ফেইসবুকের কিছু জিহাদিস্ট, কিতালিস্ট , মুস্লিমিস্টদের প্রতি

লিখেছেন লিখেছেন আকরাম রানা ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১২:৪০:৫২ দুপুর

ইদানিং ফেইসবুকের কিছু জিহাদিস্ট, কিতালিস্ট , মুস্লিমিস্টদের কোরানের অপ ব্যখ্যা দেখে অবাক হচ্ছি। এদের অধিকাংশ পোস্ট গুলা হচ্চে যুদ্ধ নিয়ে ।

খালি যুদ্ধ কর , যুদ্ধ কর বলতেছে আর কুরআনের সুরা তাউবা আর সুরা মুহাম্মাদ এর বিভিন্ন আয়াত , আগ পর কিছু উল্লেখ নাকরে রেফেরেঞ্চে দিয়ে যাচ্ছে।

তা উনাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা আপনারা কার সাথে এই কিতাল করবেন! যেখানে এই দেশ এর ৯০% মানুষ নিজেকে মুসলিম দাবি করে তাদের বিপক্ষে ।

এই মানুষ গুলা জিহাদ আর কিতাল কে গুলায় ফেলছে এবং নিজের মত করে ফতোয়া দিয়ে , সরল মুসলিমকে ধোঁকা দিচ্চে। কিতাল জিহাদ এর একটা পার্ট, এটা উনারা

একদম ভুলে আছে । জিহাদ আসলে কি ! জিহাদ হচ্চে প্রচেষ্টা চালানো , যেমন কোন ছাত্র যদি পরীক্ষা পাশের জন্য চেষ্টা করে যায় তাইলে আমরা বলতে পারি

সে পরীক্ষা পাশের জন্য জিহাদ করতেছে , তেমনি ভাবে কেউ

যদি আল্লাহর রাস্তায় প্রচেষ্টা চালায় তাইলে আমরা তাকে বলব আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ , আর এরি একটা অংশ হচ্চে কিতাল।

আমরা যদি আল্লাহর রাসুলের সুন্নাত এর দিকে তাকাই তাইলে কি দেখি । আল্লাহর রাসুলে নবুয়াত এর অর্ধেকটা সময়ই তিনি মক্কায় ছিলেন । উনার উপর

উনার সাহাবাদের উপর মক্কায় এমন কোন নির্যাতন নাই যে করা হয়নি , উনি তায়ফে রক্তাক্ত হয়েছেন । তারপর ও কি উনি (সাঃ) বা উনার সাহাবার

কোন কাফের এর উপর একটা ঢিল ও কি মারছে, মারে নাই ।কোন সন্ত্রাসি কার্যক্রম ও করেন নাই ।তাইলে আল্লাহর রাসুলের সুন্নাত অনুযায়ী আপনি কিভাবে নিজের দেশ এর ভিতর

যুদ্ধ করার ফতোয়া দেন । আপনি ১০% মানুষের জন্য ৯০% মানুষের জীবন নষ্ট করতে চান । মক্কী জীবনের সুরা গুলোতে কোথায় কিতাল এর নির্দেশ আসছে কি জনাব।

শেষ পর্যন্ত যখন তাঁকে হত্যার চূড়ান্ত সিধান্ত হয় উনি কি এর পর ও অস্র হাতে নিয়েছিলেন, না নেন্নি বরং উনি হিজরত করে ছিলেন ।

মদিনাতে এসে ইস্লামি রাষ্ট্র কায়েম করেছেন । আপনি বলতে পারেন বদর, উহুদ, খন্দক এর কথা। এর একটা যুদ্ধ ও উনি নিজ থেকে অগ্রগামী হয়ে করেন নি , বরং কাফের রা আক্রমন

করে ছিল উনি এতা প্রতিরোধ করছেন , আর তখনই কুরআনের কিতাল সম্পর্কিত আয়াত গুল নাজিল হয়েছে , যেখানে আল্লাহ

স্পষ্ট ভাসায় কিতাল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ।

অনেকে সুরা তাউবার রেফেরেঞ্চ দিয়ে কিতাল বলে চিল্লায় তাদের আমি বলি সুরা তাউবার ৫ নং আয়াতে আছে "অতপর যেখানে কাফের দের কে পাও তাদের হত্তা কর " এর মানে কি আমি

যেখানেই কাফের পাবো হত্তা শুরু করবো নাকি । বরং এটা হচ্চে এমন একজন সেনা নায়ক এর মত ভাষণ যেখানে তার সৈন্যদের মনোবল বাড়ানোর জন্য উনি

বলতেচেন তোমরা যুদ্ধ অবস্থা কোন কাফের ফেলে তাদের হত্যা কর। এরপর সুরা তাউবার ৭ নং আয়াতে আছে " যদি কেউ তোমাদের কাছে আস্রয় চায় তাঁকে আস্রয় দেউ এবং নিরাপদ স্থানে পৌঁছিয়ে দাউ "

এমন কি মক্কা বিজয় এর সময় আল্লাহর রাসুল নিজ দেশের কোন মানুশ কে কি কোন অপরাধ ছাড়া হত্যা করে ছিলেন ! না করেন নি । একমাত্র যাদের অপরাধ

ক্ষমার অযোগ্য তাদের ছাড়া ।

সতরাং আপনি নিজ দেশের ভিতরে ইসলামের নামে কি যুদ্ধ করতে চান। আপনি ইসলামি হুকুমাত কায়েম করতে চান , করেন তবে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে , ইসলামি হুকুমাত কায়েম হবে কি

হবে না সেটা আল্লাহর ইচ্চা , আপনি আমি চেষ্টা করার মালিক । তলওয়ার দিয়ে ইসলাম কায়েম হয় নাই , এটা ভুলে গেলে চল বেনা , অতএব অপেক্ষা করেন ।

উনাদের আরেক যুক্তি হল গনতন্ত্র ইয়াহুদিদের এটার মাধ্যমে ইসলাম কায়েম হবে না , আমি তাদের জিজ্ঞেস করি বর্তমানে গনতন্ত্র ছাড়া এমন কি কোন

উৎকৃষ্ট কোন পন্থা আছে যার মাধ্যমে আপনি ইসলাম কায়েম করবেন ! আপনি ত নিকৃষ্ট পথে ইসলাম কায়েম করতে চাচ্ছেন ।

তাদের উদ্দেশে বলি নিজের বেক্তি গত অভিমত ইসলামের নামে না চালাইতে , আর দয়াকরে কোরানের আয়াতের অপবেক্ষা করবেন না । কোরআন এর বাস্তব নূমনা হচ্চে

আমার আপনার রাসুল মোহাম্মাদ সাঃ । তাঁর সুন্নাত এর দিকে তাকান এরপর ,ফতোয়া দেন । কোণ আপত্তি নাই ।

লিখায় ভুল থাকে পারে ক্ষমা করবেন ।

বিষয়: বিবিধ

৩৭৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File