ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য যরা সকল শক্তি নিয়োগ করে কি লাভ হবে তাদের নামায রোযা দিয়ে?
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ৩১ জুলাই, ২০১৩, ০৪:৪০:০৭ বিকাল
রোযাদার মুসলমানের পবিত্র রক্তে রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে রাজপথ, রোযদারারা যেখানে ইফতার করছেন সেখানেই রাতের তারাবী আবার গভীর রাতে সেখানে তাহাজ্জুদ আদায় এবং সেহরী খাচ্ছেন। একটি মুসলিম দেশে একটি ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা দিনের পর দিন শাহাদাত বরণ করছে, মার খাচ্ছে, ইসলামের দুশমনরা তাদের স্বার্থ হাসিল করছে আর মুসলিমরা বোবা বধিরের মতো নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। মুসলমানের শাহাদাতের রক্ত দেখে যাদের মনে কোন অনুভূতি জাগে না, যারা মনে আঘাত পায় না বরং ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তা করে তাদের ঈমানের কি ই বা মূল্য আছে আল্লাহর কাছে?মিশরে ইখওয়ানুল মুসুলীমুনকে অপসারণ এবং সামরিক আগাসনে সরাসরি অর্থ সহায়তা দিয়েচেন সৌদি বাদশাহ... যিনি নিজেকে খাদেমুল হারামাইন বলে পরিচয় দেন.. হাজীদের পানি পান করনো আর মসজিদের খেদমত করার মধ্যে কোন কল্যাণ নাই যদি না সেই ব্যক্তি জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজ করলো (আল কুরআন) আজ সৌদি বাদশাহর মতোই বিশ্বের কোটি কোটি নামধারী মুসলমান রোজা রাখছে নামাজ পড়ছে কিন্তু কেন আল্লাহ নামাজ ফরজ করেছে কেন রোযা ফরজ করেছে সে উদ্দেশ্য অর্জনের কোন চিন্তা তাদের মধ্যে নেই। যার কারণে মুসলমানরা ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিস্টার কোন প্রয়োজনীয়তা তো বুঝেই না বরং ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ইপর যারা জুলুম নির্যাতন চালায় অনেক ক্ষেত্রে নামধারী মুসলিমরা তাদের সহযোগীর ভূমিকা পালন করে। আজ যেমন মিশরে মুসলিম নামধারী সামিরক বেসামরিক অস্ত্রধারীরা ইখওয়ানের নেতাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে আর তাদের অর্থ সহায়তা দিয়েছে সৌদি আরব যা আরবের একটি সংগঠন প্রকাশ করেছে তারা তাদের রিপোর্টে বলেচে.."সৌদি আরবের রাজনৈতিক সংগঠক মুজতাহিদ সৌদি সরকারের নানা কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস করে তার ব্যক্তিগত টুইটার বার্তায় দাবি করেন, মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মিশরের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসিকে একশ’ কোটি মার্কিন ডলার প্রদান করেছেন সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ।
বিনিয়োগের এটা কেবল প্রাথমিক পর্যায়। নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলে যথেষ্ট অর্থ প্রদান করবেন বলে সিসিকে সৌদি বাদশাহ অঙ্গীকার দিয়েছেন বলেও দাবি করেন মুজতাহিদ।
টুইটার বার্তায় মুজতাহিদ জানান, মুরসির ক্ষমতাচ্যুতির পর গণঅভ্যুত্থান সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সৌদি সরকার এখন বেশ উদ্বিগ্ন।
টুইটারে তিনি লেখেন, ‘এই সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে পরবর্তী সময়ে মিশরের যে কোনো সরকারই সৌদি-আরববিরোধী নীতি গ্রহণ করবে। এ কারণে, বিক্ষোভকারীদের দমাতে যেকোনো ধরনের কঠিন পদক্ষেপকে সমর্থন যোগাচ্ছেন বাদশাহ আবদুল্লাহ। এমনকি হাজারো মানুষকে হত্যা করার প্রয়োজন হলেও সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিয়ে যাবেন তিনি।’
সৌদি আরবের জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জখ্যাত মুজতাহিদ দাবি করেন, ‘আবদুল্লাহ শুধু সেনা অভ্যুত্থানকেই সমর্থন যোগাচ্ছেন না, এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন না হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সিসিকে উৎসাহও যোগাচ্ছেন তিনি।’
দফায় দফায় সহিংসতায় কয়েকশ’ মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় মিশরের সেনা অভ্যুত্থানের জনপ্রিয়তা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে-সিসির এমন উদ্বেগে পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনে আরও যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ দেয়ার প্রলোভন দেখাচ্ছেন বাদশাহ আবদুল্লাহ।
আরব অঞ্চলের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত মুজতাহিদের এ বক্তব্যের ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি সৌদি সরকার বা মিশরের সেনা কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের শেষ দিকে স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর ২০১২ সালের জুনে প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মুরসি। কিন্তু সেনা অভ্যুত্থানে গত ৩ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
তারপর থেকে মুরসিকে স্বপদে বহাল করতে বিক্ষোভ করে আসছে তার দল মুসলিম ব্রাদারহুড। বিক্ষোভ চলাকালে কয়েক দফা সহিংসতায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দুই শত ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবি করছে দলটি।" একই ভাবে বাংলাদেশেও এ দেশের ইসলামী আন্দোলনকে শেষ করে দেয়ার জন্য যারা ষড়যন্ত্র করছে তারাও নামধারী মুসলমান... কি হবে এই মুসলমানিত্ব দিয়ে???
বিষয়: বিবিধ
১১৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন