বিক্ষোভ, আলোচনা, গণহত্যাঃ ফের নতুন করে মিশরজুড়ে আন্দোলনের ডাক

লিখেছেন লিখেছেন সিকদারমোহাম্মদ ১৪ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:২৬:৫৪ সন্ধ্যা

সিকদার মোহাম্মদঃ মিশরের রাজধানী কায়রোতে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক মুরসি সমর্থকদের প্রধান বিক্ষোভ অনুষ্ঠানস্থল থেকে সরিয়ে দিতে বুধবার ভোরে থেকে শুরু হওয়া ক্র্যাকডাউন ও হতাহতের পর আবার নতুন করে পদচ্যুত মিশরীয় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকরা কায়রোয় এবং কায়রোর বাইরে দেশে বিভিন্ন শহরে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু করেছে ।

এদিকে, গণহত্যা বন্ধে মিশরবাসীকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুড।

ব্রাদারহুডের মুখপাত্র গেহাদ আল-হাদ্দাদ এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘এটা শুধু অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা নয়, বরং সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী ভিন্নমতকে ধ্বংস করে দেয়ার একটি রক্তাক্ত প্রচেষ্টা।’গণহত্যার প্রতিবাদে জনগণকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে, সেনাবাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে আলেকজান্দ্রিয়াসহ মিশরের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করছেন মুরসি সমর্থকরা।

তবে মুরসি সমর্থকদের ঠেকাতে দেশব্যাপী ট্রেন সার্ভিস বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ করে ফেলেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

মুরসির শত শত সমর্থক নসর শহরে প্রবেশের প্রধান সড়ক নোজাহ স্ট্রিটে সমবেত হয়েছে ।

সেনাবাহিনী এবং পুলিশ শহরের প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করে রেখে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য করে টিয়ার গ্যাসের সেল ছুঁড়ে মেরে তাদের কাছাকাছি পৌছাঁর চেষ্টা করছে বলে আল জাজিরায় খবর পরিবেশন করা হয় ।

এছাড়াও মুসরির সমর্থকরা গণহত্যার প্রতিবাদে আলেকজান্দ্রিয়া, সুয়েজ, অসুট সহ দেশের বিভিন্ন শহরের চলমান আন্দোলনে ভিডিও ফুটেজ তাদের নিকট পাঠাচ্ছে বলে আল জাজিরা জানিয়েছে ।

স্হানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে আল জাজিরা এটাও জানায় যে,দক্ষিণ মিশরের আসওয়ানে শতশত সামরিক সরকার বিরোধিরা স্থানীয় সরকারী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ।

স্হানীয় ইনটেরিওর মিনিস্ট্রির বরাতে আল জাজিরা জানায়, পশ্চিম কায়রোর একটি প্রধান সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে মোস্তফা মাহমুদ মসজিদের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন । অন্যদিকে আলেকজান্দ্রিয়ার উত্তরাঞ্চলের কর্ণিশ,দেশের প্রধান উপকূলবর্তী রাস্তা অবরুদ্ধ করেছেন।

রেডিও তেহরান সূত্রে জানাযায়, মিশরের প্রধান রাজনৈতিক দল ইখওয়ানুল মুসলিমিন দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেছিল। আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এ আলোচনার মধ্যস্থতাকারী ছিল ।

ইখওয়ানের মুখপাত্র গেহাদ আল-হাদ্দাদ গতকাল (মঙ্গলবার) ঘোষণাও দিয়ে বলেছিলেন, “যদি আমাদের ন্যায্য কথা মেনে নেয়া হয় তাহলে ইখওয়ান আলোচনায় অংশ নেবে।” তিনি আরো বলেন, “সাংবিধানিক বৈধতা ফিরিয়ে আনাই হবে আলোচনার ভিত্তি।”

হাদ্দাদ জানিয়েছিলেন, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে দেশে যে সহিংসতা চলছে তার অবসানে ইখওয়ানুল মুসলিমিন আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।তা সত্বেও বুধবার সকাল থেকে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে তৃতীয়দফায় গণহত্যা সংগঠনের মাধ্যমে সামরিক সরকার কি বার্তা দিতে চাচ্ছে? এটা প্রশ্নে উত্তর খোজাঁই হবে আগামী দিনগুলোতে মিশরের বিষয় বিশ্লেষকদের ভাবনা ।

বিষয়: আন্তর্জাতিক

৯১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File