বাংলাদেশ যেন আজ এক মৃত্যু উপত্যাকা
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৮:২৬:২২ রাত
বাংলাদেশ আজ এক মৃত্যু উপত্যাকার নাম। সবুজ ব দ্বীপ জনপদ বাংলাদেশ আজ এক আতংকের জনপদে পরিণত হয়েছে। যারা মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার কথা তারাই জনগণের কাছে এক মূর্তিমান আতঙ্ক। প্রতিদিন আইন শৃংখলা বাহিনীর গুলিতে মানুষ মারা যাচ্ছে
পুলিশের সহায়তায় অস্ত্র হাতে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা
পুলিশের গুলিতে নিহত এক আলেম
আওয়ামী পুলিশের নিষ্ঠুরতা
(পাঠকদের অনুরোধে ছবিটি মুছে দিলাম)
লক্ষীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত যুবদল নেতার লাশ
লক্ষীপুরে র্যাবের হাতে নিহত জাময়াত নেতা ডাক্তার ফয়েজ আহমদ
লালমনিরহাটে পুলিশের গুলিতে নিহত বিরোধি দলের এক কর্মী
নোয়াখালীতে পুলিশের পোশাকে গুলি করছে কারা?
এ কেমন গণতন্ত্র?
সাতক্ষীরায় বুলডেজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে সাবেক এম পি আবদুল খালেক সাহেবের বাড়ি---
এভাবে প্রায় পঞ্চাশটি বাড়ি র্যাব পুলিশ যৌথ বাহিনী বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে--
কিন্তু এর কোন খবরই মানুষকে জানতে দেয়া হচ্ছে না। দেশে আজ যে সরকার আছে তারা সংবিধানকে নিজেদের দলীয় গঠণন্ত্রে পরিণত করেছে। কথায় কথায় সংবিধানের দোহাই দেয়া হচ্ছে। সংবিধান প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকারের গ্যারান্টি দেয়। কিন্তু পদে পদে মানবাধিকার ভূলুন্ঠিত হচ্ছে। মিডিয়াগুলো আজ সরকারের প্রচার যন্ত্র হিসেবে কাজ করছে। বিরোধী দলের আন্দোলনকে বলছে নাশকতা, বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের বলা হচ্ছে সন্ত্রাসী। সরকারী বাহিনীর হত্যা গুম খুন বেমালুম চেপে যাচ্ছে তারা। লক্ষীপুরে রাতের আধারে বাসায় ঢুকে র্যাবের লোকেরা হত্যা করলো জামায়াতের জেলা সেক্রেটারী ডাক্তার ফয়েজ আহমদকে, কিন্তু কোন মিডিয়া-ই এ হত্যার সংবাদ প্রচার করলো না। নোয়াখালীতে পুলিশের পোষাক পড়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহায়তায় বিরোধী দলের ৫জন নেতাকে হত্যা করলো কিন্তু কোন মিডিয়াই একে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেনি। সাতক্ষীরায় রাতের আধারে যৌথ বাহিনী অভিযানের নামে গ্রামের নিরস্ত্র ১১ জন মানুষকে হত্যা করলো কিন্তু আওয়ামী প্রচার মাধ্যম হিসেবে খ্যাত ৭১ টিভি বললো সাতক্ষীরায় সংঘর্ষে ৫ সন্ত্রাসী নিহত। মানবতার প্রতি এর চেয়ে উপহাস আর কি হতে পারে। রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য ডি এম পির পক্ষ থেকে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ আমরা কোন দেশে বসবাস করছি? সাতক্ষীরায় চলছে শতাব্দীর ভয়াবহ নিষ্ঠুরতা। বিরোধী দলের নেতা কর্মীদেও বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহায়তায় জামায়াতের নেতা কর্মীদেও বাড়ি ঘরে আগুন দিচ্ছে। নির্বাচন কালীন সরকারের দাবীদাররা বিরোধী দল নিধনের জন্য প্রতিনিয়ত রণহুংকার ছাড়ছেন। তাদের ভাষা শুনে বোঝা যায় না তারা কি মন্ত্রী না কি কোন আগ্রাসী দলের ক্যাডার। এ জন্যই কি স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল? এমন বাংলাদেশ কি মুক্তিযোদ্ধারা চেয়েছিল? বাংলাদেশের আপামর জনতা কি এমন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে?
বিষয়: বিবিধ
১৯৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন