রাজাকার গোলাম আযমের অনুসারী ড. কামাল এবং ইতিহাস, মানবাধিকার ও ড. মাসুদ
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:০১:৫৮ সন্ধ্যা
ইতিহাস, দর্শন, সমাজ, রাজনীতি এক এক সময় আমাদের কাছে এক এক রুপে ধরা দেয়। প্রবাদ বাক্য ‘ইতিহাস অস্বীকার করা যায় না’ ইতিহাস ছাই চাপা দেয়া যায় না’ ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না’ প্রবাদ বাক্যগুলো সময় এবং রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নানান রুপ পরিগ্রহ করে। পৃতিবীর ইতিহাস সক সময় বিজয়ীরাই রচনা করে। বিজয়ের পিছনের কর্দমাক্ত দিকগুলো কেউ খুজে দেখার চেস্টা করলে করতে পারে তবে তা ইতিহাসের পাতায় খুব কমই স্থান পায়। মার্কসবাদ প্রতিষ্ঠার লাল পতাকার বিজয়ের ইতিহাস কমিউনিস্টদের হাতে হাতে কিন্তু সোভিয়েত নামক দানবীয় রাস্ট্র কায়েমে যে রক্ত নদী বইয়ে দেয়া হয়েছে সে ইতিহাস এখনো লেখা হয়নি। মাওবাদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত চীনে কমিউনিস্টদের প্রতাপ চলছে কিন্তু কমিউনিজমের জাতাকলে পিষ্ঠ মুসলমানদের ইতিহাস লেখার জন্য কোন সাহসী কলম এখন কালি ঝড়ায়নি। পশ্চিম পাকিস্তানী হায়েনাদের যুদ্ধের মাধ্যমে পরাজিত করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে। বিজয় উল্লাসের মাঝে গোষ্ঠী খতম, দালাল নিধন আর সম্পদের মোহে কত জীবন প্রাণ কেড়ে নেয়া হয়েছে সে ইতিহাস আজো লেখা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশীদের লেখা ‘খোলা চিটি বইটির কোন প্রশ্নের জবাব এখনো পর্যন্ত চেতনাবাদীরা দেয়নি’ ইতিহাসের শতভাগের সামন্য কয় আনা প্রকাশ করেছেন তাজউদ্দিন কন্যা এবং এ কে খন্দকার। এতেই তারা রাজাকার বনে গেছেন। বিচারপতিদের অভিশংসনের প্রতিবাদ করায় ড. কামাল এখন গোলাম আযমের অনুসারী। এ সব এখন খবর, আগামী দিনের ইতিহাস। গুম খুনের শিকার ব্যাক্তি এবং পরিবারগুলো প্রতিদিনের কান্না এখন খবর, আগামী দিনের ইতিহাস। সে ইতিহাস যখন লেখা হবে তখন কে রাজাকার আর কে মুক্তিযোদ্ধা হবে তা বোঝার জন্য সম্ভবত তাত্বিক হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। র্যাবের হাতে নিহত হওয়া লিমনের জন্য মানবাধিকারবাদীরা কুম্ভিরাশ্রু ঝড়ালেও ড. মাসুদের ব্যাপারে ওরা নিশ্চুপ। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি লাভের পরে আবার অল্প বয়সে পি এই ডি ডিগ্রী অর্জন করা যুবকটিকে হাস্যোজ্জল অবস্থায় দেখা গেল কোর্টে, রিমান্ডে চারদিন থাকার পর তাকে আনা হলো বেহুশ অবস্থায়। এখন সে হুইল চেয়ারে আদালত আর কারাগার এই নির্মমতা চলছে। কে মানবাধিকার কর্মী আর কে মিডিয়া কর্মী সবার পরিচয় স্পষ্ট আলোর মতো উজ্জল হচ্ছে। পুলিশ গ্রেফতার করার পর সে এখনো কেন সুস্থ আছে এ ধরনের বাকা প্রশ্ন সাত পেচ ঘুড়িয়ে অন্য রকমভাবে লিখে যে সাংবাদিক পরিচয়ধারী নব্য হিটলারের অনুসারী তার ইতিহাস এখন হয়তো ছাই চাপা আছে-হয়তো এখন ইতিহাস নির্মম হবে না। কিন্তু যখন এ সব মিডিয়া কর্মী আর মানবাধিকারবাদীদের ব্যাপারে নির্মম হবে তখন ওদের জন্য বলার কেউ থাকবে না। ড. মাসুদের জন্য লক্ষ লক্ষ যুবক, তরুন, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, মা-বাবা চোখের পানি ফেলে আল্লাহর আরশের কাছে আর্জি পেশ করে। তাকে মুক্ত করার জন্য লাখো তরুণ এখনো জীবন দিতে প্রস্তুত- কিন্তু আজ নির্মমতার আর পাশবিকতার সমর্থক তাদের জন্য যে দিন ইতিহাস নির্মম হবে সে দিন হাত তোলার মতো, আর্জি পেশ করার মতো, তার পক্ষে শ্লোগান দেয়ার মতো তারা কাউকে খুজে পাবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন