পদ্মা সেতু নির্মানে অর্থ অপচয় রোধে সহায়তা দিতে প্রস্তুত ভারত
লিখেছেন লিখেছেন সিকদারমোহাম্মদ ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:৩২:৫৯ দুপুর
গত সপ্তাহে মাওয়া হয়ে লঞ্চে পদ্মা নদী পার হলাম , ছোট ছোট লঞ্চ তাও দেখলাম চরে ঠেকে যাচ্ছে, খুব সতর্কতার সাথে অর্ধেক নদী একে বেঁকে পার হতে হয় লঞ্চের সারেংকে। লঞ্চের সারেংকে জিজ্ঞাসা করলাম আমার ধারণা ছিল বর্ষার সময় নিশ্চই এত সতর্কতার সাথে নদী পার হওয়ার দরকার পরেনা । কিন্তু আমার ধারণা ভুল প্রমানিত হলো । লঞ্চের সারেং জানালেন একই পথ তখনও ব্যবহার করতে হয় নইলে লঞ্চ চরে ঠেকে যায় ।
আজ সংবাদ পত্রে একটি খবর দেখলাম তাতে বলা হয়েছে, ভারতের ক্যান-বেতওয়া নদী সংযোগ প্রকল্পের কারণে পদ্মা-যমুনার এক তৃতীয়াংশ পানি প্রবাহ কমবে, একই সঙ্গে বাংলাদেশকে এর পরিবেশ, প্রতিবেশ ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশাল ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৩৭টি নদীকে ৩০টি খালের সাহায্যে সংযুক্ত করা হবে। হিমালয় অববাহিকার নদীগুলোতে ১৪টি এবং উপদ্বীপের নদী হিসাবে পরিচিত ভারতের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে বাকি ১৬টি সংযোগ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ৩০টি সংযোগ খালের মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে সাড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার। এতে মোট ১৭৩ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি ডাইভার্ট করা হবে।
ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২০০৩ সাল থেকেই ভারতসহ গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার অন্যান্য দেশ বাংলাদেশ ও নেপালে তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়। তখন ব্যাপক বিরোধিতার মুখে ভারতের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কার্যক্রম স্থগিত করে।
প্রকল্পটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পরিবেশবাদীরা ব্যাপক আন্দোলনের ঝড় তুললে ভারত সরকার বাংলাদেশসহ নেপাল ও ভুটানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হিমালয়ের অংশের আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোতে তা বাস্তবায়ন করবে না বলে আশ্বস্ত করে।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার লক হ্যাভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিশিষ্ট ভূতত্ব বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান একটি অনলাইন পোর্টালকে জানান, ‘ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ বিজ্ঞান ও পরিবেশভিত্তিক নয়। বিভিন্ন নদীর মুখে বাঁধ নির্মাণ করায় ঐতিহাসিক প্রবাহের সঙ্গে তুলনা করলে ভারত থেকে গত ১৬ বছরে মাত্র ৮৫ ভাগ পানি পায়নি বাংলাদেশ। ক্যান-বেতওয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পদ্মা ও যমুনা নদীর একতৃতীয়াংশ পানি কমে যাবে। যুগ যুগ ধরে যার খেসারত বাংলাদেশকেই দিতে হবে।’
তবে মজার কথা হলো বিশেষজ্ঞরা একটু বেশীই বলেন বিষয়টা মার চেয়ে মাসির দরদ বেশী । বেটা বিশেষজ্ঞ না ৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে না দ্বিতীয় মুক্তি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে । তুমি কে বাংলাদেশ এর ভাল মন্দের বিষয় কথা বলার? বেটা অকৃতজ্ঞ কোথাকার দেশকে স্বাধীন করতে যারা এতটা করল, তারা একটু জল নেবে তাতে তার বিশেষজ্ঞতার বুলি আওড়াচ্ছে । আর যদি পদ্মায় এক ফোটা জল নাও থাকে এর অর্থনৈতিক সাশ্রয়ে বিষয় ভেবে দেখেছে? কারণ পদ্মায় জল না থাকলে তো আর সেতু করা লাগবেনা সেতু ছাড়াই পদ্মা পাড় হওয়া যাবে, তাতে আমাদের সেতুর খরচ বেঁচে যাবে । আর জন্যই তো এদেশের সরকারগুলো পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করছেনা । আর আমাদের সদাসয় হাসিনা সরকার এ বিষয় অন্য যে কোন সরকারের চেয়ে ভারত থেকে বেশী সহায়তা পাবে । যতদ্রুত পদ্মা পানিশূন্য হবে, ততদ্রুত সেতু নির্মান ব্যয় বেঁচে যাবে । আর পদ্মা সেতু নির্মান করে অর্থ অপচয় রোধে সহায়তা দিতেই ক্যান-বেতওয়া নদী সংযোগের কাজ সম্পন্ন করার মহান কাজ হাতে নেয়া হয়েছে ।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শালারা এমনি চোরের গুষ্টি-
মন্তব্য করতে লগইন করুন