গড়া হল না ইতিহাস
লিখেছেন লিখেছেন শুকনা মরিচ ২৫ মে, ২০১৩, ০৩:৩৬:৫৭ দুপুর
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি চরম উত্তেজনাকর করে পাকিস্তানকে ড্র চমকে দিল আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টির বাগড়ায় নিয়মিত বিরতিতে বন্ধ ছিল দুই ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি। ফলে ম্যাচ নেমে আসে ৪৭ ওভারে। তারপরও মোহাম্মদ হাফিজের ১১৩ বলে ১২২রানের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ২৬৬ রানের এভারেস্ট দাঁড় করায় পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে বৃষ্টির কবলে পড়ে আইরিশরাও। ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে তাদের টার্গেট দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ২৭৬। পল স্টারলিং সেঞ্চুরি ১০৩রান করেছেন ঠিকই, তবে তাদের সম্মান বাচানোর নায়ক কেভিন ও’ব্রায়েন। মাত্র ৪৭ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে বাঁচান এই আইরিশ। ইনিংসের শেষ বলে চার মেরে আয়ারল্যান্ডের রান ২৭৫-এ নিয়ে যান তিনি। ফলে দেখা গেল ওয়ানডে ইতিহাসের ২৪তম টাই ম্যাচ। তাতে সিরিজে এগিয়ে যায়নি কেউই। দুই ম্যাচের সিরিজের শেষটি হয়ে রইল বাচা মরার লড়াই।
২০০৭ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। নিজেদের মাঠে আবারও এই প্রতিপক্ষকে পেয়ে একই স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছিল স্বাগতিকদের মনে। ম্যাচের শেষ তিন বলে আয়ারল্যান্ডের প্রযোজন ছিল ১৩ রান। এর প্রথম দুই বলে এক ছয় ও দুই রান নিয়ে দলকে অনেক এগিয়ে দেন কেভিন। শেষ বলে পাঁচ রান নিতে পারলে জিতবে তার দল আর চার হলে ড্র। এমন অবস্থায় কেভিন চার মারায় বিশাল টার্গেটের সমানে চলে আসে আয়ারল্যান্ড। দুই ছয় ও ১১ চারে ৪৭ বলে ৮৪ রানের অসাধারণ ইনিংসের মালিক কেভিন হন ম্যাচ সেরা। বৃহস্পতিবার ডাবলিনের ক্লনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে রানের ফোয়ারা ছোটানো এক ম্যাচ দেখল দর্শকরা। হতাশায় ফিরতে হয়নি তাদের। চার-ছয়, সেঞ্চুরি, শেষ বলের উত্তেজনা সবই ছিল সিরিজের প্রথম ম্যাচে। ডাবলিনের আইরিশরা যে এতটা শক্তিশালী তা হয়ত ভেবে পায়নি খোদ পাকিস্তান শিবির। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় অধিনায়ক মিসবাহ বলছিলেন, ২৫০-২৬০ রানের কথা। দলের ৯ রানে ব্যথা পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান ওপেনার জামশেদ। কিছুক্ষণ পর আরেক ওপেনার ইমরান ফরহাতকে হারায় পাকিস্তান। এরপর আসাদ শফিককে নিয়ে ১৮৮ রানের জুটি গড়ে তোলেন হাফিজ। যা আইরিশদের বিপক্ষে কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৮৪ রানে থেমে যান শফিক। তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের হাজার রান। তবে অপরপ্রান্তে অনড় ছিলেন হাফিজ। বৃষ্টির জ্বালায় কিছুক্ষণ পরপরই তার ইনিংসে বাধা পড়ছিল। তবে তা উপেক্ষা করে ২ ছয় ও ১২ চারে মন জুড়ানো ইনিংস উপহার দেন হাফিজ। এত কিছুর পরও দু দলেরই আফসোস। জয়ের হতাশায় ভুগতে হচ্ছে তাদের।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন