কিংবদন্তী আবদুল কাদের মোল্লা ঃআল্লাহর অমোঘ বিধান এবং ১০টি যদির উত্তর

লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:২৫:৪৯ দুপুর

জীবন এবং মৃত্যুর ফায়সালা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। কোন প্রাণী-ই নিজ ইচ্ছায় পৃথিবীতে আগমণ করতে পারে না আবার আল্লাহর নির্ধারিত সময়ের এক সেকেন্ড আগেও কারো মৃত্যু হয় না। দুনিয়ার সকল শক্তি যদি কাউকে মারতে চায় কিন্তু আল্লাহ যদি তাকে বাঁচাতে চান কেউ তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আবদুল কাদের মোল্লা তার বাস্তব স্বাক্ষী- রাস্ট্র ও প্রশাসন যন্ত্রের সকল শক্তি আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাসি দেয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কিন্তু আল্লাহর হিসেবে এখনো তার মৃত্যুর সময় হয় নি, তাই তিনি তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। একজন ঈমানদার এবং ঈমানহীন ব্যক্তির বিশ্বাসে এটা-ই বিরাট পার্থক্য। কেউ কেউ মনে করেন বিচারপতির স্টে অর্ডারে আবদুল কাদের মোল্লা জীবন ফিরে পেয়েছেন, কিন্তু বিষয়টি তা নয়, আল্লাহর নির্দেশে সব কিছু ঘটে, কিন্তু তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে তার এ ক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করেন। বিচারপতির স্টে অর্ডার একটি মাধ্যম মাত্র। পৃথিবীতে এমন আরো অনেক ঘটনা আছে যে ফাসির রশি গলায় পড়ানোর পরেও মৃত্যু হয় নি। তাই ঈমানদারদের এ বিষয়টি খেয়াল করতে হবে যে, পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে সবই আল্লাহর নির্দেশে ঘটে। তার অনুমতি ব্যতিত একটি বীজ থেকে একটি চারা যেমন উদগমন ঘটে না, ঠিক তেমনি তার অনুমতি ব্যতিত কারো মৃত্যু হয় না। এরপরও জাগতিক দৃস্টিতে আমরা দেখি অমুক অমুককে হত্যা করেছে-- এখানে বিষয়টি হচ্ছে, আল্লাহ মানুষকে দুনিয়াতে ইচ্ছা এবং কর্মের স্বাধীনতা দিয়েছেন, যখন কোন মানুষ কোন ভাল কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়, আল্লাহ তখন তার ভাল কাজের জন্য অনুকুল পরিবেশ তৈরী করে দেন অথবা তার জন্য কাজটি করার ক্ষেত্রে অদৃশ্য থেকে সাহায্য করেন, কিন্তু যদি আল্লাহ যদি না চান তবে শত চেস্টা করেও ঐ ব্যক্তি ভাল কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন না। আবার কেউ যদি কোন খারাপ কাজ করতে চায় তবে আল্লাহ তার খারাপ কাজ করার ক্ষেত্রে কোন প্রকার বাধা দেন না, তবে হ্যা যদি আল্লাহ না চান, তাহলে ঐ ব্যক্তি ঐ খারাপ কাজটি করতে পারবেন না। সরকার চেয়েছিল মঙ্গলবার রাতেই আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাসি দিয়ে দিতে কিন্তু এ কাজে আল্লাহর অনুমোদন না থাকার কারণে তারা কাজটি করতে পারে নাই। এরপরও জাগতিক দৃস্টিভঙ্গী ওয়ালাদের জন্য ১০টি যদি... উল্লেখ করলাম, ১০টি যদির কোন একটি আবদুল কাদের মোল্লার জীবনে ঘটতো তবে তার বিরুদ্ধে ফাসির আদেশ হওয়ার কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হতো না। সেই দশটি যদি হচ্ছে------

১. আবদুল কাদের মোল্লা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন, যদি ছাত্র জীবন শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতেন।

২. তিনি কিছুদিন উদয়ন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন, যদি ঐ স্কুলের শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিতেন।

৩. তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে রিসার্চ ফেলো হিসেবে বছর খানেক চাকুরী করেছেন, যদি তিনি ঐ চাকুরীকেই পেশা হিসেবে বেছে নিতেন।

৪. তিনি অনেক বছর সাংবাদিকতা করেছেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিলেন, অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন, যদি সাংবাদিকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিতেন।

৫. তিনি ঢাকার একটি বেসরকারী গবেষণা সংস্থায় রিসার্চ ফেলো হিসেবে কয়েক বছর চাকুরী করেছেন, যদি ওটাকেই তার জীবনের পেশা হিসেবে বেছে নিতেন।

৬. তিনি ছাত্র জীবনে বেশ কিছুদিন বাম রাজনীতি করেছেন এবং ছাত্র ইউনিয়ন ও পরে জাসদের রাজনীতির সাথে সংযুক্ত ছিলেন, যদি তিনি জামায়াত না করে বাম রাজনীতি-ই করতেন।

৭. ফরিদপুরের লোক হিসেবে যদি তিনি আওয়ামীলীগ করতেন।

৮. তিনি একদিন তার সম বয়সীদের সাথে টেবিল টকে বলেছিলেন, ‘ছাত্র জীবনে ইচ্ছে ছিল বি.সি.এস দিয়ে সরকারী চাকুরী করবো’ যদি তিনি তা করতেন, এবং এটা তার মতো মেধাবী ছাত্রের জন্য অসম্ভব ছিল না। তবে তিনি আজ সরকারী চাকুরীর সর্বোচ্চ পদ সচিব হিসেবে চাকুরী করে অবসর জীবন যাপন করতেন।

৯. যদি তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা না হতেন।

১০. যদি তিনি কোন প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত না থাকতেন।

বিষয়: বিবিধ

১৯৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File