আল্লাহর ক্ষমতা খর্ব করার নাস্তিক্যবাদী এবং ব্যর্থ চেষ্টা এবং তার ফলাফল
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ০১ আগস্ট, ২০১৩, ০৮:২২:৩৮ রাত
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের দু জন বিচারপতি নির্বাচন কমিশনের দেয় জামায়াতের নিবন্ধনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের সংবিধানে আছে জনগনই সার্বভোম ক্ষমতার অধিকারী আর জামায়াতের গঠণতন্ত্রে আছে সার্বভৈৗম ও নিরংকুশ ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র আল্লাহ। জামায়াতের গঠণতন্ত্রের এ ধারাটি বাংলাদেশের সেক্যুলার গঠণতন্ত্রের বিরোধি হওয়ার কারণে জামায়াতের নিবন্ধনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। শতকরা নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে আদালত বলল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহ এ কথা বলা যাবে না। একজন মানুষ নিজেকে মুসলমান ঘোষণা করে যে বাক্যটির মাধ্যমে তা হচ্ছে- লা ই লাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ( অর্থ- কোন ইলাহ নেই আল্লাহ ব্যতীত এবং মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ আল্লাহর রাসুল, এর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা হচ্ছে- কোন অইন দাতা, বিধান দাতা, হুকুম দাতা নেই আল্লাহ ব্যতীত, জীবনের সকল স্তরে একমাত্র তারই হুকুম মেনে চলতে হবে এবং মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ একমাত্র অনুসরনীয় অনুকরনীয় ব্যক্তি, জীবনের সব ক্ষেত্রে তাকেই অনুসরণ করতে হবে তার দেখানো পথে চলতে হবে। আজ আদালত এ বিষয়টিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। তার মানে দাড়ায় বাংলাদেশে কেউ আর আল্লাহকে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বলে ঘোষনা দিতে বা মানতে পারবে না্। হায়রে আদালত, হায়রে বিচারক, সবাইকে একদিন আল্লাহর আদালতের কাঠগঢ়ায় দাড়াতে হবে। সে দিন কোন সুযোগ থাকেব না রায় দিয়ে আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করার। এ রায়ের মাধ্যমে হয়তো জামায়াতকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা যাবে কিন্তু এর ফলাফল সুদুর প্রসারী
১. এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামীলীগ আল্লাহর সার্বভ্যৗমত্বে বিশ্বাস করে না, তারা একটি ইসলাম বিরোধী নাস্তিক্যবাদী দল
২. আওয়ামীলীগ ইসলামের প্রকাশ্য দুশমন
৩. জামায়াত নিষিদ্ধ হতে প্রস্তুত কিন্তু আল্লাহর সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যেতে প্রস্তুত নয়।
৪. জামায়াত সত্যিকার একটি ইসলামী দল। অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ভেজাল আছে।
৫. নিজ নামে নির্বাচন করতে না পারলেও জামায়াত নেতারা সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবে।
৬. জামায়াত নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করলে তারা তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সে অভিযোগ থেকে বেচে যাবে।
৭. বি এনপির সাথে জোট করার কারণে আসন নিয়ে যে দর কশাকশি তা থাকবে না । কারণ তারা নিজেরা আলাদা নির্বাচন করবে।
৮. ১৮ দলীয় জোটের দিত্বিয় বড় দলের নিবন্ধন বাতিলের পরও বি এন পি কোন মন্তব্য না করায় এবং প্রতিবাদ না জানানোয় বোঝা গেছে আওয়ামীলীগের চেয়ে এতে বি এনপি বেশী খুশী হয়েছে-- অতএব এটা জামায়াতের বোঝার সুযোগ হয়েছে, বি এন পি কি চিজ....
৯. যদি সত্যিই সরকার আরো একধাপ অগ্রসর হয়ে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দুসাহস দেখায় তবে দেশে যে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হবে তার জন্য জনগণ আওয়ামীলীগেকই দোষী সাব্যস্ত করবে।
১০. জামায়াত নতুনভাবে নতুন উদ্যমে কাজ করার সুযোগ পাবে।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন