ফিলিস্তিনী মুসলমানদের নিধনে রাজতন্ত্র-স্বৈরতন্ত্র,একনায়কতন্ত্র এবং ইয়াহুদীবাদীদের ঐক্য বনাম শেখ হাসিনার সরকার
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ০৪ আগস্ট, ২০১৪, ১০:৪৩:৫০ সকাল
ফিলিস্তিন-অসংখ্য নবীর আগমনে পূণ্যভূমি। মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল আকসা এখানেই অবস্থিত। এ পূণ্যভুমিতে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে দীর্ঘ ষাট বছর ধরে। বিশ্ব সন্ত্রাসী বেল গুরিয়ান তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রথম এখানে অবৈধ ইসরাইল রাস্ট্রের গোড়াপত্তন করে। বৃটিশ সরকার বেলগুরিয়ানকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল-সেই বেলগুরিয়ানকে-ই পরবর্তীতে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দিয়ে আন্তর্জাতিক নোবেল কমিঠি ইয়াহুদী সন্ত্রাসকে বৈধতা দেয়। জাতিসংঘ এ অবৈধ রাস্ট্রটিকে সদস্য পদ দিয়ে তার অবৈধতার মোড়কে বৈধতার সীল মেড়ে সন্ত্রাসকে উস্কে দেয়। আমেরিকা এবং বৃটিশরা বরাবরই তাদের প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে আসছে। ইতিপূর্বে কোন মুসলিম দেশই ইসরাইলী সন্ত্রাসকে প্রকাশ্য সহযোগিতা করেনি। কিন্তু সময় পাল্টেছে । বিশ্বব্যাপী ইসলামী পূনর্জাগরনের যে ঢেউ শুরু হয়েছে তাতে স¤্রাজ্যবাদ, ইহুদীবাদের সাথে রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র,স্বৈরতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের তখতে তাউস কাপতে শুরু করেছে। গদি রক্ষায় আজ তাই সবাই একাট্টা হয়েছে। আরব বসন্তের পর মিশরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসীকে বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে ইসলামের দুশমন ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী সামরিক শাসক ‘‘সিসি’’ মিশরে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পাইকারী হারে হত্যা, গ্রেফতার এবং বিচারের নামে প্রহসনে একশত কোটি ডলারের অর্থ সহায়তা দিয়েছিল সৌদী রাজ পরিবার। উদ্দেশ্য একটাই মিশরে গণ বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামপন্থ’ীরা ক্ষমতায় এসছে; এ জোয়ার যদি সৌদী আরবে পৌছে তবে রাজ পরিবারের ক্ষমতা খর্ব হয়ে যাবে। কারণ সৌদী রাজ পরিবারের চরিত্র যা-ই হোক না কেন, সৌদী জনগণ স্বাভাভিকভাবে ইসলামী অনুশাসন পালনে অভ্যস্থ এবং তারা রাজতন্ত্র খতম করে ইসলামী খিলাফত কায়েমে মোটেও দ্বিাধা করবে না। নিজের গদি রক্ষার স্বার্থে মিশরে ইসলামী আন্দোলন দমনে এ ধরনের নির্লজ্জ সহায়তা করছে সৌদী রাজ পরিবার।
ফিলিস্তিনী হামাস যোদ্ধাদের এবং জনগণের খাবার, ঔষধ, এবং রসদ আসার একমাত্র পথ হচ্ছে তাদের গোপন টানেলগুলো। এ টানেলগুলো ধ্বংসে ইসরাইলী বাহিনীকে সহায়তা করছে মিশরীয় ধর্ম নিরপেক্ষ সেনাবাহিনী। মিশরের সেনাবাহিনীকে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে সৌদী রাজ পরিবার। আরবের অন্যান্য রাজতান্ত্রিক শাসক এবংএক নায়করাও এতো বড় গণহত্যা দেখার পর চুপ হয়ে আছে। এখানে মূল কারণ তারা ইসলামী গণ জাগরণের ভয়ে ভীত। ক্ষমতা এবং গদি রক্ষার জন্য ইসরাইলী সন্ত্রাস এবং গণহত্যায় তারা মূলত প্রচ্ছন্ন সমর্থনই দিয়ে যাচ্ছে। মিশরের সিসি সরকার এবং বাংলাদেশের হাসিনা সরকার একই আদর্শের ধারক ও বাহক। তারা ক্ষমতায় টিকে আছে একই পদ্ধতিতে। ভোটার বিহীন নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে শেখ হাসিনা- একই পদ্ধতিতে ক্ষমতায় এসেছে সিসি। বাংলাদেশ, মিশর, ফিলিস্তিন আজ একইভাবে রাজতন্ত্র-স্বৈরতন্ত্র,একনায়কতন্ত্র এবং ইয়াহুদীবাদীবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের ষড়যন্ত্রে নিপতিত। এ মূহুর্তে যারা ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে, মাহাবী স্বার্থে, পৈত্রিক গদি রক্ষার স্বার্থে ফতোয়াবাজি আর বকোয়াবাজীতে ব্যস্ত তারা নিজের অজান্তেই ইসলামের দুশমনদের সহযোগিতা করছেন। বিষয়টি সবাইকে ভাবার অনুরোধ করছি।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন