রাবিশ-বোগাস, সাতষট্টি বছরে বিয়ে অতঃপর কুলাঙ্গারের মূখ সামলানোর গল্প
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৮:০৪:৩৬ রাত
বাংলাদেশের রাজনীতিতে মূখ সামলানোর ওয়াজ চলছে পুরোদমে। কে মূখ সামলাবেন আর কে সামলাবেন না। সে মন্তব্য করতে চাই না। তবে আম জনতার একজন হিসেবে একটু চিন্তা ভাবনা করা, মতামত ব্যক্ত করা, স্বাধীন মত প্রকাশ করা আইন এবং সংবিধান স্বীকৃত। যদিও বর্তমান শাসককুল সে আইন মানতে রাজী নয়। তারা মনে করেন আইন শুধু তাদেরই জন্য। এ আইনের চর্চা করার অধিকার আর কারো নেই। আবার আইন ভাংগার অধিকারও তাদের। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার পর পুলিশ বুঝতে পারছে না কাকে আসামী করে মামলা করবে,অথবা হত্যা মামলা করা যাবে কি না। অপর দিকে খুনীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্জের অফিস কক্ষে তালা দেয়, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়- এটাই নাকি তাদের ন্যায্য অধিকার। কোন মন্তব্য করা যাবে না, কেননা, চেতনার বাংলাদেশে সব চেতনায় এখন একটি দল এবং একজনের বন্দনা ব্যতীত আর সবই আইন বিরুদ্ধ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রকে মূখ সামলে কথা বলার জন্য উপদেশ/নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। অপর দিকে বেগম খালেদা জিয়া এবং বি এন পির ভার প্রাপ্ত মহাসচিব উভয়ে পৃথক দুটি সভায় খালেদা জিয়াকে মূখ সামলে কথা বলার উপদেশ দিয়েছেন। কে কতুটুক মূখ সামলাবে এটি কিন্তু এখন অবশ্যই পর্যালোচনার দাবী রাখে।
আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী এবং মন্ত্রীরা যে অমৃত বচন বিগত পাঁচ বছর যাবৎ আমাদের শুনিয়েছেন তারা কি মূখ সামলিয়েছেন রাবিশ-বোগাস মন্ত্রী থেকে শুরু করে যারা ৬৭ বছর বয়সে একটি বিয়ে করার পর সাহস বেড়ে যাওয়ায় আর একটি বিয়ে করতে চান তারা কি মূখ সামলিয়েছেন? তাদের অমৃত বচনে রণাঙ্গণের বীর যোদ্ধা নবম সেক্টর কমান্ডার এম এ জলিল রাজাকার, যুদ্ধকালীন সময়ে বিমান বাহিনী প্রধান এ কে খন্দকার রাজাকার, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী রাজাকার, আতাউল গণি ওসমানী রাজাকার, জনগণ রেডিওতে যার মূখে স্বাধীনতার ঘোষনা শুনেছে সে রাজাকার, দল হিসেবে বি এন পি রাজাকার! বাকী তো কেউ নেই। সরকারী দল এবং আওয়ামী নেতারা যে রাজাকারনামা প্রকাশ করছে তার জবাবে তারেক রহমান ইতিহাসের একটি সত্য তুলে ধরেছেন। যার প্রত্যক্ষ মদদে ১৯৭১ এর গণহত্যা পরিচালিত হলো সেই ভুট্টো আর টিক্কা খানের সাথে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের গলাগলি ধরা ছবি তো এক ঐতিহাসিক সত্য, এটাকে তো কোনভাবে অস্বীকার করা যায় না? স্বাধীনতা যুদ্ধের গণহত্যার পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা, বাস্তবায়নকারী সবাই বন্ধু। তাদের সাথে গলাগলি, পাক আর্মির যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে চিহ্নিত অফিসারদের এ্যামনেস্টি প্রদান করে দেশে পাঠিয়ে উচ্চ স্বরে ঘোষণা করা ‘বিশ্ব দেখুক বাঙ্গালী ক্ষমা করতে জানে’। অপরদিকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে অখন্ড পাকিস্তান চাওয়ার অপরাধে যাদের যুদ্ধের ময়দানে সামান্যতম ভূমিকা ছিল না, তাদের যুদ্ধাপরাধী বানিয়ে বিচার করা হচ্ছে। এটা তো তাদের ভাষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনারই অংশ। জিয়াউর রহমানকে প্রতিদিন রাজাকার বলে গালি দেয়া হবে। বি এন পি রাজাকারের দল বলা হবে, এটা সমস্যা নয়, সমস্য হচ্ছে তারেক রহমান মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের স্বেচ্ছা কারাবরণ আর টিক্কা খানের সাথে গলাগলির কথা বলেন তখন তিনি হয়ে যান কুলাঙ্গার। জাতি নতুন করে কুলাঙ্গারের সংজ্ঞা জানলো। কুলাঙ্গার শব্দটির যাতে অপপ্রয়োগ না হয়ে এ জন্য আতি আওয়ামীস্ট লন্ডনি কলামিস্ট নামে খ্যাত সেই তিনি একটি বক্তব্যে বলেছেন মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব একদিন ওনাকে জিয়াউর রহমানের বাসায় পাঠিয়েছিলেন, তিনি নাকি সেখানে গিয়ে দেখলেন জিায়াউর রহমান একটি ছেলেকে নিজের বেল্ট দিয়ে বেদম পেটাচ্ছে। ঐ কলামিস্ট তখন কি পদে ছিলেন? প্রেসিডেন্টের সাথে ওনার কি কাজ ছিল? উনি এমন কি সরকারী দায়িত্ব পালন করতেন? যে প্রেসিডেন্ট ওনাকে একজন সামরিক বাহিনীর অফিসারের বাসায় পাঠালেন? এ সব রম্যগল্প শুনলে গাধাও যে অট্টহাসি দিবে তাতে সন্দেহ থাকার কথা নয়। ওনার লেখায় যে কি ছাইপাশ থাকে, আমার বুঝে আসে না। লন্ডনে কার সাথে ফোনালাপ হয়েছে, পার্কে কার সাথে দেখা হয়েছে. কে ওনাকে চিঠি লিখে জানিয়েছে, কে ওনাকে ইমেইল করেছে........ইত্যাদি। এ সবই যে ওনার মস্তিস্ক বিভ্রাটের ফসল তা বুঝতে পাঠকের মোটেও কস্ট হয় না। এখন বড় প্রশ্ন কে মূখ সামলাবে? যারা প্রতিনিয়ত রণাঙ্গনের বীর যোদ্ধাদের রাজাকার বলছে, যারা একজন প্রেসিডেন্ট পুত্রকে কুলাঙ্গার বলছে, তারা? নাকি যারা ইতিহাসের অপ্রিয় সত্য তুলে ধরছে তারা?
বিষয়: বিবিধ
১৫৪২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন চাইতাছে তারেইক্কা তোরে ......
এই বয়সেই কি তিনি কলেজে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন???
আগাচেী কে ক্লাস ফোর এ ভর্তি করা প্রয়োজন। বয়স নির্ধারন এর অংক শিখতে হবে!!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন