ভার্চুয়াল জগতে তোলপাড়; ১/১১ নিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভাবনা ও তার প্রতিক্রিয়া

লিখেছেন লিখেছেন সিকদারমোহাম্মদ ২১ আগস্ট, ২০১৩, ১০:৫৬:৫৭ রাত



সিকদার মোহাম্মদঃ

সজীব ওয়াজেদ জয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ এবং মরহুম ওয়াজেদ মিয়ার একমাত্র পুত্র, হালে দেশের রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় বলে মনে হচ্ছে । সস্ত্রীক ঢাকায় এসে প্রথমবারের মত প্রধানমন্ত্রীসহ রংপুরে পৌত্রিকনিবাসে গমন করেন, আশাছিল দেশে অনেক দিন থাকবেন, নির্বাচন করবেন; এ রকমটাই বাতাসে হাওয়া বইছিল । কি যেন কি হল হঠাৎ চলে গেলেন ।এ নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা হয়, কেন এমন করে চলে গেলেন?

তবে চলে যাওয়াই যে প্রস্থান নয়, তা তিনি বার বার জানানান দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে । দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুর বিষয় বিশাল বিশাল স্ট্যাটাস দিচ্ছেন, যা নিয়ে খোদ তার পেজেও আলোচনা যেমন হচ্ছে তেমনি সমালোচনা কম যাচ্ছেনা ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি তার ফেসবুকের অফিসিয়াল পেজে তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্হা সম্পর্কে একটি পোষ্ট দেন তাতে তিনি বাংলা এবং ইংরেজিতে লিখেন, “The other danger of any Caretaker system of course is what happened in 1/11.We don't want to leave any opportunity open for an extra constitutional government to take over. My mother spent 11 months in jail for nothing that she had done. Democracy and all rights were suspended. We do not wish to go back to that.

"তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্হার" সাংবিধানিক বিধির অপব্যবহারের কারনেই ১/১১'র মত সংবিধান বহির্ভুত সরকারের জন্ম হয়েছিল। গনতান্ত্রিক একটি দেশের সংবিধানে অতি অবশ্যই কোন প্রকার সংবিধান বহির্ভুত সরকারের ক্ষমতায়নের বিধান থাকা উচিত নয়। আমার "মা" ১/১১'র সংবিধান বহির্ভুত সরকারের অবৈধ আচরনের কারনেই ১১ মাস জেলে খেটেছেন কোন প্রকার দোষ ছাড়া। ১/১১'র সেই সংবিধান বহির্ভুত সরকার তাদের অবৈধ শাসনামলে দেশের সকল নাগরিকের গনতান্ত্রিক অধিকার এবং মৌলিক অধিকারও রদ করেছিলন অসাধু উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের নাগরিকরা সংবিধান বহির্ভুত কোন সরকার চায় না-তারা ফিরে যেতে চায়না কোন অবৈধ শাসন ব্যবস্হায় যেখানে জনগনের মৌলিক অধিকার এবং গনতান্ত্রিক অধিকার অসাধু উদ্দেশ্যে কেড়ে নেয়া হয়-একজন সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে আমরা অবশ্যই সেই অন্ধকার দিনগুলোতে ফিরে যেতে পারিনা।”

জয়ের পেজের লাইকারা এই পোষ্টের প্রতিক্রিয়ায় যে সমস্ত মন্তব্য করেছেন তা অনেকটাই চিত্তাকর্ষক। এতে তত্ত্ববধায়ক ব্যবস্থার পক্ষে অধিকাংশ যুক্তিগ্রাহী দীর্ঘ মন্তব্য উঠে আসে, অপর পক্ষে যারা জয়ের বক্তব্য সমর্থন করেছেন তাদের অধিকাংশেই তোষামদি ধরনের মন্তব্য করেন , অনেকের মন্তব্যে আবেগঘন বিষয় ও দলীয় কূপমুন্ডুকতার আাবরণে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য উঠে এসেছে, এমন কি কেবল ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ লিখেই মন্তব্য পোষ্ট করা হয়।

Carefully Careless Man নামের একজন আইডিধারী মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘আমি আওয়ামীলীগ সমর্থন করি মুক্তিযুদ্ধের জন্য! কিন্তু একটা কথা দেখেন বিগত ফখরুদ্দিন সরকারের স্বচ্ছ ভোটার তালিকা যেটা তৈরি করছে,যেটা না হলে এ সরকার ক্ষমতায় আসতে পারতনা। কারণ তখন লাখখানেক ভুয়া ভোটার ছিল। পরিচয়পত্র দিছে যেটা কোন সরকার দিতে পারেনি।সর্বক্ষেত্রে যেটা মহা দরকার। পার্বত্য জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক দিছে। সবাই যেভাবে ফখরুদ্দিনের গুষ্টি উদ্ধার করে এতটা ঠিক না মনে হয়।”

Neyamul Hoque নামের একজন জয়ের পোষ্টের বিপরিীতে বেশ যুক্তিসহ অবস্হান নিয়ে একাধিক মন্তব্য পোষ্ট করে লিখেন, “কিন্তু এ অন্যায়ের জন্যে ১/১১ নায়ক/খলনায়কদের বিচারের আওতায় আনার ব্যাবস্থা নেয় নি কেন আপনার মা?

সংবিধান পরিবর্তনের চেয়ে সংবিধনের অপব্যাবহারকারীদের বিচারের আওতায় আনাটা ছিল আপনার মা'র প্রধান কাজ। তিনি তা করেন নি কেন?

Neyamul Hoque পাল্টা প্রশ্ন রাখেন জয়েরে উদ্দেশ্যে “ওয়ান ইলাভেনের মঈন উদ্দিনের দানব কবে আসছে এই দেশে ২০১১ না ২০০৭ এ? কারন যদি মঈন-ফকরের সরকার অবৈধ হয়ে থাকে এবং কোন অত্যাচার করে থাকে তবে ২০০৯-২০১০এ তা ভুলে গিয়ে ২০১১তে মনে আসার মনে আসার কারন কি? কারন ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ পর্যন্ত হাসিনা সরকারের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের কোন পরিকল্পনা সরকারের ছিল না।” এই প্রশ্নের সাথে তিনি প্রাসঙ্গিক লিংকও শেয়ার করেন যাতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিট ‘দ্যা প্রেসের’ সমকালে প্রকাশিত সংবাদ পরিবেশিত হয় ।

Neyamul Hoque আরো লিখেন, “যে ফকর-মইনের অবৈধ কর্মকান্ডে সংবিধান পরিবর্তন হয়ে যায় সেই ফকর-মইনকে বিচারের মুখোমুখি করতে এত অপারগতা কি পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দায় শোধ?”

একই ধরনের প্রসঙ্গ উঠে আসে Md Osman Gon ‘র মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, “আপনি ভাল ব্লেছন কিন্তু যারা আপনার মাকে হত্যা করতে চেয়েছিল তাদেরকে কেন জামাই আদ্র করছেন ?”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্ববধায়ক সরকারের বিরোধিতার বিস্তারিত কারন বর্ণনা করে Neyamul Hoque লিখেছেন, “তত্ত্বাবধায়কের প্রসঙ্গ আসলেই শেখ হাসিনার কন্ঠ হেড মাস্টারের মত গম্ভীর হয়ে যায়। গম্ভীর স্বরে কথা একটাই বলে ওয়ান ইলাভেনের কথা কি ভুলে গেলেন নাকী? এই যেমন কাল তত্ত্বাবধায়কের সরকার প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলে, "আপনারা কী চান? আবার অসাংবিধানিক কেউ আসুক সেটা চান? ২০০৭-০৮ সালের কথা কি ভুলে গেলেন?"

প্রশ্ন হল ওয়ান ইলাভেনের মঈন উদ্দিনের দানব কবে আসছে এই দেশে ২০১১ না ২০০৭ এ? কারন যদি মঈন-ফকরের সরকার অবৈধ হয়ে থাকে এবং কোন অত্যাচার করে থাকে তবে ২০০৯-২০১০এ তা ভুলে গিয়ে ২০১১তে মনে আসার মনে আসার কারন কি? কারন ২৯সেপ্টেম্বর ২০১০ পর্যন্ত হাসিনা সরকারের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের কোন পরিকল্পনা সরকারের ছিল না।

২০১০ পর্যন্ত হাসিনা জানত না তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করতে হবে। কারন তখনো এই ঘটনা গুলা ঘটেনি:

১. পদ্মার দুর্নীতি ওয়ার্ড ব্যাংকের ঋন বাতিল।

২. ইউনিপেটু - ডেস্টিনি জালিয়াতি।

৩. শেয়ার বাজারে ৩০ লক্ষ লোকের পথে বসা।

৪. সোনালী, জনতা, বেসিক, যমুনা ব্যাংকে লুট।

৫. কুইক রেন্টালে কুইক বিলিয়নিয়ার।

৬. সাগর-রুনী নিজ বেডরুমে খুন।

৭. চুরন্জিতের কালা বিলাই।

৮. বিনা পয়শায় ভারতকে ট্রানজিট।

৯. তানজিম-স্মার্ট গার্মেন্ট আগুন, রানা প্লাজা ধস: গার্মেন্ট শ্রমিকদের দুর্বিসহ জীবন।

১০. সরকার ও সরকারী দলের নেতা কর্মীদের দেশ ব্যাপি লুটপাট।

২০১১ তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার কারন কি এই গুলা? এসব কুকীর্তির জন্যে সমর্থন শুন্য হওয়ার জন্যেই কি ২০১১ তে একনিষ্ট দাস বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে ত্রান তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করা হয় ।”

Ali Ahasan Habib নামের আওয়ামীলীগ সমর্থক বলে দাবীদার একজনের মন্তব্যে চলতি সরকারের বিষয় কিছু সরল স্বীকারোক্তি উঠে আসে যা Neyamul Hoque এর বক্তব্যের যৌক্তিকতাকে প্রতিপন্ন করে ।Ali Ahasan Habib লিখেছেন, “তত্বাবধায়ক সরকারের দরকার নাই। তবে ফিরীয়ে আনুন আস্থা। জননেত্রীর দেশেপ্রম-আমাদের জন্য গৌরব। স্বাধীনতার আগে ও পরে আওয়ামীলীগ ছিল একটি আদর্শিক রাজনৈতিক দল। মাঠ পর্যায়ে মানুষের হাহাকারের ফলে, দীর্ঘশ্বাস পড়ছে তাদের। দেশবাসী শান্তি চায়। সারাজীবন যারা আওয়ামী পরিবার হিসেবে পরিচিত, তাদের অধিকাংশই আজ উপেক্ষিত। ক্ষমতার লোভ দলটাকে বিতর্কিত করে ফেলেছে আজ। নৌকা মার্কাতেই ভোট দিবো-এটা আমার প্রকাশ্য কথা। কিন্তু আমি/ আমরা চিন্তিত, কয়েকজন মুখোশধারী সারাদেশের মানুষের কষ্টের জন্য দায়ী। এক একজন আলাদীনের প্রদীপ পেয়েছে মনে হয়। মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানের জন্য এক্ষনি কাজ করা জরুরি। শুরু করলেই দেখতে পাবেন, ভাত খাবার টাকা নাই্ এমন অনেকেই বাড়ি, গাড়ি সহ লক্ষ্, কোটি টাকার মানুষ। এসব মানুষগুলো দলের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলেছে। আমরা আফসোস করেই মরছি। আমার এ কথাটিকে অন্যভাবে নিবেন না-সারা দেশের প্রতিষ্ঠিত কিছু সাংবাদিকদের দ্বারা গোপনে জরিপ চালানোর কাজ শুরু করেন। দেখবেন কিভাবে ওরা দলটাকে ব্যবহার করে আমাদের মুখে কলংক লেপন করে দিয়েছে। সময়টুকু কাজে লাগান। জামায়াত-শিবির বাংলার পতাকা ব্যবহার করবে-এটা আমরা চাই না। জনাব, আপনি ইচ্ছে করলেই পারবেন। বৃহৎ স্বার্থে কিছু "আমি লীগ'র শাস্তি সামনে নির্বাচনে জনমত সৃষ্টি করবে বলে মনে করি। নইলে-এটা অসম্ভব বিষয় যে, জামায়াত শিবির দেশপ্রেমিকদের ক্ষমা করবে।”

কালের সিপাহী নামের এক আইডি থেকে পোষ্ট দেয়া হয়, তাতে লেখা হয়, “সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা 'অবৈধ'।. উনার কথা ধরে বলা যায়, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি সাধারন নির্বাচন 'অবৈধ'।. নির্বাচন যদি 'অবৈধ' হয়, তবে সেইসব নির্বাচনের মাধ্যমে গঠন করা সরকারগুলোও 'অবৈধ'।. তার মানে দাঁড়াল, বর্তমান সরকারও 'অবৈধ'।. বর্তমান সরকার 'অবৈধ' হলে বর্তমান সরকারের নেয়া সকল ব্যবস্থা অবৈধ। এবং বর্তমান 'অবৈধ' সরকার যে সংবিধান পরিবর্তন করেছে, সেটাও 'অবৈধ'।. বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও 'অবৈধ'।. এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টাও 'অবৈধ'।. জানিনা, একজন 'অবৈধ' মানুষ হয়ে থাকতে উনার কেমন লাগে! কিন্তু আমরা সাধারন মানুষরা আওয়ামী লীগের 'অবৈধ' খেলার বিষয়বস্তু হয়ে আর থাকাটা ভালো বোধ করছিনা। দয়া করে, ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে আপনার, আপনার পরিবারের এবং আপনাদের সরকারের 'অবৈধ' খেলা থেকে আমাদের মুক্তি দেন..”

শিপন ভাই নামের অপর আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়,“প্রথম আলো জরিপ মোতাবেক দেশের ৯০% মানুষ "তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়”

Shahriar Haque Mazumder Shimul লিখেছেন, “জাতির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন:'এই সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল'-এইটা যেন কার উক্তি??”

তত্ত্ববধায়ক ব্যবস্থার দিনগুলোর রাজনীতিবিদদের জন্য তিক্ত হলেও সাধারণ মানুষের জন্য সুখকর সে প্রসঙ্গটি উঠে আসে Ataur Rahman নামের এক ব্যক্তি মন্তব্যে তিনি লিখেন, “তত্বাবধায়ক সরকার আসলে আম জনতার কোন কি ক্ষতি আছে?ক্ষতিতো দুরের কথা বরং আম জনতার লাভই হয় আর্মি বা তত্বাবদায়ক সরকার আসলে, কারন সেই সময়টায় আমাদের প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজির সামনা সামনি হতে হয় না, সন্ত্রাসীর ভয়ে দিনাতিপাত করতে হয় না।দলীয় কেডার আর হুমকি নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়না।বিশ্ববিদ্যালয় গুলুতে মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যু ঘটেনা দলীয় সন্ত্রাসীদের পৈশাচিক ক্রোন্দলের কারনে।আর সমস্যা হয় আপনাদের রাজনীতিবিদদের কারন আপনারা আমাদের সম্পদ নিজের মনে করে চুরি করবেন,দুর্নীতি করে দেশের বারোটা বাজাবেন মানুষ খুন করাবেন যত সব অনাচার অত্যাচার করে মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলবেন আর সাজা ভোগ করবেন্না এই মানসীকতা নিয়ে বসে থাকেন কিন্তু তত্বাবদায়ক সরকার বা আপনাদের ভাষায় অবৈধ সরকার আসলে আপনাদের এই সব অন্যায়ের জবাবদিহী করতে হয় জেলে যেতে হয় সাজা ভোগ করতে হয় তাই আপনাদের কাছে তত্বাবধায়ক সকার এত তিতা তবে ভাইজান এই ধরনের সরকার কিন্তু আমাদের কাছে ভালই ঠেকে।আপনারা যেই কথাটা বলে বেড়ান যে এই তত্বাবধায়ক সরকার আসলে দেশের উন্নয়ন হয় না দেশকে পিছনে ঠেলে দেয় তবে একটু ভেবে দেখেন আপনাদের অপকর্ম আর দুর্নীতির চেয়ে কি তত্বাবধায়ক বেশী কিছু করেন বরং অনেক কম করেন মুল কথা এই ধরনের সরকারে আম জনতার কোন সমস্যা বা এলার্জি নাই বরং আমরা খুশিই হব এই ধরনের সরকার এলে।গনতন্ত্রের লেবাসে সৈরতন্ত্রের চেয়ে তত্বাবধায়ক সরকার বা আর্মি শাষন আমাদের কাছে অনেক সুখকর এতে কোন সন্দেহ নাই।”

Nazmul Hasan Totul লিখেছেন, “আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশ এখনো এতটা উন্নতি করে নাই যে হলপ করেই আমরা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আশা করতে পারি, দুই দলের মদ্দে আগে আস্থার সম্পর্ক গড়ে উঠুক।অবিশাস দুর হোক। আজকে যদি খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রি থাকতো আপ্নারা কি তার অধিনে নির্বাচন মেনে নিতেন???”

সুলতান আহমদ লিখেন “সেই দিনগুলোর কারিগরদের বিরুদ্ধে আপনারা কোন ব্যবস্থায় নেননি।”

মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম জুয়েল ১/১১ প্রেক্ষাপট তুলে ধরে লিখেন, “আর আপনার মায়ের সরকার আমাদেরকে গনতন্তের নামে দিয়েছে গণহত্যা। মোলিক অধিকারের নামে দিয়েছে অপসাশন। আর ছাত্রলীগ ও আপনার সংগঠন যুবলীগের কথা না হয় না ই বললাম। আর সেই ২৮ অক্টোবর লগি বইঠা নিয়ে আপনারা যে তাণ্ডব চালিয়ে ছিলেন তার ফলেই একটি ১/১১ আস্তে বাধ্য হয়েছিল। আশা করি আপনার রেসপন্স পাওয়া যাবে। আসেন আমরা বিতর্ক করি।”

ভার্চুয়াল এমন একটা জগৎ যেখানে শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই, তবে ইতি টানার জন্য একটি বিশেষ মন্তব্য যুক্ত করা যায় আর তা হল, “নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট যাবে না। আওয়ামী লীগ সরকার তার বাচাল মন্ত্রী ও সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদেরকে দিয়ে যত খুশি হুমকি ধামকি অনুরোধ অনুনয় প্রস্তাব ভিক্ষা আহবান করতে পারে, তাতে ফল হবে না। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোন নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট থাকবে না।”

সে ক্ষেত্রে কেউ না চাইলেও যে আরেকটি ১/১১ তৈরির প্রেক্ষাপট তৈরি করা হচ্ছে তার দায়ভার কার ? null

বিষয়: বিবিধ

১৩৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File