মাহারাণী শেখ হাসিনা ২০২৯ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্র বিতরণ করবেন ---------------------------------------------------------
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ২১ আগস্ট, ২০১৪, ১১:১৪:৪৯ সকাল
বাংলাদেশে বর্তমানে কেমন সরকার ক্ষমতায় আছে, এর সংজ্ঞা কি? এর ধরণ কি? এরা কাদের দ্বারা নির্বাচিত? এমনকি যারা নির্বাচিত হয়েছে তারা নিজের ভোট দিতে পেরেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন মহলের একটাই জবাব তারা নাকি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার। কোন জনগণ তাদের ভোট দিয়েছে এর জবাবে তারা বলছেন জনগণ তাদের ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশ শাসন করার দায়িত্ব দিয়েছেন। যেন বাবার নাম জিজ্ঞেস করলে পর দাদার নাম বলে দেয়া হচ্ছে। আজব এক সরকার; যা জনগণের উপর গজব ছাড়া আর কিছুই নয়। ওনারা এতদিন বলেছেন এ সরকার ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে, কিন্তু হঠাৎ করে শেখ হাসিনার বদান্যতায় অখ্যাত অবস্থা থেকে বিখ্যাত হওয়া মাহবুবুল আলম হানিফ বলে বসলেন ২০১৯ সাল নয়, এর পর আরো দশ বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। মনে হচ্ছে শেখ হাসিনা এক মহারাণী; এ রাণীর রাজ্যে বাংলাদেশের জনগণ সব ওনাদের প্রজা। অতএব রাণী তার প্রজাদের প্রতি মায়াবৎসল হয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ওনার ভালবাসা বিতরণ করবেন। সে ভালবাসার উপহারগুলো খুবই চিত্তাকর্ষক- যেমন, বিরোধী দলের মিছিল দেখামাত্র গুলি। গুলিতে নিহত হওয়া পরিবারের বিরুদ্ধে আবার হত্যা মামলা। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলার পাহাড়। গণ গ্রেফতার, গ্রেফতারের পরে রিমান্ডের নামে মধ্যযুগীয় নির্মমতা। সুস্থ স্বাভাবিক মানুষগুলো রিামন্ডে গেলে শুধু অসুস্থ হয়েই ফিরে আসে না, তাদের চির জীবনের জন্য পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে। এরই নাম আওয়ামী সুশাসন এবং আওয়ামী গণতন্ত্র।
২০২৯ সাল পর্যন্ত কোন জনগণকে আর কস্ট করে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিতে যেতে হবে না- এ কথা ঘোষনা দিয়েছেন মাহবুবুল আলম হানিফ। নাসিম সাহেব বিরোধী দলকে বলেছেন ৭১ ও ৭৫ সালের খুনী, অতএব ৭১ ও ৭৫ এর খুনীদের কোন গণতান্ত্রিক অধিকার থাকতে পারে না। এরপর থাকে মিডিয়া। মিডিয়া দমনের জন্য আইন প্রস্তুত করা হয়েছে। এ আইন সংসদে পাশের আগেই কার্যকর শুরু হয়ে গেছে, দৈনিক ইনকিলাব অফিসে গিয়ে বার্তা সম্পাদককে শুধু গ্রেফতারই করা হয়নি। তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। স্বাধীন বিচার বিভাগ যেন আর স্বাধীন থাকতে না পারে এ জন্য বিচারপতিদের অভিসংশনের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেয়া হচ্ছে। এর পর কি বাকী থাকে। সাবাস বাংলাদেশ;বিরোধী দল নামে কার্যত কোন বিররোধী দল থাকতে দেয়া হবে না। যারাই আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করবে তারাই ৭১ ও ৭৫ এর খুনী। খুনীদের কোন গণতান্ত্রিক অধিকার থাকতে পারবে না। মিডিয়ার বার্তা সম্পাদক রিমান্ডে। সম্পাদকরা মিহি শুরে প্রতিবাদ করছেন। তার মানে গণতন্ত্র এখন রিমান্ডে। বিচার বিভাগের কাধে জড়ানোর চেস্টা চলছে পরাধীনতার জোয়াল। মহারাণী শেখ হাসিনার শাসনামলে আমাদের তিনি আর কত কি দেখাবেন?
বিষয়: বিবিধ
১০৭৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বার বার দরকার
কিন্তু তা দশ বছর ও থাকেনি। ফিরআউন রা নিজেদের অবধ্য মনে করে কিন্তু তাদের সময় সংকির্ন্ হয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন