জঙ্গী উত্থান প্রমাণ করার জন্যই কি লতিফকে দিয়ে এ কুকান্ড ঘটানো হয়েছে?
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ০১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:৫৯:২৭ সন্ধ্যা
লতিফ সিদ্দিকী এখন বাংলাদেশের রাজনীতি অর্থনীতি এবং মিডিয়ায় হট ইস্যু। তার বেয়াদবীপূর্ণ বক্তব্য এবং অশালীন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ, বিক্ষুব্ধ প্রতিটি বিবেকবান মানুষ। প্রতিনিয়ত চলছে বিক্ষোভ, মিডিয়ার বিরাট অংশ জুরে লতিফের ঔদ্ধত্যের সংবাদ, সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল ঝড়। কিন্তু গোলাম লতিফ সিদ্দিকী তার বক্তব্যে অনঢ়। তার এ বক্তব্যে মানুষ ভিন্ন ভাবনা শুরু করেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী একটি পাতানো নির্বাচনী নাটকের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয় বর্তমান মহাজোট সরকার। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। প্রহসন এবং জবরদখলের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় আছে। তাদের প্রহসন এবং নির্বাচনী নাটক দেশে বিদেশে কোথাও বিশ্বাসযোগ্যতা পায়নি। তারা ক্ষমতাকে আকড়ে থাকার জন্য ব্যবহার করছে আইন শৃংখলা বাহিনীকে। দেখা মাত্র গুলি এ নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। গুম খুনে সরাসরি ব্যবহার করা হচ্ছে র্যাব পুলিশকে। হামলা, মামলা, গ্রেফতার আর রিমান্ডে নির্যাতন সরকারের নিয়মিত কর্মসূচী। এ সব নির্যাতনের খবর যখন আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত হচ্ছে তখন তারা বিশ্ববাসীকে বোঝানোর চেস্টা করছে ‘‘বাংলাদেশে জঙ্গী উত্থান হচ্ছে। আমরা জঙ্গী দমন করছি পুলিশ, র্যাবের গুলিতে যারা মারা যাচ্ছে, যারা গুম খুনের শিকার হচ্ছে সবাই জঙ্গী।’’ কিন্তু সরকারের এ বক্তব্য হালে পানি পাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মহল তাদের এ বক্তব্য গ্রহণ করছে না। শাপলা অভিযানে আলেমদের হত্যা করার পর বলা হলো জঙ্গী দমন করা হয়েছে কিন্তু সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সে অভিযানের ভিডিও ক্লীপ চলে গেছে সারা বিশ্বের মানবাধিকার কর্মীদের হাতে। তারা দেখেছে কিভাবে নীরিহ নিরাপরাধ মানুষগুলোর উপর গুলি চালানো হয়েছে। সরকারের জঙ্গী দমন নাটক কেউ বিশ্বাস করতে চাইছে না। ইসলামী দলগুলো সরকারের নির্যাতনে কোনঠাসা, বিরোধী দল সরকার পতন আন্দোলনে ধীর গতি অবলম্বন করছে। শাপলা অভিযানের পর হেফাজত আর মাথা তুলে দাড়াতে পারে নি। এমনি সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গীকে দিয়ে এ ধরণের বক্তব্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে কি সরকার প্রমাণ করতে চাইছে যে দেখুন আমরা জাতিসংঘে যে জঙ্গীদের কথা বলছি বাংলাদেশের রাস্তায় আজ জঙ্গীরা কিভাবে মিছিল করছে, অতএব এ সব জঙ্গী দমনের জন্য আওয়ামীলীগকেই ক্ষমতায় থাকতে হবে। সম্ভবত আন্তর্জাতিক মহলে এ ধরণের একটি মেসেজ দিয়ে তাদের বুঝনো যে ‘‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন কাজ করবে না। গণতাান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচন হলে এ সব জঙ্গীরা ক্ষমতায় চলে আসবে, তাই গণতন্ত্র আপাতত থাক, আওয়ামীলীগকেই ক্ষমতায় থাকতে হবে।’’
বিষয়: বিবিধ
১৫৫০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একেবারে খারাপও বলেন নি। বিষয়গুলো আমাদের ভাবতে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন