সুস্ঠু নির্বাচনের জন্য দরকার রাজনৈতিক সচেতনতা, নৈতিক চেতনাবোধের প্রসার, দরকার কেয়ার টোকার সরকার
লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ৩১ মে, ২০১৩, ০৬:৪৯:৫৫ সন্ধ্যা
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বিচারপতি আবদুর রউফ ৩১ মে জুমুবার একটি আলোচনা সভায় বলেছেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেছেন, “ছোট দেশ হওয়ায় আমাদের গণতন্ত্র ছাড়া উপায় নেই। মিলেমিশে থাকতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে যে দল যতই লাফালাফি করুক না কেন, সবার আগে সরকারকে নিরপেক্ষ হতে হবে। সরকার নিরপেক্ষ না হলে পোলিং স্টেশন যদি সচিবালয়েও স্থাপন করা হোক না কেন, নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। নমিনেশন বাণিজ্য যতদিন থাকবে, সুষ্ঠু নির্বাচন ততদিন হবে না। দুঃখের বিষয় হলো শৃঙ্খলা ভঙ্গের ইতিহাস আমাদের রক্তে ঢুকে গেছে।”
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়নে প্রাক্তন সৈনিক সংস্থার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হচ্ছে, এটা রাখলে কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন করতে হলে ১৫/২০ লাখ লোক দরকার। প্রশাসনের লোক ছাড়া নির্বাচন হয় না। প্রশ্ন হলো প্রশাসনের লোক কতটা নিরপেক্ষ? প্রশাসনের লোকের পায়ে পড়লেও এখন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ যে সরকার তাকে পদোন্নতি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে যাওয়া সম্ভব নয়। সে জানে অন্য দল ক্ষমতায় আসলে তার চাকরি যাবে। আজকে নির্বাচন হয়েছে একটি ব্যবসা। এক কোটি টাকা খরচ করে ১০ কোটি টাকা লাভের ধান্ধা থাকে সবার।” রাজনীতিতে এই যে ব্যবসার ধান্ধা এর মাধ্যমে রাজনীতি কলুষিত হয়েছে। জনগণের কল্যাণের রাজনীতি এখন শুধু মূখে বাস্তবে ঠিক এর উল্টো। কালো টাকার মালিক, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী আর ব্যবসায়িক টাইকুনরা আজ রাজনীতি করছে। ণীতি,নৈতিকতা,আদর্শ টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।এ অবস্থার পরিবর্তন ব্যতীত রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের কোন কল্যান হবে না। রাজনীতিতে যে নীতিহীনতা এবং আদর্শহীনতার সয়লাভ চলছে তা পরিবর্তনের জন্য আদর্শ ও নৈতিকতা বোধের উম্মেষ ঘটাতে হবে। আদর্শহীন ও চরিত্রহীন ক্যাডাররা রাজনৈতিক নেতাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা প্রতিরোধের জন্য জনগণের রাজণৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।নৈতিক চরিত্র গঠণের এক সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। সুষ্ঠূ নির্বাচনের জন্য যারা নির্বাচনে প্রতিদন্দীতা করেন সেই দলের নেতা কর্মীদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বা্ইরে রাখতে হবে।এর জন্য বাংরাদেশের প্রেক্ষাপটে আপাতত কেয়ার টেকার সরকার ব্যবস্থার কোন বিতল্প নেই। এ ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। ক্ষমতাসীন দলের অধীনে কখনোই সুষ্ঠূ নির্বাচন সম্ভব নয়। সকল সামাজিক এক রাজনৈতিক দলের নেতাদের এ বিষয়ে আরো জোরালো ভূমিকা রাখা দরকার,যে কেয়ার টোকার সরকার ব্যতীত জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণের প্রকৃত নেতাদের নির্বাচিত করতে হলে নমিনেশন বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। এ জন্য জনগণের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১১২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন