বৈরী বাতাসে প্রলয়ংকারী ঝড়ের আগমণী বার্তা

লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ২৭ মে, ২০১৩, ০৩:৫৫:২৬ দুপুর

মতিঝিলে ঘুমন্ত নিরস্ত্র জনতার উপর সরকারী বাহিনীর ক্র্যাকডাউন হয়েছে। ইতিহাসের এ বর্বরতম পৈশাচিক হামলা নিয়ে চলছে বিতর্ক। মানুষ মরেছে কি মরে নাই এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। হাজারো মানুষ নিখোঁজ এটি হচ্ছে বাস্তব সত্য। নিখোজ মানুষগুলোর লাশেরও কোন খোজ নেই। হেফাজতে ইসলাম বিবৃতি দিয়ে বলেছে তিন হাজার লোক খুন হয়েছে। বিরোধী দল গণহত্যার প্রতিবাদে হরতাল করেছে। গণহত্যার বহু প্রমাণ এখন সোস্যাল মিডিয়ায় জলজল করছে। সোস্যাল মিডিয়ার ঝড় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে গণহত্যা হয়েছে কি হয়নি। সরকার সংখ্যাতত্ব, নাম ঠিকানা, হত্যাকান্ডের প্রমাণ দাবী এবং কোন অস্ত্র ব্যবহার হয়নি এ প্রচারণায় ব্যস্ত। রাজনীতির কৌশলী ফাদে অসহায় নিহত আহত মানুষ গুলো আজ পরিচয়হীন বেওয়ারিশ নাগরিক। মিডিয়ার দৃষ্টিতে যারা মারা গেছে তারা মানুষ নয়-হেফাজতী। সরকার দলীয় ক্যাডার আর পুলিশের হামলায় আহত মানুষগুলো তান্ডবকারী। ঈমানের দাবীতে মতিঝিলে এসে আজ তারা পরিচয়হীন নাগরিক। বেচে যাওয়া আহত মানুষগুলো পালিয়ে বেড়াচ্ছে এখান থেকে ওখানে। আহতরা চিকিৎসা নেয়ার জন্য হাসপাতালে যেতে পারছে না সরকার দলীয় ক্যাডার এবং পুলিশী অভিযানের কারণে। নিহত পরিবারগুলোতে শোকের আহাজারী। শোকার্ত পরিবারগুলো তাদের শোক প্রকাশ করতে পারছে না। গুমরে মরা কান্নায় তাদের দিন আর রাত অতিবাহিত হয়। পরিবারের প্রিয়জনকে হাড়িয়ে তারা আজ মন খুলে কাদতেও পারছে না। তাদের মনে শংকা, ভয়, এবং অজানা আতংক প্রিয়জনকে হাড়িয়ে তাদেরও কিনা আবার সরকারের পেষ্টাগো বাহিনীর হামলার শিকার হতে হয়। বুকে পিঠে বুলেট নিয়ে হাজারো জনতা বাড়ি ফিরে গেছে। পালিয়ে যাওয়া মানুষগুলো পথে পথে আক্রান্ত হয়েছে সরকার দলীয় ক্যাডার আর সরকারী পেটোয়া বাহিনীর। মাত্র দশ মিনিটে লাখো জনতার কলরব থেমে গেছে। কালেমার জিকিরকারীদের আল্লাহর নাম ভুলিয়ে দেবার মহা অভিযানে সাফল্যের পর সরকার তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। ঈমানী দাবীতে সমবেত হওয়া জনতাকে তান্ডবকারী বলে প্রচার চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। ঈমান হেফাজতের দাবী নিয়ে এসে তারা আজ ভয়ংকর অপরাধী বনে গেছে। তারা পুলিশের তালিকায় সন্ত্রাসী। নাম না জানা লাখো লোক আসামী। যাকে পাওয়া যাবে তাকেই আসামী করা যাবে। সরকার পুলিশকে মহা বাণিজ্যের সূযোগ করে দিয়েছে। সরকার দলীয় ক্যাডাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা করছে। চলছে হুমকি ধমকি। এক কথা এক আওয়াজ চাঁদা দাও নইলে হেফাজতের কর্মী হিসেবে-তান্ডবকারী হিসেবে জেলে যেতে হবে। যারা কখনো থানার চৌকাঠ মাড়ায়নি, পুলিশের কাছ থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে চলেছে তারা আজ পুলিশী হয়রাণির আতংকে তঠস্থ। রাজনীতির জটিল মারপ্যাচ যাদের হিসেবের বাইরে তারা আজ সরকারের ঘৃণ্য রাজনীতির বলি। কোথাও আলোর রেখ দেখা যাচ্ছে না। হেফাজতের নেতৃবৃন্দ ঘরে বসে বিবৃতি দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় কোন নেতা জনসম্মুখে আসছেন না। তারা বিবৃতি দিয়ে বলেছেন কেন্দ্রীয় সব নেতা সুস্থ আছেন। এ বিবৃতির কতটুকু স্বেচ্চায় আর কতটুকু সরকারের চাপে দেয়া হয়েছে তা বোঝার সময় এখনো হয়নি। হেফাজতকে নিবৃত্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকে দুতিয়ালী শুরু হয়েছে আবার ধমকও চলছে। এক হেফাজতকে নিয়ে সরকার বহু ফ্রন্টে খেলছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কারো ভাষায় রাজনীতির সৌজন্যবোধ নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যেখানে হেফাজতের ঘাটি সেখানে অভিযান। স্বরাস্ট্রমন্ত্রী তো এমনিতেই গণহত্যায় আনন্দ পান এটি তার কাজে বোঝা যায়। পুলিশের মধ্যেও একটি শ্রেণি তৈরী হয়েছে যারা ট্রিগার হ্যাপী। ট্রিগার টেপাতেই মজা। সরকার বিরোধী কারো গায়ে বুলেট বিদ্ধ করতে পারলে মহা কৃতিত্ব। যারা পারে না তারা অযোগ্য। যার প্রমাণ মিলেছে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাসির রায়ের পর। যে সব এলাকায় জামায়াত শিবির মিছিল করেছে কিন্তু কোন মানুষ খুন হয়নি সে সব এলাকার পুলিশের কর্মকর্তাদের শাস্তিমুলক বদলী করা হয়েছে। বিরোধী দলের কেউ খুন হলে কোন জবাবদিহীতা নেই, উল্টো ভিকটিমদের বিরদ্ধে মামলা। খুনের রাজ্যে জগত আজ কাব্যময়। ঘরে ঘরে শোকের মহাকাব্য রচিত হচ্ছে। মহাকাব্য পঠিত হচ্ছে বাংলার ঘরে ঘরে। ভাই হাড়ানোর, স্বামী হাড়ানোর, পিতা হাড়ানোর, সন্তান হাড়ানোর এ মহাকাব্য প্রতিটি হৃদয়ের তন্ত্রীতে যে শোকের মাতম তুলছে তা কখন মহাপ্রলয় সৃষ্টি করবে কেউ বলতে পারে না। মতিঝিল ম্যাসাকারের পর সব পক্ষ থেকে চলছে বাকযুদ্ধ। হেফাজত বলেছে তাদের তিন হাজার কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বি.এন.পি. বলেছে মতিঝিলের রক্তে বুড়িগঙ্গা ভেসে গেছে। সরকারের মন্ত্রীরা একেকজন একেক ধরণের মন্তব্য করছেন। সকল মহলের তীব্র দাবী জানানোর প্রেক্ষিতে ছয় দিন পর সরকার একটি প্রেসনোট জারি করেছে। তাতে তাদের দলীয় ভাষ্য ছারা কিছুই নেই। কত মানুষ মারা গেল কত মানুষ আহত হলো তা নিয়ে সরকারের কোন মাথা ব্যথা নেই। যারা জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে কুরআনের বিরোধী আইনের চর্চা করে, কুরআনকে নিয়ে যারা ব্যঙ্গ করে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয় সেই ধর্ম নিরপেক্ষ সরকারের আজ কুরআনের প্রতি প্রেম এবং ভালবাসা সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কিন্তু যে কোন যুক্তিতেই এটা গ্রহণযোগ্য নয় কুরআনের সৈনিকেরা-যারা কুরআনের মর্যাদা রক্ষায় রাজপথে নেমেছ তারা কুরআনে আগুন দিয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি বলে দিচ্ছে এটা সরকার দলীয় ক্যাডারদের কাজ। মতিঝিলে এতবড় ম্যাসাকার হলো মিডিয়াগুলো চুপ। তারা যেন হিটলারের প্রচারমন্ত্রী গোয়েবলসের প্রচারযন্ত্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। মানুষের জীবনের চেয়ে তাদের কাছে গাছের মূল্য অনেক বেশী। মানবাধিকারের ফেরীওয়ালারা আত্মগোপন করেছে-তাদের আর খূজে পাওয়া যাচ্ছে না। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য বিবৃতি সরকারের সুস্পষ্ট দালালীতে ভরা। সুশীল নামক আজব ভদ্রলোকেরা নিঃশ্চুপ,তারা আজ বোবা বধির, অন্ধ। পত্রিকায় বিস্তারিত কিছু আসছে না। দুটি টি ভি চ্যানেলকে বন্ধ করে বাকী টি ভি চ্যানেলগুলোকে বি.টি.ভি.র অনুসারী বানিয়ে ফেলা হয়েছে। তারা বুঝে গেছে তাদের কি করতে হবে, কি বলতে হবে। কিন্তু সব কিছু বন্ধ হবার পরও অনেক ছিদ্রপথ খোলা থাকে। যে পথ দিয়ে হু হু করে বাতাস প্রবেশ করতে পারে। এমন বহু জানালা খোলা আছে ইন্টারনেট জগতে। সে জগতের সোস্যাল মিডিয়ার স্টীল এবং ভিডিও ছবি দেখছে বিশ্ববাসী। এ জন্য সরকার অনেকগুলো ফেসবুক পেইজ বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু ইন্টারনেট দুনিয়ার খোলা জানালা দিয়ে সব তথ্য এখন সব মানুষের কাছে পৌছে গেছে। ফেইজবুক পেজ বন্ধ করে, মোবাইল মেমোরী কার্ড সার্চ করে সরকারের অনুগত পুলিশ বাহিনী হেফাজতের সমর্থকদের গ্রেফতার করছে। এতে কি গণহত্যার রেকর্ডগুলো মুছে ফেলা যাবে? এ তথ্য এখন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। মতিঝিলে সরকারী বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে, যুক্তরাস্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের অনেকগুলো দেশে। স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে জাতিসংঘের মহাসচিব বরাবরে। জাতিসংঘ এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তারা তাদের বিবৃতিতে বলেছে ‘‘৫ ও ৬ মে ঢাকাসহ অন্যত্র হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভে বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যু এবং আহতের বিষয়টি তদন্তের জন্য অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের উচিত একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা।’ ওই কমিশনের উচিত হবে ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং এপ্রিল মাসে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের ঘটনাগুলোও তদন্ত করা। বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ ও ৬ মে ঠিক কত লোক নিহত হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। সরকার দাবি করছে, নিহতের সংখ্যা ১১ জন। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম বলছে, কয়েক হাজার নিহত হয়েছে। নিরপেক্ষ সংবাদ সূত্র বলছে, নিহতের সংখ্যা প্রায় ৫০। আহত হয়েছে আরও অনেকে। নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যও রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী যাতে শক্তি ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের মৌলনীতি মেনে চলে, সেজন্য সরকারকে প্রকাশ্যে নির্দেশ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লি¬উ। জাতিসংঘের ওই নীতিতে বলা হয়েছে, শক্তি প্রয়োগের আগে অহিংস উপায় অবলম্বন করতে হবে। শক্তি ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার অপরিহার্য হলে সংযমের সঙ্গে তা ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে।’’ এ ব্যাপারে বিবৃতিদাতা ব্রাড অ্যাডামস বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারী, পাথচারী অথবা পুলিশ যে-ই নিহত হোক না কেন, প্রতিটি মৃত্যুর কার্যকর তদন্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার দায়বদ্ধ। সরকার যদি স্বচ্ছভাবে ৫ ও ৬ মে’র ঘটনার তদন্ত না করে, তবে এ নিয়ে গুজব ও প্রচারণা আরও বাড়বে।’’ কিন্তু সরকার সম্ভবত এ সব বিষয়ে খুব কমই গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা একনায়কতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক পথেই হাটছে। প্রতিবাদের সবগুলো দুয়ার বন্ধ করে দেয়ার চূড়ান্ত আয়োজনে সরকার ব্যস্ত। হেফাজতে ইসলামকে কোন প্রতিবাদ সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। আঠারো দলীয় জোট সোমবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিলেও সরকারের বাঁধার কারণে তা করতে পারে নি। এক ভয়াবহ বিভীষিকার মধ্যে মানুষ দিন যাপন করছে। কখন কাকে আইন শৃংখলা বাহিনী ধরে নিয়ে যায় বলা মুশকিল। সর্বত্র আতংক উদ্বেগ। পুলিশের হাতে গ্রেফতার এবং গুম হওয়ার জন্য সরকারের অন্যায় অপকর্মের বিরোধী হওয়ার দরকার নেই। সরকার দলীয় কর্মী না হলেই আপনি সরকারের দুশমন, তাদের ভাষায় দেশের দুশমন। সরকার এখন দুশমন খতমের অভিযানে নেমেছে। এ অভিযানের শেষ কোথায় কেউই বলতে পারছে না। দুশমন নিধনের একটি বড় প্রকল্প ছিল শাপলা অভিযান। দেশে বিদেশে শাপলা অভিযানের প্রবল সমালোচনা হওয়ায় তারা যেনতেনভাবে একটি প্রেসনোট দিয়েছে। সরকার তার প্রেসনোট জারি করে ভাবছে সবকিছু ধামাচাপা দেয়ার চুড়ান্ত কর্ম তারা সম্পাদন করেছে। প্রেসনোট দিয়ে যতই তৃপ্তির ঢেকুর তুলুক এ আত্মতৃপ্তি তাদের জন্য যে মহা প্রলয় বয়ে আনবে না তা হলফ করে কেউ বলতে পারে না। প্রেসনোট প্রধানমন্ত্রী, কয়েকজন মন্ত্রী এবং সরকার দলীয় নেতাদের বক্তব্যের ফটোকপি ব্যতীত কিছুই নয়। ধামাচাপা দিয়ে শক্তির জোরে মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করে আজ দেশে হিরক রাজার শাসন চালানো হচ্ছে। সি এন এন সরকারের গণহত্যার প্রক্রিয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে লেডী হিটলার উপাধি দিয়েছে। লেডি হিটলার তার নিরাপত্তার জন্য আগে পিছে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করেছেন। কিন্তু জনগণের নিরাপত্তার জন্য তিনি কি মোতায়েন করেছেন? যারা জনগণকে নিরাপত্তা দেয়ার কথা তারা পেস্টাগো বাহিনীর মত জনতার উপর গুলি করছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে জনগণের বিরুদ্ধে। মানুষের বুক ঝাঝরা হচ্ছে। মায়ের বুক খালি হচ্ছে। সন্তান পিতাহারা হচ্ছে। কিন্ত সরকার নির্বিকার। তারা নিহত মানুষগুলোর জীবন নিয়ে উপহাস করছে। নিহত মানুষের তালিকা দাবী করছে। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের তালিকা আজ ৪২ বছরেও কি করা সম্ভব হয়েছে? যারা নির্দিস্ট কোন দলের কর্মী নন। যাদের নাম কোন রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ নেই। যারা এসেছেন বিবেকের টানে-ঈমানের টানে তারা তো কোন দলের তালিকাভূক্ত জনশক্তি নন। তাদের তালিকা চাইলেই পাওয়া যাবে বিষয়টি তো এমন নয়। সারাদেশে নিখোজ মানুষের সংখ্যা অনেক। নিখোজ মানুষের পরিবারগুলো হাড়ানো মানুষকে ফিরে পাওয়ার পরিবর্তে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে বেশী চিন্তিত। হেফাজতের সমাবেশে কারা গিয়েছিল এ তালিকা করার জন্য যখন সরকারী বাহিনী এবং তার সহযোগী হিসেবে সরকার দলীয় ক্যাডরা বাহিনী বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে তখন এ দুঃখী মানুষগুলোর মড়ার উপর খড়ার ঘা এর মত বিপদ আছরে পড়ছে। অনেক মাদরাসার ছাত্র নিখোজ কিন্তু তারা সরকারী বাহিনীর গ্রেফতার অভিযান এবং হামলার ভয়ে ঐ মাদারাসার শিক্ষকরা মাদরাসা ছুটি দিয়ে নিজেরাই এখন পলাতক জীবন যাপন করছেন। সরকার বলছে তালিকা দিন। তালিকা করার জন্য সরকার কি নিরাপদ কোন ব্যবস্থা জারি রেখেছে? বরং যারা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করবে তারাই আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আর তাই সরকারের প্রেসনোট প্রত্যাখ্যান করেছে হেফাজতে ইসলাম, আঠারো দলীয় জোটসহ দেশের বিবেকবান মানুষেরা । প্রেসনোট দিয়ে সম্ভবত শেষ রক্ষা হবে না। বঙ্গোপসাগেরর দিক থেকে ধেয়ে এসে প্রলয়ংকারী ঝড় মহাসেন লন্ড ভন্ড করে দিয়েছে দক্ষিনাঞ্চলরের বহু গ্রাম। মহাসেনের মত বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশেও ঝড় উঠতে পারে যে কোন সময়। রাজনীতি-অর্থনীতিতে যে বৈরী বাতাস বইছে তা প্রলয়ংকারী ঝড়ে রুপ নিতে পারে যে কোন সময়।

বিষয়: বিবিধ

১১১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File