হিংসার অনলে পুরছে যারা দেখিবে একদিন ঐ অনলে পুরবে তাদের শরীর পুড়বে মূখমন্ডল
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ২৪ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:০৪:৫৩ সন্ধ্যা
সত্যকে যাদের কাছে মনে হয় অসহ্য। মিথ্যার চোড়াবালিতে দাড়িয়ে যারা ভাবে এটা বেশ নরম বিছানা, মরিচিকা মায়জালকে ভাবে ঝর্নাধারা, শিশির বিন্দুকে ভাবে মুক্তোর দানা-ওরা মিথ্যার চোরাগালিতে দাড়িয়ে ভাবে বাহ বেশ রোমাঞ্চ। হুতুম পেঁচার ডাক আর শিয়ালের হুক্কা হুয়ার অনুকরণে চিৎকার করে আর ভাবে বাহ বেশ ভালোই আন্দোলন জমেছে। দুনিয়ার ক্ষনস্থায়ী জীবনের কুহককে ভাবে এ জীবন আর শেষ হবার নয়। ওরা হিংসার বীজ বপন করাকেই মনে করে আদর্শের প্রচার। হিংসা, নিন্দাবাদ, পরশ্রীকাতরতা, মিথ্যা, প্রপাগান্ডা আর অপপ্রচার যাদের আদর্শের হাতিয়ার তারা যুগে যুগে একই চরিত্র নিয়ে হাজির হয়। ওরা কখনো ভালোকে গ্রহণ করতে পারে না, সত্যকে সহ্য করতে পারে না। হিংসা, অহংকার আর অজ্ঞতার চাদরে ঢাকা যাদের বিবেক তারা তাদের বীজ বুনে যাচ্ছে অনবরত। অধ্যাপক গোলাম আযম দুনিয়া ছেরে চলে গেছেন ওপারের সুন্দর ভুবনে। কিন্তু মিথ্যার সিপাহসালাররা অপপ্রচারের যে অভিযানে নেমেছে তা ওরা থামাবে না- এটা বোঝা যাচ্ছে ওদের কসরৎ দেখে। অধ্যাপক গোলাম আযম এক ক্ষণযন্মা মহাপুরুষ। যিনি তার গোটা জীবন ব্যয় করেছেন দীনী আন্দোলনের জন্য। তার বিরুদ্ধে কি হিংসা আর অপপ্রচারই-না ওরা করছে। ওরা সকল সত্যকে লুকিয়ে শুধু মিথ্যাই প্রচার করছে। যিনি তার গোটা জীবনে ব্যাক্তিগত আচরণের মাধ্যমে কাউকে কস্ট দিয়েছেন এমন কোন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে বড় ধরণের গুনাহ তো দূরের কথা কোন ছোট গুনাহ করেছেন এমন কোন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। যিনি শতাধিক ইসলামী সাহিত্য রচনা করে কিয়ামাত পর্যন্ত দীন প্রচারের এক মহা খেদমত করে গেছেন। আল কুরআনের সহজ সরল অনুবাদ করেছেন। যার মেধা যোগ্যতা আর তৎপরতায় লাখো লাখো তরুণ বাতিল মতবাদের রাস্তা ছেড়ে আল ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু এ মহান কাজগুলোকে ওদের কাছে মনে হয় চরম অসহ্য। কুরআনের বানী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া ওদের কাছে মহা পাপ- ওদের কাছে মহাকর্ম হচ্ছে কারো বেদীতে ফুল দেয়া অথবা মোমবাতি জালিয়ে উলুধ্বনি দেয়া। যারা হিংসার আগুণে জলছে, যারা অপপ্রচার আর প্রপাগান্ডা চালিয়ে তাকে তাকে তিলে তিলে হত্যা করেছো তোমরা কোন কিছুই অর্জন করতে পারো নি। দেখে যাও মগবাজার কাজী অফিস লেন সকাল থেকে রাত অবধি মহাসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। একদল যাচ্ছে অপর দল আসছে তার পরও ভীড় সামলানো যাচ্ছে না। ওখানে কেউ শাহবাগী বিরিয়ানী নিয়ে হাজির হয়নি, রাস্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী সাহায্যের হাত বাড়ায়নি,এরপরও কেন ঐ মানুষেরা দলে দলে আসছে আর যাচ্ছে একবার বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখ। কিন্তু তোমাদের বিবেকবোধ ভোতা হয়ে গেছে, সত্য গ্রহণ করার মানসিকতা নস্ট হয়ে গেছে। আজ যারা হিংসার আগুনে পুড়ছে আর একজন মৃত্যু মানুষের বিরুদ্ধেও চালাচ্ছে অনবরত জিঘাংসা আর মিথ্যার বেসাতি এই হিংসার আগুনেই একদিন পুড়বে তাদের ঘর, পুড়বে তাদের মূখমন্ডল। অধ্যাপক গোলাম আযমের অপরাধ তিনি ইসলাম প্রতিষ্টার চেস্টা করেছেন, ইসলামী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এটাই ওদের শত্রুতার কারণ। মিথ্যার সিপাহ সালাররা নিজেদের যে পরিচয়ই দিক না কেন। এরা মূলত কুরআনের দুশমন, রাসুলের দুশমন, ইসলামী জীবন বিধানের দুশমন। ইসলামের এ সব দুশমনদের ব্যাপারে আল্লাহর ঘোষণা---------‘‘ এই জালেমরা যা করছে সে সম্পর্কে আল্লাহকে বেখবর মনে করবেন না। তাদেরকে (জালেমদের) তিনি(আল্লাহ) সেই দিন পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে রেখেছেন যে তাদের চক্ষুসমূহ বিস্ফোরিত হয়ে যাবে।
তারা তাদের মস্তক উপরের দিকে তুলে ভীত বিহ্বল চিত্তে দৌড়াতে থাকবে। তাদের দৃস্টি থাকবে উদভ্রান্ত। তাদের মন থাকবে বিভ্রান্ত।’’ (সূরা ইবরাহীম: ৪২-৪৩)
‘‘যখন তাদের করো কাছে মৃত্যু আসে তখন সে বলে, হে আমার পালনকর্তা, আমাকে পূনরায় দুনিয়াতে প্রেরণ করুন।
যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি-যা আমি করিনি। কখনোই নয়, এতো একটি কথার কথা মাত্র। এখন তাদের সামনে শুধু একটি পর্দা আছে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত।
অতঃপর যখন শিংগায় ফুক দেয়া হবে সেদিন তাদের পারস্পারিক আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন হয়ে যাবে এবং একে অপরকে জিজ্ঞেস করবে না।
যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে সফলকাম।
এবং যাদের পাল্লা হাল্কা হবে তারাই নিজেদের ক্ষতি সাধন করেছে। তারা দোজখেই চিরকাল বসবাস করবে।
আগুন তাদের মুখমন্ডল ধ্বংস করবে এবং তাতে বিভৎস আকার ধারণ করবে।
তোমাদের সামনে কি আমার আয়াতসমূহ পঠিত হতো না? তোমরা তো সেগুলো মিথ্যা বলতে।
তারা বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা- আমরা দূর্ভাগ্যের হাতে পরাভূত ছিলাম এবং আমরা বিভ্রান্ত জাতি।
হে আমাদের পরওয়ারদিগার এ থেকে আমাদের উদ্ধার করো। আমার যদি পুনরায় তা করি তবে আমার গুনাহগার হবো।
আল্লাহ বলবেন ঃ তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানে (জাহান্নামে) পড়ে থাকো এবং আমার সাথে কোন কথা বলো না।’’ সূরা মুমিনুন: ৯১ - ১০৮)
বিষয়: বিবিধ
১৬৬৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন