বাকশাল মাহমুদুর রহমান আমার দেশ এবং মানবাধিকার

লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ২৮ মে, ২০১৩, ০৫:৫১:৩১ বিকাল



সময়ের সাহসী পুরুষ দৈনিক আমার দেশ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের অবস্থা সংকটাপন্ন। চিকিৎসকরা তার জীবনের ঝুঁকির কথা জানাল ও আজ (২৮.০৫.২০১৩-মঙ্গলবার) জোর পূর্বক তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছে। সরকার তথ্যের অবাধ প্রবাহের কথা বললেও আমার দেশ বন্ধ দীর্ঘদিন যাবৎ, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিস্ট অভিযোগ না থকালেও তিনি আজ কারাগারের চার দেয়ালে বন্দী। ইতিপূর্বে সাত দিনের রিমান্ড এবং চার দিনের অনশনে মাহমুদুর রহমানের রক্ত চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে কমে গেছে। তিনি ইসকেমিক হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হয়েছেন। মাঝে মাঝে তার পালস পাওয়া যাচ্ছে না। হৃদস্পন্দনের হার অত্যন্ত কম। এ পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি রয়েছে বলে বলেছেন মাহমুদুর রহমানের আইনজীবীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী জানা যায় রিমান্ডে শারীরিক নির্যাতন ও অনশনের কারণে মাহমুদুর রহমান এ পর্যন্ত ছয়টি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। রোগগুলো হলো- আনস্টেবল এঞ্জেইনা, ব্রাডিকার্ডিয়া (হার্ট রেট কমে গেছে), ইলোকটোলাইট ইম্ব্যালেন্স (সোডিয়াম বেড়ে গেছে, পটাশিয়াম কমে গেছে), সিভিয়ার লো ব্যাক পেইন, অলিগো ইউরিয়া (প্রসাব না হওয়া), ইউরোমিয়া (ব্লাডে ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে গেছে)।মাহমুদুর রহমানের হার্টবিট ৪৮ এ নেমে গেছে। একটি কিডনি যথাযথভাবে কাজ করছে না। রক্তচাপ ৪৯ থেকে ৯০। অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা দ্রুত কমে যাচ্ছে। দ্রুত অনশন ভাঙাতে না পারলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।এদিকে, তিন দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন মাহমুদুর রহমান। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন বলে কারাকর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের জানিয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে বৃহস্পতিবার কারাকর্তৃপক্ষ তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেও চিকিৎসকরা মুখে খাবার খাওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তার মা ও আমার দেশ পাবলিকেশন্সের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম ও সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, ছাপাখানা খুলে দেয়া ও সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করে আমার দেশ প্রকাশের সুযোগ করে দেয়া এবং প্রেসের গ্রেপ্তারকৃত ১৯ কর্মচারীকে মুক্তি দেয়ার পরই তিনি অনশন ভাঙবেন বলে দাবী করেছিলেন, অবশেষে বর্শীয়ান আলেম এবং তার মায়ের অনুোরোধে তিনি অনশন ভেঙ্গে ছিলেন। একদিকে আমরণ অনশন অপর দিকে রিমান্ডের নির্যাতনে এমন একজন প্রতিবাদী মানুষের জীবন সংকটাপন্ন হওয়ার পরও সরকারের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি। যা সত্যিই দুঃখজনক। বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী, দার্শনিক ও রাস্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার আমার দেশ পরিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেচছন রিমান্ডে নিয়ে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়েছে। ফরহাদ মজহার বলেন, মাহমুদুর রহমানের দুই হাতের কবজিতে ও এবং দুই হাঁটুতে অনেকগুলো ক্ষতচিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে। ফরহাদ মজহার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করেন বলেন, তারা জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক শক দেয়া হলে এ ধরনের চিহ্ন হয় শরীরে। আমার দেশ পত্রিকার পক্ষ থেকে বলা হয় একটি পত্রিকার সম্পাদককে নির্যাতনের এই নজির বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সম্পূর্ণ নতুন। মাহমুদুর রহমানের মনোবল ভেঙে ফেলার জন্য বেআইনিভাবে আমার দেশ বন্ধ করে দেয়া, তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা ও প্রেসের স্বল্প আয়ের ১৯ নিরপরাধ মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া তিনি সরকারের চরম কাপুরুষতার প্রমাণ বলে মনে করেন। তারা মাহমুদুর রহমানের পরিবার ও আমার দেশের কর্মীদের পক্ষ থেকে মাহমুদুর রহমানের জীবন বাঁচানোর তাগিদে সরকারকে অবিলম্বে তিনটি দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি যখন অনশনে ছিলেন তখন মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে আমরণ অনশনে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের তিন দফা দাবি মেনে নিয়ে তার জীবন বাঁচাতে সরকারকে তার অনশন ভাঙ্গানোর আহ্বান জানিয়েছন দেশের ৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিদাতা ৭ বিশিষ্ট নাগরিক হচ্ছেন, প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ঢাকা বিশ¡বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, জাতীয় অধ্যাপক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান, নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক কবি ও গবেষক ফরহাদ মজহার, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও জাতীয় প্রেস

ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ। বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বন্দি অবস্থায় তিন দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে অনশন করছেন। ইতোমধ্যে তার শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটায় রিমান্ড থেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মারাত্মক অসুস্থ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের দেয়া তিন দফা দাবি মেনে নিয়ে তার অনশন ভাঙ্গাতে উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি তারা আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার কি তাতে কর্ণপাত করবে ? মাহমুদুর রহমানের স্ত্রী গিয়েছিলেন তার সাথে সাক্ষাত করতে কিন্তু তাকে সাক্ষাত করতে দেয়া হয়নি। বর্ষীয়ান আলেমে দীন মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে মাহমুদুর রহমানের অনশন ভাঙ্গানোর জন্য বি.এস.এম এম ইউ.তে গিয়েছিলেন কিন্ত তাকেও সাক্ষাত করতে দেয়া হয়নি। তবে কি সরকার চায় বড় ধরণের কোন দূর্ঘটনা ঘটুক? জাতি আশা করে সরকার শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিবে। মাহমুদুর রহমানের তিনটি দাবী মেনে নিয়ে অনাকাংখিত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাবে।

সরকার কথায় কথায় বলছেন বাংলাদেশে মিডিয়ার অবাধ স্বাধীনতা আছে। মিডিয়ার উপর সরকার কোন নিয়ন্ত্রন আরোপ করে না। কথাটি কতটুকু সত্য? হ্যা সরকার মিডিয়ার উপর কোন বিধিনিষেধ, শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং নিয়ন্ত্রন আরোপ করে না, যদি তা হয় সরকার পক্ষের মিডিয়া। মিডিয়ার বিষয়ে বলতে গেলে বর্তমানে প্রায় সকল মিডিয়াই সরকারের একনিষ্ঠ সমর্থক। কোন মিডিয়ার মালিক সরকারী দলের নেতা, মন্ত্রী, এম.পি. কিংবা সরকার সমর্থক ব্যবসায়ী অথবা সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার টপ লেবেলে যিনি আছেন তিনি সরকার সমর্থক লোক। মিডিয়ার এই বিশাল আনুকুল্যের কারণে যা দু’একটি পত্রিকা অথবা টিভি চ্যানেল সরকারের সমালোচনা করে তাদেরকে সরকার, সরকারী দল, এবং সরকারের সমর্থকরা সহ্য করতে পারছে না। সরকারের অব্যহত ব্যর্থতা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, গুম, খুন, গণহত্যা এক কথায় যে ফ্যাসিবাদী আচরণ তার বিরুদ্ধে এক দ্রোহের নাম মাহমুদুর রহমান । আজ তাই মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে মৃত্যুর দুয়ারে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মাহমুদুর রহমানের অপরাধ- তিনি তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের গোপন রহস্য ফাস করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করেছেন। তিনি গ্রেফতার না হলে পরের দিন থেকে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী দুঃশাসনের দলিল যা উইকিলিকস প্রকাশ করেছে তা ছাপানোর ব্যবস্থা করতেন। তিনি দেশের ষোল কোটি মানুষের হৃদয়ের ভাষায় কথা বলেন। ঈমান-আকীদা, সভ্যতা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অন্যায়, অনাচার, দুরাচার, এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তা-চেতনা বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তিনি নাস্তিক, ইসলামের দুমনদের মুখোষ উম্মোচন করেছেন। এ কারণে আজ তাকে নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে। সরকার শুধু তাকে গ্রেফতার এবং নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয় নাই। আমার দেশ পত্রিকার প্রেস সীলগালা করে দিয়েছে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই। এরপর পত্রিকা কর্তৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থায় আমার দেশ ছাপার ব্যবস্থা করলে সেখানেও হানা দেয় সরকারী বাহিনী। তারা আমার দেশের ছাপানো ছয় হাজার কপি পত্রিকা জব্দ করে, প্রেসের দরিদ্র উনিশ জন বাইন্ডারকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। মামলা করা হয় আমার দেশ পাবলিকেশন্স এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমানের মা মাহমুদা বেগম এবং দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদের বিরুদ্ধে। এর কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অনুমতি ব্যতীত বিকল্প ব্যবস্থায় ছাপানোর কারণে গ্রেফতার ও মামলা। কিন্তু প্রেস এন্ড পাবলিকেসন্স আইনের কোথাও বলা হয় নি যে, বিকল্প ব্যবস্থায় পত্রিকা ছাপতে হলে অনুমতি দরকার হবে। আইনে স্পস্ট উল্লেখ আছে যদি কোন কারণে কোন পত্রিকাকে বিকল্প ব্যবস্থায় ছাপতে হয় তাবে তারা অনুর্ধ এক মাস বিকল্প ব্যবস্থায় ছাপতে পারবে তবে ছাপা শুরু হওয়ার বাহাত্তর ঘন্টার মধ্যে জেলা প্রশাসককে জানাতে হবে। আমার দেশ নিয়ম অনুযায়ী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই জেলা প্রশাসকের অফিসকে জানিয়েছে এবং তার রিসিভ কপিও তাদের কাছে আছে। এর পরও মামলা এরপরও গ্রেফতার ! তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন আমার দেশ ছাপতে কোন বাধা নেই। বাধা-ই যদি না থাকে তবে আমার দেশ পত্রিকার প্রেসে পুলিশ তালা লাগালো কেন? বিকল্প ব্যবস্থায় আইনসিদ্ধ ভাবে পত্রিকা ছাপার ব্যবস্থা করা হলে সেখানেও পুলিশ হানা দিয়ে পত্রিকা জব্দ করলো কেন ? পাঠকরা আমার দেশ পড়তে পারছে না কেন ? কি জবাব দেবেন তথ্যমন্ত্রী ? আমরা জানি এ ব্যপারে তথ্যমন্ত্রীর ভান্ডারে কোন সত্য জবাব নেই। হয়তো বা তিনি একটি জবাব দিবেন এবং সে জবাব তিনি তৈরী করে রেখেছেনও কিন্তু তা নিশ্চয়ই সত্যের মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ কোন জবাব হবে না। পাঠক প্রিয় পত্রিকা আমার দেশ এবং মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের ক্ষোভ তো শুধু এ কারণেই যে এ পত্রিকাটি সরকারের সমালোচনা করে। জনগণের মনের ভাষায় কথা বলে। এ জন্যই শাহবাগের ফ্যাসিবাদী মঞ্চ থেকে প্রতিনিয়ত আমার দেশ এবং মাহমুদুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়া হতো। মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করলো তারা একটি ফ্যাসিবাদী সরকার, তারা নাস্তিক্যবাদের পৃষ্ঠপোষক। নাস্তিক্যবাদ এবং ফ্যসিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সরকার দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ঈমান আকীদা, আদর্শ, বিশ্বাস ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বর্তমান সরকার প্রধানের একটি বিষয় ভালভাবে উপলব্ধি করা দরকার তার পিতা কমিউনিষ্টদের কথা শুনে দেশ, জাতি, জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে চারটি পত্রিকা রেখে

বাকী সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে মূলত নিজের সর্বনাশ ডেকে এনেছিলেন। এখনও তিনি একজন কমিউনিস্টকে তথ্যমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন। যিনি নিজের দলের প্রতীক নিয়ে প্রতিটি নির্বাচনেই চরমভাবে পরাজিত হয়েছেন।

২০০৮ সালের নৌকার যাত্রী হিসেবে বিজয়ী হয়ে এম.পি. এবং সরকারের শেস সময়ে তথ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সরকারে ইনু সাহেবের মতো আরো কয়েকজন কমিউনিষ্ট মন্ত্রী আছেন, যারা নিজের দলের টিকেটে জামানত পর্যন্ত টিকাতে পারেন না। তারাই আজ বড়ো বড়ো কথা বলছেন। শিল্পমন্ত্রী দিলপি বড়–য়া যিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে ৫০০ শত ভোটও পাননি। তিনি খালেদা জিয়া এবং বিরোধী দলকে বলছেন ‘গনবিচ্ছিন্ন ও জসমর্থনহীন’ এই কমিউনিষ্ট মন্ত্রীরা আওয়ামীলীগকে আবারো বাকশালের পথে নিয়ে যাচ্ছে। কাগজে কলমে গণতন্ত্র থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতি বাকশালের নব্য সংস্করণ-এতে কোন সন্দেহ নেই। আমার দেশের ছাপাখান খুলে দেয়া এবং মাহমুদুর রহমানের মা ও দৈনিক সংগাম সম্পাদকের মামলার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত রিট দায়ের করলে উচ্চ আদালত উক্ত মামলা স্থগিত করে এবং সরকারকে শোকজ নোটিশ দেয় যে আমার দেশের ছাপাখানা কেন খুলে দেয়া হবে না।সরকার এখন পর্যন্ত এর কোন জবাব দেয় নি। শুধু আমার দেশই নয় এই সরকারের আমলে বন্ধ হওয়া চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টেলিভিশন এবং ইসলামিক টেলিভিশন-এর সাংবাদিক,কর্মকর্তা,কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা দিনের পর দিন না অধাহারে-অনাহারে জীবন কাটাচ্ছে। মানবাধিকারের শ্লোগানে যারা মূখে খই ফোটান আজ নিরব,নিথর,তাদের মানবাধিকারের বানী আজ আর আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে না।

বিষয়: বিবিধ

১৫৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File