ঐশীদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য দরকার সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের উজ্জীবন
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ২১ আগস্ট, ২০১৩, ০৪:৪৯:৫৯ বিকাল
ঐশী পুলিশ অফিসারের কন্যা, পিতা মাতাকে হত্যার কারণে সে আজ সবচেয়ে বেশেী আলোচিত চরিত্র। পিতা মাতা খুনের আগে সে ছিল অজানা অখ্যাত এক তরুণী। ঢাকা শহরে ঘুরে বেড়ানো অথবা ওয়েস্টার্ন কালচারে বেড়ে ওঠা আরো অনেক তরুণীর মতো সেও হয়তো রাস্তায় ঘুড়ে বেড়াতো, বন্ধুদের সাথে পার্টিতে যেতো। সমাজ, রাস্ট্র, মিডিয়া আপামর জনতা কারো কারো কাছেই সে পরিচিত ছিল না। তার গন্ডি ছিল পরিবার আত্মীয় স্বজন এবং বন্ধু বান্ধব পর্যন্ত। কিন্তু সমাজ, রাস্ট্র, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া. প্রিন্ট মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ সাইট সর্বত্র আলোচিত চরিত্র ঐশী। ঐশী কারো কাছে ঘৃণিত, কারো কাছে নিন্দিত, কারো কাছে খুনী, কেউ আবার আগ বাড়িয়ে বলবেন পৈশাচিক খুনী। এর ব্যতিক্রমও আবার আছে, অনেকেই আবার সহানুভূতি জানিয়েছেন এভাবে যে- বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এখনো কিশোরী, অবুঝ মানুষ হিসেবে এ কাজ করেছে। কেউ বলেছেন অন্য কেউ খুন করে তার মাথায় দোষ চাপাচ্ছে। কেউ বলছেন ঐশীর খুনী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে আমাদের সমাজেরও দায় আছে ইত্যাদি। ঐশী তার পিতা মাতাকে খুন করেছে এ কারণে যে তার অন্যায় বাসনা, অবৈধ আবদার, দেহ মনের কুৎসিত চাহিদাগুলো পুরণের ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধক ছিল তার পিতা মাতা। শুধূ তার পিতা মাতাই নয়। কোন পিতা মাতাই চাইবে না যে তার সন্তান বখে যাক, চরিত্রহীনতার শেষ সীমায় পৌছে যাক, মাদকাসক্ত হোক, মেয়ে হয়েও গভীর রাতে ঘরে ফেরা, রাতে বন্ধুদের বাসায় আড্ডা দেয়া, ছেলে বন্ধুকে সাথে করে নিয়ে এসে রুমের দড়জা বন্ধ করে তার সাথে আড্ডা দেয়া এ গুলো কোন পিতা মাতই মেনে নিবে না। কিন্তু হাল ফ্যাসনের আধুনিক স্টাইলে এবং ওয়েস্টার্ণ কালচারে গড়ে ওঠা ঐশীর কাছে এগুলো ছিল স্বাভাবিক বিষয় এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়। অনেক আগে থেকেই নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে ঐশী রহমান। পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে বেশ পরে। ততক্ষণে ঐশী ভালোভাবেই নেশায় আসক্ত হয়ে পরে। পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায়, ঐশীর ছিল অসংখ্য বয়ফ্রেন্ড। বেশ কয়েকমাস যাবত পরিবারের সঙ্গে বেশ উশৃঙ্খলা আচরণ করতো সে। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে ইয়াবা সেবন করে গভীর রাতে বাসায় ফিরতো। রাতে মাঝে মাঝে তার বন্ধুদের নিয়ে বাসায়ও আসতো ঐশী। তবে ইয়াবা সেবন ও বাইরে বেশি রাত থাকা এসব কিছু করতো তার বয়ফ্রেন্ডদের সঙ্গে নিয়ে। একাজে তাকে উৎসাহ দিতো বান্ধবীরা। সে মনে করছিল তার এ স্বাধীনতাকে তার পিতা-মাতা হরণ করছে। তাই অবাধ মুক্ত এবং স্বাধীন জীবন যাপনের জন্য বাবা মাকেই হত্যা করতে হবে। তবে স্বাধীন যাপনের ক্ষেত্রে পথের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। এ খুনের আগে তার চিন্তায় একবারও এ বিষয়টি আসেনি যে পিতা মাতাকে হত্যা করলে পরবর্তী পরিস্থিতি কি হবে? কে তাকে আশ্রয় দিবে? কে তাকে হাত খরচের টাকা দিবে? কাদের আশ্রয়ে প্রশ্্রয়ে সে বড় হবে? খুনের দায়ে তাকে আইনের এবং বিচারের মূখোমূখি হতে হবে কি না? এ সকল প্রশ্নগুলো তার মনে একবারও জাগেনি। এমনকি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানা গেল যে এত বড় হত্যাকান্ডের পর এখনো সে অনুতপ্ত নয়। মূলত এর কারণ সর্বগ্রাসী ইয়াবার নেশা পাগল এবং মোহাচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইয়াবার সর্বগ্রাসী ক্ষতি সম্পর্কে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন ইয়াবা এমন এক সর্বগ্রাসী নেশা যে এটা সেবনের পর সেবনকারী নিজের চারপাশে এক ভিন্ন জগত আবিস্কার করে। নতুন নতুন স্বপ্ন দেখে নিেেজকে নতুন ভুবনের বাসিন্দা মনে করে আস্তে আস্তে চারপাশের সবাইকে শত্রু ভাবতে থাকে। এক সময় সে নিেেজকেই নিজের শত্রু মনে করে। তখন আত্ম হননের পথ বেছে নেয়। এর বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায় ঐশীর লেখা সুইসাইডাল ডায়রীতে সে লিখেছে “ আমি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আরো কঠিন মনে হচ্ছে। বুক ভেঙে যাচ্ছে। আত্মহত্যার কারণ আমি কাউকে বলতে চাইছি না। একজনের দুঃখ সাধারণত আরেকজন কখনোই মন থেকে বুঝতে পারে না। আমার আত্মহত্যার কারণ তোমার কাছে খুবই অপ্রয়োাজনীয় ও হাস্যকর মনে হতে পারে। সুতরাং সেই ঝামেলায়ই গেলাম না। আমার এই চিঠিটাকে সুইসাইডাল নোট বলা যেতে পারে। তুমি নিশ্চয় অবাক হচ্ছো, জীবনের শেষ কথাগুলো আমার আত্মীয়-স্বজন, বাবা-মাকে না জানিয়ে কোনো অপরিচিত কাউকে কেন জানাচ্ছি! তারা কোনোদিনও আমাকে বুঝতে পারেনি। আমার অনেক খারাপ দিক আছে- সেই খারাপ দিকগুলো চালাকি করে বুঝে ফেলা ছাড়া ভালো দিকগুলো কখনোই তারা বোঝার চেষ্টা করেছে কি-না সন্দেহ!’’ এভাবে সে আরো অনেক কথাই তার ডায়রীতে লিখেছে যা জীবন সমপর্কে একজন হতাশ ব্যক্তির অভিব্যক্তির মতোই। ঐশী তার পিতা মাতাকে খুন করার পর সবাই শুধুমাত্র খুনের রহস্য এবং কিভাবে খুন করলো সে রহস্য উদঘাটনে ব্যস্ত। ঐশী তার পিতা মাতাকে খুন করেছে এ খুনের বিচার হওয়া দরকার এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্ত আজ সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যেটি তা হচ্ছে ঐশীর নেশাগ্রস্থ হওয়া এবং খুনী হয়ে ওঠার পেছনে আমাদের সমাজের কোন দায় আছে কি না? আমাদের সমাজ, আমাদের সংস্কৃতি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে কোন দিকে দিকে নিয়ে যাচ্ছে তা কি আমরা ভাবছি? আমাদের পরিবারগুলোর অভ্যন্তরে কোন ধরনের পারিবারিক পরিবেশ গড়ে উঠছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আদর্শ মানুষ তৈরী করছে কি না? আমাদের সমাজ পরিবেশে আদর্শ মানুষ হয়ে বেড়ে ওঠরা সুযোগ আছে কি না? এ প্রশ্নগুলো মোটা দাগে আজ সর্বাগ্রে আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। ঐশীর পিতা মাহফুজুর রহমান ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক তিনি কত বেতন পেতেন? সর্বসাকুল্যে ৩০-৩৫ হাজার। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য মতে তার মেয়ের মাসিক খরচ ছিল চার লক্ষ টাকা। এত টাকা তিনি কোথায় পেতেন? বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে দুর্নীতির শীর্ষে রয়েছে পুলিশ বাহিনী। পুলিশ মানেই ধান্দাবাজ, চাঁদাবাজ, ঘুষখোর, দুর্নীতি পরায়ণ এ ধারণা সাধারণ মানুষের মনে বদ্ধমূল হয়ে আছে। পুলিশে যে কিছু ভাল মানুষ নেই এ কথা অস্বীকার করছি না। তবে পুলিশের সংশ্রবে আসা ভুক্তভোগীরা জানে পুলিশ কি করতে পারে আর কি করতে পারে না। এজাহারভুক্ত খুনের মামলার আসামীকে ঘুষের বিনিময়ে পার করে দেয়া আবার নিরাপরাধ মানুষকে খুনের মামলার আসামী বানিয়ে দেয়া সব কাজই হয় পুলিশের দ্বারা। ইদানিংকালে আমাদের সামনে পুলিশের যে চরিত্র উম্মোচিত হয়েছে তা হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের অনৈতিক ও রাজনৈতিক লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে পুলিশ। নিরাপরাধ মানুষের মিছিলে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা, গ্রেফতার করার পর শরীরে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে জীবনের তরে পঙ্গু করে দেয়া, বিনা কারণে গ্রেফতার, রিমান্ড এবং রিমান্ডের নামে ভয়াবহ নির্যাতন। এ সব কিছুই করছে পুলিশ কোন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিদ্বেশবসত, কোন ক্ষেত্রে নির্যাতন করে টাকা আদায়ের জন্য। বিরোধী দলের মিছিল দেখলেই গুলি, টিয়ার সেল, হামলা, লাঠিচার্জ পুলিশের নিত্য নৈমত্যিক কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। মেধাবী ছাত্রদের পড়ার টেবিলে কুরআন হাদীস ইসলামী সাহিত্য পেলে তাদের জঙ্গী সন্ত্রাসী হিসেবে গ্রেফতার করে মামলার পর মামলা দিয়ে নির্যাতন করা, পর্দানশীন মেয়েদের বিনা কারণে গ্রেফতার করে তাদের রিমান্ডের নামে নির্যাতন এ সবই দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করছে। পুলিশের এ সকল ভুমিকার কারণে আজ মানুষের মনে প্রচন্ড ঘৃণার উদ্রেক হওয়া সত্বেও কেউ বলেনি যে মাহফুজুর রহমান দম্পতি মারা যাওয়ায় আমরা খুশী। কারণ কেউই চায় না কারো সন্তান এভাবে তার পিতা মাতাকে খুন করুক। মাহফুজুর রহমান দম্পতি খুন হওয়ার জন্য শুধূমাত্র তার ইয়াবা সেবনই দায়ী নয়। শুরু থেকেই একটি সন্তানকে যেভাবে আদর্শিক শিক্ষায় সন্তানকে গড়ে তোলা দরকার ছিল তারা তা করেন নি। শুধু মেয়ের বৈষয়িক সূখ সার্থ এবং ইচ্ছা পূরণের জন্য মেয়ে যা চেয়েছে তিনি তাই করেছেন। জীবনের শুরুতেই ঐশী অন্য রকম এক জীবনের দিকে পা বাড়াতে শুরু করে। মতিঝিল আইডিয়ালের ছাত্রীদের মাথায় স্কার্ফ পড়তে হয়। ধর্মীয় কালচারের সামান্য কিছু নিয়ম সেখানে মেনে চলতে হয়। এটা তার কাছে ভাল লাগেনি। তাকে ভর্তি করিয়ে দেয়া হয়েছে ধানমন্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। ধানমন্ডি, গুলশান, বনানীতে অবস্থিত স্কুলগুলো বাংলাদেশে হলেও তারা বাংলাদেশের কোন কারিকুলাম মেনে চলে না, ওয়েস্টার্ন এবং আমেরিকান কালচারে সেখানকার শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা হয়। জীবন মানে ভোগ করো, আনন্দ করো, ফুর্তি করো এটাই ওখানকার কালচার। গত পহেলা বৈশাখে একটি টেলিভিশন চ্যানেল ইংলিশ মিডিয়াম থেকে ও লেভেল পাশ করা কয়েকজন ছাত্র ছাত্রীর কাছে প্রশ্ন করেছিল তারা বাংলা বারো মাসের নাম জানে কি না? প্রায় দশ-বারো জন তরুণ তরুণীর কেউই তা বলতে পারে নি। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো শেকড় কাটা আত্ম পরিচয়হীন একটি জাতি তৈরী করছে। অথচ আমাদের অভিভাবকরা সন্তানের মূখে ইংরেজি শব্দ শুনে আনন্দে আহলাদে পুলকিত হচ্ছে। তারা একবারও ভাবছে না আমার সন্তান আগামী দিনে কোন পরিচয়ে মানুষ হবে। তার মধ্যে নৈতিক মানবীয় মূল্যবোধগুলো জাগ্রত হচ্ছে কি না? সে বড়দের সন্মান করতে শিখছে কি না? পিতা মাতার সেবা করার কথা শিখছে কি না? না কি জীবনের শেষ বয়সে এত আদর যতেœ গড়া সন্তানরা বুড়ো বুড়িকে আপদ ভেবে ওল্ড হোমে রেখে আসবে। শুধু ইংলিশ মিডিয়াম নয়। বর্তমান রকারের আমলে পাশ হওয়া ধর্ম নিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থাও আমাদের সে দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বড়দের স¤œান করতে হবে, ছোটদের ¯েœহ করতে হবে। পিতা মাতার সেবা করতে হবে, সামজিক ও ধর্মীয় অনুশাসন মানতে হবে। এ সব শিক্ষাকে বলা হচ্ছে মৌলবাদী শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার হলে না কি জঙ্গীবাদ প্রসার লাভ করবে। আজ সমাজ সংস্কৃতির সব যায়গা থেকে ধর্মীয় এবং সামাজিক মূল্যবোধগুলো বিদায় নিতে বসেছে আর তার কারণে ঐশীর মতো হাজারো ইয়াবা তরুণ-তরুণী তৈরী হচ্ছে। অনেক পিতা মাতাই মেয়েকে বিখ্যাত করার জন্য মেয়েকে পাঠাচ্ছেন শো বিজে। মেয়ে যখন মঞ্চে অথবা টি ভি পর্দায় দেহ প্রদর্শনী করছে তখন তাদের সে কি যে আনন্দ। কিন্ত তারা একবারও ভাবছেন না। এ সন্তানের ভবিষ্যৎ কি? প্রতিটি ঘরে আজ হিন্দি সিরিয়াল দেখার প্রতিযোগিতা চলছে। উচ্চ বিত্ত এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে ইংরেজি ফ্লিম প্রদর্শিত হচ্ছে। গুলশান, বারিধারা, ধানমন্ডির অনেক বাড়ি আজ পরিণত হয়েছে নাইট ক্লাবে। যেখানে তরুণ তরুণীরা গভীর রাত পর্যন্ত নাচ গান আর মাদকের নেশায় সময় কাটাচ্ছে। এদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে এক শ্রেণির রাজনীতিক এবং কিছু দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তা। আজ যখন এ লেখা লিখছি তার আগে পত্রিকায় দেখলাম সাভারে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগের এক নেতা বিপুল পরিমান ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়েছেন। এর কয়েকদিন আগে একইভাবে কক্সবাজারে এক যুবলীগ নেতা প্রচুর পরিমাণ ইয়াবাহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। আজ সমাজের সর্বত্র এ ভয়াবহ চিত্র দেখা যাচ্ছে। তথাকথিত আধুনিকতার নামে বেহায়াপনা বেলেল্লাপনা, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা, সংস্কৃতি চর্চার নামে লাম্পট্য, কি দেখছি আমরা সমাজে? মোবাইল ফোন কোম্পানীর বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল তাও আবার মেয়ের ছেলে বন্ধু এবং ছেলের মেয়ে বন্ধু- বন্ধুত্ব করার কৌশলও শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে বিজ্ঞাপনে। সুন্দরী প্রতিযোগীতার নামে তরুণীদের দেহ প্রদর্শনী, মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তা করে তাকে বিখ্যাত করে গড়ে তোলার জন্য হলিউড ঢালিউডের আদলে গড়ে তোলা, পারিবারিক বন্ধন, সামাজিকতা এবং ধর্মীয় অনুশাসনকে সেকেলে এবং মধ্যযুগীয় বলে আখ্যা দেয়ার ফল হচ্ছে- এটা। ঐশীর মতো আরো হাজারো তরুণী এভাবে উচ্ছৃংখল জীবন যাপন করছে, নেশায় আসক্ত হয়ে অন্ধকার গলিতে জীবন সপে দিয়েছে, গভীর রাতে গুলশানের বিভিন্ন হোটেল এবং আলীশান বাড়িতে উদ্দাম নৃত্যের সদস্য হিসেবে জীবনের ষোলআনা ভোগের নেশায় নিজের জীবন শেষ করে দিচ্ছে। কতজন তার খবর রাখছে। এক ঐশী আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। সময় আছে এখনো সাবধান হওয়ার নচেৎ আধুনিকতা নামক পাগলা ঘোড়া পুরো জাতিকে শেষ করে দিবে তখন আর কিছু করার থাকবে না। তাই আসুন প্রত্যেকে নিজ পরিবারে ধর্মীয় ও নৈতিক অনুশাসন চালু করি, সামাজিক ও ধর্মীয় বোধগুলো জাগিয়ে তুলি।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন