ধর্মীয় শিক্ষা বাতিল করে একদল অসভ্য কুলাঙ্গার তৈরী করাই- মুতা মামুনদের লক্ষ্য
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ১৭ মে, ২০১৪, ০৭:৫৮:৪১ সন্ধ্যা
বাংলাদেশ- সুজলা, সফলা, শষ্য, শ্যামলা,ধান,নদী, পাখ-পাখালির দেশ। বাংলাদেশে অপার সম্ভাবনা আর শান্তি-স্যেহার্দ্য সম্প্রীতির দেশ। এত কিছুর পরেও বাংলাদেশের বড় পরিচয় - পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে শতকরা ৯০% মুসলমান বাস করে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অপর নাম মসজিদের নগরী। প্রতদিন এখানে আজানের ধ্বনিতে প্রভাত হয় এবং আজানের ধ্বনিতে সন্ধ্যা হয়। ধর্মীয়, পারিবারিক এবং সামাজিক বন্ধনই আমাদের সমাজে অবশিষ্ট ভদ্রতা, শিষ্ঠাচার, শান্তি, সম্প্রীতি ধরে রেখেছে।
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ হওয়া সত্বেও বাংলাদেশে আজ মুসলমানরা স্বকীয়তা এবং ধর্মীয় বৈশিস্ট্য নিয়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে না। এ দেশে বিজাতীয় কনসার্ট, ভারতীয় শিল্পীদের উদ্যাম নৃত্য হয় সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায়। অপরদিকে তাফসীর মাহফিলে জারী করা হয় ১৪৪ ধারা। ধর্মীয় অনুশাসন পালনের ক্ষেত্রে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাখা হয়েছে। কোন মুসলিম যুবকের টেবিলে কুরআন হাদীস অথবা ইসলামী বই পেলে তাকে জঙ্গী-সন্ত্রাসী হিসেবে আটক করে কারগারে পাঠানো হয়- মাঝপথে রিমান্ড, জুলুম, নির্যাতন তো আছেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থানরত কোন ছাত্র নামাজী হলে তাকে জঙ্গী বলে নির্যাতন করে হল থেকে বের করে দেয়া হয়। তার গায়ে লাগানো হয় জামায়াত-শিবিরের তকমা। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে চলে নস্টামী-ভ্রস্টামী, তাদের টেবিলে পাওয়া যায় বইয়ের পরিবর্তে ফেনিসিডিল আর গাজার প্যাকেট। আজ সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরী হচ্ছে ধর্ষক, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ আর ইয়াবা প্রজন্ম। ন্যুনতম নৈতিক চরিত্র আজ তরুণরা আর হারিয়ে ফেলছে। অসভ্যতা, অভদ্রতা, নস্টামী, ভ্রস্টামী আর আধূনিকতার নামে কুরুচীপূর্ণ আচরণই যেন আজ তাদের কাছে মডার্ণ কালচার। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে সকল স্তর থেকে ধর্মীয় অনুশাসন বিদায় দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাবেক সমাজতন্ত্রী এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম নাহিদ নৌকায় সওয়ার হয়ে আওয়ামীলীগের ঘারে বসে কুদরাত ই খুদার নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সর্বত্র আজ অশান্তি, অনাচার, সন্ত্রাস, দুর্নীতিসহ নানাবিধ অনাচার আমাদের সামাজিক ব্যবস্থার ভিত্তিমূলকে নাড়িয়ে দিচ্ছে। সমাজে যতটুকু সুশিক্ষা, ভদ্রতা, সভ্যতা, সামাজিক স্থিতি এবং শান্তি বিরাজিত আছে তা কেবলমাত্র ধর্মীয় শিক্ষার ফল। আজ তাই ইসলামের দুশমনরা অবশিস্ট ইসলামী শিক্ষাকে চিরতরে শেষ করে একদল ধর্মহীন, অসভ্য কীট তৈরীর জন্য উঠে পরে লেগেছে। মুতা মামুন এবং তার সাঙ্গপাঙ্গার আজ জঙ্গীবাদ নির্মূলের নামে নতুন যুদ্ধে নেমেছে। ইসলাম মানেই ওদের কাছে জঙ্গীবাদ, ইসলাম মানেই ওদের কাছে সন্ত্রাসবাদ, ইসলামী দল, সংস্থা মানে ওদের কাছে যুদ্ধাপরাধী। শয়তানের সিপাহসালার হিসেবে মানুষ্য সমাজে কর্মরত এ সকল কুলাঙ্গাররা কখনো মৌলবাদ দমনের নামে, কখনো জঙ্গীবাদ দমনের নামে, কখনো যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে এক এক সময় এক এক শ্লোগান নিয়ে হাজির হয়। মূলত ইসলামের এ সকল দুমশমনদের মূল টার্গেট হচ্ছে ইসলাম। আজ ১৭ মে-২০১৪, শনিবার শিল্পনগরী খুলনায় মুতা মামুন এক আলোচনা সভায় ধর্মীয় শিক্ষা ১০০ নাম্বার কেন? এ জন্য তার মনের ক্ষোভ প্রকাশ করে এ শিক্ষা বন্ধের দাবী জানিয়েছে। এ সকল শয়তানরুপী মানুষরা সব সময় আওয়ামীলীগের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে আসছে এবং বর্তমান সরকারও তাদের সকল প্রকার সহযোগিতা দিচ্ছে। এ দলে মুতা মামুন একাই নয়। আছে এমন আরো শত শত- মুরগী কবির, তুরিন আফরোজ, তানিয়া আমীর,হাসানুল হক ইনু, নুরুল ইসলাম নাহিদ, রাশেদ খান মেনন, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ বাম রাম কমিউনিসস্ট এবং আওয়ামী নাস্তিকদের একটি বিরাট অংশ। ওরা যদি ওদের মিশন সফল করতে পারে তবে শুধু ইসলামী শিক্ষা সংস্কৃতিই শেষ করবে না। জঙ্গীবাদ দমনের নামে মুসলমানদেরকেও নিশ্চহ্ন করবে। প্রশ্ন জাগে তবে কি বাংলাদেশে কোন মুসলমান থাকবে না? হ্যা থাকবে, তারা এমন মুসলমান যারা সকালে কুরআন তেলাওয়াতের পরিবর্তে রবীন্দ্র সঙ্গীত চর্চা করবে। সন্ধ্যায় মাগরিব নামজের পরিবর্তে মঙ্গল প্রদীপ জালাবে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে মূর্তি পূজাকে ওরা মনে করে সংস্কৃতি। যে সংস্কৃতির সাথে ইসলাম এবং মুসলিম জাতিসত্বার কোন সম্পর্ক নেই। কুরআন হাদীস আর মসজিদ নয় ধর্মহীন একদল অমানুষ তৈরীই ওদের লক্ষ্য। যেমন হচ্ছে আজ পশ্চাত্য দুনিয়ায়। মদ তাদের নিত্য সঙ্গী। অবাধ যৌনতা আর পারিবারিক ভাঙ্গন তাদের কাছে নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা। বৃদ্ধ পিতা-মাতার আশ্রয় হয় ওল্ড হোমে। আজ মুতা মামুনরা এমন বাংলাদেশ ই কায়েম করতে চায়।
বিষয়: বিবিধ
১০৫০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুধু শুধু মুনতাসিরদের দোষ দেন কেন ? তারা কি স্বশরীরে এসে জোড় করে আপনাকে কোন কিছু করতে বাধ্য করাতে পারবে?
শয়তান কখনও মানুষকে দিয়ে কাজ করাতে পারে না , সে প্ররোচিত করে । যারা তার টোপ গেলে তারাই ডিরেইল্ড হয় ।
এসব অন্যায় করে শয়তানকে দোষ দিয়ে পার পাওয়া যায় ? দোষের জন্য কি শয়তানকেই শুধু শাস্তি দেওয়া হবে আর দোষী খাল্লাস ?
এসব করে তো পার পাওয়া যাবে না । শয়তানসহ তাকেও চরম শাস্তি ভোগ করতে হবে ।
বাস্তব বড়ই নিষ্ঠুর , এটা মোকাবেলা করার সাহস সবার থাকে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন