একজন পঙ্গু নারী তার ভিক্ষেবৃত্তি এবং নারী অধিকার

লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ০৬ জুন, ২০১৩, ১২:০৬:১০ দুপুর

গতকাল বুধবার অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলাম রাস্তায় এক পঙ্গু মহিলা ভিক্ষে করছে। কোলে তার একটি শিশু। পঙ্গু মহিলা একটি সন্তানের জননী। তার মানে এমন কোন পুরুষের সাথে তার বিয়ে হয়েছে যে স্বামী তাকে বিয়ের পর ভরণ পোষন দেয়ার পরিবর্তে রাস্তায় ভিক্ষে করতে বাধ্য করছে। এই মহিলার কোলে যে শিশু সন্তানটি সে জানে না। কেন তাকেও তার মায়ের সাথে রাস্তার পাশে বসে থাকতে হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে যখন অন্যান্য ঘরের শিশু সন্তানকে তার মা বৈদ্যুতিক পাখার নীচে শুইয়ে রাখে যাতে গরমে তার কস্ট না হয়। সে ধরণের-ই একটি শিশু তার মায়ের সাথে ভিক্ষের সহযোগী হিসেবে প্রচন্ড রোদে জীবনের শুরুর দিনগুলো কস্টকর অভিজ্ঞতায় বেড়ে ওঠার চেস্টা করছে। যে অবলা নারী শুধু পঙ্গু হওয়ার কারণে বিয়ে হওয়ার পরেও ভিক্ষে করতে বাধ্য হচ্ছে। প্রশ্ন জাগে কোন সেই পুরুষ যিনি বিয়ের পরও স্ত্রীর ভরণ পোষণের দায়িত্ব গ্রহণ না করে তাকে সন্তানসহ ভিক্ষে করার জন্য রাস্তায় পাঠাচ্ছে। কোথায় সেই সব এন জিও এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো যারা প্রতিনিয়ত মানবাধিকারের বুলি আওড়ান। তাদের মানবাধিকারের বক্তব্য তো শুধু দেখি এ সি হল রুমের মধ্যই আবদ্ধ থাকে। তাদের বক্তব্য এ পঙ্গু মহিলার কোন কল্যাণ করবে বলে কোন সম্ভাবনা দেখছি না। কোথায় সে নারী নেত্রীরা যারা অনবরত নারী অধিকারের জন্য সভা সেমনার সিম্পোজিয়াম করেন। নারী অধিকারের নামে ধর্মের মুন্ডোপাত করেন। হুজুরদের দেশ থেকে বিতারণের জন্য গগণ বিদারী শ্লোগান দেন। এই সব নারী অধিকারের নেত্রীদের ভূমিকায় কতজন অবলা অসহায় নারী অধিকারা ফিরে পেয়েছে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে। কোন জবাব কি তারা দিতে পারবেন? মানবাধিকার সংগঠনের কর্তা ব্যক্তিরা কি পারবেন তার স্বামী বাধ্য করতে যে যেহেতু তুমি এই নারীকে বিয়ে করার মাধ্যমে তার জীবনের সব ব্যয় সরবারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছো অতএব তাকে ভিক্ষে করার জন্য বাধ্য করতে পারবে না। মানবাধিকার সংগঠনের কর্তা ব্যক্তিরা কি কেউ দায়িত্ব নিতে পারবেন এসব অসহায় মহিলার অধিকার আদায় করে দিতে? যে সব এন জিও অসহায় নারীদের জন্য কাজ করেন তারা কেউ কি তার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন?

বিষয়: বিবিধ

১১০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File