মরিয়া যাইবে না, ছাই হইয়া যাইবে না
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ২৮ মে, ২০১৪, ১০:২৬:০৫ সকাল
গ্রামগঞ্জে একটি প্রবাদ চালু আছে বেড়ায় ক্ষেত খেলে ঠেকাবে কে? অথবা বহুল প্রচতি বাংলা বাগধারা ‘রক্ষকই ভক্ষক’ কিংবা কুইনাইন জর সাড়াবে বটে কুইনাইন সাড়াবে কে?। বর্তমানে বাংলাদেশে সর্বত্র অনিয়মই নিয়ম, বেআইনী কাজে আইনের ব্যবহার, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মানুষের জীবন রক্ষার পরিবর্তে জীবন হরনে বেশী পারঙ্গম-এটা কখনো গুম নামক অদৃশ্যকারসাজীর মাধ্যমে, কখনো বন্দুক যুদ্ধের নামে, কখনো বিরোধী দলের সহিংসতা প্রতিরোধের নামে, কখনো আন্দোলন দমনের নামে। এই বে-আইনী কাজ চলছে। ফুটপাতে মোটর সাইকেল চালানো নিষেধ- কিন্তু দেখা যায় এ কাজে ‘পুুলিশ’ লেখা মোটর সাইকেলটি সবার আগে ফুটপাতে উঠিয়ে দেয়া হয়, তার দেখাদেখি অন্যরা তাকে অনুসরণ করে। উল্টো পথে গাড়ি চালানো নিষেধ- কিন্তু দেখা যায়, সরকারী স্টীকার লাগানো গাড়ি, কোন মস্ত বড় নেতার গাড়ি, কোন ভি.আই.পির গাড়িকেই উল্টোপটথে সর্বাগ্রে চলতে দেখি-তখন ঐ বিশিস্টজনের অনুসরণ করে অন্যরা। যা হোক উল্টো পথে গাড়ি চলাচল বন্ধ করার জন্য ডি.এম.পির পক্ষ থেকে ডিভাইস বসানো হয়েছে। ডিভাইসটি যে দিন বসানো হয়েছে সে দিন মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী তার ফেইস বুক স্টাটাসে লিখেছিলেন ‘মরিয়া যাইবে-ছাই হইয়া যাইবে’। কারণ যানযটের এ ঢাকায় অনেক সময় এ্যম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে দ্রুত গন্তব্যে পৌছার জন্য উল্টোপথে যেতে হয়। উল্টোপথে যদি ফায়ার সার্ভিস এবং এ্যাম্বুলেন্সকেও আটকানো হয় তবে তার কথাটি বাস্তবে রুপ নিবে। তবে পত্রিকায় খবর দেখে জানা গেল- মরিয়া যাইবে না, ছাই হইয়া যাইবে না, কারণ দুর্নীতির এ বাংলাদেশে ডিভাইসটি সম্ভবত দুর্নীতি আক্রান্ত হয়ে অকোজো হয়ে গেছে ।
বিষয়: বিবিধ
৯৭৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন