ভ্রস্ট প্রেমের নস্ট গল্পের ফেরিওয়ালা বনাম জামায়াত আওয়ামীলীগ সমঝোতার ঘুম পাড়ানি ট্যাবলেট
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ২১ এপ্রিল, ২০১৪, ০৯:১৫:০৯ রাত
গণপ্রত্যাখ্যাত, অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ সরকারকে বৈধতা দেয়ার জন্য পাগলপাড়া আতেল আর দালাল সাংংবাদিকরা তাদের হলুদ চোখ, হলুদ চশমা আর হলুদ কলম নিয়ে সদা সর্বদা ব্যস্ত কখন কিভাবে জামায়াতের বিরুদ্ধে দুকলম লিখে মনের খায়েস মেটানো যায়। এ সমস্ত দালালরা যেমন সব সময় আওয়ামী বন্দনায় ব্যস্ত তার পাশাপাশি জামায়াতের মুন্ডপাত করতেও ওরা ওদের রাতের ঘুম হারাম করে দেয়। বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে ঘৃণিত রাজনৈতিক দলের নাম আওয়ামীলীগ, ঘৃণিত মতাদর্শের নাম নাস্তিক্যবাদ-যার প্রধান পৃষ্ঠপোষক আওয়ামীলীগ। শতাব্দীর সবচেয়ে ঘৃণিত শাসকগোষ্ঠী এখন ক্ষমতায়। যাদের প্রতি জনগণের যেমন কোন সমর্থন নেই তেমনি জনগণের প্রতিও তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। এ ঘৃণিত দলটি জানে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং জনগণ তাদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে পারলে আওয়ামীলীগ ১০% জনগণের সমর্থনও পাবে না। ৫ জানুয়ারীর প্রহসন এবং নাটকের পর উপজেলা নির্বাচনে যখন সবাইকে অবাক করে দিয়ে জামায়াত অবিস্মরনীয় সাফল্য অর্জনের পথে অগ্রসর হচ্ছিল তখন প্রথম ধাপের পর আর কোন ধাপেই আওয়ামীলীগ নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখেনি। এরপরও জামায়াত যতটুকু সাফল্য অর্জন করেছে তাতে আওয়ামী নেতাদের যেমন ঘুম হারাম হয়ে গেছে পাশাপাশি আওয়ামী আতেল আর দালার সাংবাদিকদের চক্ষু চরকগাছ। জামায়াতের উপর এত জুলুম নির্যাতন, এত গুম, খুন, এত গ্রেফতার, রিমান্ড, সব ধরণের সভা সমাবেশ বন্ধ, জামায়াতের পাঁচজন লোকের মিছিল দেখলেই শুরু হয় নির্বিচার গুলি- সকল পর্যায়ের সব ধরনের অফিস বন্ধ- এরপরও জামায়াতের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি রোধ করা যাচ্ছে না। একদিকে সরকারের জুলুম নির্যাতন আর দমননীতি অপর দিকে দালাল মিডিয়ার গোয়েবলসীয় অপপ্রচার-এরপরও জামায়াতকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাচ্ছে না। বরং দিনে দিনে জামায়াতের জনসমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আতেলরা বুঝতে পেরেছে সরকারের সাজানো ছকে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় দিলে তা হজম করা সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে না। সরকারে তাই চলছে ভিন্ন চিন্তা, রায় ঘোষণার আগেই শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্ব উত্তাল হতে শুরু করেছে। উত্তাল এ জনতার বিক্ষোভ আর ক্ষোভের আগুনে সরকারের গদি টলটলায়মান হয়ে যেতে পারে আর তাই দালাল মিডিয়া জনগণের দৃস্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য আওয়ামীলীগ জামায়াত সমঝোতার ভ্রস্ট প্রেমের নস্ট গল্প আবিস্কার করার মতো দুর্গন্ধময় সংবাদ প্রচার করতে শুরু করেছে। এ যেন শাহবাগের নস্ট প্রেমের নস্ট গল্পের অবাধ প্রচারের প্রতিযোগিতা। তোমরা যারা শাহবাগের আলো আধারীর নস্ট প্রেম নিয়ে সূখ অনুভব করো, শুরা টানতে আর গাজার কল্কিতে মূখ লাগিয়ে নিজেকে রাজা ভাবো তারাই জামায়াত আওয়ামীলীগ সমাঝোতার গল্প আবিস্কার করছো। আওয়ামী জুলুম নির্যাতনে জামায়াত ও শিবিরের তিনশত নেতা কর্মী শহীদ হয়েছে, গুম হয়েছে মোকদ্দেস ওয়ালীউল্লাহ-সহ শতাধিক নেতা কর্মী, তিন লক্ষ নেতা কর্মী মিথ্যা মামলার হুলিয়া নিয়ে বাড়িঘর ছাড়া, শত শত ভাইয়ের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতিম হয়েছে অনেক অবুঝ শিশু, বিধবা হয়েছে অসংখ্য বোন, সন্তান হারা পিতারা সকাল সন্ধ্যায় কান্নার রোনাজারি তোলে। চাকুরী হাড়িয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে অসংখ্য পরিবার, আজ চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে সমঝোতার গল্প লেখার আগে আমার ঐ ভাইয়ের আর্তনাদ বন্ধ করার জন্য আমার সংসারের সূখ ফিরিয়ে দে হারামজাদা। শিবিরের লক্ষাধিক কর্মী ফিরে পেতে চায় তাদের স্বাভাবিক শিক্ষা জীবন, সুন্দর সুঠাম দেহের অধিকারী সদা হাস্যোজ্জল সাহসী শিবির নেতা দেলোয়ার কেন হুইল চেয়ারে করে কোর্টের বারান্দা আর কারাগারের চার দেয়ালে বন্দী? জামায়াতের শীর্ষ সকল নেতা কেন কারাগারে ফাসির সেলে? ওরা মূলত আমাদের আতাত সমঝোতার ঘুমের বড়ি খাইয়ে আমাদের নেতাদের হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। জনমতকে বিভ্রান্ত করার আওয়ামী এবং ভারতীয় এজেন্ডা নিয়ে ওরা মাঠে নেমেছে। আতেল সাংবাদিকদের অবারও বলছি ফিরিয়ে দে আমার ভাইকে, ফিরিয়ে দে আমরা পিতাকে, ফিরিয়ে দে আমার শহীদী মায়েদের ভালবাসাকে। হ্যা আমরা জানি ওরা কিছুই ফিরিয়ে দিতে পারবে না। ওরা মূলত জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ঈর্শাম্বিত হয়ে আওয়ামীলীগের মতো একটি ঘৃণিত দলের সাথে জামায়াত গুলিয়ে ফেলতে চায়। পেঁচার চিৎকারে যেমন চাঁদের আলা বিতরণ বন্ধ হয় না, ঠিক তেমনি দালাল মিডিয়ার অপপ্রচারে জামায়াতের পথচলা বন্ধ হবে না।
পাদটীকা ঃ যতই ঘৃণার আর আতাতের গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়ানোর ষড়যন্ত্র করা হোক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অন্যায় রায় দিলে যে গণবিস্ফোরণ ঘটবে তাতে আওয়ামী হায়েনারা তাদের চৌদ্দ গোষ্ঠীসহ হাড়িয়ে যাবে।
courtecy- ---মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন