স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইসলামের আদর্শ।
লিখেছেন লিখেছেন বন্ধন ০৯ জুন, ২০১৩, ০৮:২৭:১৫ রাত
মহান আল্লাহ পাকের অসংখ্য নেয়ামতের মধ্যে স্বাস্থ্য অন্যতম নেয়ামত। এ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ [সাঃ] বলেছেন- তোমরা তার চিকিৎসা কর, যে প্রভূ রোগ পাঠিয়েছেন। তিনি ঔষধও প্রেরণ করেছেন এবং তার মধ্যে নিরাময়ও রেখেছেন।
০১। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় অযু ও গোসলের ফলে -জীবানু ঘটিত রোগবালাই দূর হয়।
০২। মেসওয়াক- দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মেসওয়াক প্রসঙ্গে মহানবী হযরত মুহাম্মদ [সাঃ] দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মেসওয়াক করার হুকুম দিয়েছেন। মেসওয়াক না করলে-দাঁত, মাড়ি ও মুখের নানা প্রকার অসুখ হয়। এছাড়া দাঁতের ক্ষয়রোধ,দাঁত নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং পরিপাক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পেট ব্যথা, এসিডের জন্ম ও বিভিন্ন রোরগের উপসর্গ দেখা দেয়।
০৩। রোগ নিরাময়ে নামায-হযরত মুহাম্মদ [সাঃ] ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই নামাজে শেফা রয়েছে। মানুষের শরীরে রক্তের কলষ্টেরল বেড়ে যাবার ফলে,উচ্চ রক্তচাপ,হ্নদরোগ, স্থুলতা লিভারেরর রোগ সহ বহুবিধ রোগ দেখা দেয়। কলষ্টেরল কমানোর জন্য সর্বোত্তম পন্থা হলো ব্যায়াম। আর নামায যথাযথ ভাবে আদায় করলে এ ব্যায়ামের কাজটি সহজেই হয়ে যায়। বান্দা যখন তাকবীরে উলা করার জন্য কনুই পর্যন্ত দুই হাত কাঁধ বরাবর উত্তোলন করে তখন স্বাভাবিক ভাবেই রক্ত সঞ্চালনের তীব্রতা বেড়ে যায়। বান্দা যখন কিয়ামে হাত বেধেঁ রাখে,তখন কনুই কব্জী হয়ে আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত ব্যবহ্নত হয়। এতে রক্ত সঞ্চালনের তীব্রতা বেড়ে যায়। বান্দা যখন রুকুতে যায়, তখন তার হাত,হাটু,কনুই,কব্জী,এবং কোমড়ের প্রতিটি জোড়া [অস্থিসন্ধি] প্রবলভাবে ঝাকুঁনী দেয়। বান্দা যখন সিজদায় যায়,তখন তার হাত,পা,পেট,পিঠ,কোমর, উরু,ও শরীরের
সবগুলো অঙ্গ-প্রতঙ্গের জোড়ায় নাড়া পড়ে এবং টান টান অবস্থায় থাকে। এতে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালিত হয়। যা মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। বান্দা যখন তাশাহুতের বৈঠকে বসে তখন তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত রগ গুলো টান টান হয়ে থাকে। একদিকে থাকে টাকনু ও পায়ের অন্যান্য জোড়া এবং অন্যদিকে থাকে কোমর ও গর্দানের জোড়াগুলো -এ অবস্থায় শরীরের অভ্যান্তরে কিডনী, মূত্রথলী,প্রোস্টেটগ্রন্থি এবং শুক্রথলি ও জনন যন্ত্রের পেশীসমূহে পরিপূর্ণ অক্সিজেনযুক্ত রক্তের প্রবাহে সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। নামাজ শেষ করার আগে ছালাম ফেরাতে হয়। এ সময় গর্দানের দুদিকের জোড়াগুলো কাজ করে এবং গর্দান ঘুরানোর সময় রক্ত সঞ্চালন প্রবাহ বেড়ে যায়। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
চলবে---
বিষয়: বিবিধ
১৫০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন