ধর্মের লেবাসে কেলেঙ্কারির পাহাড়

লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ২১ জুলাই, ২০১৩, ০৪:৩৯:১৮ বিকাল



থাইল্যান্ডের উবোন রাচাথানি প্রদেশের ঘটনা। গরিব পরিবারে জন্মেছিলেন উইরাপোল সুখফল (৩৩)। সংসারের অভাব অনটনের মধ্যে বেড়ে ওঠা তার। একদিন সুখফল সিদ্ধান্ত নিলেন বৌদ্ধ ভিক্ষু হবেন।

মাত্র ৩৩ বছর বয়সে সুখফল ভিক্ষু হওয়ার সুযোগ পান। এরপর বদলে যায় তার জীবন।

একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে বিস্ময়কর সব তথ্য। ধর্মভীরু মানুষকে ধোঁকা দিয়েছেন। সুখফল নাকি আকাশে উড়তে পারেন, পানিতে হাঁটতে পারেন, ঈশ্বরের সাথে তার সরাসরি কথা বলেন। এমন সব কথা বলে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেছেন। কামিয়েছেন কোটি কোটি ডলার। ধর্ম প্রচার এবং মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে ভক্ত বানিয়েছেন অসংখ্য বিত্তবান মানুষকে।

ইতোমধ্যে অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন তিনি। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুখফল অন্তত ৩ কোটি ২০ লক্ষ ডলারের মালিক। ৪১টি ব্যাংক হিসেব আছে তার নামে। ২০০৯ থেকে দু বছরে কিনেছেন ২২টি মার্সিডিজ বেঞ্জ।

তবে দেশের এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে কখনো গাড়ি বা ট্রেনে উঠতেন না তিনি। হেলিকপ্টার বা ব্যক্তিগত জেট ছাড়া কোথাও যাতায়াত করতেন না। ইউটিউবে সুখফলের বিমানে চড়ার গোপন ভিডিও প্রকাশিত হওয়ায় পর একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর এমন বিলাসবহুল জীবন সকলের দৃষ্টি কাড়ে। এ নিয়ে তদন্তেও নামে দেশটির আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ইতোমধ্যে থাই পুলিশ উইরাপোল সুখফলের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ সংগ্রহ, অর্থ পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এরপর থেকে নিখোঁজ ধর্মগুরু। ধারণা করা হচ্ছে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন করে আছেন।

এদিকে গত কয়েক বছর থেকে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ এসেছে। গত বছর দেশটির ৬১ হাজার ৪১৬ জন ভিক্ষুর মধ্যে ৩০০ জনকে নারী বা পুরুষের সাথে অসংযত আচরণ করা ও মদ্যপানের অভিযোগে ভর্ৎসনা করা হয়।

তবে এবার আর উইরাপোল সুখফলকে আর ভর্ৎসনা করে ছেড়ে দেবে না পুলিশ। তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

তার অর্থ সংগ্রহের কৌশলও ছিল অদ্ভুত। কখনো কখনো ভক্তদের দিকে ভিক্ষার থলে বাড়িয়ে শুনিয়ে যেতেন ধর্মের অমূল্য বাণী।

ভক্তদের টাকায় থলে পূর্ণ হয়ে গেলে উইরাপোল সুখপোল বাড়িয়ে দিতেন বস্তা। এরপর ভক্তদের আশ্বস্ত করে বলতেন, ‘‘ধৈর্য হারাবেন না, তাড়াহুড়ো করবেন না। আপনাদের মধ্যে শেষ ব্যক্তিটি টাকা না দেয়া পর্যন্ত আমি এখানে থাকবো।''

ধর্মের লেবাসে কেলেঙ্কারির পাহাড় থাইল্যান্ডের উবোন রাচাথানি প্রদেশের ঘটনা। গরিব পরিবারে জন্মেছিলেন উইরাপোল সুখফল (৩৩)। সংসারের অভাব অনটনের মধ্যে বেড়ে ওঠা তার। একদিন সুখফল সিদ্ধান্ত নিলেন বৌদ্ধ ভিক্ষু হবেন। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে সুখফল ভিক্ষু হওয়ার সুযোগ পান। এরপর বদলে যায় তার জীবন। একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে বিস্ময়কর সব তথ্য। ধর্মভীরু মানুষকে ধোঁকা দিয়েছেন। সুখফল নাকি আকাশে উড়তে পারেন, পানিতে হাঁটতে পারেন, ঈশ্বরের সাথে তার সরাসরি কথা বলেন। এমন সব কথা বলে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেছেন। কামিয়েছেন কোটি কোটি ডলার। ধর্ম প্রচার এবং মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে ভক্ত বানিয়েছেন অসংখ্য বিত্তবান মানুষকে। ইতোমধ্যে অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন তিনি। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুখফল অন্তত ৩ কোটি ২০ লক্ষ ডলারের মালিক। ৪১টি ব্যাংক হিসেব আছে তার নামে। ২০০৯ থেকে দু বছরে কিনেছেন ২২টি মার্সিডিজ বেঞ্জ। তবে দেশের এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে কখনো গাড়ি বা ট্রেনে উঠতেন না তিনি। হেলিকপ্টার বা ব্যক্তিগত জেট ছাড়া কোথাও যাতায়াত করতেন না। ইউটিউবে সুখফলের বিমানে চড়ার গোপন ভিডিও প্রকাশিত হওয়ায় পর একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর এমন বিলাসবহুল জীবন সকলের দৃষ্টি কাড়ে। এ নিয়ে তদন্তেও নামে দেশটির আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে থাই পুলিশ উইরাপোল সুখফলের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ সংগ্রহ, অর্থ পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এরপর থেকে নিখোঁজ ধর্মগুরু। ধারণা করা হচ্ছে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন করে আছেন। এদিকে গত কয়েক বছর থেকে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ এসেছে। গত বছর দেশটির ৬১ হাজার ৪১৬ জন ভিক্ষুর মধ্যে ৩০০ জনকে নারী বা পুরুষের সাথে অসংযত আচরণ করা ও মদ্যপানের অভিযোগে ভর্ৎসনা করা হয়। তবে এবার আর উইরাপোল সুখফলকে আর ভর্ৎসনা করে ছেড়ে দেবে না পুলিশ। তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তার অর্থ সংগ্রহের কৌশলও ছিল অদ্ভুত। কখনো কখনো ভক্তদের দিকে ভিক্ষার থলে বাড়িয়ে শুনিয়ে যেতেন ধর্মের অমূল্য বাণী। ভক্তদের টাকায় থলে পূর্ণ হয়ে গেলে উইরাপোল সুখপোল বাড়িয়ে দিতেন বস্তা। এরপর ভক্তদের আশ্বস্ত করে বলতেন, ‘‘ধৈর্য হারাবেন না, তাড়াহুড়ো করবেন না। আপনাদের মধ্যে শেষ ব্যক্তিটি টাকা না দেয়া পর্যন্ত আমি এখানে থাকবো।''

তথ্যসুত্র ঃ বাশের কেল্লা ফেইজ বুক পেইজ

বিষয়: বিবিধ

১১৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File