মুমিনের কোন পরাজয় নেই
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ০৭ আগস্ট, ২০১৪, ১২:২৬:৫৯ রাত
ফিলিস্তিন এক নির্যাতিত জনপদের নাম আর সে জনপদের একদল সিংহ শার্দুলের নাম ‘হামাস’- দীর্ঘ ষাট বছরের জুলুম, নির্যাতন, আগ্রাসান, হত্যাকান্ড, ধ্বংসলীলা আর রক্তাক্ত ইতিহাসের পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিয়ে একটি সাহসী সেনা দলের জন্ম লাভ। ইসরাইল এবং আমেরিকার দৃস্টিতে হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। কিন্তু ফিলিস্তিনী জনগণের কাছে তাদের
মুক্তির কান্ডারী, আশার আলো, চেতনার বহ্নিশিখা। ইসরাইলী আগ্রাসন এবং জুলুম নির্যাতনে ফিলিস্তিনী জনগণের জন্য আলোক বর্তিকা হয়ে আবির্ভূত হয়েছে ‘হামাস’। হামাস বুঝতে এবং বুঝাতে পেরেছে ইসারইলী নরপশুদের কাছ থেকে কখনো ভাল আচরণ পাওয়া যাবে না, বরং লড়াই করে টিকে থাকতে হবে। এবারের ইসলাইলী হামলা, ধ্বংসযজ্ঞে হামাস প্রমাণ করেছে ‘‘অসত্যের কাছে কভূ নত নাহি শির ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর’’ হামাসের কর্মীরা শাহাদাতের
তামান্নায় উজ্জীবীত-অপর দিকে ইসরাইলী হানাদার বাহিণীতে আছে সূখ স্বপ্নে বিভোর হওয়া বিভিন্ন দেশ থেকে ইসরাইলে পাড়ি জমানো উচ্চ বেতনভোগী ইহুদী গোষ্ঠী। তাইতো বিশ্বের অস্টম সামরিক শক্তির অধীকারী একটি শক্তি একটি ক্ষুদ্র শক্তির কাছে চরমভাবে হেরে গেছে। এর কারণ ইসরাইলীরা একটি অবৈধ রাস্ট্রের নাগরিক। যে রাস্ট্রের কোন সীমানা নেই, দখলদারী এবং আগ্রসানের মাধ্যমে তারা তাদের রাস্ট্রীয় সীমানা বৃদ্ধি করছে অপরদিকে দিকে ফিলিস্তিনীরা দিনে দিনে তাদের আবাস ভূমি হাড়াচ্ছে। এ ধরনের একটি দখলদার বাহিনী একটি মুক্তি সংগ্রামের কাফেলার কাছে পদানত হবে এটাই স্বাভাবিক।
এভাবে ফিলিস্তিনী জনগণ নারী শিশু হত্যার মাধ্যমে ইসরাইল বার বার প্রমাণ করেছে তারা একটি সন্ত্রাসী রাস্ট্র। অপরদিকে হামাস শুধু ইসরাইলী সেনা খতমের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে তারা একটি বৈধ রাস্ট্রীয় শক্তি। এ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামপন্থী সংগঠন হামাসকে একটি বৈধ ‘রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি গাজার ওপর থেকে ইসরাইলের সর্বাত্মক অবরোধ তুলে নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
ইসরাইলি হামলায় গাজায় প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেসামরিক লোক ৭৯ ভাগ। আর হামাস যোদ্ধা ২৯৯ জন, শিশু ৪২৬ জন এবং নারী ২৫৫ জন। আহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি। বাস্তচ্যুত হয়েছে পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনি। কিন্তু হামাস কোন বেসামরিক লোকের উপর আক্রমণ করেনি, তাদের হামলায় শুধুমাত্র তিনজন বেসামরিক ইসরাইলী নিহত হয়েছে। হামাসের লক্ষ্য ছিল দখলদার ইসরাইলী সেনা, অপরদিকে ইসরাইলীরা টার্গেট করেছে নারী, শিশু সহ সব শ্রেণির নিরাপরাধ নাগরিককে। টানেল ধ্বংস, আধিপত্য ধরে রাখা এবং হামাসকে কাবু করার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ঘোষণা কতটুকু অর্জিত হয়েছে এমন প্রশ্নে ৫৬ ভাগ ইসরাইলি মনে করে, আংশিক অর্জিত হয়েছে। ২৬ ভাগ মনে করে পরোপুরি অর্জিত হয়েছে আর ১৩ ভাগ মনে করে কোন লক্ষ্যই অর্জিত হয়নি। ইসরাইলের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গাজা আগ্রাসনে ইসরাইলি বাহিনীর দৈনিক খরচ হয়েছে ২০ কোটি শেকেল (৪৫৫ কোটি টাকা)। এ তুলনায় হামাসের ব্যয় সামান্য। তবে গাজা ভূখন্ডের আর্থিক ক্ষতি অনেক। বিশ্ব মোড়লদের ভ্রুকুটি, আরব রাজাদের অসহযোগিতা আর বিশ্বের অস্টম সামরিক শক্তির মূখোমূখি দাড়িয়ে হামাস প্রমাণ করেছে ঈমানী শক্তিতে বলীয়ান একটি বাহিনী যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন তাদের পরাজিত করা যায় না। এ কথাটি বিশ্বের প্রতিটি জনপদের জন্য সত্য। আজ যারা বাংলাদেশে অস্ত্র, পেশি শক্তি আর রাস্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে ঈমানদের দমন এবং নিশ্চিহ্ন করতে চান- তারা বিষয়টি ভেবে দেখবেন।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৬ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কথাটি তিতা লাগলেও মুল্যবান কিন্তু।
We will hold the rope of Allah(swt) inshaallah and stand beside our brothers.
Thanks for sharing.
মন্তব্য করতে লগইন করুন