আল্লাহকে নিয়ে ব্যঙ্গোক্তি- দুই মন্ত্রীর দুই বচন
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ০৮ জুন, ২০১৩, ০৬:১২:৩৪ সন্ধ্যা
চট্টগ্রামে একটি আলোচনা সভায় রেলওয়ে মহা কেলেঙকারীর দায়ে রেল মন্ত্রী থেকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী অতঃপর কালো বিড়াল খেতাব পেয়ে ধন্য দেশের পুন্য মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন হেফজতের কর্মীরা পুলিশের মার খেয়ে ''সুবহানাল্লাহ '' বলতে বলতে পালিয়েছে। এ কথা বলার সময় তার দন্ত বিকশিত চেহারা মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসী দেখেছে। তিনি তিনটি কথা বলেছেন ১.মতিঝিলে পুলিশ গণহত্যা চালিয়েছে এতদিন ধরে যে অভিযোগ গুলো ছিল তা সত্যি। ২. পুলিশের নির্যাতনে হেফাজতের কর্মীরা আর কারো সাহায্য না পেয়ে আল্লাহকে ডেকেছে। ৩. আল্লাহর নাম নিয়ে তার দরবারে চিৎকার করে সাহায্য চাওয়ায় ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বঝ্বাধারীদের কাছে তা উপহাসের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। হায়রে বাংলাদেশ! শতকরা নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে একজন মুশরিক মন্ত্রী আল্লাহকে নিয়ে এভাবে ব্যঙ্গ করেও মন্ত্রী পদে বহাল থাকে। হায়রে মুসলমান! হায়রে মুসলমান নামধারীদের ঈমান!
ঐ একই আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, “সুনির্দিষ্ট কারণ ও গ্রাউন্ডে দিগন্ত ও ইসলামিক টিলিভিশন চ্যানেল দুটি বন্ধ করা হয়েছে। চ্যানেল দুটির কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে শো’কজের জবাব দিয়েছে। এ জবাব ও চ্যানেল দুটির ভূমিকা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে সন্তোষজনক রিপোর্ট পাওয়া গেলে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট”শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, “সরকার ভিন্নমত দমন কিংবা সরকারের সমালোচনা করার জন্য এ দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়নি।”
''বিশেষ পরিস্থিতিতে দাঙ্গা সৃষ্টি করা এবং হানাহানিতে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে এই দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী জানান, এটি সাময়িক ব্যবস্থা।" সরকার আজ পর্যন্ত জাকির সামনে কোন কারণ উপস্থাপন করতে পারে ন।ি তারা শুধু বলছেন বিশষে কারণে- আজ মন্ত্রী একটু বাড়িয়ে বলেছেন, দাঙ্গা সৃষ্টিতে উস্কানি দেয়ার অপরাধে চ্যানেল দুটি বন্ধ করা হয়েছে। চ্যানেল দুটি কবে কখন কিভাবে দাঙ্গা সৃষ্টি করলো তার কোন প্রমাণ সরকার হাজির করতে পারে নি। তাদের কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। রাতের আধারে অস্ত্রের মূখে চ্যানেল দুটির কর্মকর্তাদের জিম্মি করে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী যদি সহিংসতা সৃস্টির কথা বলেন তবে এমন কোন কাজ দিগন্ত এবং ইসলামিক টেলিভিশন করেছে বলে সরকার তার কোন প্রমাণ দেখাতে পারবে না। তাদের একটিই অপরাধ বর্তমানে চালু থাকা প্রায় ২০ টি টেলিভিশন চ্যানেলের সবাই সরকারের গোয়েবলসীয় প্রচারণার সহযোগী। সে ক্ষেত্রে দিগন্ত এবং ইসলামিক টেলিভিশন সরকারের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সত্য সংবাদ প্রচারে ভূমিকা পালন করে আসছিল। এটিই তাদের অপরাধ।
বিষয়: বিবিধ
১২৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন