ফুটবল খেলার রেফারীর বাশি বনাম জীবন নামক খেলাঘরের রেফারীর বাশি
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ১০ জুন, ২০১৪, ০৫:২৭:৪৬ বিকাল
বিশ্বকাপ জ্বরে কাপছে সারা বিশ্ব তবে সবচেয়ে বেশী মাতামাতি বাংলাদেশে। আজব এ দেশের কতিপয় আবেগী মানুষের কান্ডকারখানা। এক এক বিল্ডিংয়ের ছাদে ২০/২২ টি পর্যন্ত পতাকা শোভা পাচ্ছে। এমন মাতামাতি পৃথিবীর আর কোন দেশে আছে কি না আমার জানা নেই। বিশ্ব কাপের পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে সারা দেশে এ সপ্তাহে তিনজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দুজন বিদ্যুৎ স্পৃস্ট হয়ে এবং একজন ছাদ থেকে পরে গিয়ে। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সদ্য এস এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থীকে তার সতীর্তরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। হায়রে খেলা। খেলাকে কেন্দ্র করে ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া হচ্ছে, এক বন্ধু অপর বন্ধুর উপর আক্রমণ করছে, একই মহল্লায় বসবাসকারী দু দল যুবকের মাঝে সংঘর্ষে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। নস্ট হছে লাখ লাখ কর্ম ঘন্টা, অন্য দেশের পতাকা তৈরীর পেছনে অযথা ব্যয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। আজ যারা এভাবে সময় নস্ট করছেন তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন আপনার জীবনের প্রতিটি মূহুর্তের হিসেব একদিন দিতে হবে। সে দিন কোন সুপারিশকারী আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কারো পক্ষে কথা বলতে পারবে না। হেলায় ফেলায় অবহেলায় আমরা যে সময় নস্ট করছি সে সময়গুলোর পুংখানুপুংখ হিসেব রাখছেন আল্লাহর নিয়োজিত চার্টার্ড একাউন্টরা। যাদের হিসেবে কোন ভুল হয় না। আজ যারা রাত জেগে খেলা দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের কাছে বিনয়ের সাথে প্রশ্ন রাখতে চাই, কতদিন রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামায পড়ার পরিকল্পনা করেছেন? যারা পতাকা তৈরীর জন্য লাখ লাখ টাকা ব্যয় করছেন তারা কতদিন অভুক্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দেবার জন্য চেস্টা করেছেন? যে প্রাণগুলো পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে আর খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত হলো আমি জানি না তারা তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেসিত হলে কি জবাব দিবে। দুনিয়ার এ জীবনটা একটি খেলাঘরের মতো। দের ঘন্টার ফুটবল খেলা এক বৈঠকে দেখা শেষ হয়ে যায়। সময় কোন দিক থেকে চলে যায় আপনি টের পান না। আপনার জীবন নামের খেলাঘরের আয়ুও এভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে, কখন রেফারী শেষ মূহুর্তের সিগনাল দিবে আপনি জানেন না। হেলায় ফেলায় আর নয় সময় নস্ট আসুন সিদ্ধান্ত নেই প্রতিটি মূহুর্তকে হিসেবের খাতায় তুলে আনি আর প্রস্তুতি নেই খেলা শেষের পরবর্তী জীবনের জন্য।
বিষয়: বিবিধ
৯৬৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আফসোস ! এরকম শুধু বাংলাদেশীরাই করে । ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার কেউই করে না ।
অজান্তে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব
তা হতে পারে অপ্রত্যাসিত কোন ব্যক্তির
সাথে , সময়ের প্রয়োজনে জীবনের
বাস্তবতায় আবার তার বিচ্ছেদ ও ঘটে ,
প্রয়োজনের তাকিদে অনেক
দূরে চলে গেলেও যেনো মুছে না ফেলি সৃতির
পাতা থেকে কেউ কাউকে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন