শিশুদেরকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার অধিকার ইসলাম কাউকে দেয় নাই
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ০২ আগস্ট, ২০১৪, ০১:৪৭:৩১ দুপুর
ঈদের নামায পড়তে যাওয়ার নিয়ত ছিল ঈদগাহে কিন্তু নামাজ শুরুর পূর্বে বৃস্টির কারণে ঈদগাহে যাওয়া হয়নি বাসার কাছাকাছি একটি মসজিদে নামাজ পড়তে গেলাম সাথে আমার ছেলে এবং ভাতিজা ছিল। যাদের দুজনের বয়স যথাক্রমে ৫ এবং ৪ বছর। নামাজ শুরুর কয়েক মিনিট আগে একজন বয়স্ক লোক এসে বসেই বললেন ‘‘যারা ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে এসেছেন তারা পিছনে যান, বাচ্চাদের বাইরে বের করে দেন’’ এ কথাটি তিনি তিনবার বললেন। উল্লেখ্য ঈদের দিন হওয়ার কারণে অনেকেই ছোট ছেলে-মেয়েদের সাথে করে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু কেউ তার প্রতিবাদ করে নাই- অথবা শিশুদের বের করে দেন নাই। যিনি এ ধরনের উচ্চ বাচ্য করলেন তার ভাবভংগী দেখলে বোঝা যায় তার শিশুকাল এবং যৌবনকাল কিভাবে কেটেছে। আমি তার জীবন এবং চরিত্র নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। কিন্তু এই যে ছোট ছেলেদের মসজিদে দেখলে ধমক দেয়া, বের করে দেয়া, তাড়িয়ে দেয়া- এটাতো রাসুলের সুন্নাত হতে পারে না। অথচ রাসুলুল্লাহ সা. নামাজ পড়ার সময় তার নাতীদ্বয় ওনার ঘাড়ের উপর উঠে বসতো- সিজদার সময় পীঠের উপর বসতো। যদিও তারা এটা করতো ওনার নফল সালাতের সময় তথাপওি রাসুলুল্লাহ সা. অথবা সাহাবায়ে কেরামের কোন বর্ণনায় পাওয়া যাওয়া না যে তারা শিশুদের মসজিদ থেকে বের করে দিতেন বরং বিভিন্ন হাদীসে অসংখ্য বর্ণনা এসছে তিনি কিভাবে শিশুদের আদও করতেন। যারা শিশুদের মসজিদ থেকে বের করে দেন অথবা ধমক দেন তারা দুটি বড় অন্যায় কাজ করেন ১. রাসুলের সুন্নাতের বিরোধী কাজ করেন ২. এই শিশুদের মনে মসজিদ ্ওবং নাময সম্পর্কে বিরুপ ধারণা তৈরী করেন। ৩. তারা মসজিদে এসে ঈমান,ইসলাম ও নামাজ সম্পর্কে কিছু শেখার যে চেস্টা করবে তা থেকে বঞ্চিত করেন।আমার ছেলের বয়স ৫ বছর হলেও সে সহীহ শুদ্ধভাবে দু রাকায়াত নামাজ পড়া শিখেছে। আমি যখন ঘরে কোন সময় নামাজ পড়ি তখন সে আমার পাশে এস দাড়ায় এবং মসজিদে আসলে আমার সাথে মসজিদে যেতে চায়। তার মনের মধ্যে এই যে নামাজ এবং মসজিদের প্রতি আকাংখা এটা নস্ট হয়ে যাবে যদি মসজিদে তার সাথে দূর্ব্যবহার করা হয়। আমি মনে করি যে সব পরিবারে ধর্মীয় বিধি বিধান চালু আছে অধিকাংশ পরিবারের শিশুদের অবস্থাই এমন। মসজিদে গেলে দুর্ব্যবহার নয় বরং তাদের পরম যতœ ও আদরের সাথে মসজিদে নেয়া উচিৎ। হ্যা যদি আশংকা থাকে কেউ নামাযে ব্যাঘাত ঘটাবে তার বিষয়টা ভিন্ন। এ জন্য হাদীসে নামাজের কাতারে প্রথমে পুরুষ এরপর মহিলা তারপর শিশুদের দাড়াতে বলা হয়েছে, কিন্তু মসজিদ থেকে তাদের বের করে দেয়ার অধিকার ইসলাম কাউকে দেয় নাই।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কাতারের বিষয়, শিশু মনের গতি প্রকৃতি ও তাকে কন্ট্রোলের বিষয়, মসজিদের পবিত্রতার বিষয়। ইত্যাদি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন