"মুসলিম চ্যারেটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ" মুসলিম উম্মাহ্ র ঐক্য প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মানুষ ও মানবতার কল্যানে কাজ করতে আগ্রহী
লিখেছেন লিখেছেন মুসলিম চ্যরিটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ২৯ মে, ২০১৩, ০৬:২৩:৪৫ সন্ধ্যা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।আলহামদুলিল্লাহি রাব্বীল আলামিন। ওআসসালাতু আসসালামু আ’লা আসরাফিল আম্বীয়ায়ে ওর মুরসালিন। ওয়ালা আলিহী ওয়াসহাবিহী আজমাঈন।
সুপ্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা,
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহতুল্লাহ।
"মুসলিম চ্যারেটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ" একটি সম্পূর্ন অরাজনৈতিক সংগঠন।
কোন রাজনৈতিক দলাদলিতে এ সংগঠন বিশ্বাস করে না।
মুসলিমদের কল্যাণে কাজ করতে চায় সংগঠনটি।
মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ করাও "মুসলিম চ্যারেটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ"র অন্যতম প্রধান কাজ। এ ঐক্যের মানে এই নয় যে মাজহাব, দল সব কিছু বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এটা হয়তো এ মুহূর্তে সম্ভব নয়। বরং ঐক্য বলতে আমরা বুঝাতে যাচ্ছি যে যেই দলই করুন কেন তা সত্ত্বেও কালেমায় বিশ্বাসীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
সবার মানসিক অবস্থা এক নয়। তাই সবাই সব বিষয়ে একই মতের অধিকারী হবেন, এটা কল্পনাও করা যায় না। তবে যারা এক আল্লাহকে বিশ্বাস করে এবং শুধুমাত্র তাঁকেই সিজদাহ করে, তাদের মাঝে অন্যান্য বিষয়ে মতানৈক্য থাকলেও তাদের মূল বিষয় এক। তাই মুসলিম চ্যরিটি ফাউন্ডেশন চায় এ মূল বিষয় যাদের এক তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করতে। আলেম ওলামাগন এ ঐক্যের একটি নতুন নাম দিয়েছেন-“আল-ইত্তেহাদ মায়াল ইখতেলাফ” অর্থাৎ ‘মতানৈক্য সহ ঐক্য’।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হবার নির্দেশ দিয়েছেন।
“তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে ঐক্যবদ্ধভাবে আঁকড়ে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না” (সূরা আল ইমরান- ১০৩)
কিন্তু অমৌলিক বিষয় নিয়ে ব্যাপক বাড়াবাড়ির কারনে মুসলিম সমাজ আজ মৌলিক বিষয় থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। মাজহাবী বিতর্ক, পাঞ্জাবী পায়জামা বনাম শার্ট-প্যান্ট বিতর্ক, মহা নবী(সা.)কে দাঁড়িয়ে সালাম দিবে নাকি বসে সালাম দিবে এ নিয়ে চরম দন্দ ইত্যাদি কারনে আজ সংখ্যায় বেশি হলেও মুসলমানরা দূর্বল। কারন একটিই-অনৈক্য।
তবে আমরা এখনো হতাশ নই। মহান আল্লাহ আমাদেরকে হতাশ হতে নিষেধ করেছেন।
“তোমরা হতাশ হয়োনা, চিন্তিত হয়োনা, তোমরা যদি মুমিন হও তাহলে তোমরাই বিজয়ী হবে” ।(আল- ইমরানঃ১৩৯)
তাই আশায় বুক বেঁধে "মুসলিম চ্যারেটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ" ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে চায় কালেমায় বিশ্বাসী সকল মুসলিমদের মধ্যে, যা কিনা কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে সম্ভব নয়।
প্রিয় ভাইয়েরা,
দাওয়াত মুসলমানদের জন্য একটি অপরিহার্য কাজ। কিন্তু একাজে আগ্রহী অনেকরই দাওয়াতের সিস্টেম জানা নেই। তাই কেউ কেউ দাওয়াতী কাজ করতে গিয়ে অন্যের হাসিঠাট্টার পাত্র হয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
আবার উপযুক্ত ইসলামিক জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অভাবে অনেকেই অন্যদের নিকট ইসলামের বিষয়াবলীকে ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না। যার ফলে কখনো কখনো লাভের চেয়ে লোকশানই বেশি হয়।
"মুসলিম চ্যারেটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ" উপযুক্ত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে একদল দা’য়ী তৈরী করতে চায়, যারা ইসলামের প্রচার ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করবেন।
এ জন্য যেসব দাওয়াতি উপকরন প্রয়োজন, যেমন-বই পুস্তক, প্রশিক্ষক ইত্যাদি; তার ব্যবস্থা করবে "মুসলিম চ্যারেটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ"।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য "মুসলিম চ্যারেটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ"র আছে নিজস্ব ভলান্টারী ইউনিট। অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তারা সর্বদা প্রস্তুত।
এতিম শিশুদের লালন পালনের জন্য "মুসলিম চ্যারেটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ" পরিকল্পনা করেছে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে অরপানেজ হোম প্রতিষ্ঠা করার। এগুলোর কার্যক্রম হবে গতানুগতিক অরপানেজ হোম গুলোর থেকে আলাদা। এখানকার প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীকে একজন আদর্শ মুসলিম হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর "মুসলিম চ্যারেটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ"। ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি মেধা অনুসারে জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত করা হবে এখানকার ছেলে মেয়েদেরকে।
"মুসলিম চ্যারেটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ"র বৃহৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে একটি স্বয়ং সম্পূর্ন ইসলামী মেডিক্যেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা। রোগীর সেবা করার মহৎ বাসনা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে এটি। এবং এখানে পূর্ন ইসলামী শরীয়াহ অনুসরণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা,
মুসলিমদের দান ও যাকাতের অর্থে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত এ সংগঠনটিকে সকল প্রকার রাজনৈতিক ও মাজহাবী বিতর্কের উর্ধে রেখে পরিচালনা করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ইনশাআল্লাহ "মুসলিম চ্যারেটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ" এমন কোন কাজ করবে না যা মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে। আপনাদের দোয়া ও সহযোগীতা আমাদের একান্ত কাম্য।
মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন- আমিন।
বিষয়: বিবিধ
২১৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন