আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঃ নির্যাতিত জামায়াত, শতভাগ লাভ বি এন পির, কপাল পুড়েছে আওয়ামীলীগের
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ১৯ জুলাই, ২০১৩, ০৪:৫৮:৪১ বিকাল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করার পর থেকে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- এটি শতভাগ দলীয় ট্রাইব্যুনাল, এ দেশে থেকে ইসলাম ও ইসলামী রাজনীতি নিশ্চিহ্ন করার জন্য প্রথমে জামায়াত নেতৃত্বকে বিতরর্কিত করার পর এখন সরাসরি জামায়াতের বিরুদ্ধে রায় দেয়া হচ্ছে। কোন মামলায়ই প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জামায়াতের বিরুদ্ধে কোন রায় চাওয়া হয় নাই, কিন্তু প্রতিটি রায়েই বিচারকগণ জামায়াতকে জড়িয়ে রায় দিচ্চে। এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করার পর প্রথম দিকে যখন বলা হচ্ছে এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ট্রাইব্যুনাল। তখন সরকারের তরফ থেকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীরা বার বার বলেছেন শুধুমাত্র অপরাধীদের বিচারের জন্য কোন দল অথবা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়নি। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর দেখা গেল এটি একটি রাজনৈতিক মঞ্চের ভূমিকা পালন করছে। জামায়াতে ইসলামীকে নিধন এবং নির্মুলই এ ট্রাইব্যুনালের আসল কাজ। ট্রাইব্যুনালে একরে পর এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে অন্যায় রায় দেয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে সারা পৃথিবী থেকে প্রতিবাদ আসলে জোটের পক্ষ থেকে বি এনপি কোন প্রতিবাদ করেনি। কারণ দেখা গেছে রায়ে জামায়াত নেতাদের অপরাধী সাব্যস্ত করলে সেখানে বি এনপি নেতারা খুশীতে মিস্টি বিতরণ করছেন, কারণ এ আসন আর জামায়াতের থাকছে না, তাতে বি এনপির নেতারা নির্বাচন করতে পারবেন। ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হওয়ার কারণে এবং অযৌক্তিক রায় দেয়ার কারণে জনগণ আওয়ামীলীগের উপর ত্যক্ত-বিরক্ত। যুদ্ধাপরাধ ট্রাব্যিুনাল এবং জামায়াতের উপর সরকারের চরম জুলুম নির্যাতনের কারণে জামায়াতের প্রতি জনগণের সমর্থন ভালবাস এবং সহমর্মিতা আগের চেয়ে বেড়েছে যার প্রমাণ পাওয়া গেছে বিগত স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে, চার দলীয় জোটের আমলে জামায়াত যখন সরকারের অংশীদার তখন সারাদেশে জামায়াতের ১৫৪ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন আর আওয়ামীলীগের আমলে আড়াই শাতাধিক জাময়াতের লোক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। একই অবস্থা চার সিটিতে জামায়াতের কাউন্সিলর ছিল মাত্র চার জন কিন্তু আওয়ামী আমলে জামায়াতের দশজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন, এ সব যায়গায় কোথাও বি এনপি জামায়াতকে ছাড় দেয় নাই। বরং সব জায়গায় বি এন পির পক্ষে জামায়াত কর্মীরা খেটেছে। এখন দেখা যাচ্ছে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে আওয়ামীলেগের ভোট কমেছে, তাদের জনসমর্থন কমেছে, জনগণ তাদের উপর ক্ষুব্ধ। ফলাফলে পাচ সিটিতে আওয়ামীলীগের কপাল পুরেছে। বি এন পির একশত ভাগ লাভ হয়েছে। তাই ট্রাইব্যুনালের যে কোন রায়েই বি এনপি চুপ থাকছে কারণ লাভের অংকে সব জমা হচ্ছে আওয়ামীলেগের বিপক্ষে-- আর জামায়াত যদি নির্বাচন করতে না পারে তবে ১০০ ভাগ লাভ বি এন পির, তাই তারা চুপ, চুপে চুপে লাভ নিচ্ছে, জামায়াত মার খাচ্ছে, আওয়ামীলগের কপাল পুড়ছে।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন