ডামু্ড্যা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ঃ আন্দোলন সংগ্রাম যুগে যুগে
লিখেছেন লিখেছেন সিকদারমোহাম্মদ ৩০ মে, ২০১৩, ১১:৫০:৪১ সকাল
আমাদের সময়ের কথা বলছি, ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাস, টেষ্ট পরিক্ষা কেবল শেষ হয়েছে।
পুর্বথেকেই প্রশ্ন ব্যাংকে M.C.Q পদ্ধতি চালু ছিল এবং প্রশ্ন ব্যাংক অনুযায়ী S.S.C FINAL EXAM হবার কথা ছিল, কিন্ত হঠাৎ করেই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বদরুদ্দোজা চৌধুরী প্রশ্ন ব্যাংক তুলে দেবার ঘোষণা দেন।অথচ বোর্ড পরিক্ষার তখন তিন মাসও বাকী নাই ,বিষয়টা যে অযৌক্তিক ছিল, তা বুঝতে কারো সমস্যা হলো না, কেবলমাত্র তখনও সরকার ছিল অবুঝ । এটা এমন কিনা আমি জানিনা, আমাদের দেশের সরকারগুলো বেশি বেশি তরমুজ খাবার ফলে এ দশায় পতিত হয় কিনা!!অবশ্য সারা দেশের এস.এস.সি পরিক্ষার্থীরা তিব্র আন্দোলনের মাধ্যমে খুব সহজেই তা বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয় । সারা দেশের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ডামুড্যা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আমরা বেশ বড় ধরনের একটা মিছিল বের করি, মিছিল টি ডামুড্যা বাজার প্রদক্ষিণ করে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে যাই, উদ্দেশ্য ছিল স্মারকলিপি প্রদান করা, স্মারকলিপি আগের ভাগেই লিখা ছিলনা, ফলে তাৎক্ষনিকভাবেই লিখে জমা দেয়া হয় । আমাদের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ, বিপত্তিবাধে যখন আমরা মিছিলের মুলঅংশ স্মারকলিপি লিখছিলাম তখন একটি অংশ ডামুড্যা টেলিফোন ভবনে হামলা করে ক্ষতিসাধন করা হয় ।স্কুলের সামনে রাখা পুলিশের মটরসাইকেলেও হামলা করা হয় ।তখনও টেলিফোন ভবন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কতৃপক্ষকে বুঝিয়েদেয়নি, অবশ্য নির্মান কাজ সমাপ্ত হয়েগিয়েছিল।ফলে ঠিকাদার ভদ্রলোক ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ।অবশ্য পরে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা হয়ে যায় । এটা অবশ্যই সফল একটি শিক্ষা আন্দোলন ছিল , আমার জানামতে শরিয়তপুরের আর কোথাও এ আন্দোলন সংগঠিত না হলেও ঐতিহ্যের স্বারক ডামুড্যা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় অতীতের ধারাবাহিকতায় যথাসময়ে তার সঠিক ভুমিকা থেকে পিছু হটেনি এবং ভবিষ্যতেও হবেনা ।
বিষয়: বিবিধ
৮৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন