায় মনের ভিতর লুকিয়ে থাকা আমার আসল ভাবটাকেই সে কিছুটা অগোছালোভাবে প্রকাশ করে ফেলেছে। খাটি ঈমানের নির্ভেজাল এই কর্মীকে কিভাবে যে বুঝাবো আমার অন্তরটা তার চেয়েও আরো খারাপ!
গত ৫ ই মে হেফাজতে ইসলামের কর্মসুচীতে রাষ্ট্রীয় গণহত্যার পর থেকে আমি আর শোকাহত নই। হৃদয়টা এক্কেবারে পাথর হয়ে গেছে। জানি না কখন এই পাথরের ঘষাতে আগুন জ্বলে উঠে।
যাইহোক আমি এখানে সেই সাহসী কর্মীটির মুখের উচ্চারণকে আমি এখানে কলমের ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা করছি মাত্র।
“কোন কথাবার্তা আর শুনতে ভাল লাগে না, আর কতক্ষণ, আর কতদিন, আর কত মাস, আর কত বছর, আর কত যুগ আমাদের অপেক্ষা করতে হবে? এখনো কি আসেনি মুজলুম মানুষের হাহাকার দুর করার, এখনো কি আসেনি অসহায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করে পুর্ণাঙ্গ ইনসান হিসেবে তাদেরকে স্বীকার করে নেবার? এখনো কি আসেনি ধনী গরীবের ব্যবধান কমাবার, এখনো কি আসেনি শয়তানের নাফরমানীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে খোদায়ী বিধান প্রতিষ্ঠার, এখনো কি আসেনি মানবতার শত্রুদের পরাভুত করে ইনসানিয়ত প্রতিষ্ঠার? এখনো কি আসেনি গরীবের মুখে অন্ন, দেহে বস্ত্র, কিংবা থাকার বিছানা যোগাবার? এখনো কি আসেনি অসহায় দাড়িওলা টুপিধারী নিরাপরাধ মুসলিমদের নিরাপদে বাড়ীতে ফেরার। এখনো কি আসেনি অসহায় বোনদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে বেশ্যাদের খপ্পর থেকে উদ্ধার করে সেখানে সম্ভ্রম নিয়ে থাকার পরিবেশ সৃষ্টির। এখনো আসে দুরাচার,অনাচার থেকে এদেশের তরুণ তরুণীদের রক্ষা করার? আর কত রক্ত দিবে হবে? আর কত লাশ হতে হবে? এই জাতির রক্ত পানির চেয়েও কম দামী হলো কেন? আর কয়টা শাপলা চত্তরের ম্যাচাকার সইতে হবে? আর কত পিলখানার ট্রাজেডীর নজরানা পেশ করতে হবে? আর কত ৫ ই মে সৃষ্টি হবে? এখনো হুশ হবে না? কখন শুনবো ডাক? কখন শুনতে পাবো মুয়াজ্জিনের আযান? কোথায় সে মুয়াজ্জিন? আযানের সময় চুড়ান্ত ওয়াক্তে হাজির হয়েছে! শুধু একটা ডাক চাই। হ্যা শুধু একটা ডাক!! বিপ্লব! বিপ্লব!! বিপ্লব!!! আর শ্লোগান চাই না। এবার তার বাস্তবায়ন চাই। ওঠো হে মুয়াজ্জিন দাও গলা ফাঠিয়ে ডাক। আজ বাংলার ষোল কোটি মানুষ সেই আযানের অপেক্ষায় অস্থির।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন