নতুন বছরের সূচনায় শুভচ্ছো জানাতে পারলাম না- আমি দুঃখিত
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ০১ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:৪১:০৬ দুপুর
সকালের সূর্যোদয়ের সাথে সাথে একটি নতুন দিনের আগমন, একটি সোনালী প্রভাত জানান দিলো নতুন বছর এসেছে দূয়ারে।
আশা ছিল প্রত্যাশ ছিল নতুন বছর আনন্দ,খুশী আর সূখের বার্তা নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হবে। না আমাদের সে প্রত্যাশা হতাশার আধারে ঢেকে আছে। একরাশ দুঃখ, বেদনা আর কান্না দিয়ে নতুন বছরের যাত্রা শুরু, চারিদিকে আধার ঘিরে আছে। দুঃস্বপ্নের রাত পেড়িয়ে আলোর দেখা মিলবে এমন আশা করেছিল গোটা জাতি কিন্তু না, নুতন বছরের শুরু হলেও দুঃস্বপ্নের রাত আমার পাড়ি দিতে পারিনি। আধার কেটে এখনো আলোর দেখা পাইনি। সমুদ্রের উত্তার তরঙ্গ মাঝে যে ঝড়, সে ঝড়ে আরো বিপদ বাড়িয়ে দিয়েছে আ্ওয়ামী দানবীয় শক্তি। এরা হাঙ্গর কুমিড়ের চেয়ে আরো বড় দানবীয় শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে জনগণের উপরে। তারা পুরো জাতিকে গিলে ফেলার প্রতিযোগিতায় মত্ত। প্রতিদিনে আ্ওয়ামী হায়েনাদের হাতে নিরাপরাধ মানুষ মারা যাচ্ছে। যৌথ বাহিনী নামক নব্য রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার আবার স্বরণ করিয়ে দিচ্ছে বর্গী, ব্রিটিশ বেনিয়া, মগ নামক দস্যু, জমিদার, লাঠিয়াল আর পাকিস্তানী নির্যাতকদের কথা। কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের জুলুম নির্যাতন অতীত জালেম আর স্বৈরাচারদের জুলুমের ইতিহাসকে ছাপিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করছে। পুলিশ র্যাবের গুলিতে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। গণতন্ত্র আজ অবরুদ্ধ, প্রতিবাদ জানানোর কোন প্রকার পথ সরকার খোলা রাখেনি। একতরফা সিলেকশনের মাধ্যমে ২০৪২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ইশতেহার ঘোষণা করেছে শেখ মুুুজিব কন্যা শেখ হাসিনা। শেখ মুজিবুর রহমানও মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানের এক ঘোষানায় সব রাজনৈতিক দল এবং দলীয় পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে নিজেকে আজীবন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিল। কিন্তু পরবর্তী ইতিহাস মোটেও সূখকর নয়। আওয়ামী বাকশালী চিত্র জাতি নতুন করে দেখার সূযোগ পাচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বর্তমান প্রেসক্লাব এখানেই ছিল নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান প্রেসক্লাব। ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে অনেক দেশী বিদেশী সাংবাদিক এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানী হায়েনারা এ প্রেসক্লাবের দিকে বন্ধুক তাক করেনি। তখন বর্তমান সুপ্রীম কোর্টের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান হাই কোর্র্ট। এই হাই কোর্টে কখনো হামলা তো দুরে থাক পুলিশ, আর্মি কেউ কখনো এখানে প্রবেশ করে কারো উপর আক্রমণ করেনি। কিন্তু জাতি আবাক বিশ্বয়ে দেখলো আইন শৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পর পর দুদিন হাইকোর্টে লাঠি সোটা নিয়ে প্রবেশ করে ইতিহাসের জঘণ্য নারকীয় তান্ডব চালালো। আর বাকশালী মিডিয়াগুলো বাকশালী দুঃশাসনকে আড়াল করার জন্য দায়সারা গোছের সংবাদ প্রচার করলো। কিন্তু যদি ঘটনা এমন হতো যে বি এন পি ক্ষমতায় আর বিরোধী দলের উপর এমন হামলা হয়েছে তবে তাদের নিউজের ধরণ পাল্টে যেত। ঐ দিন আসাদুজ্জামান নূরের টিভি চ্যানেল দেশ টিভি বললো প্রেসক্লাব ও সুপ্রীম কোর্টে উত্তেজনা। অন্যান্যরা বললো বি এন পি পন্থী আইনজীবী ও সরকার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। কিন্তু এর পিবপরীত হলে বাকশালী মিডিয়াগুলোর নিউজের ধরণ হতো ‘‘প্রেসক্লাব ও হাইকোর্টে বর্বর নারকীয় তান্ডব’’ ‘‘হায়েনার আক্রমণ’’ ‘‘নাশকতা’’ ‘‘জঘন্য পাশবিকতা’’ ইত্যাদি। আজ গোটা জাতি বোবা বধির মূক অন্ধ। কিন্তু অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ হবে। আওয়ামী দানব যে লেলিহান শিখা নিয়ে উদ্যত হয়েছে ওরা গোটা জাতিকে গ্রাস করবে। দানবীয় দুঃশাসন থেকে বাঁচার জন্য আসুন নতুন বছরের শুরুতে অগ্নি স্ফুলিংগ হয়ে জালিয়ে বাকশালী দুঃশাসনের তখতে তাউস।
বিষয়: বিবিধ
১২৮০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন